কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রমিকবিরোধী পদক্ষেপের সমালোচনা করল আরএসএসের শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় মজদুর সংঘ। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের একের পর এক ঘোষণার তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে সংগঠনের তরফে। এক বিবৃতিতে ভারতীয় মজদুর সংঘের সাধারণ সম্পাদক ব্রিজেশ উপাধ্যায় বলেছেন, শ্রমিক ইউনিয়ন, সামাজিক প্রতিনিধি, স্টেকহোল্ডার-সহ কারও সঙ্গে শলাপরামর্শ না করেই কেন্দ্রীয় সরকার যে পদক্ষেপ করছে, তাতে আত্মবিশ্বাসের অভাব স্পষ্ট। প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দের কথা সামনে রেখে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ৪৯ থেকে বাড়িয়ে ৭৪ শতাংশ করা কিংবা অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডের কর্পোরেটাইজেশনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে আপত্তি জানাচ্ছি। কয়লা, খনি, প্রতিরক্ষা, পারমাণবিক শক্তির মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেসরকারিকরণের যে কথা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর কথায় উঠে এসেছে তার তীব্র প্রতিবাদ করে উপাধ্যায় বলেন, এমনভাবে বিলগ্নীকরণ বা বেসরকারিকরণের পথে সরকার হাঁটলে সবচেয়ে ক্ষতি হবে শ্রমিক, কর্মচারীদের। বহু মানুষ কাজ হারাবেন, কাজের গুণমান পড়বে, লাভের জন্য শ্রমিকদের উপর নিষ্পেষণ বাড়বে। কারও সঙ্গে কথা না বলে কেন্দ্রীয় সরকার যে ঢালাও বদল আনতে চাইছে তাতে একটা কথা পরিষ্কার, সরকার সঠিক পথে নেই। ভারতের মহাকাশ গবেষণায় বেসরকারি সংস্থাকে যুক্ত করা বা ইসরোর সুবিধা বেসরকারি সংস্থার ভোগ করার যে ব্যবস্থা কেন্দ্রীয় সরকার করছে তাও সঠিক নয়, এতে দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে। এর বিপজ্জনক কুফল সম্পর্কে সরকারকে অবগত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিএমএস। ১৩ হাজার কোটি টাকার জন্য দেশের ৬টি বিমানবন্দরকে নিলামে তোলা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রকে বেসরকারিকরণের পথে কেন্দ্র ঠেলে দেওয়ার বিরোধিতা করে বিএমএস বলেছে, এমন সিদ্ধান্ত দেশের ক্ষতিই করবে। বিরোধী দলগুলি বারবার কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রমিকবিরোধী পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শ্রমিক-স্বার্থে আন্দোলন করছে। এবার ভারতীয় মজদুর সংঘের বিবৃতি প্রমাণ করল, বিরোধীদের দাবি ঠিক, মোদী সরকার শ্রমিক-বিরোধী। দেশকে বেচে দেওয়ার তাল করছে।
বিএমএসের বিবৃতিতে আবার না বারবার দল পাল্টানো, বর্তমান বিজেপি এজেন্ট পদ্মপাল ধনখড় না অপমানিত হন! তিনি তো কেন্দ্রীয় সরকারের রাবার স্ট্যাম্পের মতো অমিত শাহকে খুশি রাখতে কেন্দ্রীয় সরকারের গুণগান গেয়ে চলেছেন!