ব্রিগেডে জনগর্জন সভার সমর্থনে, উদয়নারায়ণপুর বিধানসভা কেন্দ্র তৃণমূল কংগ্রেস পরিবারের এক জনসভা অনুষ্ঠিত হল। বুধবার এই সভায় নেতা ও কর্মীরা ছাড়াও অসংখ্য সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। হাওড়া গ্রামীণ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস পরিবারের সম্মানীয় চেয়ারম্যান তথা উদয়নারায়ণপুরের রক্ষাকবচ ও বিধায়ক সমীর পাঁজা এ খবর জানিয়ে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনগর্জন সভার সমর্থনে আজকের এই সভা। আমরা সবসময় দিদির পাশে আছি।
উল্লেখ্য, এদিন সমীরবাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উদয়নারায়ণপুর কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি সমরেশ চোংদার, হাওড়া গ্রামীণ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ধনঞ্জয় বাকুলী, উদয়নারায়ণপুর কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি লক্ষীকান্ত দাস, উদয়নারায়ণপুর কেন্দ্রের তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি তন্ময় চক্রবর্তী প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, এক ভিডিয়ো বার্তায় ব্রিগেডে ‘জনগর্জন’ সভার প্রচার করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ‘বঞ্চনার’ অভিযোগে আগামী ১০ মার্চ ব্রিগেডে এক সমাবেশের ডাক দিয়েছে তৃণমূল। লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রথম ব্রিগেড সমাবেশ। তারই এক্স হ্যান্ডেলে এক ভিডিয়ো বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই ভিডিয়ো বার্তার সঙ্গে এক্স হ্যান্ডেলে মমতা লিখেছেন, ‘বাংলার ধৈর্য ও সৌজন্যকে তার দুর্বলতার ভাবা উচিত নয়। বহিরাগত জমিদারদের অবশ্যই ১০ মার্চ এই কথা মনে করিয়ে দিতে হবে।
এই রবিবার ব্রিগেড গ্রাউন্ডে জনগর্জন একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হবে।’ ভিডিয়ো বার্তায় তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘বাংলার বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সংস্কৃতির নাম করে বাংলাকে ভাগ করে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। এই চক্রান্ত আমরা মানতে পারব না। বাংলা বলে, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। কিন্তু এখানে তাকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এই চক্রান্ত আমরা মানতে পারব না। আসুন আমরা ব্রিগেড সমাবেশের মাধ্যমে এর বিরুদ্ধে গর্জন করি।’
তিনি আরও বলেন , ‘আধার কার্ড বন্ধ করার নামে এনআরসি, সিএএ চালু করার চেষ্টা চলছে, এ সব আমরা মেনে নেব না। আমরা আমাদের মতো করে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাব।