সোমবার | ১লা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ১১:৩৫
Logo
এই মুহূর্তে ::
সুখীমানুষদের দেশ স্ক্যান্ডিনেভিয়ার ডাইরি (দ্বিতীয় পর্ব) : নন্দিনী অধিকারী বেগম রোকেয়ার রচনায় লোকজ জীবন অভিজ্ঞতা (চতুর্থ পর্ব) : গীতা দাস সাবঅলটার্ন দৃষ্টিতে কলকাতার লবণচিহ্ন : অসিত দাস মোদীকে চাপে রাখতে নীতীশ-নায়ডুর রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা দাবি : তপন মল্লিক চৌধুরী সুখীমানুষদের দেশ স্ক্যান্ডিনেভিয়ার ডাইরি (প্রথম পর্ব) : নন্দিনী অধিকারী বাঁধে ইঁদুরের তৈরি গর্ত দিয়ে ঢোকে বন্যার জল চলছে সংস্কারের কাজ : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় বেগম রোকেয়ার রচনায় লোকজ জীবন অভিজ্ঞতা (তৃতীয় পর্ব) : গীতা দাস কবি সঞ্জীব প্রামাণিক, আবহমান বাংলা কবিতার পথে হেঁটে-যাওয়া এক কবিতাভিক্ষুক : অমৃতাভ দে সৌমেন দেবনাথ-এর ছোটগল্প ‘বিলাসী’ বেগম রোকেয়ার রচনায় লোকজ জীবন অভিজ্ঞতা (দ্বিতীয় পর্ব) : গীতা দাস সাত্যকি হালদার-এর ‘ছোটগল্প’ কাজলদিঘি ডায়েটে আনতে হবে কয়েক টুকরো নারকেল তাহলেই কেল্লাফতে : রিঙ্কি সামন্ত বাতাসে পর্যাপ্ত অক্সিজেন ও বৃহৎ শিল্প গড়ে তুলতে বাঁশগাছের কদর বাড়ছে : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় বেগম রোকেয়ার রচনায় লোকজ জীবন অভিজ্ঞতা (প্রথম পর্ব) : গীতা দাস স্পিকার নির্বাচন থেকেই শুরু হল সেয়ানে সেয়ানে টক্কর : তপন মল্লিক চৌধুরী বাসুলী লবণের দেবী (দ্বিতীয় পর্ব) : অসিত দাস শক্তিপদ রাজগুরু-র ছোটগল্প ‘পাখিরা আর নেই’ বিস্মৃত কথাসাহিত্যিক সুলেখা সান্যাল : আনিসুর রহমান ময়মনসিংহের গৌরব কেদারনাথ মজুমদার (শেষ পর্ব) : দিলীপ মজুমদার লেডি ম্যাকবেথ, ওয়াটার আঙ্কেল ও আমি : সসীমকুমার বাড়ৈ জয়নুল আবেদিন বাংলাদেশের প্রাতিষ্ঠানিক চারুকলা শিক্ষার জনক : মনোজিৎকুমার দাস ময়মনসিংহের গৌরব কেদারনাথ মজুমদার (তৃতীয় পর্ব) : দিলীপ মজুমদার আম্বুবাচী শব্দের অর্থ কি? অম্বুবাচী কেন এবং কারা পালন কর? : মনোজিৎকুমার দাস ময়মনসিংহের গৌরব কেদারনাথ মজুমদার (দ্বিতীয় পর্ব) : দিলীপ মজুমদার নিজের জীবনের নানা কথা — কবিতার জীবন (শেষ পর্ব) : মহাদেব সাহা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব নেয়ার প্রবণতা বন্ধ করতে হবে : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন বেমালুম ভুলেগেছি বাংলার রূপকার আর. এন. মুখার্জি সরি স্যর রাজেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়কে : রিঙ্কি সামন্ত গ্রেস কটেজে নজরুলের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী : দীপাঞ্জন দে নিজের জীবনের নানা কথা — কবিতার জীবন (অষ্টম পর্ব) : মহাদেব সাহা কার্লোস তেভেজ — ফুটবলের নিষিদ্ধ চন্দ্রিল উপত্যকা : যীশু নন্দী
Notice :

পেজফোরনিউজ ডিজিটাল পত্রিকার পক্ষ থেকে সকল বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই জগন্নাথদেবের শুভ স্নানযাত্রার আন্তরিক প্রীতি, শুভেচ্ছা, ভালোবাসা।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

বাতাসে পর্যাপ্ত অক্সিজেন ও বৃহৎ শিল্প গড়ে তুলতে বাঁশগাছের কদর বাড়ছে : মোহন গঙ্গোপাধ্যায়

মোহন গঙ্গোপাধ্যায় / ৩৯ জন পড়েছেন
আপডেট বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০২৪

ইংল্যান্ডের রয়‍্যাল কলেজ অব এগ্রিকালচারের কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী গবেষণা করে দেখেছেন, বাড়ির সামনে বাঁশগাছ থাকলে তা বাতাস থেকে যে পরিমাণে কার্বনডাই অক্সাইড গ্রহণ করে, তার চেয়ে অনেক বেশি বাতাসে অক্সিজেন সরবরাহ করে। কেবল তাই নয় এই পর্যাপ্ত অক্সিজেন মানুষের ফুসফুসকে সুস্থ ও সচল রাখতে বাঁশগাছের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এমনই তথ্য উঠে এসেছে গবেষণায়। বিশেষজ্ঞদের মতে বাঁশের প্রয়োজনীয়তা এখানেই থেমে নেই। নিত্য ব্যবহারে বাঁশ অপরিহার্য। বাঁশ থেকে ক্ষুদ্র ও বৃহৎ শিল্প গড়ে উঠেছে দেশ ও বিদেশে। এই শিল্পকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বাঁশশিল্প উন্নয়ন সমিতি, হস্তশিল্প সমবায় সমিতি, লোক কারুশিল্প ইত্যাদি। এক কথায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত ছাড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় বাঁশশিল্পের কদর যেমন আছে, সেইসঙ্গে অর্থনৈতিক চিত্রটাও শক্তপোক্ত অনেকখানি। এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত বহু মানুষ। তাই দিনের দিন বাঁশের কদর বাড়ছে সর্বত্র।

উল্লেখ্য, বাঁশ থেকে সুন্দর সুন্দর কারুকার্যময় নিত্য ব্যবহারযোগ্য পণ্য তৈরি হচ্ছে। বাজারে চাহিদা আছে। সেইসঙ্গে রপ্তানির সুযোগও আছে। তাই কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার উভয়েই বাঁশশিল্পীদের নিয়ে নতুন করে চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছে। প্রসঙ্গত, দেশের মহারাষ্ট্র, বেঙ্গালুরু, আসামের গুয়াহাটি, নলবাড়ি, ওড়িশা ইত্যাদি রাজ্যে বাঁশ থেকে বিভিন্ন নিত্য ব্যবহারযোগ্য জিনিস তৈরি হচ্ছে, যুক্ত আছেন বহু মানুষ। একইভাবে পশ্চিমবঙ্গেও এই শিল্পের উজ্জ্বল সম্ভাবনা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। কদর বাড়ছে এই শিল্পজাত সামগ্রীর। অর্থনৈতিক দিকটা সফল হচ্ছে। তাই রুটি-রোজগারের একটা অন্যতম মাধ্যম এই বাঁশ ভিত্তিক শিল্প।

তাছাড়া বাঁশ থেকে কুলো, ধুচুনি, চ্যাঙারি, ঝুড়ি, খই-চালুনি, ফুলের সাজি, ডাস্টবিন বাক্সেট, পেন হোল্ডার, ফিল্টার, চাঁচ, দরমা, বাঁশের মই, দরজা, বেড়া সবই হচ্ছে। প্রত্যেকটি পণ্য মানুষের নিত্য প্রয়োজনে লাগে। একটা সময় এ রাজ্যের অধিকাংশ জেলায় মানুষের ভিটায় বাঁশগাছ ছিল। এমনকী বহু জায়াগায় বাঁশবাগানও ছিল। তা কমে গিয়েছে। অথচ চাহিদা বাড়ছে। চাষ কমে যাওয়ায় বাঁশের দামও বেড়ে গিয়েছে। হুগলি, হাওড়া, বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ ইত্যাদি জেলাতে বিভিন্ন জাতের বাঁশ দেখা যায়। তবে প্রত্যেক জাতের বাঁশেই বিভিন্ন পণ্য তৈরি হয়। হস্তশিল্পের একটা অন্যতম উপাদান যে বাঁশ তা বলা যেতেই পারে। বর্তমানে এরাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা বাঁশ ভিত্তিক শিল্প গড়ে তুলে জীবিকানির্বাহ করছেন। এজন্য সরকারি সাহায্য ও ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ঋণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যুক্ত হয়েছে অসংখ্য মহিলা। বহু পরিবার আছেন, যাঁরা এই শিল্পের ওপরই নির্ভরশীল। বাড়িতে বসেই হাতের সুন্দর কারুকার্য দ্বারা বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করছেন। ওই সমস্ত সামগ্রী ব্যবসায়ীরা বাড়িতে এসেই কিনে নিচ্ছেন। নতুবা নিকটবর্তী হাট বাজারে গিয়ে বিক্রি করছেন।

বাঁশশিল্পের সঙ্গে যুক্ত বেচারাম আদক, মদন ধাড়া, সজল আদকরা জানালেন, এই শিল্পেরএকটা বড় বাজার আছে। তৈরি মালপত্রের চাহিদা বাড়ছে। উপযুক্ত দামও মিলছে। সরকার একটু চিন্তাভাবনা করলেই ছোট ছোট শিল্প গড়ে উঠতে পারে। তাতে কর্মসংস্থান হবে বহু যুবক যুবতীর। একটা কুলো তৈরি করে বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১০০-১৫০ টাকায়। প্রতিটি ঝুড়ি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। একটা বাঁশ ১৫০ টাকায় কিনলে এর থেকে ৮০০ টাকার পণ্য বিক্রি করা যেতে পারে।

এদিকে বাঁশ শিল্পের কদর বাড়াতে বিভিন্ন জায়গায় সরকারি ও বেসরকারি ভাবে মেলাও হচ্ছে। আসামের নলবাড়িতে বাঁশশিল্প উন্নয়ণ সমিতি, ধুবড়িতে হস্তশিল্প সমবায় সমিতি, পশ্চিমবঙ্গে লোককারুশিল্প গড়ে উঠেছে। রাজ্যের শিল্পভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁশ ভিত্তিক শিল্পকে রাজ্য সরকার বহু জায়গায় গড়ে তুলে কর্মসংস্থানের পথ খুলে দিতে চাইছে। যাতে মানুষের অর্থনৈতিক দিকটা মজবুত হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন