জগদীশ গুপ্তের হতাশ জগতের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা কুক্ষিগত থাকে অজানা, অচেনা, নামহীন অপ্রতিরোধ্য শক্তির কাছে, যে শক্তির কাছে পরাভূত হয়ে যায় মানুষের যাবতীয় জাগতিক শক্তি। দেহগত কারণে গল্পের চরিত্ররা উঠে, বসে, চলাফেরা করে, কথা বলে, গৃধ্নু মানুষ ঠান্ডামাথায় একের পর এক খুন করে যায় (পয়োমুখম), এবং সবশেষে অপ্রতিরোধ্য নিয়তির কাছে আত্মসমর্পণ করে।
“দিবসের শেষে” গল্পে রতি নাপিতের একমাত্র পুত্র পাঁচুগোপাল ঘুম থেকে উঠেই বলে, “মা আজ আমায় কুমিরে নেবে….”
মা নারানী এই কথা শুনে চমকে উঠে। গ্রামের কাছে বহমান নদী, কামদা, এখন আষাঢ়ের প্রথম ভাগে যদিও তার স্বচ্ছ, শান্ত জলের গতি হয়েছে খরতর, দুই পাড়ের মাটিকে করেছে নিমজ্জিত, তবু এ নদীকে ভয় করবার নয়, সুশীতল পানীয় জল গ্রামের কুটিরবাসীকে পান করিয়ে সে মাতার মতই স্নেহময়ী, নরঘাতিনী রাক্ষসী নয়, তবু রতির ভয় হয়। মনে হয় গ্রামের মৃত অধর বকশীর কথা।
“অধর বকশী সেবার নৌকা যাত্রা করিবার ঠিক পূর্বদিন সন্ধ্যাবেলায় আবছায়া জ্যোৎস্নায় নিজের ছায়া দেখিয়া আৎকাইয়া উঠিয়াছিল -প্রাঙ্গণে লাফাইয়া লাফাইয়া সে নিজেরই ছায়ার দিকে আঙুল দেখাইয়া ভীতসুরে কেবলই চিৎকার করিয়াছিল — ও কে? ও কে? …. সেদিন তার নিষ্পলক চক্ষুর দিকে ভালো করিয়া চাহিয়া থাকিতে কাহারও সাহস হয় নাই। বহু চেষ্টায় সেদিনকার মতো আতঙ্কের নিবৃত্তি হইয়া সে নিরস্ত হইয়াছিল বটে, কিন্তু তার নৌকা আর ফেরে নাই, সে-ও না।”
রতি তাই ছেলেকেই শাসন করে, “খবরদার, ফের যদি ও কথা মুখে আনবি তবে কাঁচা কঞ্চি তোর পিঠে ভাঙ্গবো।”
পাঁচুগোপাল ভয়ে সেদিন স্নান করতে রাজি হয় না। তার মা নারানী ভয়ে ছেলেকে নদীতে পাঠাতে রাজি হয় না। কিন্তু রতি যেন কিছুটা চ্যালেঞ্জ জানিয়েই পাঁচুকে স্নান করাতে নিয়ে যায়। যে নদীর রূপ ছিল স্তন্যদায়িনী স্নেহময়ী জননীর মতো, সেই নদীকে আজ রতির সেরকমটি মনে হয় না। দুপুরের রৌদ্র, যেন নি:সীম স্নেহহীন মহাশূন্যে ঝিকমিক করছে। এই মহাশূন্যতার মধ্যে তীব্রগতিতে বয়ে যাওয়া কামদা, হয়তো তার গর্ভে ধারণ করে আছে কতো নৃশংস ক্ষোভ, সেই হিংসা দংষ্ট্রা মেলে নির্মম স্থির দৃষ্টিতে খুঁজে বেড়াচ্ছে তার হনন করার বস্তুটিকে। বিশ্বাসঘাতিনী কি নদী এই কামদা? মধ্যাহ্ন সূর্যের খর আলোর তীব্রতায় ঝিকঝিক করতে থাকে কামদার দ্রুতবেগে ছুটে যাওয়া ফেনিল স্রোতধারা, রতির কেমন ভয় করতে থাকে। অতি সন্তর্পণে সে পাঁচুকে স্নান করিয়ে নিয়ে আসে, দুপুরে খেতে বসলে পর রতি পাঁচুকে হাসতে হাসতে বলে — পাঁচু কই রে? কেমন কুমিরে নেয় নি তো?”
বিকেলে ঘুম ভাঙ্গার পর রতির বউ নারানী লক্ষ করে পাঁচুর সমবয়েসী কতকগুলো ছেলে নারানীকে দেখে দুদ্দাড় করে অদৃশ্য হয়ে যায়। এই পালিয়ে যাওয়ার কারণ খুঁজতে গিয়ে নারানী যা দেখে তাতে রাগে তার ব্রহ্মরন্ধ্র জ্বলে যায়। ছেলে তার ঘরেরই একটি পাকা কাঁঠাল ভেঙে খেয়েছে ও কাঁঠালের রসে ও ধুলোয় মাখামাখি হয়ে কিম্ভূতরূপ ধারণ করেছে। রতি দিবানিদ্রায় ছিল। নারানীর চেঁচামেচিতে রতির ঘুম ভাঙল এবং ছেলেকে ধুয়ে আনবার জন্যে আবার নদীতে নিয়ে গেল। নদীর জলে বেশ করে ধুয়ে নিয়ে আসার পথে পাঁচুর হঠাৎ মনে হয় তার হাতের খেলার ঘটটি সে ফেলে এসেছে, পাঁচু ভয়ে ভয়ে বলে, “বাবা, ঘটটা নিয়ে আসি? ” রতি বলে – যা। নিয়ে আয়। পাঁচু হেঁট হয়ে যখন ঘটটি নিতে যাচ্ছে, তখনই…..
“দুটি সুবৃহৎ চক্ষু নি:শব্দে জলের উপর উঠিয়া আসিল। পরমুহূর্তেই সে স্থানের জল আলোড়িত হইয়া উঠিল, লেজটা একবার চমক দিয়া বিদ্যুৎবেগে ঘুরিয়া গেল এবং চক্ষের পলক না পড়িতেই পাঁচু জলে পড়িয়া অদৃশ্য হইয়া গেল।… মুদ্রিতচক্ষু আড়ষ্টজিহ্ব ভয়ার্ত রতির স্তম্ভিত বিমূঢ় ভাবটা কাটিতে বেশি সময় লাগিল না — পরক্ষণেই তাহার মুহূর্মুহু তীব্র আর্তনাদে দেখিতে দেখিতে নদীতীর জনাকীর্ণ হইয়া উঠিল। যখন ওপারের কাছাকাছি পাঁচুকে পুনর্বার দেখা গেল তখন সে কুম্ভীরের মুখে নিশ্চল। জনতা হায় হায় করিয়া উঠিল, পাঁচুর মৃত পান্ডুর মুখের উপরে সূর্যের শেষ রক্তরশ্মি জ্বলিতে লাগিল…. সূর্যকে ভক্ষ্য নিবেদন করিয়া লইয়া কুম্ভীর পুনরায় অদৃশ্য হইয়া গেল।”
এই যে নিষ্ঠুর নিয়তির খেলা যেখানে প্রকৃতি জড়িত, প্রকৃতি যেখানে মনোলোভা নয়, সে অলঙ্ঘ্য ও নিষ্ঠুর, অস্তগামী সূর্যের রক্তিমাভা যেখানে সৌন্দর্য নয়, নির্মম মৃত্যুর প্রতীক, সে অজানা, আশঙ্কাকুল এবং তার কাছে মানুষ অসহায়, মানুষ তার এই রূপ-কে চেনে না। এখানে যদি রবীন্দ্রনাথের প্রকৃতিপ্রেমকে এনে পাশাপাশি দাঁড় করিয়ে দেখা যায় তাহলে জগদীশ গুপ্তের গল্পের চারিত্র্য সম্পর্কে একটা প্রাতিস্বিক অনুভব পাঠকের মননে এক অন্তর্বলয় নির্মাণ করে। তাই নিয়তির ক্রিয়াশীলতার অমোঘ চিত্ররূপের গল্পের প্রতীকী ধর্মে রূপান্তর ঘটে, নিয়তিকে আর নিয়তির কাজ বলে মনে হয় না। পাঠকের মনন জগদীশ গুপ্তের গল্পের অন্তর্বলয়ের রূপকথাকে খুঁজে বেড়ায়।
“হাড়” গল্পে প্রথমেই গল্পকার পাঠকদের উপহার দিলেন রমা নামের এক স্ত্রীলোকের মৃত্যুসংবাদ। ঐ রমা মথুর নামে একটি ছেলে এবং স্বামী সনাতনকে রেখে মারা গেল। সনাতন লোক ভালো নয়, চোর। কাপড়ের দোকানে ন’গজি ধুতি চুরি করে সে তিনমাস জেল খেটেছিল। স্বভাবও তার বেপরোয়া, চলে দাপটে, কাউকে তোয়াক্কা না করেই। স্বামী সনাতনের হাতে অত্যাচারিত হতে হতে রমা বাঁচবার আশা মৃত্যুর আগেই বর্জন করেছিল। রসি নামের এক বৃদ্ধা স্ত্রীলোককে সে মামী ডাকত, মৃত্যুর পূর্বে বলে গিয়েছিল, ‘মামী, দেখো মথুরকে, যেন বাপের মতো না হয়।’ রসি ভাবল, সনাতনকে বলে মথুরকে নিজের ছেলের মত মানুষ করবে। রাজি হলো না সনাতন, তার নিজের স্বার্থেই সে ছেলেকে ছাড়তে রাজি নয়। অন্যদিকে রসির দুর্নাম ছিল, যে সে দুর্নাম নয়, গ্রামের লোকের বিশ্বাস ছিল রসি ডাইনি, মন্ত্র পড়ে সে মানুষকে হত্যা পর্যন্ত করতে পারে। সুতরাং এই বুড়িকে কেউ ঘাঁটাত না, কিন্তু সনাতন বেপরোয়া। ভয় সে কিছুকেই করে না, ডাইনিকেও নয়। সুতরাং সে রসিকে “মাগি ডাইনি” বলে ডাকতে শুরু করল, কখনও বা থুতু ফেলে অপমান করতে শুরু করল।
সেদিন সনাতন যাচ্ছে মাছ ধরতে, পথেই রসির সাথে দেখা, আজ রসিই সশব্দে মাটিতে থুতু ফেলল, অপমানিত সনাতন এক মুহূর্তও অপেক্ষা করল না, হাতের কোঁচ বুড়ির বুক বরাবর তুলে ধরল, বুড়ি আর্তনাদ করে পিছিয়ে যাবার চেষ্টা করতে গিয়ে বৃষ্টিভেজা মাটিতে পিছল খেয়ে পড়ল। সনাতনের সাথী ভুবন বুড়িকে তুলে ধরল বটে, কিন্তু বুড়ি ক্রুদ্ধ রোঁয়া ফোলানো মার্জারির মতো রাগে ফুলে রুখে দাঁড়াল। দৃশ্যটি ভয়ঙ্কর। রসির দৃষ্টি স্থির, জলপূর্ণ, সর্বাঙ্গে ক্রোধের ফোঁসফোঁসানি, চোখের উপর লোলচর্ম তিরতির করে কাঁপছে, চারদিকে লোক জমে গেল, বুড়ি কাঁপতে কাঁপতে অভিশাপ দিল — “অলপ্পেয়ে, আমায় মারতে উঠেছিলি? ভগবান তা দেখেছেন। তুই মাছ মারতে চলেছিস-ঐ মাছই যেন আজই তোকে মারে।”
সনাতন গ্রাহ্য করল না।
নদীটি ছোট, সনাতন ডিঙি নিয়ে অগ্রসর হলো, সূর্যাস্তের দেরি নেই, নদীর তীরে শেষ রক্তরশ্মির আভা। আকাশে মেঘের কোলে কোলে শেষ আলোর সমারোহ। সনাতনের দৃষ্টি জলের একটি বিশেষ স্থানে স্থির হয়ে আছে, হাতে তার উদ্যত কোঁচ, জলের উপরে কিছুটা চেরা দাগ, সনাতনের হাতটি কিঞ্চিৎ উত্থিত হলো, কোঁচটি নিক্ষিপ্ত হলো অব্যর্থ লক্ষে, জলের ওপর রক্তের রেখা, পরমুহূর্তেই উলটে গেল আহত জীবটি এবং কোঁচের প্রবল টানে সনাতন জলে পড়ল। হঠাৎ এক অজানিত ভয়ে আক্রান্ত হলো সনাতন, এমন ভয় সে কখনও পায়নি। “নিঃশব্দ আকাশে যেন ক্রুদ্ধ একটি কণ্ঠ বেজে উঠল, তুই মর।কোঁচ মাটির ভিতর চাপিতে চাপিতে সে একবার চারিদিকে চাহিয়া দেখিল দৃষ্টির পরিধির মধ্যে মানুষ কোথাও নাই, বৃত্তাকার অন্ধকার যেন কেন্দ্রের পানে গুটাইয়া জড়ো হইয়া আসিতেছে।”
জীবটি আসলেই মাছ। প্রকান্ড চিতল। পিঠটি কালো, শরীরটি রূপার মতো ঝকঝকে। মাছ দেখে সনাতনের ভেতরটা আনন্দে নেচে উঠল, মাছটাকে টানতে টানতে নিয়ে এল নৌকার কাছটিতে, নৌকাতে সে নিজে উঠল, মাছটাকে টেনে তুলবার চেষ্টা করতেই মাছের দেহটি বেঁকে যাওয়ায় তোলা গেল না। সনাতন জলে নামল ও দু’হাতে মাছটাকে ধরে তুলবার জন্য ঝুঁকলে মৃতপ্রায় মাছটি লাফিয়ে উঠে সনাতনের বুকে তীব্র আঘাত করল। কয়েকটি মুহূর্ত, সনাতনের মনে হলো, পৃথিবীতে আলো নেই, বায়ু নেই, চেতনার বিপরীত মুখে তলিয়ে যেতে যেতে সনাতন আবার চৈতন্যের জগতে ফিরে এলো, তখনও বুকে তার প্রবল ব্যথা।
বহু চেষ্টায় সনাতন মাছটাকে নৌকায় তুলল, এতবড় মাছ,আনন্দ যেন তার উপছে পড়ছে। গ্রামের লোক জড়ো হলো মাছ দেখতে, এতো বড়ো মাছ এ তল্লাটে কেউ দেখেনি। মাছ কাটা হলো, সমস্ত গ্রামে তা বিলি করা হলো, সনাতনের ছেলে মথুরের খুব আনন্দ, এত মাছ দেখা তার ছোট্ট জীবনে এই প্রথম। রান্না হলো মাছের ঝোল আর ভাত। বাবা ও ছেলে বসল খেতে। মালসাতে মাছের ঝোল, লম্বা লম্বা পেটিগুলো মালসার কাঁধ ছাড়িয়ে উঠছে। সনাতন ও মথুর হাসতে হাসতে খাওয়া শুরু করেছে। দুজনার আজ ভারি পুলক। একগ্রাস ভাত মুখে দিয়েই সনাতন দু’হাতে নিজের গলা চেপে ধরল। চোখ ঠিকরে বেরিয়ে যাচ্ছে, অসহনীয় দমবন্ধ যন্ত্রণা। সনাতন আসন ছেড়ে লাফিয়ে উঠল, গলায় আঙুল ঢুকিয়ে উৎকট সব শব্দ করতে লাগলো। মথুর বুঝতে পারল না, বাবা তামাশা করছে ভেবে সে হাসতে লাগল। গোঁ গোঁ শব্দে মাটিতে পড়ল সনাতন, গলা দিয়ে বেরিয়ে এলো যন্ত্রণার রক্তিম আভাস, কয়েক ঝলক রক্ত। মথুর খবর দেওয়াতে গাঁয়ের লোক জড়ো হতে লাগল। কিন্তু তখন সনাতনের আক্ষেপ ধীরে ধীরে স্থির হয়ে গেছে, ডাক্তার দেখে বললেন — “এ্যাসফিক্সিয়া, মাছের শিরদাঁড়ার হাড়, বায়ু প্রবেশের পথ রুদ্ধ করিয়া মধ্যপথে আটকাইয়া আছে। “রসিও আসিয়াছিল, অন্ধকারে দাঁড়াইয়াছিল। লুকাইয়া আস্তে আস্তে সে বাহির হইয়া গেল।”
জগদীশ গুপ্তের নিয়তি নির্ধারিত গল্পগুলিতে মানুষের ভূমিকা পুতুলের মতোই। সমগ্র সৃষ্টির অন্তরালে বিরাজ করছে এই ক্রুর শক্তি, যা অপ্রতিহত, অলঙ্ঘ্য ও ছিদ্রান্বেষী। মানুষের দুর্বলতার কোনও এক ছিদ্রপথে তা প্রবেশ করে এবং জীবনকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়ে যায়। “দিবসের শেষে ” গল্পটিতে পাঁচুগোপাল রতি নাপিতের একমাত্র পুত্র, এর আগে তিনটি ছেলে প্রসবগৃহেই মারা গেছে, মন্ত্রপূত অজস্র মাদুলি, কবজতাবিজ পাঁচুর দেহকে আশ্রয় করে পাঁচুকেই পাহারা দিচ্ছে, রতির এই দুর্বলতার পথ ধরে দুর্বার গতিতে প্রবেশ করে সেই নামহীন শক্তি এবং পাঁচুকে কেড়ে নেয়। রসি এই ক্রুর শক্তিরই স্থূল কায়া। তাকে বারবার উত্যক্ত করার পথেই প্রবেশ করে নির্মম অজানা আকারহীন ভয়াল শক্তির মুখবিবর, যাতে সনাতন নামে প্রবল মানুষও সহজেই গ্রস্ত হয়।
“দিবসের শেষে” ও “হাড়” দুটো গল্পেই প্রাকৃতিক আক্রমণ আসে দিনের শেষে। অস্ত গমনোন্মুখ সূর্যের রক্তিমাভা যা মানুষকে মুগ্ধ করে তা আসে মরণোন্মুখ মানুষের তাজা রক্তের অনুষঙ্গে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কেমন করে যেন নিরাবয়ব নিষ্ঠুরতার এবং জীবন নাট্যাভিনয়ের যবনিকা পতন ঘটায় তাকে স্পষ্ট করার জন্যেই যেন লেখকের কলম সেই সৌন্দর্যলোক নির্মাণ করে নৌকোকে স্রোতের বিপরীতে টেনে নিয়ে যেতে থাকে। “হাড়” গল্পের ন্যারেটিভে দেখি সেই বিপরীতমুখী টান-
“…. একখানা যাত্রীর নৌকা গুণ টানিয়া উজান বাহিয়া গেল…. সূর্যাস্তের বিলম্ব নাই…সময়টি অতি সুন্দর…. মেঘের গায়ে বর্ণবৈচিত্রের সমারোহ…. জলে স্থলে সোনার আভা…গাছের মাথায় আলোর মুকুট…. কলসি ঘাড়ে এক ব্যক্তি ঘাটে জল লইতে আসিয়া হাঁকিয়া বলিল -সনাতন, হলো কিছু?” (ক্রমশ)