সোমবার | ২রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ১০:৪৩
Logo
এই মুহূর্তে ::
পাশাপাশি, তবে প্রাণ নেই, চিহ্ন বইছে ভেলুগোন্ডা, রবিবার জল সরার পরে : অশোক মজুমদার নলিনী বেরার কবিতা — স্বভূমি, স্বদেশ, স্বজন : ড. পুরুষোত্তম সিংহ অদ্বৈত মল্লবর্মণ — প্রাবন্ধিক ও সাহিত্য-সমালোচক (প্রথম পর্ব) : রহমান হাবিব রংবাহারি ক্যাপসিকাম : রিঙ্কি সামন্ত রাজ্যের কৃষকমান্ডিতে কৃষকদের ধান বিক্রিতে দালাল মুক্ত করার নির্দেশ সরকারের : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় নন্দিনী অধিকারী-র ছোটগল্প ‘উচ্ছেদ’ আমাদের সংবিধান, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং নানা মত : তপন মল্লিক চৌধুরী বেঙ্গল গোট গ্রামীণ অর্থনীতিতে এনে দিতে পারে স্বচ্ছলতা : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় পিটার নাজারেথ-এর ছোটগল্প ‘মালদার’ অনুবাদ মাসুদ খান আমরা নারী-আমরাও পারি : প্রসেনজিৎ দাস ঝুম্পা লাহিড়ীর ছোট গল্প “একটি সাময়িক ব্যাপার”-এ অস্তিত্ববাদ : সহদেব রায় ঝুম্পা লাহিড়ী-র ছোটগল্প ‘একটি সাময়িক বিষয়’ অনুবাদ মনোজিৎকুমার দাস ঠাকুর আমার মতাে চিরকালের গৃহীর চিরগুরু : সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় ভাবাদিঘির জট এখনও কাটেনি, বিষ্ণুপুর থেকে জয়রামবাটি রেল চলাচল শীঘ্রই : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় হাইপেশিয়া — এক বিস্মৃতপ্রায় গনিতজ্ঞ নারীর বেদনাঘন উপাখ্যান (শেষ পর্ব) : অভিজিৎ রায় উৎপন্না একাদশী মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত মারাঠাভুমে লাডকি বহিন থেকে জয়, ঝাড়খণ্ডে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী প্রচারে হার : তপন মল্লিক চৌধুরী কিন্নর-কৈলাসের পথে : বিদিশা বসু হাইপেশিয়া — এক বিস্মৃতপ্রায় গনিতজ্ঞ নারীর বেদনাঘন উপাখ্যান (চতুর্থ পর্ব) : অভিজিৎ রায় ভনিতাহীন চলন, সাইফুর রহমানের গল্প : অমর মিত্র সাইফুর রহমান-এর বড়োগল্প ‘করোনা ও কফিন’ হাইপেশিয়া — এক বিস্মৃতপ্রায় গনিতজ্ঞ নারীর বেদনাঘন উপাখ্যান (তৃতীয় পর্ব) : অভিজিৎ রায় নানা পরিচয়ে গৌরী আইয়ুব : গোলাম মুরশিদ হাইপেশিয়া — এক বিস্মৃতপ্রায় গনিতজ্ঞ নারীর বেদনাঘন উপাখ্যান (দ্বিতীয় পর্ব) : অভিজিৎ রায় কেন বারবার মণিপুরে আগুন জ্বলে আর রক্ত ঝড়ে : তপন মল্লিক চৌধুরী শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (শেষ পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ হাইপেশিয়া — এক বিস্মৃতপ্রায় গনিতজ্ঞ নারীর বেদনাঘন উপাখ্যান (প্রথম পর্ব) : অভিজিৎ রায় শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (ষষ্ঠ পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ জগদীশ গুপ্তের গল্প, কিছু আলোকপাত (শেষ পর্ব) : বিজয়া দেব শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (পঞ্চম পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই দীপাবলি এবং কালীপুজোর আন্তরিক শুভনন্দন।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

যমরাজকে খুশি করতে অ্যাসিস্ট্যান্ট চিত্রগুপ্তের পুজো আরামবাগের বাতানলে : দেবাশিস শেঠ

দেবাশিস শেঠ / ৪৫৫ জন পড়েছেন
আপডেট বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২২

যমের দুয়ারে কাঁটা দিতে রীতিমত ঘটা করে তার অ্যাসিস্ট্যান্ট চিত্রগুপ্তের পুজো হুগলির আরামবাগের বাতানাল গ্রামে। দীর্ঘদিন ধরে এখানকার কায়স্থ সমাজ এই পুজো অর্চনা করে আসছেন ভাই দ্বিতীয়ার দিনে। এদিন গ্রামের বউদের বাপের বাড়ি যাওয়া বারণ। তাদের ভাইয়েরা ফোটা নিতে আসেন বাতানল গ্রামে। অপরদিকে গ্রামের বিবাহিত মহিলারা গ্রামে ফিরে আসেন পুজো উপলক্ষে এখানেই তারা ভাইয়েদের ফোঁটা দেন। পুরোহিত চিত্রগুপ্তের কপালে ফোঁটা দেওয়ার পরই শুরু হয় ভাই ফোঁটা। এই রীতি চলে আসছে একেবারে শুরু থেকে। আগে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে চিত্রগুপ্ত পুজোর রেওয়াজ থাকলেও বর্তমানে এই রাজ্যে একমাত্র এই বাতানলের পুজো ছাড়া আর কোন পুজো অনুষ্ঠানের খবর পাওয়া যায়নি।

যেহেতু চিত্রগুপ্ত যমরাজের অফিসে মানুষের পাপ পুণ্যের হিসেব রাখেন তাই তাকে খুশি করতে পারলে মানুষকে আর নরক যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে না, এই বিশ্বাসে কাতারে কাতারে সাধারন মানুষ অংশগ্রহণ করতে আসেন এই পুজোয়। এই দেবতাকে বাণিজ্যের শ্রী বৃদ্ধির আশীর্বাদ কর্তা হিসেবেও মনে করেন অনেকে। তাই এই উপলক্ষে খাতা কলমের পূজো করা হয়।

স্কন্দ পুরাণে উল্লেখ আছে একবার ব্রহ্মার সামনে গিয়ে যমরাজ তার কাজ সামলানোর জন্য একজন ধার্মিক ন্যায়পরায়ণ, বুদ্ধিমান, বেদ জ্ঞান সম্পন্ন এবং লেখায় পটু সহকর্মী চেয়ে আবেদন করেন। এরপর ব্রহ্মা ধ্যানমগ্ন হলেন। ধ্যানের শেষে চোখ খুলে তিনি দেখলেন সামনে খাতা কলম হাতে একজন দাঁড়িয়ে। তিনি তার নাম দিলেন চিত্রগুপ্ত। অল্প কালের মধ্যে যমরাজের সঙ্গে সঙ্গে ব্রহ্মার খুব প্রিয় পাত্র হয়ে উঠলেন চিত্রগুপ্ত। পরে ঋষি সুশর্মার কন্যা ইরাবতীর সঙ্গে এবং মনুর কন্যা দক্ষিণার সঙ্গে তার বিবাহ দেন ব্রহ্মা।

এই পুজোর উদ্যোক্তা বাতানাল গ্রামের বাসিন্দা ইন্দ্রজিৎ সরকারের বক্তব্য, “আমার পিতামহ ভূপাল চন্দ্র সরকার ১১৫ বছর আগে এই পুজোর সূচনা করেন। আমরা কায়স্থ সম্প্রদায়ের মানুষ চিত্রগুপ্তদেব কে আমাদের প্রপিতামহ বা পূর্বপুরুষ বলে মনে করি। বর্তমানে এই গ্রামের কায়স্থ পাড়ার একুশ ঘর বাসিন্দা মিলে এই পুজো করা হয়। আমরা কার্য্য উপলক্ষে কলকাতা এবং বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে থাকলেও পুজোর সময় এখানে এসে একসঙ্গে মিলিত হই। এই উপলক্ষে বিচিত্রানুষ্ঠান, ছেলেমেয়েদের বিভিন্ন রকম খেলাধুলা ইত্যাদির আয়োজন করা হয়। কোভিড পরিস্থিতির কারণে বিগত দুই বছর অনাড়ম্বর ভাবে পুজো সারতে হলেও বর্তমান বছরে আমরা সবাই মিলে খুব আনন্দ করছি।”


আপনার মতামত লিখুন :

8 responses to “যমরাজকে খুশি করতে অ্যাসিস্ট্যান্ট চিত্রগুপ্তের পুজো আরামবাগের বাতানলে : দেবাশিস শেঠ”

  1. বেবী কারফরমা says:

    নতুন তথ্য, জেনে খুব ভালো লাগলো

  2. বেবী কারফরমা says:

    দেবাশিস স্যারের নিত্য নতুন তথ্য আমাদের মতো পাঠক কুল সমৃদ্ধ করে।
    তার কলমকে কুর্নিশ 🙏

  3. নভেন্দু সামন্ত says:

    চমৎকার

  4. Samapti Adhya says:

    এত নিকটে এ রকম একটা পূজো হয় জানা ছিল না। সম্পূর্ণ একটি নতুন তথ্য জেনে খুবই ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন