রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই জোর করে ট্রেনে পরিযায়ী শ্রমিকদের পাঠিয়ে দিচ্ছে রেল। রাজ্য পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে যে পরিকল্পনা করেছে তাকে ধাক্কা দিয়ে, আমফান-বিধ্বস্ত বাংলাকে সমস্যায় ফেলতে এটা যে বিজেপির ষড়যন্ত্র তা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। বাংলায় জোর করে যে কেন্দ্রীয় সরকার রেল, বিমান পাঠাতে উঠেপড়ে লেগেছে তারাই চোখ বুজে কর্নাটক সরকারের ভূমিকায়! বিজেপি-শাসিত রাজ্য বলেই কি এই দ্বিচারিতা?
কেন্দ্র রাজ্য সরকারকে সমস্যায় ফেললেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিকল্পনা করেছেন পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য। যে পাঁচ রাজ্যে সংক্রমিতের সংখ্যা বেশি সেইসব রাজ্য থেকে যাঁরা আসছেন তাঁদের কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করেছেন। তিনি বলেননি ফেরাবেন না। কিন্তু পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে নারাজ বিজেপির কর্নাটক সরকার।কর্নাটক সরকার জানিয়ে দিয়েছে, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থান থেকে কোনও ট্রেন, বিমান বা কোনও যানবাহন কর্নাটকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতেই এই পদক্ষেপ। না, পীযূষ গোয়েলের বড়ো বড়ো ভাষণ বা বিজেপির নেতাদের এ নিয়ে কোনও টুইট নেই!
পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানো নিয়ে বৃহস্পতিবার ২৮ মে সুপ্রিম কোর্টের তিরস্কারের মুখে পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে রেজিস্ট্রেশন, যানবাহনের ব্যবস্থা, থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত যে ত্রুটিপূর্ণ ছিল তা শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণে স্পষ্ট। পরিযায়ী শ্রমিকদের অবিলম্বে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করতে কেন্দ্রীয় সরকারকে বলেছে শীর্ষ আদালত। ৫ জুন ফের শুনানি। তারপরেও কর্নাটক সরকারের এই পদক্ষেপ!
বাহ্ রে বিজেপি! বিজেপি-শাসিত আর অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির জন্য দুরকম অবস্থান কেন কেন্দ্রীয় সরকারের, বিজেপি জবাব দাও।