সোমবার | ১৬ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | রাত ১১:৪৩
Logo
এই মুহূর্তে ::
স্মরণে মননে জন্মদিনে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় : রিঙ্কি সামন্ত হুগলি জেলায় কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়ছে : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় খালিয়াজুরি মৌজার প্রাচীন ইমারত : ফারুকুর রহমান চৌধুরী দুর্দৈবপীড়িত রবীন্দ্রনাথ : দিলীপ মজুমদার শান্তি সভ্যতার গুণ, যুদ্ধ তার অপরাধ … ভিক্টর হুগো : অশোক মজুমদার হরপ্পার ব্যুৎপত্তি নিয়ে নতুন আলোকপাত : অসিত দাস বল পয়েন্ট কলমের জার্নির জার্নাল : রিঙ্কি সামন্ত মহেঞ্জোদারো নামের নতুন ব্যুৎপত্তি : অসিত দাস পরিসংখ্যানে দারিদ্রতা কমলেও পুষ্টি বা খাদ্য সংকট কি কমেছে : তপন মল্লিক চৌধুরী অথ স্নান কথা : নন্দিনী অধিকারী তন্ত্র বিদ্যার বিশ্ববিদ্যালয় চৌষট্টি যোগিনীর মন্দির : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী মেসোপটেমিয়া ও সিন্ধুসভ্যতার ভাষায় ও স্থাননামে দ্রাবিড়চিহ্ন : অসিত দাস ধরনীর ধুলি হোক চন্দন : শৌনক দত্ত সিন্ধুসভ্যতার ভাষা মেসোপটেমিয়ার ব্যাবিলনের রাজা হামুরাবির নামে : অসিত দাস বিস্মৃতপ্রায় জগন্নাথ তর্কপঞ্চানন : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী মেসোপটেমিয়ার সুমেরীয় ভাষায় সিন্ধুসভ্যতার মেলুহার ভাষার প্রভাব : অসিত দাস বঙ্গতনয়াদের সাইক্লিস্ট হওয়ার ইতিহাস : রিঙ্কি সামন্ত নন্দিনী অধিকারী-র ছোটগল্প ‘ঝড়ের পরে’ ভালো থাকার পাসওয়ার্ড (শেষ পর্ব) : বিদিশা বসু গাছে গাছে সিঁদুর ফলে : দিলীপ মজুমদার ভালো থাকার পাসওয়ার্ড : বিদিশা বসু সলিমুল্লাহ খানের — ঠাকুরের মাৎস্যন্যায় : ভাষা-শিক্ষায় সাম্প্রদায়িকতা : মিল্টন বিশ্বাস নেহরুর অনুপস্থিতিতে প্যাটেল, শ্যামাপ্রসাদও ৩৭০ অনুমোদন করেছিলেন : তপন মল্লিক চৌধুরী সিঁদুরের ইতিকথা আর কোন এক গাঁয়ের বধূর দারুণ মর্মব্যথা : দিলীপ মজুমদার সাহিত্যিকদের সংস্কার বা বাতিক : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষে শ্রীপাণ্ডবা বা নির্জলা একাদশীর মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত দশহরার ব্যুৎপত্তি ও মনসাপূজা : অসিত দাস মেনকার জামাই ও জামাইষষ্ঠী : শৌনক ঠাকুর বিদেশী সাহিত্যিকদের সংস্কার ও বাতিক : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী ভক্তের ভগবান যখন জামাই (শেষ পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই প্রভু জগন্নাথদেবের শুভ স্নানযাত্রার আন্তরিক প্রীতি শুভেচ্ছা ভালোবাসা।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

মূঢ়তা বোঝেনা

পেজ ফোর, বিশেষ প্রতিনিধি / ৩০৬ জন পড়েছেন
আপডেট বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২১

নির্জন দ্বীপে রবিনসন ক্রুশো নিজের খেয়ালখুশি মত দিন কাটাতেই পারেন, কিন্তু একটা জনবসতে তা সম্ভব নয়। সেখানে সভ্য সমাজের নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়, ভাবতে হয় আরও পাঁচ জনের কথা। আমার ব্যবহারে বা কাজকর্মে অন্যরা বিপদে পড়ছেন কিনা দেখতে হয় সেটাও। কোভিডের প্রকোপ একটু কমার সঙ্গে সঙ্গে দেখতে পাচ্ছি, কিছু মানুষ মাস্ক ছাড়াই নির্ভয়ে চলাফেরা করা শুরু করে দিয়েছেন। এই দলে গণপরিবহণের ‘দায়িত্বশীল’ চালক এবং কন্ডাক্টরও রয়েছেন। তাদের অতি তৎপর সংগঠনের এব্যাপারে কোন হেলদোল নেই! প্রতিবাদ করতে গেলেই শুনছি — আপনার ইচ্ছে হয় আপনি পরুন না, আমি পরবো না। বলতে বলতেই মাস্কবিহীন কোন যাত্রীকে দেখিয়ে দিয়ে বলছেন এই তো দেখুন উনিও পরেননি। বোঝাই যাচ্ছে গণতন্ত্র বলতে এরা বোঝেন যা কিছু করার স্বাধীনতা। ‘পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম গণতন্ত্র’ ইত্যাদি কথাকে তখন অর্থহীন মনে হয়।

এদের কে বোঝাবে নিজের গাড়ি, নিজের টাকায় কেনা পেট্রল, এমনকি নিজের জীবনটুকু বাজি রেখেও খেয়ালখুশি মত গাড়ি চালানো যায়না। কারণ একাজ করতে গিয়ে আপনি অন্যের জীবন বিপন্ন করতে পারেন, ক্ষতি করতে পারেন অন্যের বা সরকারি সম্পত্তিরও। কোভিডের টিকা না নিয়ে, মাস্ক না পরে, স্রেফ আমোদ করার জন্য ভিড়ে গিয়ে আপনি ঠিক এই কাজটিই করছেন। এই বিপজ্জনক এবং কাণ্ডজ্ঞানহীন মানুষগুলি একশ্রেণীর রাজনীতিবিদদেরও পুঁজি। এই যুগলবন্দী যে কোন সিস্টেমের বারোটা বাজিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। কিছু বলতে গেলেই এরা বলবেন — কই মাস্ক না পরে, টিকা না নিয়ে রাম আর শ্যামের তো কিছু হয়নি? এদের কে বোঝাবে, রাম আর শ্যামের না হলেও যদুর হয়েছে, মধু তো কোভিডেই মারা গেল!

গণতন্ত্র ব্যাক্তির অধিকারের জয়ধ্বনি করে। তবে তা যে সমাজকে বিপন্ন করে যা ইচ্ছা তাই করার স্বাধীনতা নয়, সে কথাটাই আমরা ভুলে যাই। ভুলে যাই গণতন্ত্র মানে মিলেমিশে চলা, অন্যকে সহায়তা করা। দুঃখের কথা হল, বয়স হলেও আমাদের প্রবীণ গণতন্ত্র একথা দেশের মানুষকে এখনও বুঝিয়ে উঠতে পারেনি।

এই ব্যর্থতার দায় আপনার, আমার, সবার। তবে সবকিছু ব্যর্থ হয়েছে এতটা হতাশ হওয়াও ঠিক নয়। কারণ এই ব্যবস্থাই তো জাতিভেদ প্রথার বিরুদ্ধে গিয়ে দেশের সব মানুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। উচ্চবর্ণের কথা এখন আর দেশের আইন নয়। ভ্রাতৃঘাতী দাঙ্গার ধাক্কা সামলে দেশে সব ধর্মের মানুষদের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি আমরা। সমাজের একটা বড় অংশের মানুষদের মধ্যে গণতন্ত্রের বোধ না থাকলে ভারত নামে দেশটাই তো আর থাকতো না!

মুশকিল হল, কিছু মানুষ একথা ভুলে যান। এই ভুলে যাওয়ার ব্যাপারটা বহু দেশেই ঘটে। কিন্তু কোথাও তা আমাদের দেশের মত অবাধ প্রশ্রয় পায়না। এরা ভুলে যান ‘ইন্ডিপেন্ডেন্স’ যেমন আছে ঠিক তেমনই আছে ‘ইন্টারডিপেন্ডেন্স’। স্বাধীনতার পাশাপাশি রয়েছে মানুষের পারস্পরিক নির্ভরতা। এ দুটো মিলিয়ে চলতে আমরা শিখিনি বলে হেলমেট ছাড়া বাইক চালানো কিংবা কোভিডকালে ভ্যাকসিন এবং মাস্ক ছাড়াই ভিড়ে মিশে যাওয়ার ঘটনা বাড়ছে। আমরা ভুলে যাচ্ছি এতে শুধু নিজের বা প্রিয়জনের ক্ষতি তাই নয়, বহু সাধারণ মানুষেরও বিপদ ডেকে আনছি আমরা। এর দায় শেষ পর্যন্ত সরকারকেই নিতে হয়। সামগ্রিকভাবে এটা মানব সম্পদের ক্ষতি, রাষ্ট্রের ক্ষতি।

মুঢ়তা একথা বোঝেনা!


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন