সোমবার | ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১০:৫৭
Logo
এই মুহূর্তে ::
রবীন্দ্রনাথের লেখা চিঠিতে তাঁর স্পেনযাত্রা বাতিলের অজুহাত : অসিত দাস ফ্ল্যাশব্যাক — ভোরের যূথিকা সাঁঝের তারকা : রিঙ্কি সামন্ত সেলিনা হোসেনের উপন্যাসে নাগরিকবৃত্তের যন্ত্রণা (চতুর্থ পর্ব) : মিল্টন বিশ্বাস মিয়ানমার সংকট, প্রতিবেশি দেশের মত বাংলাদেশকে নিজস্ব স্বার্থ নিশ্চিত করতে হবে : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন নন্দিনী অধিকারী-র ছোটগল্প ‘সিকাডার গান’ সেলিনা হোসেনের উপন্যাসে নাগরিকবৃত্তের যন্ত্রণা (তৃতীয় পর্ব) : মিল্টন বিশ্বাস সুভাষচন্দ্রের আই. সি. এস এবং বইয়ে ভুল-ত্রুটি (শেষ পর্ব) : উৎপল আইচ সেলিনা হোসেনের উপন্যাসে নাগরিকবৃত্তের যন্ত্রণা (দ্বিতীয় পর্ব) : মিল্টন বিশ্বাস সুভাষচন্দ্রের আই. সি. এস এবং বইয়ে ভুল-ত্রুটি (চতুর্থ পর্ব) : উৎপল আইচ ব্রিটিশ ভারতে উপনিবেশিক বিচার : এলিজাবেথ কলস্কি (শেষ পর্ব) অনুবাদ বিশ্বেন্দু নন্দ প্রথম পাঠ — সায়র আলমগীরের গল্পগ্রন্থ ‘এক মন অন্য মন’ প্রেমময়তার গাল্পিক দলিল : সৌমেন দেবনাথ আন্তন চেখভ-এর ছোটগল্প ‘গুজবেরি’ সেলিনা হোসেনের উপন্যাসে নাগরিকবৃত্তের যন্ত্রণা (প্রথম পর্ব) : মিল্টন বিশ্বাস সুভাষচন্দ্রের আই. সি. এস এবং বইয়ে ভুল-ত্রুটি (তৃতীয় পর্ব) : উৎপল আইচ ব্রিটিশ ভারতে উপনিবেশিক বিচার : এলিজাবেথ কলস্কি (১০৭তম পর্ব) অনুবাদ বিশ্বেন্দু নন্দ স্প্যানিশ ফ্লু থেকে বাঁচতেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্পেনে গেলেন না : অসিত দাস ভোটের হার কম, ভোটারদের উৎসাহ কম, চিন্তায় বিজেপি : তপন মল্লিক চৌধুরী সুভাষচন্দ্রের আই. সি. এস এবং বইয়ে ভুল-ত্রুটি (দ্বিতীয় পর্ব) : উৎপল আইচ ব্রিটিশ ভারতে উপনিবেশিক বিচার : এলিজাবেথ কলস্কি (১০৬তম পর্ব) অনুবাদ বিশ্বেন্দু নন্দ অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়: এক বাঁধনছেঁড়া গণশিল্পী : সন্দীপন বিশ্বাস সুভাষচন্দ্রের আই. সি. এস এবং বইয়ে ভুল-ত্রুটি (প্রথম পর্ব) : উৎপল আইচ ব্রিটিশ ভারতে উপনিবেশিক বিচার : এলিজাবেথ কলস্কি (১০৫তম পর্ব) অনুবাদ বিশ্বেন্দু নন্দ রামগতপ্রাণ দাস্যভক্তির শ্রেষ্ঠ বিগ্রহ হনুমানজি : রিঙ্কি সামন্ত লুইজ গ্লিক ও সাহিত্যে সমকালীনতা : সাইফুর রহমান ব্রিটিশ ভারতে উপনিবেশিক বিচার : এলিজাবেথ কলস্কি (১০৪তম পর্ব) অনুবাদ বিশ্বেন্দু নন্দ রাখাইনে রোহিঙ্গাদের গ্রহনযোগ্যতা বাড়াতে কি করা হচ্ছে : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন সাহিত্যে যুদ্ধ, যুদ্ধে সাহিত্য : মিল্টন বিশ্বাস রবীন্দ্রনাথ কখনও শিমুলতলা আসেননি : জমিল সৈয়দ ব্রিটিশ ভারতে উপনিবেশিক বিচার : এলিজাবেথ কলস্কি (১০৩তম পর্ব) অনুবাদ বিশ্বেন্দু নন্দ সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়-এর ছোটগল্প ‘বিকাশের বিয়ে’
Notice :

পেজফোরনিউজ ডিজিটাল পত্রিকার পক্ষ থেকে সকল বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ বাংলা নববর্ষ ১৪৩১-এর আন্তরিক প্রীতি, শুভেচ্ছা, ভালোবাসা।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

কাজলদীঘি (২৪০ নং কিস্তি) : জ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়

জ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় / ৯৯৮৫ জন পড়েছেন
আপডেট রবিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২০
kajaldighi

তারপর আর না দাঁড়িয়ে শুভর কাছে চলে গেলো।

সত্যি বলছি ছুটকি ওর একটা কথাও আমার মাথায় ঢোকে নি। তোরা আলোচনা করছিস বলে মনে পড়ে গেল।

আমি গোবর গনেশের মতো বসে আছি।

মিত্রা আমার মুখের দিকে তাকাল।

কিছু বুঝছিস।

নামতে দে, দেখবি সব সমস্যার সমাধান করে দেব।

দেবার মতো। মিত্রার মুখের দিকে এক ঝলক তাকিয়েই নিজেকে সামলে নিলাম। আগের থেকে ও এখন অনেক বেশি বোঝদার।

মহা মুস্কিল। আমার চোখে মুখে বিরক্তি।

কেন ভুল বললাম।

দেবা এখানে কোথা থেকে এলো।

তুই ভাব।

গাড়িটা থামলো। মিলি জানলা দিয়ে মুখ বার করে বিষাণের দিকে তাকাল।

কি হলো বিষাণ।

দাঁড়াও দেখিঠি। বাবা গাড়ি দাঁড় করাইছে, তাই সক্কলে থামি ইছে।

বিষাণ গাড়ির মাথা থেকেই ওদের ভাষায় চিললে উঠলো। মিলি জানলা দিয়ে মুখ বাড়িয়ে আছে।

ভালু আছে, তান্যে এউ পথে যায়ঠে।

ভাল্লুক!

মিলি গাড়ির মধ্যে মুখ ঢোকালো।

মিত্রাদি কি হচ্ছে বলোতো।

আমি মিত্রার দিকে তাকিয়ে হাসছি।

বল সব আমার ক্রিয়েটেড।

দেব না একটা ঘুসি। সুরো হাত তুলেছে।

আমি সুরোর হাতটা ধরে ফেললাম। মুখে হাসি।

বুঝলি ইসি।

বলে ফেল।

ছুটকি আজকাল বেশ পাকা পাকা কথা বলতে শিখেছে।

মিত্রা আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসছে।

বেশ ভালো দল পাকাতে শিখেছে।

তোর অসুবিধে আছে।

মোটেই না। বরং আমার কাজের বেশ সুবিধে হবে।

সামনের গাড়িটা আবার চলতে শুরু করেছে।

কি রে বিষাণ! মিলি আবার মুখ বার করেছে জানলা দিয়ে।

চলো, তান্যে বুনের মইধ্যে ঢুকিইছে।

তেড়ে আসবে না।

আমান্যে এতগা লোক আছি তানকার তো ভয় ডুর আছে।

মিলি গাড়ি স্টার্ট করলো। আবার হেলে দুলে গাড়ি চলতে শুরু করলো।

দুদিকে লম্বা লম্বা শালগাছ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে, মাঝখান দিয়ে এঁকে বেঁকে পাহাড়ী পথ। গাছের শুকনো পাতায় ভর্তি হয়ে আছে চারদিক। গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে সূর্যের আলো এসে পড়েছে পথের ওপর। এ পথে একমাত্র বন বাবুদের লড়ি চলে। মাটির ওপর লড়ির চাকার দাগ স্পষ্ট।

জানিস সুরো।

সুরো আমার মুখের দিকে তাকাল।

আমি যখন প্রথম এসেছিলাম তখন এই রাস্তাটা ছিল না। এদিকটায় বড়ো একটা কেউ আসতোও না। তখন এদিকটায় প্রচুর ভাল্লুক, হায়না, হাতি, বুনো শুয়োর, হরিনও ছিল। তোর বৌদিকে গ্রহণ করার পর একবার এক রাত্তিরের জন্য এসেছিলাম। তখন শ্যাম এই রাস্তায় নিয়ে এলো। একটু শর্টকার্ট হয়।

তা ওকে বললাম এই রাস্তাটা কবে গজাল।

বললো, কাঠ চোড়াই চালানের জন্য এই রাস্তা।

তারপর ও সমস্ত ঘটনাটা বললো।

একটু বকাবকি করেছিলাম। তাতে উত্তর এলো পেট চালাইতে হবে।

এই একটা জায়গায় দেখবি গ্রামাটিক্যাল কোনও পাংচুয়েসন চলে না। কমা, দাড়ি, কোলন, বিষ্ময় বোধক চিহ্ন সব এক হয়ে একাকার।

আমি সামনের দিকে তাকিয়ে কথা বলছিলাম। সুরো আমার মুখের দিকে তাকিয়ে। আমিও সুরোর মুখের দিকে তাকালাম।

ভাবছিস অনিদাটা কি পাগল।

সুরো আমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁধে মাথা রাখলো।

আচ্ছা বিনদ, অর্জুনক দখে তোর কি মন হয় ওরা খারপ ছেলে?

সুরো কাঁধ থেকে মুখ তুলে আমার দিকে তাকাল।

জানিস ওরা নির্দিধায় একটা মানুষকে হাসতে হাসতে গুলি করে মেরে ফেলে। আমিই কতোবার ওদের কাজে লাগিয়েছি।

পরে সেই মানুষের শরীরটাও খুঁজে পাওয়া যায় না। বহুদিন পর যখন খোঁজ মেলে সেটা পচে গলে একাকার। কেন? এটা কি ওদের শখ? নেশা? না পেশা?

আমার বুকের ভেতর থেকে একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস বেরিয়ে এলো।

বুঝলি সুরো, আমি এখনো অঙ্ক কষে যাচ্ছি। হিসাব মেলাতে পারছি না। তবে এর মধ্যে একটা সহজ সরল সত্য উপলব্ধি করতে পেরেছি, তোমার প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে এই পৃথিবী থেকে তোমাকে বিদায় নিতে হবে। এই সুজলা-সুফলা-শস্য-শ্যামলা পৃথিবী তোমার ভার আর বহন করবে না।

গাড়িটা থামলো। সামনের দিকে তাকালাম। কথা বলার তাল কেটে গেল।

মিলি আমরা কি চলে এলাম।

হ্যাঁ।

মাম্পিদের কোন গাড়িতে ঢুকিয়েছো।

ওর বাবার গাড়িতে।

সামলাতে পারবে?

মিলি আমার মুখের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো।

সরি।

মিত্রার মুখের দিকে তাকালাম।

চল নামি।

মিত্রা আমার মুখের দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে। কিছু খোঁজার চেষ্টা। পেছন দিকের দরজা খুলে ওরা সকলে নেমেছে।

তনু দরজাটা খোলো।

এদিক দিয়ে নামা যাবে না। ওদিক দিয়ে নামতে হবে।

মনি চাবি দ।

মিলি বিষাণের দিকে তাকিয়ে হাসছে।

সুরো দরজা খুললো, আমরা ধীরে ধীরে নেমে এলাম।

বিষাণ।

বইলো।

শ্যাম কোথায়?

নতন দিদার কাইছে, মোড়ল আসছে সেঠি।

সুখলালা কাকা এতটা রাস্তা হেঁটে চেলে এসেছে।

তদবা নু বুইসে আইছে।

কখন থেকে?

আমান্যে হাতি তাড়াইতেছিলি।

আমি মাথা দোলাচ্ছি।

তুমান্যে যাও আমান্যে গাড়িগা সাইজ করি।

আমরা সামনের দিকে এগতে শুরু করলাম।

লম্বা করে গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। সবাইই কম বেশি গাড়ি থেকে নেমে পড়েছে। ছেঁড়া ছেঁড়া কথার আওয়াজ ভেসে আসছে। কেউ হাসছে, কেউ চেল্লাচ্ছে।

মিলি-অদিতি আমার ঠিক সামনে, পাশে তনু-মিত্রা, আর সবাই পেছন পেছন আসছে।

একটা গন্ধ পাচ্ছিস। মিত্রার দিকে তাকালাম।

মিত্রা মাথা দোলাল। পাচ্ছে।

কিসের বলতো?

মিত্রা থমকে দাঁড়িয়ে একবার মাথার ওপর চারদিকটা তাকিয়ে দেখলো।

বুনো ফুলের গন্ধ।

হাসলাম। বুনো ফুল নয়, শাল ফুল।

বাহা পরব।

হ্যাঁ।

এদের অনেক উৎসব তাই না? তনু বললো।

এরা তো শহরে থাকে না তনু। এই অরণ্য এদের ঘড় বাড়ি। প্রত্যেকটা মানুষ রিলিফ চায়। এই রিলিফ শব্দটাকে তুমি বিভিন্ন ভাবে ব্যাখ্যা করতে পারো। সুখ, আনন্দ, হাত-পা ছড়িয়ে কিছুটা অবসর সময় কাটানো, মিলন…।

তনু হাসলো।

এদের তো আর টিভি, সিনেমা হল, সিডি প্লেয়ার নেই, তাই এই অরণ্য প্রকৃতির মুর্হু মুর্হু পরিবর্তন এদের জীবনে উৎসবের সূচনা করে। হাড়-ভাঙা পরিশ্রমের ফাঁকে একটু আনন্দ নিজেকে তরতাজা করে তোলে।

খিল খিল হাসির শব্দে সামনের দিকে চোখ তুলে তাকালাম।

চম্পারা এগিয়ে আসছে, ওর সঙ্গে ওর বয়সী আরও দু-চারটে মেয়ে।

কালো কষ্ঠি পাথরের মূর্তি গুলো বেশ চক চকে। খুব সুন্দর করে সেজেছে। বুকের ওপর হলুদ রঙের কাপর পেঁচিয়ে বেঁধেছে। কোমড় থেকে ঝুলে পড়েছে রং-বে-রং-এর কাপর দিয়ে সায়া, লাল ব্লাউজ। মাথার চুল টাইট করে লাল ফিতেয় খোঁপার মতো বাঁধা, তাতে শাল ফুল গোঁজা।

আমার সামনে এসেই মাথা নীচু করে মুচকি মুচকি হাসছে।

কিরে হাসছিস যে।

ওন্যে সকাল নু ফুনদি আঁটতিছে। বিষান পেছন থেকে চেঁচাল।

কিসের ফন্দি রে! বিষানের দিকে তাকালাম।

তাকে জিগাও।

চলো সেউ পাশে গিয়ে কইবো। চম্পা আমার হাতটা চেপে ধরলো।

মিত্রারা মুচকি মুচকি হাসছে।

আবার হাঁটা শুরু। একটু এগোতেই আবার ধাক্কা খেলাম। দেখলাম কনিষ্ক, নীরু, বটা সঙ্গে মিলি, অদিতি, টিনা।

কিরে তোরা দাঁড়িয়ে?

চম্পারা তোর কথা জিজ্ঞাসা করেই ছুটে সামনের দিকে গেল। ভাবলাম আবার কি হলো….।

তাই দাঁড়িয়ে পরলি।

হ্যাঁ।

কি রে চম্পা, আকাকে বলেছিস। নীরু বললো।

চম্পা হাসে মাথা দোলায়। আমার হাত কিন্তু ছাড়ে নি।

তোকে খুব জবরদোস্ত পাকড়াও করেছে বল।

একটা সিগারেট দে। কনিষ্ককে বললাম।

বটা দে। কনিষ্ক বললো।

বিচুতি পাতা মুখে ঘোষে দে। সিগারেট খাওয়া হয়ে যাবে।

বটার দিকে তাকিয়ে হাসলাম।

বটা পকেট থেকে সিগারেটের প্যাকেট বার করে একটা সিগারেট হাতে দিল।

আমি সিগারেটটা ধরিয়ে একটা সুখ টান দিলাম। নীরু গম্ভীর হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে। শ্রীপর্ণার চোখ হাসছে।

বুঝলি নীরু, এখানে কম পয়সায় বেশ গাড় দুধ পাওয়া যায়। গরম গরম দুধ চুক চুক করে খেতে বেশ মজা লাগে।

হারামী। বটা তারস্বরে চেঁচিয়ে উঠলো।

নীরু হেসে ফেললো। মিত্রারাও সকলে মুখ ঘুরিয়ে হাসছে। চম্পারা মাথা নীচু করে ফিক ফিক করছে।

কনিষ্ক হাসতে হাসতে একবার মিলির দিকে তাকাল। কি তোমাদের স্কিম খাটলো।

মিলি মনে হয় চোখে চোখে ইশারা করলো।

কিসের স্কিম রে কনিষ্ক। আমি কনিষ্কর দিকে তাকালাম।

চল। কনিষ্ক এগোতে গেল।

মাসীমনিরা কোথায়?

সাত্যকি অনিকেতরা নিয়ে গেছে।

কাঁধে করে।

না চেয়ার নিয়ে এসেছিল সঙ্গে করে। বসিয়ে নিয়ে গেছে।

সবাইকে?

না চারটে চেয়ার আনা হয়েছিল, মাসীমনি, আন্টি, বড়োমা, জ্যেঠিমনি গেছে।

আর সব।

হেঁটে।

অনিমেষদা, বিধানদার অসুবিধে হয় নি?

তুই ঠিক কি জানতে চাইছিস বলতো।

কেমন সব ছ্যাকড়া-বেকড়া হয়েগেল।

(পাঠকের চাপের মুখে লেখক কুপকাত। আর একটা শব্দও আমার স্টকে নিই। একটু সময় দিতে হবে।)


আপনার মতামত লিখুন :

59 responses to “কাজলদীঘি (২৪০ নং কিস্তি) : জ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়”

  1. Sudipta Mukherjee says:

    Thik ache sir. Aapni stock ta full kore nin. We will wait.

  2. Debartha chaudhuri says:

    Take your time!!!kintu quality er sange jano aposh na hoy kono erokom!!!

  3. মানির says:

    অপেক্ষায় থাকলাম। আশা করছি খুব তারাতাড়ি আমরা আবার আমাদের প্রিয় সিরিজের পরের পার্ট পড়তে পারবো।

  4. কাজল মাজি says:

    DADA AJ KI UPDATE PAOYA JABE

  5. Dweepto says:

    Dada, ei series ta chara ar ki kono golpo/series aponar lekha achhe, thakle kothay pabo?

  6. Sohel says:

    দাদা তারাতারি upload দেন

  7. DEBAPRIYA MAITY says:

    দাদা, আরকি আপডেট পাওয়া যাবে না?

  8. Arindam Biswas says:

    Dada baki’ta r kobe pabo???

  9. Neela says:

    keo ki bolte parben next part kobe asbe?

    • jyoti.bandyopadhyay says:

      নীলা, আমার মা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তার হার্টের একটা ভাল্ব ব্লক। শ্বশুর মশাই হাসপাতালে ভর্তি তাঁর ডায়লসিস চলছে। বেসামাল হয়ে পড়েছি। লেখার জন্য যে কনসেনট্রেশন দরকার তা কোনও মতেই করতে পারছি না। একটু সময় দাও। শ্বশুর মশাইয়ের একদিন অন্তর একদিন ডায়লসিস চলছে। বি আর সিং-এ ভর্তি। মায়ের হার্টের ভাল্ভ ঠিক করা যাবে না। দু-জনেরই ৮৯ বয়স। মা-র এনজিও প্লাস করতে হবে, এই বয়সে সেটা ডাক্তার রিক্স নিচ্ছে না। অতএব যতদিন ওষুধের ওপর টিঁকে থাকে এই যা। শ্বশুরের ও পজিটিভ রক্তের গ্রুপ। রক্ত খুঁজতেই মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। কালীপুজো পর্যন্ত ওরা হাসপাতালে রাখবে বলেছে। তারপর বাড়িতে নিয়ে এসে সিপিটি সিস্টেমে ডায়লসিস করতে হবে বাড়ির লোকেদের। আমিও ট্রেনিং নিচ্ছি হাসপাতালে গিয়ে। যতদিন বাঁচবেন এই সিস্টেমেই চলবে। দেখা যাক….

      • Rahul says:

        Sir,
        আশা করি ভালো আছেন। শেষ part টার অনেকদিন হয়ে গেল। আমি নতুন পাঠক। তবুও মনটা আনচান করছে। জানিনা আপনি এই comment টা পড়বেন কিনা। তবু্ও বুক ভরা আশা নিয়ে একটা কথা জানতে চাচ্ছি। উপন্যাসের আরকি কোনো update পাবোনা?💔🥺🥺🥺🥺

      • Sajib says:

        স্যার ভালোবাসা নিবেন।
        আমি বাংলাদেশ থেকে আপনার লেখার খুব বড় একজন ভক্ত।
        স্যার কাজলদিঘী ২৪০ কিস্তির পরের অংশ কি আর পরতে পাবোনা?
        ২ বছর ধরে অপেক্ষা করছি। প্লিজ স্যার যদি কাজলদিঘী পরের পার্টটুকু লিখে থাকেন তাহলে পড়ার একটা ব্যাবস্থা করে দিন।
        বাংলাদেশ থেকে ভালোবাসা নিবেন।

  10. Biddut Roy says:

    এরকম একটা সুন্দর গল্প অসমাপ্ত। দেখে কষ্ট হচ্ছে। লেখক মশায়কে অনুরোধ করবো লেখা কন্টিনিউস করে যেতে।

  11. SAZIB says:

    ১৪ঃ দিনে শেষ করলাম
    খুব ভালো গল্প
    যখনই পড়ি মনে হয় আমি গল্পের ভিতরে
    কখনো হাসি কখনো কান্না

  12. It's all in gene says:

    দাদা কেমন আছেন? সবকিছু কি ঠিকঠাক আছে, না এখনো পরিস্থিতির প্রেশার।
    দু’বছর ধরে অপেক্ষা করছি, এখন আপডেট পেলাম না।

  13. মাহমুদ অাকাশ says:

    দাদা অাপডেট টা অার পেলামনা।

  14. Rimpa paul says:

    দাদা কেমন আছেন। একটা রিপ্লাই অন্তত দিন।
    আমরা সত্যি অপেক্ষারত।

  15. S.M. Shakiul Islam says:

    আমি সর্বশেষ ১২/২৪/২০২১ উনাকে ইমেইল করেছিলাম, উপন্যাস’র পরবর্তী পর্বের প্রকাশের ব্যাপারে। উনি আমাকে তার প্রত্যুত্তর করেছিলেন —
    আমি জ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়, কাজলদীঘি ২৪০-এর পর আর লিখি নি। এত কপি হয়েছে নেটে যে আর নেটে দেওয়ার ইচ্ছে নেই। এবার ছেপে বার করবো। তার কাজ চলছে। মায়ের অবস্থা মোটা মুটি, তবে বেশ নড়বড়ে, শ্বশুর মশাই মারা গেছেন।
    ভালো থাকবেন।

  16. Subhasis Banerjee says:

    “কাজলদিঘি, শ্মশান ও পীরসাহেবের স্থান” এটি বই হিসাবে বেরিয়েছে। যতদূর মনে পড়ছে ওনার fb একাউন্টে অথবা এই পেজে দেখেছিলাম উদ্বোধনের দিনের ছবি গুলো। যাইহোক কার সাথে কিভাবে যোগাযোগ করলে বইটা পাওয়া যাবে, কেউ জানলে একটু জানাবেন দয়া করে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর হতাশ হয়ে এই পোষ্টটা করছি। দয়া করে কেউ আশার আলো দেখান

  17. আজিজ says:

    দাদা পরের পর্ব গুলো কখন প্রকশিত হবে জানালে খুব উপকৃত হবো।

  18. মনজুর says:

    দাদা ভাই ২১ মাস হয়ে গেলো ২৪১ নং কিস্তি পেলাম না। অনুগ্রহ করে কিস্তি গুলি কনটিনিউ করেন।

  19. দাদা 2 বছর হয়ে গেলো বই বের করলেও একটু জানাইলে উপকৃত হবো দাদা অনেক দিন হয়ে গেলো দাদা একটু দেখেন

  20. Arif Mahmud says:

    নমস্কার দাদা।আমি অতি সম্প্রতি আপনার “কাজল দীঘি শ্মশান ” নামক উপন্যাসের একজন পাঠক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক।আপনি যদি ২৪০নং কিস্তি এর পরে আর কোন পর্ব লিখে থাকেন বা পরবর্তী পর্বগুলি বই আাকারে লিখে থাকেন তাহলে দয়াকরে জানাবেন কিভাবে আমার পাঠস্পৃহা মেটাতে পারি।আমার ফোন নং +৮৮০১৩২২০৬৩৯৭৬ এবং এই নম্বরে whatsapp খোলা আছে।ভালো থাকবেন জ্যোতি দাদা।আপনার মায়ের দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

  21. Md Obydullah says:

    Dada boi pele akta amakeo jogar kore diyen bangladesh thaki….apnar cost diye dibo…..kono link pacci na….+8801760160626….imo…whatsapp

  22. Sukanta Pandit says:

    dada 240 er por theke koyhay paowa jabe please jodi ektu bolen

  23. Md.Rezaul islamTapan says:

    আমারতো ১০/১৫ বার পড়া হয়ে গেলো।২৪১ নং আর পেলাম না।

  24. Jh says:

    eta sir er fb id jara onar sathe jogajog korte chan korte paren

  25. jh jihan says:

    লেখক এই উপন্যাসটি বই আকারে প্রকাস করেছেন যার প্রথম খন্ড প্রকাশিত হয়েছে কলকাতার কলাবতি মুদ্রা প্রকাশনিতে কাজলদিঘী নামে।

  26. Rimpa paul says:

    দাদা প্রথম খন্ড টা আজ কিনলাম। দ্বিতীয় খন্ড কবে আসবে একটু জানাবেন।
    যদিও প্রথম খন্ড পরা হয়ে গিয়েছিল।

  27. খাইরুল says:

    দাদা দীর্ঘদিন হয়ে গেলো অপেক্ষা করতেছি বই আকারে প্রকাশ করলেও বলেন দয়া করে

  28. অভয় says:

    আর কি আপডেট পাবোনা দাদা?

  29. Suvo Chkr says:

    মোটামুটি ১-২৪০ পর্ব অব্দি
    ২৫ বার পরছি গত তিন বছর যাবত পরের পর্ব গুলোর অপেক্ষা তে আাছি,,,
    এখন আবার নতুন সমস্যা প্রথম থেকে পড়ার চেষ্টা করলে তাও পরতে পরছি না,,,কেউ একটু সমাধান দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

বাংলা নববর্ষ বিশেষ সংখ্যা ১৪৩০ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন