বৃহস্পতিবার | ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৯:৪১
Logo
এই মুহূর্তে ::
অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়: এক বাঁধনছেঁড়া গণশিল্পী : সন্দীপন বিশ্বাস সুভাষচন্দ্রের আই. সি. এস এবং বইয়ে ভুল-ত্রুটি (প্রথম পর্ব) : উৎপল আইচ ব্রিটিশ ভারতে উপনিবেশিক বিচার : এলিজাবেথ কলস্কি (১০৫তম পর্ব) অনুবাদ বিশ্বেন্দু নন্দ রামগতপ্রাণ দাস্যভক্তির শ্রেষ্ঠ বিগ্রহ হনুমানজি : রিঙ্কি সামন্ত লুইজ গ্লিক ও সাহিত্যে সমকালীনতা : সাইফুর রহমান ব্রিটিশ ভারতে উপনিবেশিক বিচার : এলিজাবেথ কলস্কি (১০৪তম পর্ব) অনুবাদ বিশ্বেন্দু নন্দ রাখাইনে রোহিঙ্গাদের গ্রহনযোগ্যতা বাড়াতে কি করা হচ্ছে : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন সাহিত্যে যুদ্ধ, যুদ্ধে সাহিত্য : মিল্টন বিশ্বাস রবীন্দ্রনাথ কখনও শিমুলতলা আসেননি : জমিল সৈয়দ ব্রিটিশ ভারতে উপনিবেশিক বিচার : এলিজাবেথ কলস্কি (১০৩তম পর্ব) অনুবাদ বিশ্বেন্দু নন্দ সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়-এর ছোটগল্প ‘বিকাশের বিয়ে’ গরমের সময়ে চোখের যত্ন না নিলে অন্ধত্ব এবং ক্যানসারের ঝুঁকিও থাকে : ডা. তনুশ্রী চক্রবর্তী হরিশ মুখার্জীর সন্ধানে (শেষ পর্ব) : দিলীপ মজুমদার ব্রিটিশ ভারতে উপনিবেশিক বিচার : এলিজাবেথ কলস্কি (১০২তম পর্ব) অনুবাদ বিশ্বেন্দু নন্দ নন্দিনী অধিকারী-র ছোটগল্প ‘ইস্টিশনের অজয়’ হরিশ মুখার্জীর সন্ধানে (দ্বিতীয় পর্ব) : দিলীপ মজুমদার ব্রিটিশ ভারতে উপনিবেশিক বিচার : এলিজাবেথ কলস্কি (১০১তম পর্ব) অনুবাদ বিশ্বেন্দু নন্দ যাত্রায় নতুন প্রজন্ম তৈরি করেছিলেন কিংবদন্তি যাত্রাভিনেতা মোহিত বিশ্বাস : সন্দীপন বিশ্বাস আর. কে. নারায়ণ-এর ছোটগল্প ‘ছায়া’ অনুবাদ আনিকা শাহ হরিশ মুখার্জীর সন্ধানে (প্রথম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার ব্রিটিশ ভারতে উপনিবেশিক বিচার : এলিজাবেথ কলস্কি (১০০তম পর্ব) অনুবাদ বিশ্বেন্দু নন্দ মৈত্রেয়ী ব্যানার্জি-র ছোটগল্প ‘সই’ ব্রিটিশ ভারতে উপনিবেশিক বিচার : এলিজাবেথ কলস্কি (৯৯তম পর্ব) অনুবাদ বিশ্বেন্দু নন্দ বিজয়া দেব-এর ছোটগল্প ‘ভিজে শালিকের ডানা’ রাম রাজ্য!! : সুকুমারী ভট্টাচার্য শ্রী রামচন্দ্র ও হিন্দু বাঙালি : উৎপল আইচ ব্রিটিশ ভারতে উপনিবেশিক বিচার : এলিজাবেথ কলস্কি (৯৮তম পর্ব) অনুবাদ বিশ্বেন্দু নন্দ সাইদ আহমদ এবং তার “শেষ নবাব” নাটকের ঐতিহাসিকতা : আবু জাফর রেহমান সৌরভ হোসেন-এর ছোটগল্প ‘বালুচরি’ ব্রিটিশ ভারতে উপনিবেশিক বিচার : এলিজাবেথ কলস্কি (৯৭তম পর্ব) অনুবাদ বিশ্বেন্দু নন্দ
Notice :

পেজফোরনিউজ ডিজিটাল পত্রিকার পক্ষ থেকে সকল বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ বাংলা নববর্ষ ১৪৩১-এর আন্তরিক প্রীতি, শুভেচ্ছা, ভালোবাসা।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

বাংলাদেশের বেদে : রঞ্জনা বিশ্বাসের দীর্ঘ, সপ্রাণ গবেষণা লিখছেন সৌরভ রায়

সৌরভ রায় / ৬৪৮ জন পড়েছেন
আপডেট শনিবার, ৪ জুন, ২০২২

সুপাঠ্য ও সুপাচ্য গবেষণাগ্রন্থ শুধু বাংলায় কেন, ইংরিজিতেও এখন দুর্লভ। সমসময়ের গবেষণাগ্রন্থরা হয় অতি-অতি-বিশেষজ্ঞভোগ্য (for super-specialized academia) নয় সাধারণ পাঠকের জন্য তেড়ে জল, ঢেলে নুন আর ঠেসে লঙ্কা দিয়ে এমনভাবে পরিবেশিত যাতে ভাতের অর্থাৎ মূল তথ্য, তত্ব, উপাত্ত (data) আর বিতর্কের অভাব ঢাকা পড়ে যায়। রঞ্জনা বিশ্বাস কবিতা, ফোকলোর এবং বেদে জনগোষ্ঠী নিয়ে শুধু শুষ্কং-কাষ্ঠং নৃতাত্বিক গবেষণাই করেন না, সাথে তিনি পদ্যগদ্যরসপ্রেমী এবং ঔপন্যাসিক-ও। তাই ৩৬০ পাতার একটি বইতে (বহু নবীন, প্রাচীন ফটোসম্বলিত) তিনি বাংলাদেশের বেদে জনগোষ্ঠীর মত একটি বিশাল-দুরূহ বিষয়ের ইতিহাস, বিশ্বাস, সংস্কৃতি এবং সবচেয়ে জরুরি— নিজে বেদেদের সাথে মিশে বহু বছরব্যাপী গবেষণার মাধ্যমে লব্ধ— নানা চিন্তা আর পূর্বমতের খন্ডন থালাভরা সুস্বাদে বেড়ে দিতে পেরেছেন— গণমোহিনী চাট মশলার ভেজাল বা নৈর্ব্যক্তিক গঞ্জিকাধূমের ওড়না দিতে হয়নি।

এই বইয়ের আঠেরোটি অধ্যায়ের শিরোনাম দেখা যাক — (১) মানুষের জাত, (২) বাংলাদেশের বেদেদের অবস্থান ও জনসংখ্যা এবং বেদে সম্পর্কে গবেষকদের মতামত, (৩) বেদে জনগোষ্ঠীর নৃতাত্বিক পরিচয়, (৪) প্রাচীন বাংলার আদিবাসী সংস্কৃতি ও বেদে, (৫) বেদে জনগোষ্ঠীর সমাজ ও সংস্কৃতি, (৬) বেদে জনগোষ্ঠীর ভাষা : উৎস ও তাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য, (৭) ঠার ভাষার ধ্বনিতত্ত্ব, রূপতত্ব ও বাক্যতত্ব, (৮) ঠার ভাষার শব্দ পরিচয়, (৯) বেদে জনগোষ্ঠীর ধর্ম, (১০) বেদে জনগোষ্ঠীর পেশা ও শ্রেনিবিভাগ, (১১) বেদে জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট, (১২) লোকচিকিৎসায় বেদে, (১৩) বেদে জনগোষ্ঠীর সংগীত ও তাদের লোককাহিনি, (১৪) বেদে জনগোষ্ঠীর বিচিত্র উৎসব বেড়া ভাসানো ও ঝাপান, (১৫) প্রাচীন বৈদিক ও সংস্কৃত সাহিত্যে বঙ্গজনপদবাসী ও বেদে, (১৬)  মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে বেদেদের সমাজ পরিচয়, (১৭) আধুনিক যুগের সাহিত্যে বেদে প্রসঙ্গ, (১৮) সরকারের উন্নয়ন ভাবনা ও বেদে জনগোষ্ঠী, পরিশিষ্ট: জিপসি ও বেদে। যেকোনো অভিজ্ঞ পাঠক বা সম্পাদক-ই ধরতে পারবেন যে রাই-কুড়িয়ে-বেল গবেষণাগ্রন্থের জগতে এই রসদ থেকে ১৮টি বই বা ১০৮টি পেপার তয়ের হ’তে পারে, আর তথাকথিত ফেবু মোহিত বঙ্গপাঠক সমাজের জন্যে হয়তো (১৭) তম অধ্যায়ের বাইরে আমপ্রকাশকরা কিছুই ছাপতে চাইবেন না।

এখানে কিন্তু লেখক রঞ্জনা বিশ্বাস গবেষক আর আমপাঠক, দু-পক্ষের জন্যই অকৃপণভাবে নৃবিজ্ঞানের সমস্ত মূল তত্ব, গোষ্ঠীগবেষণার জ্ঞানধারা আর নিজের অর্জিত জ্ঞানের সর্বাঙ্গ চুম্বক আকারে সাজিয়ে দিয়েছেন। নিজে সাহিত্যরসপ্রেমী বলে বেদেদের কল্পিত সাহিত্যরূপের প্রতি আমাদের আকর্ষণকে খাটো না করেও, সবিনয়ে তার বিষাক্ত রোমান্স আর নৃতাত্বিক ভুল ধরিয়ে দিয়েও, সেই দৃষ্টিকোণকে সংস্কৃতিগবেষকের (Cultural Studies scholar) জ্ঞানাঞ্জনশলাকা হিসাবে ব্যবহার করেছেন। বেদেদের উদ্ভব, তাদের ভাষার জাত, তাদের লিঙ্গসাম্য আর নিয়মরীতি নিয়ে পন্ডিতি ভুল আর সাধারণ প্রমাদের যে শতাব্দীব্যাপী ভুলভুলাইয়া, তাকে সযুক্তি আর সবিনয় খণ্ডন করেছেন, কোনো ভদ্রবিত্ত প্রগতিশীল দায় থেকে বেদেদের অপদেবতা থেকে উপদেবতা বানিয়ে নয়, তাদের রক্তমাংসের মানুষ রেখেই।

আর সর্বোপরি শুধু নতুন তথ্য বা নতুন মতের সমাহার নয়, নানা নতুন ভাবনারও মাটি উস্কে দেয় ‘বাংলাদেশের বেদে জনগোষ্ঠী’ (আমার ক্ষেত্রে পটুয়া আর বেদেদের যোগাযোগ নিয়ে)। তাই অনেক বানান ভুল আর সম্পাদনার খামতি থাকা সত্বেও এই বই, এই আঙ্গিকে ছেপে কলাবতী মুদ্রা আমাদের কৃতজ্ঞতাভাজন হলেন।

বই :বাংলাদেশের বেদে জনগোষ্ঠী, কলাবতী মুদ্রা, ৩৬০ পাতা (সচিত্র), ৫৩০ টাকা


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

বাংলা নববর্ষ বিশেষ সংখ্যা ১৪৩০ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন