সোমবার | ১৬ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | বিকাল ৩:২৮
Logo
এই মুহূর্তে ::
দুর্দৈবপীড়িত রবীন্দ্রনাথ : দিলীপ মজুমদার শান্তি সভ্যতার গুণ, যুদ্ধ তার অপরাধ … ভিক্টর হুগো : অশোক মজুমদার হরপ্পার ব্যুৎপত্তি নিয়ে নতুন আলোকপাত : অসিত দাস বল পয়েন্ট কলমের জার্নির জার্নাল : রিঙ্কি সামন্ত মহেঞ্জোদারো নামের নতুন ব্যুৎপত্তি : অসিত দাস পরিসংখ্যানে দারিদ্রতা কমলেও পুষ্টি বা খাদ্য সংকট কি কমেছে : তপন মল্লিক চৌধুরী অথ স্নান কথা : নন্দিনী অধিকারী তন্ত্র বিদ্যার বিশ্ববিদ্যালয় চৌষট্টি যোগিনীর মন্দির : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী মেসোপটেমিয়া ও সিন্ধুসভ্যতার ভাষায় ও স্থাননামে দ্রাবিড়চিহ্ন : অসিত দাস ধরনীর ধুলি হোক চন্দন : শৌনক দত্ত সিন্ধুসভ্যতার ভাষা মেসোপটেমিয়ার ব্যাবিলনের রাজা হামুরাবির নামে : অসিত দাস বিস্মৃতপ্রায় জগন্নাথ তর্কপঞ্চানন : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী মেসোপটেমিয়ার সুমেরীয় ভাষায় সিন্ধুসভ্যতার মেলুহার ভাষার প্রভাব : অসিত দাস বঙ্গতনয়াদের সাইক্লিস্ট হওয়ার ইতিহাস : রিঙ্কি সামন্ত নন্দিনী অধিকারী-র ছোটগল্প ‘ঝড়ের পরে’ ভালো থাকার পাসওয়ার্ড (শেষ পর্ব) : বিদিশা বসু গাছে গাছে সিঁদুর ফলে : দিলীপ মজুমদার ভালো থাকার পাসওয়ার্ড : বিদিশা বসু সলিমুল্লাহ খানের — ঠাকুরের মাৎস্যন্যায় : ভাষা-শিক্ষায় সাম্প্রদায়িকতা : মিল্টন বিশ্বাস নেহরুর অনুপস্থিতিতে প্যাটেল, শ্যামাপ্রসাদও ৩৭০ অনুমোদন করেছিলেন : তপন মল্লিক চৌধুরী সিঁদুরের ইতিকথা আর কোন এক গাঁয়ের বধূর দারুণ মর্মব্যথা : দিলীপ মজুমদার সাহিত্যিকদের সংস্কার বা বাতিক : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষে শ্রীপাণ্ডবা বা নির্জলা একাদশীর মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত দশহরার ব্যুৎপত্তি ও মনসাপূজা : অসিত দাস মেনকার জামাই ও জামাইষষ্ঠী : শৌনক ঠাকুর বিদেশী সাহিত্যিকদের সংস্কার ও বাতিক : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী ভক্তের ভগবান যখন জামাই (শেষ পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত মৌসুমী মিত্র ভট্টাচার্য্য-এর ছোটগল্প ‘সময়ের প্ল্যাকটফর্ম’ গুহাচিত্র থেকে গ্রাফিটি : রঞ্জন সেন জামিষষ্ঠী বা জাময়ষষ্ঠী থেকেই জামাইষষ্ঠী : অসিত দাস
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই প্রভু জগন্নাথদেবের শুভ স্নানযাত্রার আন্তরিক প্রীতি শুভেচ্ছা ভালোবাসা।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

তথ্য বলছে অডিট কমিটি গড়ে বাংলাই পথ দেখিয়েছে দেশকে

রিপোর্টার / ২৫০ জন পড়েছেন
আপডেট বুধবার, ৬ মে, ২০২০

না, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকায় কো মরবিডিটিতে মৃত্যুর কথা উল্লেখ করতেই আমরা উদ্বাহু নৃত্য করব তা নয়! আমাদের পোর্টালের প্রতিবেদনে আমরা আগেই তুলে ধরেছি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সাংবাদিক বৈঠকে বলা কো মরবিডিটির কারণে মৃত্যুর কথা। ফলে এটা যেহেতু নতুন কিছু নয়, তাই নতুন করে পৈতে বের করে নিজেদের ব্রাহ্মণ প্রমাণ করার মরিয়া চেষ্টা কিছু সংবাদমাধ্যমের মতো আমাদের করার দরকার নেই। বরং পাঠকরা নিজেরাই চোখ-কান খোলা করে বিকেলে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রেস কনফারেন্স শুনতে থাকুন। রাজ্য সরকারের সাংবাদিক বৈঠক শুনুন। আগেরগুলিও দেখুন, দেখবেন লব আগরওয়াল অনেক দিন ধরে অনেকবার কো মরবিডিটির কথা উল্লেখ করেছেন। ফলে নিজেরাই সংবাদমাধ্যম বেছে নিন সত্যটা জানাতে। কোন চ্যানেলে কাকে খুশি করতে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধিতে কোন ইস্যুতে ধুয়ো তুলবে তা নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নেই।

করোনা যেহেতু নতুন রোগ তাই তা মোকাবিলায় কিছু পরিকল্পনা করতে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। হু, আইসিএমআর-এর গাইডলাইন মেনে করোনাতেই মৃত্যু হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের রেখে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর একটি কমিটি গড়ে। যার কাজ ডেথ কেস অডিট করা, ডেথ সার্টিফিকেট অডিট করা নয়। তবু না জেনেবুঝে অডিট কমিটি নিয়ে, কো মরবিডিটিতে মৃত্যু নিয়ে বিরোধীরা সস্তা রাজনীতি শুরু করেছিল। এরা প্রেস ব্রিফিং  শোনে না, সত্য জানার আগ্রহ নেই। রাজ্যে ৭২ জন কো মরবিডিটির কারণে মারা গিয়েছেন এটা মেনে নিতেও তাঁদের আপত্তি। কেন্দ্রীয় সরকার নির্দেশিকায় মৃতের সংখ্যা লিখতে গিয়ে যে লিখেছে, করোনায় আক্রান্ত হলেও ৭০ শতাংশ মৃত্যু হয়েছে কো মরবিডিটিতে, এরপর বিজেপি হয়তো ঢোঁক গিলবে। আসলে বাংলা কোনও কিছুতে ভালো করলেই ওদের গায়ে জ্বালা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সঠিক পথেই করোনা মোকাবিলা করছেন, প্রবল রাজনৈতিক আক্রমণ আর কটাক্ষ উপেক্ষা করে, এটা ভাবলেই ভালো লাগে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো অডিট কমিটি অন্য রাজ্যও গড়েছে। কো মরবিডিটির কারণে মৃত্যুর কথাও বলেছে অন্য রাজ্য। সেগুলি এতদিন কেন সামনে আসেনি টিভির গরম আলোচনায়, জানতে চান পাঠকরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাই দুশো, তাঁর সঙ্গে আছেন সৈনিকরা, আছেন জনগণ, মা-মাটি-মানুষ। ফলে কোন সংবাদমাধ্যম কী বলল তাতে থোড়াই কিছু এসে যায়!  এবার আপনাদের দেখাই দেশের কিছু ছবি। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুসরণ করে অডিট কমিটি গড়েছে রাজ্য, কো মরবিডিটিতে মৃত্যুর কারণ উল্লেখ করেছে বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলি। বাংলায় অডিট কমিটি গড়া হয় ৩ এপ্রিল।

দিল্লি দিয়ে শুরু করি। ২১ এপ্রিল মঙ্গলবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছিলেন, দিল্লিতে যাঁরা করোনায় মারা যাচ্ছেন তাঁদের ৮০ শতাংশের বেশি মানুষের বয়স ৫০-এর উপরে। আর ৮০ শতাংশের মৃত্যুর কারণ কো মরবিডিটি অর্থাৎ রোগী অন্য জটিল অসুখে ভুগছিলেন। ২২ এপ্রিল বাংলার মতোই সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে করোনায় মৃত্যুর কারণ বিশ্লেষণে অডিট কমিটি গড়ে দিল্লি সরকার ডা. অশোক কুমারের নেতৃত্বে।

আসি পাঞ্জাবের কথায়। সেখানেও বাংলার মতো ডেথ কেস অডিট করতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়েন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। এই কমিটির মাথায় রাখা হয় পিজিআইয়ের প্রাক্তন ডিরেক্টর ডা. কে কে তলওয়ারকে। এই কমিটি কী বলল? পাঞ্জাবে যতজন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের বেশিরভাগের মৃত্যুর কারণ কো-মরবিডিটি অর্থাৎ তাঁদের হাই প্রেসার, সুগার, ক্যান্সার, এইচাইভি ইত্যাদি রোগ ছিল। পাঞ্জাবের মানুষ সরকারি হাসপাতালের চেয়ে বেশি বেসরকারি হাসপাতালকে প্রাধান্য দেন। ফলে অনেক রোগীকে শেষ পর্যায়ে সরকারি হাসপাতালে আনা হয়, যাঁদের বাঁচানো যায়নি। ৩০ এপ্রিল পাঞ্জাব সরকার বেসরকারি কিছু হাসপাতালে করোনা চিকিৎসায় সরকারি সহযোগিতা করার নির্দেশ দেন। পাঠকরা নিশ্চয় মনে রেখেছেন, কিছু বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড চিকিৎসার ব্যবস্থা এবং খরচ বহনের পদক্ষেপ কত আগে করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা-মাটি-মানুষ সরকার।

বিহারে যে চারজন করোনা আক্রান্ত মারা গিয়েছেন তাঁদের সকলের মৃত্যুর কারণ কো মরবিডিটি। কেউ রেনাল ফেলিওর, কেউ বা ক্যান্সারে মারা গিয়েছেন। ১৬ এপ্রিল কর্নাটকের স্বাস্থ্য দফতর জানায়, যে ১২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন তাঁদের সকলের ক্ষেত্রে কো মরবিডিটি বড়ো ফ্যাক্টর। সেই হাঁপানি, ক্যান্সার, হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস ইত্যাদি রোগী। দশজন আবার খুব ধূমপান করতেন।

এবার বিজেপি-শাসিত গুজরাট। সেই রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরও জানিয়েছিল, ২৩ মার্চ যখন সুরাটে প্রথম করোনায় মৃত্যুর খবর আসে তখন থেকে ২৫ এপ্রিল অবধি যে ১৩৩ জন মারা যান তাঁদের ৭১ শতাংশের মৃত্যুর কারণ কো মরবিডিটি। কিডনি বা রেনাল প্রবলেমে ৮ জন, ১২ জন কার্ডিয়াক রোগী, ফুসফুসের সমস্যায় ভোগা ৬ জন এবং পাঁচজন মানসিক রোগী মারা যান। এ ছাড়া ক্যান্সার, ডেঙ্গু, টিবি, এপিলেপ্সি, উচ্চ রক্তচাপের রোগীও করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান। বিজেপি নেতারা কী বলবেন এরপর?

২৮ এপ্রিল বাংলার মতোই করোনা চিকিৎসায় স্টেট লেভেল ডেথ অডিট কমিটি গড়ে অন্ধ্রপ্রদেশ। ওইদিন অবধি অন্ধ্রপ্রদেশে ৩১ জন মারা যান, যাঁদের বেশিরভাগ ছিলেন হাঁপানি, হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগী। অর্থাৎ কারণ সেই কো মরবিডিটি।

১৪ এপ্রিল। ডা. অর্চনা পাতিলের নেতৃত্বে ৫ সদস্যবিশিষ্ট অডিট কমিটি গড়ে মহারাষ্ট্র সরকার। মৃত্যুর কারণ বিশ্লেষণ করতে শুধু মুম্বাইয়ের জন্য ৯ সদস্যের আলাদা একটি অডিট কমিটি গড়া হয়।

আবার আসি বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে। বাংলাকে ফলো করে যোগী সরকারও ডেথ অডিট কমিটি গঠন করে। গত ১৫ এপ্রিল উত্তরপ্রদেশের স্বাস্থ্য সচিব অমিত মোহন প্রসাদ সেই কমিটি গঠনের কথা জানিয়ে বলেছিলেন, উত্তরপ্রদেশে মৃতদের সকলের মৃত্যুর কারণ কো মরবিডিটি ও বার্ধক্যজনিত অসুখ।

কেরল সরকারও কো মরবিড রোগীদের প্রতি যত্ন নিচ্ছে। ফলে কো মরবিডিটি বা অডিট কমিটি গঠন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা না করে দেশকে দিশা দেখানোর জন্য তারিফ করুন। আর আমাদের হাতে

এমন তথ্য অনেক আছে। এক দিনে দিলে বিজেপি, সিপিআইএমের বদহজম হয়ে কো মরবিডিটির সমস্যা দেখা দিতে পারে।

অডিট কমিটি তো বটেই, করোনা বিপর্যয় কাটিয়ে অর্থনীতির হাল ফেরাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড়া গ্লোবাল অ্যাডভাইসরি বোর্ড ফর কোভিড রেসপন্স-ও দেশকে দিশা দিশা দেখাবে। কারণ, বাংলা আজ যা ভাবে, দেশ কাল তা ভাবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন