সিঙুট গ্রামের ঋতম্ভর রায়, চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র, স্কুলের নাম সিঙুট প্রথমিক বিদ্যালয়। সরকারের তরফ থেকে লেখাপড়ার খরচ বাবাদ মাসে পায় ৫০০ টাকা। ছেলে বায়না ধরেছিল বাবার কাছে দিদির ত্রাণ তহবিলে টাকা দেবে। বাবা সোমনথ রায় বলেছিলেন, তুই টাকা পাবি কোথায়! ছেলে মুখ নিচু করে বলেছিল আমায় দিদিমনি যে টাকা দেয় মাসে মাসে লেখাপড়ার জন্য সেটা দেব, ছেলের কথা শুনে বাবা হতবাক। কিন্তু ছেলেকে নিরাশ করেন নি। ছেলের হাত ধরে চলে এসেছিলেন মঙ্গলকোটের ব্লক অফিসে সভাপতি অপূর্ব চৌধুরীর কাছে। অপূর্ববাবু প্রথমে ভেবেছিলেন এই দুঃসময়ে সকলের মতো ওরাও হয়তো সাহায্য চাইতে এসেছে। কিন্তু ঋতম্ভরের কথা শুনে উনি অবাক। বলে কি ছেলেটা! জড়িয়ে ধরেছিলেন ঋতম্ভরকে। বাবাকে বলেছেন, দেখেছিস এরাই আমাদের আসল ভবিষ্যত। আগামীদিনে আমাদের চালিত করবে।