শনিবার | ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৩:৫৭
Logo
এই মুহূর্তে ::
শান্তিনিকেতনের দিনগুলি (পঞ্চম পর্ব) : সন্‌জীদা খাতুন বিজন প্রাণের প্রাঙ্গণে : সন্দীপন বিশ্বাস বিভূতিভূষণের পান্ডুলিপি — ‘পথের পাঁচালী’ : সবিতেন্দ্রনাথ রায় শান্তিনিকেতনের দিনগুলি (চতুর্থ পর্ব) : সন্‌জীদা খাতুন সেলিনা হোসেনের উপন্যাসে নাগরিকবৃত্তের যন্ত্রণা (শেষ পর্ব) : মিল্টন বিশ্বাস রবীন্দ্রনাথের বিদেশি ফটোগ্রাফার : দিলীপ মজুমদার দর্শকের অগোচরে শুটিং-এর গল্প : রিঙ্কি সামন্ত রশ্মির নাম সত্যজিৎ “রে” … : যীশু নন্দী হুগলিতে মাধ্যমিকে চতুর্থ ও দশম উল্লেখযোগ্য ফলাফলে নজর কাড়ল : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় শান্তিনিকেতনের দিনগুলি (তৃতীয় পর্ব) : সন্‌জীদা খাতুন সেলিনা হোসেনের উপন্যাসে নাগরিকবৃত্তের যন্ত্রণা (ষষ্ঠ পর্ব) : মিল্টন বিশ্বাস ১৯২৪-এ রবীন্দ্রনাথের স্প্যানিশ ফ্লু হয়, পেরুযাত্রার সময় : অসিত দাস গাইনোকলজি ও গাইনি-ক্যান্সারে রোবোটিক অ্যাসিস্টেড সার্জারীর ভূমিকা : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় সমাজতান্ত্রিক আদর্শের ছোটগল্পকার আলাউদ্দীন আল আজাদ : আবু জাফর রেহমান শান্তিনিকেতনের দিনগুলি (দ্বিতীয় পর্ব) : সন্‌জীদা খাতুন সেলিনা হোসেনের উপন্যাসে নাগরিকবৃত্তের যন্ত্রণা (পঞ্চম পর্ব) : মিল্টন বিশ্বাস মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছাতি ফোলালেও আম জনতাকে ভোট কেন্দ্রে টানতে পারেননি : তপন মল্লিক চৌধুরী আলুর দামে রাশ টানতে না পারলে মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাবে : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় শান্তিনিকেতনের দিনগুলি (প্রথম পর্ব) : সন্‌জীদা খাতুন রবীন্দ্রনাথের লেখা চিঠিতে তাঁর স্পেনযাত্রা বাতিলের অজুহাত : অসিত দাস ফ্ল্যাশব্যাক — ভোরের যূথিকা সাঁঝের তারকা : রিঙ্কি সামন্ত সেলিনা হোসেনের উপন্যাসে নাগরিকবৃত্তের যন্ত্রণা (চতুর্থ পর্ব) : মিল্টন বিশ্বাস মিয়ানমার সংকট, প্রতিবেশি দেশের মত বাংলাদেশকে নিজস্ব স্বার্থ নিশ্চিত করতে হবে : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন নন্দিনী অধিকারী-র ছোটগল্প ‘সিকাডার গান’ সেলিনা হোসেনের উপন্যাসে নাগরিকবৃত্তের যন্ত্রণা (তৃতীয় পর্ব) : মিল্টন বিশ্বাস সুভাষচন্দ্রের আই. সি. এস এবং বইয়ে ভুল-ত্রুটি (শেষ পর্ব) : উৎপল আইচ সেলিনা হোসেনের উপন্যাসে নাগরিকবৃত্তের যন্ত্রণা (দ্বিতীয় পর্ব) : মিল্টন বিশ্বাস সুভাষচন্দ্রের আই. সি. এস এবং বইয়ে ভুল-ত্রুটি (চতুর্থ পর্ব) : উৎপল আইচ ব্রিটিশ ভারতে উপনিবেশিক বিচার : এলিজাবেথ কলস্কি (শেষ পর্ব) অনুবাদ বিশ্বেন্দু নন্দ প্রথম পাঠ — সায়র আলমগীরের গল্পগ্রন্থ ‘এক মন অন্য মন’ প্রেমময়তার গাল্পিক দলিল : সৌমেন দেবনাথ
Notice :

পেজফোরনিউজ ডিজিটাল পত্রিকার পক্ষ থেকে সকল বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ বাংলা নববর্ষ ১৪৩১-এর আন্তরিক প্রীতি, শুভেচ্ছা, ভালোবাসা।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

ব্রিটিশ ভারতে উপনিবেশিক বিচার : এলিজাবেথ কলস্কি (১০১তম পর্ব) অনুবাদ বিশ্বেন্দু নন্দ

বিশ্বেন্দু নন্দ / ৮৫ জন পড়েছেন
আপডেট শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

Colonial Justice in British India: White Violence and the Rule of Law Elizabeth Kolsky

ব্রিটিশ ভারতে উপনিবেশিক বিচার — শ্বেতাঙ্গ হিংসা এবং আইনের শাসন, এলিজাবেথ কলস্কি

পঞ্চম অধ্যায়

উপনিবেশে বিচার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি আর আইনের সাবঅল্টার্ন ব্যবহার

সেই সময়ে বেশ কিছু বিখ্যাত মামলায় ইওরোপিয় জুরিদের পক্ষপাতি রায়ে জনগণের মন তীব্র ক্ষুব্ধ ছিল। এই রায়গুলোর মধ্যে কুখ্যাততমটি হল খোরিয়াল গুলির মামলা — কাছার জেলার এক চা বাগানের এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার রিড বলপ্রয়োগ করে একজন মহিলা শ্রমিককে যৌন দাসী বানাতে চায়। মেয়েটি তার প্রস্তাব অস্বীকার করলে রিড বালিকাটির বাবাকে গুলি করে। আহত মানুষটি মরে যায়। আঞ্চলিক আদালতে ইওরোপিয় জুরিরা রিডকে একমত হয়ে বেকসুর খালাস করে (“Report on the Immigrant Labour in Assam (191911920),” BL, IOR, V/24/1225)। কলকাতা হাইকোর্টের মেলানো ৮ জন ইওরোপিয় জুরি এবং একজন ভারতীয় জুরির এজলাসে মামলাটি উঠলে এবারে আর সকলে একমত হয় না, ভারতীয় জুরি ইওরোপিয় জুরিদের থেকে ভিন্নমত পোষণ করলে কলকাতায় ‘বিশাল গোলমাল’ শুরু হয় (K. Ahmed, NAI, Legislative Assembly Debates, January 15, 1923)।

অসাম্য নির্ভর আইন বদলে সকলের জন্যে একই আইন, বিচার আর শাস্তির ব্যবস্থা চালু করার চাপে দ্বিধাদীর্ণ হয়ে পড়তে থাকে উপনিবেশিক আইন জগত। এক দিকে ভারতীয় জাতীয়তাবাদীদের দাবি না মানলে সরকার বিরোধী সব ধরণের শক্তি একজোট হবে; অন্য দিকে গান্ধীর শুরু করা প্রথম অসহযোগ আন্দোলনের মুখোমুখি হয়ে সরকার তার পাশে ভারতবর্ষীয় প্রজাদের যেমন চাইছিল, তেমনি ‘ইওরোপিয় প্রজাদেরও চটাতে চাইছিল না’ [(Precis of opinions on the reference to Local Governments, dated the 21st ofJuly, 1921, regarding the removal of racial distinctions from the Criminal Procedure Code,” NAI, Racial Disrincriom (Main Correspondence)]। সরকারের সামনে প্রশ্ন শুধু ফৌজদারি মামলার বিশেষাধিকার তুলে নেওয়া নয়, বরং সেটাকে কীভাবে সম্পন্ন করা যায় তার পথ খোঁজা। সরকারের সামনে দুটো পথ, সে কী সকল প্রজাকে ইওরোপিয় বিশেষাধিকারস্তরে উন্নীত করবে, না কী শুধুই ব্রিটিশদের বিশেষাধিকার খারিজ করবে?

ভারত সরকার স্থানীয় সরকারের আমলাদের সঙ্গে পরামর্শ করে বুঝল এই উত্তাল সময়ে বিতর্কিত এই বিষয়টা নিয়ে না এগোনোই মঙ্গল, এবং গান্ধীর আন্দোলনের ফলে সারা দেশে জাতিয়তাবাদী মনোভাব আরও বেড়েছে। মাদ্রাজ সরকার মনে করল ‘বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই কাজে এগোনো ঠিক হবে না’ (Ibid)। বাংলা সরকার ‘সাবধানী পদক্ষেপ’ (Ibid) করলেও বর্মার প্রধান কোর্টের দাবি ছিল যেটা ভবিতব্য, তাকে এড়ানো যাবে না —

The privileges of which it is proposed to deprive the European community are privileges which are based at bottom on a belief in racial superiority and their retention is incompatible with the proclaimed policy of the Government of India to put Europeans and Indians in India on a footing of exact equality. Their disappearance in the long run is inevitable. It is part of statesmanship to accept the inevitable, and to face the consequences now, rather than to tinker with the problem and deal with it piece-meal, and so to give handle to prolonged agitation on the part of both communities alike (Letter No. 1035-Q. 67, August 24, 192 1, ibid)।

বিতর্কের রাজনৈতিক জটিলতা আন্দাজ করে আইনসভার সদস্য সোহন লাল মন্তব্য করলেন জাতিগত বিশেষাধিকার শুধু যে ‘জাতীয় সম্মানের বিষয়’(NAI, Legislative Assembly Debates, Vol. 111, No. 40, February 19, 1923) নয়, এর সঙ্গে সাম্রাজ্যিক মাত্রাও যুক্ত রয়েছে। কমিটি তৈরি হওয়ার কিছু আগে (জুন-আগস্ট ১৯২১) লন্ডনে বৈঠক ডেকে সাম্রাজ্যের ভবিষ্যত সংবিধান তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে উপস্থিত প্রতিনিধিদের অন্যতম আলোচ্য বিষয় ছিল ডমিনিয়নে ভারতীয়দের অবস্থা নির্ণয় করা (BL, IOR, L/E/7/1188)। ১৯১৮-র সাম্রাজ্যের যুদ্ধ সম্মেলনে স্বশাসনের দাবি নীতিগতভাবে মেনে নেওয়া হল এবং ভারত উপনিবেশিক প্রশাসন একটি রেসিপ্রোসিটি রেজলিউশন গ্রহণ করল। সম্মেলনে সিদ্ধান্ত হল সবক’টি উপনিবেশ enjoy complete control of the composition of its own population by means of restriction on immigration from any of the other communities। এই দুটি নীতি পূর্ব এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় (এবং আমেরিকাতেও) বাড়তে থাকা ভারত বিরোধী মনোভাব এবং আইনের পরস্পরবিরোধী এবং তাকে উপেক্ষা করে (In 1917, the US federal government established an “Asiatic Barred Zone” that banned immigration from all Asian countries except Japan. In 1924, Japanese immigration was also banned)।

বহু ভারতীয় আতঙ্কিত হয়ে দেখল, ৩৩ অধ্যায়ে ভারতের ডমিনিয়ন আর উপনিবেশের প্রজাদের যে বিশেষ আইনি সুবিধের কথা বলা হয়েছিল, এই আইনি প্রতিবন্ধকতা তার বিরোধী। সোহন লাল যুক্তি দিলেন I think the question of the condition of the Indians in the Colonies can only be solved by our getting equal status in India. So long as we do not get equal status in India, we cannot possibly ask the Governments of Colonies to give us equal status with them in the Colonies (NAI, Legislative Assembly Debates, Vol. 111, No. 40, February 19, 1923)।

উপনিবেশে বাস করা ভারতীয়দের সমান অবস্থা তো ছিলই না তার সঙ্গে উপনিবেশগুলিজুড়ে এশিয় বিরোধী মনোভাবও বাড়ছিল। ১৮৯০এর পরে নাটাল সরকার ভারতীয় প্রজাদের স্বার্থ বিরোধী পদক্ষেপ করতে থাকে। যদিও উপনিবেশিক সেক্রেটারি যোসেফ চেম্বারলিন নাটাল সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন the tradition of the Empire, which makes no distinction in favour of or against race or colour, কিন্তু লেজিসলেটিভ কাউন্সিলে ভারতীয়দের অভিবাসন বন্ধ করতে(ইমিগ্রেশন রেস্ট্রিকশন এক্ট ১৮৯৭) ভারতীয়দের প্রতিনিধিত্ব নিষিদ্ধ(ফ্রাঞ্চাইজি এক্ট ১৮৯৬) করে আইন তৈরি হল এবং পরোক্ষে ভারতীয় প্রজাদের জমি কেনাও নিষিদ্ধ করা হল। দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাসকারী ১ লক্ষ ৬০ হাজার ভারতীয়র জন্যে যে আইনি প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হল, তার বিপক্ষে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ডিক্লারেশন অব ইন্ডিয়ান রাইটস (১৯১৮) জারি করে দাবি করে, Indians and Europeans and the people living in the colonies must be put in the eyes of the law upon the same level (I. Narain, The Politics of Racialism: A Study of the Indian Minority in South Africa down to the Gandhi-Smuts Agreement (Agra: Shiva La1 Agarwala, 1962))।

প্রায় একই সময়ে ব্রিটিশ কলম্বিয়া সরকার ৪০০০ ডোমিসাইল্ড শিখকে ভারত থেকে স্ত্রী সন্তান আনার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ইস্ট আফ্রিকাতেও কেবিয়ার উর্বর হাইল্যান্ডে প্রায় ৫৫০০০ দক্ষিণ এশিয়, যাদের মধ্যে অনেকেই শত বছরের বেশি সময় ধরে সেখানে বাস করছে, সেই এলাকা বাস করার অধিকার কেড়ে নেওয়া হলে শ্বেতাঙ্গ বাসিন্দাদের মধ্যে ভারত বিরোধী মনোভাব নতুন শিখরে পৌঁছল। ১৯১৯এর নাইরোবির ইকনমিক কমিশন একটি সমীক্ষা প্রকাশ করে ভারতীয়দের বিরুদ্ধে আফ্রিকা এবং আফ্রিকিয়দের বিরুদ্ধে কুৎসা করার অভিযোগ আনে

The presence of the Indians, organized as they are to keep the African out of every position which an Indian could fill, deprives the african of all incentives to ambition and opportunities of advancement…[The African] is not strong enough anywhere to stand against the competition of a more crafty race.. Physically, the Indian is not a wholesome influence because of his incurable repugnance to sanitation and hygiene.. The Indian is everywhere the despair of the sanitarian; here he is not only a menace to himself, but especially to the natives of the country. The moral depravity of the Indian is equally damaging to the &can.. .The Indian is the inciter to crime as well as vice.. .The presence of the Indian in this country is quite obviously inimical to the moral and physical welfare and the economic advancement of the native (G.H. Mungeam, Kenya: Select Historical Documents, 18861923 (Nairobi: East African Publishing House, 1978), p. 548)। [ক্রমশ]


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

বাংলা নববর্ষ বিশেষ সংখ্যা ১৪৩০ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন