মাসীমনি থমকে দাঁড়াল। চোখে মুখে বিষ্ময়। আমার মুখের দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে।
আদর্শবাদ আর ধান্দাবাজ এই দুটো জিনিষ কখনই সহাবস্থান করে না। আর তুমি চেষ্টা করলেও কখনই বন্ধ করতে পারবে না।
মাসিমনির ঠোঁটের ফাঁকে প্রতিপদের চাঁদের মতো হাসির রেখা, এক ঝলক দেখা দিয়েই মিলিয়ে গেল।
সবচেয়ে বড়ো কথা কি জানো, যে কোনও জিনিষের কিছু ওয়েস্টেজ আছে। আমাদের এই প্রাকৃতিক সম্পদেরও কিছু ওয়েস্টেজ আছে। সেই ওয়েস্টেজ কার অধিকারে থাকবে তাই নিয়েই এত লাঠালাঠি মারামারি।
মাসীমনি এবার জোড়ে হেসে উঠলো।
তুই বেশ গুছিয়ে কথা বলতে পারিস।
এটাও একটা শিল্প অনেক কষ্টে আমি এটা অর্জন করেছি। প্রথমটায় একটু অসুবিধে হতো এখন বেশ সাবলীল।
তোর প্রপিতামহও অনেকটা তোর মতো ছিল। আমি আমার শৈশবে তাকে দেখেছি। তারপর—
কি যেন বলছিলাম…
লাঠালাঠি মারামারি…
হ্যাঁ গো তুমি একটু ভেবে দেখবে। রাজনীতিগত ভাবে দাদা-দিদি হয়ে তার সঙ্গে ফাউ হিসাবে যদি অরিজিন্যাল সম্পদ থেকে কিছুটা হাতান যায় ক্ষতি কি। একটু সুস্থ-সুন্দর ভাবে বাঁচতে কে না চায় বলো। ঘুরে ফিরে সেই এক কথা, সহাবস্থান।
একটু ভাল করে ভেবে দেখ, পৃথিবীতে বহু দেশ আছে, সেখানে শয়ে শয়ে মানুষ প্রতিদিন না খেতে পেয়ে মারা যাচ্ছে। আবার বহু দেশে খাদ্য শস্যের অপচয় হচ্ছে। কিন্তু একটু ঠান্ডা মাথায় বিচার বিবেচনা করে সেই অপচয় হওয়া খাদ্য যদি সেই সব দেশে পাঠান যায়, তাহলে সেই সব অভুক্ত মানুষগুলো দু-বেলা দু-মুঠো খেয়ে পরে বাঁচতে পারে। কিন্তু তা করা যাবে না।
তাত্বিক কথায় ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাবে। তাহলে পরে রইলো কি? ব্যালেন্স।
ব্যালেন্স, সহাবস্থান শব্দগুলো কিরকম অদ্ভূত না?
অর্থনৈতিক ভারসাম্য ঠিক রাখতে গেলে এটা করতে হবে। এখানে কিন্তু মানুষকে মানুষ হিসাবে গণ্য করা হয় না। সম্পদ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। সম্পদের ওয়েস্টেজ হিসাবে এই সব মানুষ। এই ওয়েস্টেজ সম্পদ নিয়েও অনেক ব্যবসা আছে বুঝলে।
মাসীমনি আমার মুখের দিকে হাসি হাসি চোখে তাকিয়ে।
সে যাক, যা বলছিলাম।
আমার পাল্লায় পরে এই অশিক্ষিত মানুষগুলো একটু বোঝদার হলো। নিজের ভাল মন্দের ব্যাপারটা নিজেরা বুঝতে শিখল। বলতে পারো একটু পিপুল পাকল। তাই গাছেরও খাবে তলারও কুরবে। ভেতরে ভেতরে নিজেরাও একটা জোরদার সংগঠন তৈরি করলো। তখন কিন্তু আমি অনিমেষদাদের পই পই করে বলেছি। অনুপদা একবার এসেছিল। ওই পর্যন্ত। কাজের কাজ কিছু হয়নি। বিধানদা তখন কিছুটা একনায়কতন্ত্রে বিশ্বাসী হয়ে পড়েছিল। সে অনেক কথা।
এখন ভেতরের ব্যাপারটা দু-পক্ষই জেনে ফেলেছে। কিন্তু কি করবে। দু-পক্ষেরই সাপের ছুঁচো গেলা অবস্থা। না পারছে গিলতে, না পারছে ওগরাতে। ওয়েস্টেজ মাল সংগ্রহ করতে গেলে এদের সাহায্যের দরকার। এটা এরা বাবা-কাকাদের কাছ থেকে শিখেছে। মাটি দেখে বলে দিতে পারে কোথায় কি আছে। জঙ্গলটা এদের থেকে ভাল কেউ চেনে না। তাই এ ওকে বলে তুমি সামলাও। ও একে বলে তুমি সামলাও।
মাঝখানে পরে কিছু সাধারাণ মানুষ মরছে। এরা না ঘরকা না ঘাটকা। পেটের দায়ে শরীর পর্যন্ত বিক্রী করে বসে থাকে। আর তোমাকে কি বলবো বলো।
তাহলে এই যে খুনখুনি মারামারি?
দর কষা-কষিতে না পোষালে সরে যেতে হয়।
তুই এত সাবলীল ভাবে বলছিস কি করে?
জানি বলে বলতে পারছি।
তোর কোন বিপদ হবে না?
হবে কি করে। আমি তো নিজে ধান্দাবাজি করি না। লোককে ধান্দাবাজির পথটা দেখাই।
পথের দাবীর সব্যসাচী। গাঁজা খাই না, গাঁজার কলকে বানিয়ে দিই।
আমি জোরে হেসে উঠলাম।
তোর স্বার্থটা কি শুনি?
মিলিজুলি সরকার। সবার আগে মিত্রা। তারপর আমার একান্নবর্তী পরিবার। এদের যেন কখনো কোনওদিন সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয়।
মিত্রার কাগজটাকে একটা জায়গায় পৌঁছে দেওয়া। বিনদরা যে পথে হাঁটছে সেই পথ থেকে সরিয়ে এনে একটু ভাল পথের দিশা দেওয়া। শ্যামরা যাতে একটু ভাল থাকে তার ব্যবস্থা করা। অনিমেষদারা আমৃত্যু পার্টিতে যেন সম্মানীয় ব্যক্তি হিসাবেই থাকতে পারে তার বন্দোবস্ত করা। সব শেষে তোমাদের নিয়ে একটা স্বপ্নের নীড়।
একদম গাঁজা দিবি না। খালি গল্প।
তোমাকে মনের কথাটা বললাম।
অনিমেষ কি বলছে।
চেষ্টা করবে বলছে। কিন্তু অনিমেষদা শেষ কথা নয়।
কেন!
তুমি তো সব ব্যাপারটাই একটু আধটু বুঝতে পারছো। অনুজকে দেখলে, কি সুন্দর একটা পরিবেশ রচনা করে কিছু কামিয়ে নিয়ে মুখ মুছে নিল। এবার তোদেরটা তোরা বোঝ। তোরা তো আমাকে আগামী ইলেকসনের খরচ দিবি না। আমারটা আমাকেই জোগাড় করতে হবে। আমি জোগাড় করে নিয়েছি।
সবক্ষেত্রেই এই ব্যাপারটা রয়েছে।
তা বলে ভেবে নিও না, আমি বলছি অনুজ একা খাবে। সিংহভাগটা নিজের কাছে রেখে বাকিটা ভাগ বাঁটোয়ারা হবে। কোথায় কোথায় বাঁটোয়ারা হবে তোমাকে নতুন করে বলতে হবে না।
এরা এখন বড্ড বেশি ভোগবাদে বিশ্বাসী হয়ে পড়েছে। রাজনীতিটা কেউ এখন আদর্শের জন্য করে না বুঝলে। ওটা এখন পেশাগাত ব্যাপার-স্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সময় থাকতে গুছিয়ে নাও। বাকি জীবনটা যাতে বহাল তবিয়েতে কাটাতে পারি।
ও কি বলতে চাইছে?
বিধানদার কোন বক্তব্য নেই। ল্যাংটার নেই বাটপারের ভয়। অনিমেষদা যা বলবে তাই। তাছাড়া আদর্শের সংঘাত।
কেন!
তোমরা একটা সময় ভালোবেসে একটা স্বপ্নের সংগঠনে সামিল হয়েছিলে। তারপর অনেক রস-রক্ত জল করে তার স্থায়িত্ব এলো। সংগঠন চালাতে গেলে নতুনদের স্থান দিতে হবে। তাদের ওই ভাবধারায় তৈরি করতে হবে। কিন্তু বিপদটা এখানে। আধুনিকতার স্পর্শে নতুনদের কাছে আদর্শ-ফাদর্শ বলে কিছু নেই। ফলে সেই ইতিহাসের চর্বিত চরণ চরমপন্থী, নরমপন্থী।
তোকে একটা কথা জিজ্ঞাসা করবো।
এরকম ভাবে বলছো কেন?
কথাটা শোনার পর, তুই যদি রাগ করিস।
আমি রাগ করতে ভুলে গেছি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বড্ড অভিমান হয়।
আমার ওপরও?
হ্যাঁ, হয়।
কেন!
তুমি মাঝে মাঝে ভীষণ অবুঝপনা করো।
তোরও হারাবার ভয় আছে!
প্রত্যেক মানুষের থাকে।
ভিখারাম ব-কলমায় সাগরকে সাহায্য করছে?
কথাটা বলে মাসিমনি আমার চোখ থেকে চোখ সরাল না। স্থির চোখ।
শানিত চাবুকের মতো কথাটা আমার কানে আঘাত করলো।
মাসিমনির চোখে চোখ রেখে দাঁড়িয়ে পরলাম। দু-জনে দু-জনের দিকে তাকিয়ে রয়েছি।
কি বলতে চাইছে মাসীমনি! অনিমেষদা, বিধানদার থেকে মাসীমনির মস্তিষ্কটা অনেক বেশি পরিশীলিত। ভাবনা চিন্তার গভীরতা নেহাত খারাপ নয়। তাহলে কি কিছু আঁচ করতে পেরেছে?
কেন জানি না মাসীমনিকে এই মুহূর্তে মিথ্যে কথা বলতে ইচ্ছে করছে না।
বল না।
চোখে চোখ রেখে পড়ার চেষ্টা করলাম। কোনও ভাষা চোখে ধরা পড়ছে না। এ চোখের লিপি উদ্ধার করা সত্যি বেশ দুষ্কর। কিন্তু একটা উত্তর দিতেই হবে। চোখ থেকে চোখ সরিয়ে নিলাম।
না ঠিক তা নয়….।
আমাকে এড়িয়ে যাস না। মাসীমনির গলার স্বরে স্নেহভরা কাঠিন্য।
চমকে মাসীমনির মুখের দিকে তাকালাম।
এ্যাডমিনিস্ট্রেসন দয়া-দাক্ষিণ্য দেখাবার জায়গা নয়।
চোখ নামিয়ে নিলাম।
মাথায় রাখবি তোর শরীরের রক্তটা আমার শরীরেও বইছে।
তোমায় ঠিক….।
যা বোঝার আমার বোঝা হয়ে গেছে।
গলার স্বরে সেই তেজ, মাসীমনির মুখের দিকে তাকালাম।
বনের অবুঝ পশু মানুষের সংস্পর্শে এলে তার গায়ে মানুষের গন্ধ লেগে যায়। সেই মানুষের গন্ধ লেগে যাওয়া পশুটাকে বনের পশুরা আর ফিরিয়ে নেয় না। তখন সে না ঘরকা না ঘাটকা।
আমি ঠিক….।
সাগরের কথা না ভেবে ভিখার দিকে কনসেনট্রেট কর। ও আহাত সিংহ।
চোখ সরিয়ে নিই নি।
একটু অন্যমনস্ক হয়ে পরেছিস।
না সকাল থেকে আবার কনসেনট্রেট করেছি।
ওয়াহিদ কলকাতায় এসেছে ভিখার হয়ে কাজ করতে।
তুমি বৃথা ভয় পাচ্ছ। আমি সব….।
আমি ভয় পাচ্ছি না।
তাহলে!
ও বিনদের মতো তোর আর একটা ঘুঁটি কিনা জানতে চাইছি।
আমি মাসিমনিকে জড়িয়ে ধরলাম।
তুই আমার গর্ভে হোসনি। তাই বলে তোকে বুঝতে আমি ভুল করবো এটা হতে পারে না।
মাসিমনির কাঁধে মুখটা গুঁজে দিলাম।
আমি ঠিক বলেছি না ভুল বলেছি?
মাথা দুলিয়ে বললাম। হ্যাঁ।
মাসীমনির স্নেহভরা হাত আমার পিঠে আঁকিবুঁকি কাটছে।
বাকিটা জানতে চেয়ো না।
তুই তো ভালো ছেলে। এতো রাজনীতি শিখলি কোথা থেকে! অনেক পোর খাওয়া রাজনীতিবিদও ঘোল খেয়ে যাবে। মাসীমনির কন্ঠ থেকে স্নেহ ঝরে পড়ছে।
মাসীমনির কাঁধ থেকে মুখ তুললাম। চোখে চোখ রাখলাম। মাসীমনির চোখ হাসছে।
বাঁচার তাগিদে।
তুই একটা গ্রামের ছেলে হয়ে….।
আমি পরিবেশ পরিস্থিতির স্বীকার।
মাসিমনি আমার মুখের দিকে এক দৃষ্টে তাকিয়ে।
বিনদ ফার্স্ট লাইন, ওয়াহিদ সেকেন্ড লাইন, থার্ড লাইনটা বল।
আমি হাসলাম। বিশ্বাস করো, আমি এই সব চাই না। কিন্তু আমি জানি একটু চোখ সরিয়ে নিলে এরা কেউ আমাকে বাঁচতে দেবে না।
ভিখাকে কি দেবার মতো সরকারী তকমা মারবি।
মাথা নীচু করে আস্তে করে মাথা দোলালাম। না-হ্যাঁ কিছুই বোঝালাম না।
রাঘবন জানে?
না।
খবর পাবে না?
সাপ্লাই লাইন অফ করে দিয়েছি।
সেই জন্য তুই ওকে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ে ঠেললি। ওখানে গিয়ে তুই যতদিনে তোর দপ্তরের কাজ বুঝবি ততদিনে আমি এই দিকটা গুছিয়ে নেব।
আমি হাসলাম।
ভিখার এস্টাব্লিশমেন্ট?
কিছুটা সরকারী সম্পত্তি হবে। কিছুটা ভাগ বাঁটোয়ারা হবে। আবার আন্ডার স্টেন্ডিংয়ে এলে এসব কিছু নাও হতে পারে।
তাহলে তোকে আর কেউ কিছু বলবে না। তুই প্রোটেকটেড।
আমি মাসিমনির কাঁধ দুটো ধরে মাথা দোলালাম।
ধন্য তোকে। এই বয়সে আর টেনসন নিতে পারি না।
আমি হেসে ফেললাম। মাসীমনি আমার মুখের দিকে তাকিয়ে।
চলো, ওরা সবাই আবার ভাবতে বসবে, মাসি-বোনপোতে মিলে এতক্ষণ ধরে কি শলা-পরামর্শ করছি।
তুই কি ভাবিস ওরা না ভেবে সব গালে হাত দিয়ে বসে আছে।
আমি মাসিমনির মুখের দিকে তাকিয়ে হাসলাম। আবার ধীর পায়ে কোমড় ধরা ধরি করে হাঁটতে শুরু করলাম।
সামনের দিকে তাকাতে দেখলাম সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে হাসা-হাসি করছে।
তুমি যেন বিধানদাকে কিছু বলো না।
মাসিমনি আমার মুখের দিকে তাকিয়ে হাসলো। এই হাসি, খুসির হাসি নয়। রক্তের সম্পর্কের কারুর মসৃন সফলতার হাসি।
তুই এবার তোর এই সম্বোধন গুলো পরিবর্তন কর।
এ জন্মে হবে না।
কেন?
আমি নিজেই একটা জগাখিচুরি।
ঝুমুকে তোর মনে পরে?
বুকের ভেতর থেকে একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো।
খুব সামান্য। কেমন যেন অস্পষ্ট।
মাসীমনি আমার মুখের দিকে তাকিয়ে। ধীরে ধীরে হাঁটছে।
তবে ওই দিন পীরবাবার থানে এক ঝলকের জন্য মা-বাবার মুখটা স্পষ্ট দেখতে পেয়েছিলাম। জীবনে প্রথম। তারপর কতো চেষ্টা করলাম মনে করার। কিছুতেই মনে পরে না। অনেকটা ভোরের স্বপ্ন দেখার মতো।
তোর এই আঁকা-বাঁকা জীবনটার জন্য আমাদের পরিবারও অনেকটা দায়ী।
তা কেন। এটা আমার কপালের লিখন। হয়তো গত জন্মে কোনও পাপ করেছিলাম। তার ফল ভোগ করছি।
মাসীমনি আমার মুখের দিকে তাকাল।
তুই এইসব বিশ্বাস করিস।
ঠিক সহজ সরল ভাবে করি না। তবে একটা কিছু আছে এটা বিশ্বাস করি।
পীরবাবা?
আমার সবচেয়ে দুর্বল জায়গাগুলোর একটা। কাকার মুখ থেকে শুনেছি, বাবা ওনার দেখা পেয়েছিলেন। কাকার হাত ধরেই প্রথম পীরবাবার থানে যাই।
মনাবাবু সত্যিই অধীপের পরম বন্ধু ছিলেন।
এই ব্যাপারটা আমি এখন খুব বেশি করে অনুভব করি।
সারাটা জীবন তোর জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন।
কাকার সম্বন্ধে এইটুকু বললে অন্যায় হবে। বলতে পারো একটা মহৎ কর্মের সাক্ষী নিজেকে করে গেছেন। হয়তো আগের জন্মে আমি মনাকাকার সন্তান ছিলাম। সে জন্মে মনাকাকা তার সন্তানকে সেই ভাবে লালন-পালন করতে পারেন নি। তাই এই জন্মে বন্ধুর সন্তানকে নিজের সন্তান হিসাবে আঁকড়ে ধরে সারাটা জীবন কাটিয়ে দিলেন।
ভদ্রলোককে কোনওদিন চোখে দেখি নি। হাতেলেখা একটা মাত্র চিঠি তাঁর পেয়েছিলাম। এখানে এসে ওনার ফটো দেখলাম। ফটোতে চোখ মুখ দেখে যা মনে হলো, যৌবনে ভদ্রলোকের খুব দাপট ছিল।
তা ছিল। কাকার ভয়ে সাত পাড়ার কেউ মুখে রা-টি করতে পারতো না।
তুই খুব ভয় পেতিস।
তা পেতাম।
বাঁদরামো করতিস কখন?
কথাটা বলে মাসীমনি হাসছে। আমিও হেসে ফেললাম।
ঝুমুর শেষ চিঠিটায় সারা দিয়ে যদি একবার আসতাম তাহলে হয়তো এরকমটা হতো না।
তাহলে তোমরা হয়তো অনিকে এইভাবে কোনও দিন দেখতে না। অনি একটা ছাপোষা, গোবেচারা পুরুষ মানুষ হয়ে গোটা দশেক বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে দিব্যি আর দশজেনর মতো ঘর সংসার করে জীবনটা কাটিয়ে দিত।
মাসীমনি জোড়ে হেসে উঠলো।
(আবার আগামীকাল)
দাদা আদাব,
আমি বাংলাদেশ থেকে বলছি। আপনার গল্পটি খু্বই অসাধারণ। যার জন্য পুরো ২৩৮ কিস্তিই পড়েছি এবং প্রতিদিন নতুন আপডেটের অপেক্ষায় থাকি। অস্বীকার করবনা আপনার উপন্যাসটি সর্বপ্রথম চটি গল্পের ওয়েবসাইটে পড়ি যার নাম ছিল সম্ভবত “কাজলদীঘির শ্মশান” এবং লেখক হিসেবে ’মামনজাফরন’ ছদ্মনামটি ব্যবহার করা হয়। সেখানে প্রাপ্তবয়স্কদের ভার্সনে গল্পটি লেখা হয় যা ১ম পর্বের পুরোটাই একইভাবে রচিত ছিল। ১ম পর্বের পরার পর কী হলো? কী হলো? এটি জানার প্রবল ইচ্ছা থাকলেও পরবর্তী পর্বটি খুজেঁ পেতে ৩ বছর লেগে যায়। কিন্তু ২য় পর্ব থেকে তা শুধুই উপন্যাস হিসেবে প্রকাশিত হচ্ছে। উপন্যাসটি পড়ার আগ্রহের জন্য উপন্যাসটি এখন পর্যন্ত পড়ছি কিন্ত দাদা বাঘ যখন রক্তের স্বাদ পায় তখন তার নেশাটা কি হয় তা বলে বোঝানো যাবেনা। যাক সে কথা। আপনার উপন্যাসটি পড়তে পড়তে ভয় লাগে হয়ত পরবর্তী পর্বেই আপনি উপন্যাসটির যতিচ্ছেদ করবেন। উপন্যাসটি আরো দীর্ঘ হোক। পরবর্তী প্রজন্মের গল্পটুকুও আপনি লিখুন এবং আমাদের জন্য প্রকাশিত করুন। সবশেষে আপনাকে একটি অনুরোধ জানাই- যদি এ উপন্যাসের ২য় পর্ব থেকে এ পর্যন্ত পর্বগুলোর “প্রাপ্তবয়স্ক ভার্সন” আপনার কাছে থাকে তবে তার লিংক বা পর্বগুলো ই-মেইল করলে খুবই খুবই খুবই বাধিত হবো। ভাল থাকুন, সুস্থ্ থাকুন এবং উপন্যাসটি আরো আরো দীর্ঘায়িত করুন।
আমার জীবনে সব চেয়ে বড়ো পাওয়া (দেখি নাই ফিরে) আমার গোচরে আসা।
কতো শতো বইয়ের মাঝে ডুবে থাকি তার হিসাব নেই।
সেবার বই তো না পড়লে ঘুমোই হয় না।
সব কিছু ছাপিয়ে জৌতি স্যারের দেখি নাই ফিরে হৃদয়ে আলাদা স্থান করে নিয়েছে।
এমন নাড়া দিয়েছে যে এখনো ঘোরের মাঝে আছি।।
ভালো থাকুন স্যার,সুস্থ থাকুন।
Puro golpo ta jodi apnar kache thake
Amke mail korben please
এই উপন্যাসটি খুবই ভালো লাগে।
সবটাই পড়েছি। পি.ডি.এফ গুলি মেল করলে বাধিত হব।
ধন্যবাদান্তে
সোমনাথ মুখার্জী
আপনার কাছে pdf গুলো থাকলে আমাকে একটু mail করবেন…. Please
deba1saha@gmail.com
Hi
হুম খেয়াল করিনি এবার তেকে অবশ্যই খেয়াল করবো।
Adab dada amar naam nasir dubai theke….aonke ageo chat korecilam…je apnar lekha ai upponas ta amar chai…khors soho bolben..pathai dibo….number 0502909773…ager number mobile soho curi hoye gece…ai number e whatsapp calu ace…dhonnobad.