কেলেঙ্কারির পর্দা ফাঁস হয়েছিল এক সপ্তাহ আগেই। পিপিই কিট দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হন হিমাচল প্রদেশের স্বাস্থ্য নির্দেশক। এবার এই কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়ে গেল সে রাজ্যের বিজেপি সভাপতি রাজীব বিন্দল-এর । যার জেরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন তিনি। এই ঘটনায় লজ্জায় মুখ লুকোনোর জায়গায় নেই রাজ্য বিজেপি। শুধু রাজ্যে নয়, গোটা দেশেই এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গেছে। এদিনই পিপিই কিট কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত স্বাস্থ্য নির্দেশককে আদালতে তোলা হয়। আদালত তাঁকে পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। রাজ্যের দুর্নীতি দমন বিভাগ পুরো ঘটনার তদন্ত করছে।প্রসঙ্গত, ককিছুদিন আগে একটি অডিও টেপ প্রকাশ্যে আসে। যেখানে পিপিই কিট প্রস্তুতকারক সংস্থার কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা ঘুষ চাইছেন ওই স্বাস্থ্য কর্তা। এই পুরো ঘটনার পিছনেই বিজেপি রাজ্য সভাপতির হাত আছে বলে গুরুতর অভিযোগ ওঠে।বিরোধী দল কংগ্রেস আসরে নেমে পড়ে। চাপ বাড়তে থাকে রাজ্য বিজেপির। তাই স্বীকার না করলেও এই ঘটনার পরই একপ্রকার বাধ্য হয়েই পদ থেকে ইস্তফা দেন রাজীব বিন্দল। ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন দলীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে।বিরোধী দলগুলোর বক্তব্য, গুজরাটের জাল ভেন্টিলেটর থেকে শুরু করে হিমাচলের কিট দুর্নীতি-নিজেদের কেলেঙ্কারির লুকোবার যখন জায়গা পাচ্ছে না বিজেপি, তখনও কি করে অন্য দলগুলোকে অপদস্থ করা যায় সেই মতলব এঁটে চলেছে সারাক্ষণ। এ যেন চোরের মায়ের বড়ো গলা!