শুক্রবার | ১লা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ভোর ৫:৪৩
Logo
এই মুহূর্তে ::
মীনাক্ষী সেন-এর বড়োগল্প ‘একটি ভূতের বাড়ির আজগুবি গল্প’ অজ্ঞানতার আঁধার পেরিয়ে আলোর উৎসব : সন্দীপন বিশ্বাস রায় ভিলা ও বিশ্বরূপ মহারাজ (শেষ পর্ব) : কৌশিক মজুমদার ভূত চতুর্দশী — নেত্যকালীর মিরর ইমেজ ও প্রেতলোকের চোদ্দকাহন : প্রলয় চক্রবর্তী কালীপূজার আগের দিনটি চোদ্দবাতি জ্বালানো ও চোদ্দশাক খাওয়ার জন্যে নির্দিষ্ট : অসিত দাস পেঁয়াজের ঝাঁজে গৃহস্থের চোখে জল, সংরক্ষণ কেন্দ্র গড়বে রাজ্য : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় ধনং দেহী ধনতেরাস অ্যান্ড পুরুষালী গয়না : রিঙ্কি সামন্ত এ উৎসবের লগনে : নন্দিনী অধিকারী রায় ভিলা ও বিশ্বরূপ মহারাজ (দ্বিতীয় পর্ব) : কৌশিক মজুমদার কাশীপুরে নয়, দক্ষিণেশ্বরেই শেষ নিঃশ্বাস ফেলতে চেয়েছিলেন ছোট ভট্টাচার্য (শেষ পর্ব) : শংকর ধনতেরাস এখন বাঙালিরও : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী ডাক্তারদের আন্দোলন উপনির্বাচনে ইস্যু নয়, জয় নিয়ে শাসকদল নিশ্চিত : তপন মল্লিক চৌধুরী রায় ভিলা ও বিশ্বরূপ মহারাজ (প্রথম পর্ব) : কৌশিক মজুমদার কাশীপুরে নয়, দক্ষিণেশ্বরেই শেষ নিঃশ্বাস ফেলতে চেয়েছিলেন ছোট ভট্টাচার্য (তৃতীয় পর্ব) : শংকর সেকালের প্রেতচর্চা — শিক্ষিত জনের কাছে থিওসফি : প্রলয় চক্রবর্তী মা কালী যখন মহালক্ষ্মী : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী কাশীপুরে নয়, দক্ষিণেশ্বরেই শেষ নিঃশ্বাস ফেলতে চেয়েছিলেন ছোট ভট্টাচার্য (দ্বিতীয় পর্ব) : শংকর মহাকাব্যে ভেড়ার উল্লেখ : অসিত দাস কাশীপুরে নয়, দক্ষিণেশ্বরেই শেষ নিঃশ্বাস ফেলতে চেয়েছিলেন ছোট ভট্টাচার্য (প্রথম পর্ব) : শংকর রমা একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য ও একাদশী পালনের নিয়মাবলী : রিঙ্কি সামন্ত আশাপূর্ণা দেবী-র ছোটগল্প ‘চাবি’ একে দানা-য় রক্ষা নেই তারওপর ডিভিসি-র ৪২ হাজার কিউসেক জল : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় জগদীশ গুপ্তের গল্প, কিছু আলোকপাত (নবম পর্ব) : বিজয়া দেব চেতনার সমস্যা, সামাজিক অবকাঠামো এবং বলপ্রয়োগ : এরিক ফ্রম, অনুবাদ ফাতিন ইশরাক বারবার ভিলেন সেই বঙ্গোপসাগর : তপন মল্লিক চৌধুরী নতুন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ রাখাইন পরিস্থিতি ও বাংলাদেশের উদ্যোগ : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন ‘দানা’ থেকে ভয় পাবেন না, সতর্ক থাকুন, মোকাবিলায় রাজ্য সরকার প্রস্তুত : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় সই বা বন্ধুত্ব স্থাপনের উৎসব সয়লা : রিঙ্কি সামন্ত প্রথম পাঠ — “নিশিপালনের প্রহরে” নিয়ে, দুয়েকটি কথা : সোনালি চন্দ বৃহন্নলার অন্তরসত্তা : নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই দীপাবলি এবং কালীপুজোর আন্তরিক শুভনন্দন।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

ট্রেড এন্ড কমার্সিয়াল অর্গানিজেশন ইন বেঙ্গল : সুশীল চৌধুরী (৫৭ নং কিস্তি), অনুবাদ : বিশ্বেন্দু নন্দ

বিশ্বেন্দু নন্দ / ২২২ জন পড়েছেন
আপডেট মঙ্গলবার, ৩০ মে, ২০২৩

ট্রেড এন্ড কমার্সিয়াল অর্গানিজেশন ইন বেঙ্গল ১৬৫০-১৭২০, উইথ স্পেশাল রেফারেন্স টু দ্য ইংলিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি

ষষ্ঠ অধ্যায়

চিনি, সুতো এবং অন্যান্য রপ্তানি পণ্য

১৬৮০ থেকে ব্রিটিশ কোম্পানি শুধু সুতি, রেশম বা মেলানোমেশানো কাপড়ের ব্যবসা করত তাই নয়, তারা একই সঙ্গে প্লাশ (ভেলভেটের মত কাপড়), স্যাটিন, কাঁথারও ব্যবসা করত। ১৬৮১-র এপ্রিলে কর্তারা হুগলী এজেন্সিকে লিখলেন, তাঁতিদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা ব্যবহার করে আরও মিহি, উন্নত, দীর্ঘদিন টিকতে পারে এমন প্লাস, ভেলভেট, স্যাটিন তৈরি করতে নির্দেশ দাও; এটা খুব কঠিন কাজ নয়, কাজটা রেশম সুতোতেও হতে পারে কেননা করা মহিলাদের অনেক শস্তায় কাজ করিয়ে নিতে পারবে (ডিবি, ২২ এপ্রিল, ৮৯ খণ্ড, ৩৩১)।

সেই বছর ডিসেম্বরে ফ্যাক্টরদের বলা হল, ইংলন্ডে বহুল ব্যবহৃত ফ্লান্ডার এবং ফরাসী ডায়াপার, বাঙলার তাঁতিদের দিয়ে তৈরি করিয়ে নিতে কারণ বিশ্বের কোনও এলাকায় এত সহজ শর্তে কাজ করা যায় না, এবং এতে আমাদের দেশের সুবিধে হবে, আমাদের লাভ বাড়বে এবং যদি ভারতীয় ডায়াপার, টেবলকাপড় এবং ন্যাপকিন এদেশে আনিয়ে নিতে পারি তাহলে ব্রিটিশ জাহাজের চলাচল আরও বাড়বে (ডিবি, ৩০ ডিসে, ১৬৮১, ৮৯ খণ্ড, ৪৩৭)। পরের বছর কোম্পানি বাঙলার কুঠিয়ালদের বছরে ৫০০ রেশমের কাঁথা তৈরি করানোর নির্দেশ দেয়, সেটা ইংলন্ডে কম্বল এবং গাঢাকা (র‍্যাগস এন্ড ব্ল্যানকেট) হিসেবে ব্যবহার হতে পারে এবং এই পরিমানটা আমাদের নির্দেশমত বাড়তে পারে কারন এতে আমাদের জাতির সুবিধে হবে (ডিবি, ৫ জুলাই ১৬৮২, ৯০ খণ্ড, ৭)। একই চিঠিতে কর্তারা কুঠিয়ালদের লিখলেন, আপনাদের (বে) অঞ্চলে, lockrams, dowlas, Holland-এর মত বৈদেশিক সেইলক্লথ করিয়ে নিতে পারেন, যেটা বিভিন্ন দেশ ফ্রান্স, জার্মানি, ফ্লান্ডার্স এবং হল্যান্ড থেকে আমদানি করে, সেই কাপড় বাংলা থেকে করিয়ে নিতে পারলে আমাদের এবং তাদের সম্পদ প্রভূত পরিমানে বৃদ্ধি পাবে, তবে এতে ব্রিটিশ নৌচলাচলে সুবিধে হবে না (প্রাগুক্ত)।

এই উদাহরণগুলি থেকে পরিষ্কার কোম্পানি যে কোনও উপায়ে বাঙলার তাঁত শিল্পের কাঠামোকে কাজে লাগিয়ে তাদের ব্যবসা যতটা পারা যায় বাড়িয়ে নিতে চাইছিল।

আগে আমরা বলেছি, রেশম কাপড়, বিশেষ করে তাফেতা সপ্তদশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে কোম্পানির বাংলা রপ্তানি ব্যবসায় খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছে। ১৬৮৪তে কর্তারা হুগলীর এজেন্ট এবং কুঠিয়ালদের লিখল, ভারতের সাধারণ মানুষ সাধারণ তাফেতার ব্যবহার করে, কিন্তু তোমরা আমাদের যথেষ্ট পরিমানে সেই কাপড় পাঠাতে পারছ না (ডিবি ৩০ অক্টোবর ১৬৮৪, ৯০ খণ্ড, ৩৮২)। একই স্বরে চার বছর পরে কোম্পানির কর্তারা লিখল, তোমরা যে গুণমানের তাফেতা পাঠাও সেটা দারুণ পণ্য, কিন্তু সেগুলোর ভালগুলি এবং যথেষ্ট পরিমান আমাদের পাঠাতে পারছ না (ডিবি ২৭ আগস্ট ১৬৮৮, ৯১ খণ্ড, ৫৭৫)। একমাত্র অষ্টাদশ শতকের ১৭০০ সালের আইনি নিষেধাজ্ঞার ফলে কোম্পানির রপ্তানি বাণিজ্যে এই মেলানোমেশানো কাপড়ের রমরমা শেষ হয় (১৭০০ সালের আইনে বলা হল যে, ১৭০১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে বাঙলার যত রেশম উৎপাদন এবং অন্যান্য দ্রব্য যা রেশম বা এই ধরণের সুতো দিয়ে প্রস্তুত, বা যা পারস্য, চিন, এবং ইস্ট ইন্ডিজে উৎপাদিত এবং সব ধরণের ক্যালিকো, ছাপা, রঙ করা, ছবি আঁকা বা ছোপানো, যা ইংলন্ড, ওয়েলস, টুইডের বারউইক শহরে আনীত হয়, সেগুলি কেউ পরিধান বা ব্যবহার করতে পারবে না, যাদের এটি বিক্রি করতে দেখা যাবে, তাদের ২০০ পাউন্ড জরিমানা হবে, ডিবি ৯৩ খণ্ড, ২৭১)। কিন্তু ব্রিটেনের জাতীয় স্তরজুড়ে বিপুল পরিমানে রেশম এবং টুকরোকাপড়ের পণ্য আমদানি এবং দেশিয় উৎপাদনে সেগুলির প্রভাব নিয়ে বিতর্ক ঘণীভূত হয়ে উঠছিল। ব্রিটেনে বিপুল পরিমানে ভারতীয় রেশম এবং অন্যান্য পণ্য আমদানির বিরুদ্ধতা কোন স্তরে পৌঁছেছিল কেন কিভাবে কোম্পানি সেই বিতর্ক সামাল দিল, সেই বিশদ বিবরণে আমরা এখন প্রবেশ করব না, কারণ এটি নিয়ে শাফাত আহমেদ খান আলোচনা করেছেন বিশদে (এস এ খান, ইস্ট ইন্ডিয়া ট্রেড ইন দ্য সেভেন্টিন্থ সেঞ্চুরি)। তাই আমরা কিছু মন্তব্য করে দেখাতে চেষ্টা করব কিভাবে ভারতীয় রেশম উৎপাদন ইংলন্ডে বিরুদ্ধতার মুখে পড়েছিল এবং কোম্পানি কিভাবে সেই সমস্যা সামাল দিল।

১৬৭৭ সালে ভারত থেকে বিপুল পরিমান আমদানির নিয়ে ইংলন্ডে বিপুল প্রতিবাদ উঠছিল। প্রতিবাদীদের বক্তব্য ছিল, যে পণ্য আমাদের দেশের সব থেকে বেশি শিল্প, কাজ ধ্বংস করছে, সেটি হল ক্যালিকো, যা আমাদের পশম এবং তার সঙ্গে ব্যবহার্য অন্যান্য জিনিসের ব্যবহার কমিয়ে দিচ্ছে (এস এ খানের কইতে কর্নেল বিরচের উদ্ধৃতি, ১৬৩)। ১৬৮০-তে একইভাবে একজন রাজনৈতিক চটি লেখক বলার চেষ্টা করলেন কিভাবে বিপুল পরিমানে আমদানি করা ভারতীয় রেশম পণ্য দেশের রেশম কারিগর আর শিল্পকে ধ্বংস করছে এর ফলে গুরু স্থানীয় কারিগরেরা ভেঙ্গেপড়ছে; সহায়কেরা পালিয়ে যাচ্ছে, ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ মিন্ট এবং সুবিধেজনক এলাকায় চলে যাচ্ছেন; কেউ হল্যান্ডে যাচ্ছেন; কেউ বা আয়ারল্যান্ডে। অনেকেই খেতে না পেয়ে তাদের বউ বাচ্চা নিয়ে দেশে মৃত্যুর দিন গুনছেন। গরীবের ওপর আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে। বাড়িঘর খালি। জেলখানা ভর্তি (এস এ খানের প্রাগুক্ত বইতে উদ্ধৃত, ১৫৯)।

সমান্তরালভাবে ইংলন্ডে কোম্পানির কর্তারা কোরা রেশমের আমদানি অধিকার বজায় রাখতে নিজেদের কাজকে সমর্থন করার চেষ্টা করে চলেছে। তাদের বক্তব্য, এই বিপুল পরিমান আমদানির একাংশ আবার নতুন করে জাহাজ বাহিত হয়ে ফ্রান্স, হল্যান্ড এবং অন্যান্য দেশে রপ্তানি হয়ে যায়। কোম্পানি বলল বিশ্বের যে কোন এলাকার থেকে আমদানি করা কোরা রেশমের থেকে তাদের আমদানি করা কোরা রেশম সব থেকে শক্ত, শস্তা, এবং দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহারযোগ্য। তারা বলল দেশের রেশম উৎপাদকেরা শুধু তাদেরই আমদানিতে সমস্যা দেখে, কিন্তু ফ্রান্স ইতালি থেকে রেশম আমদানিতে তাদের কোনও বক্তব্য নাই। শেষ অবদি কোম্পানি স্বীকার করতে বাধ্য হল, যে কোনও প্রকার কোরা রেশম ইংলন্ডের রেশম উৎপাদনে কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলেছে (চাইল্ড, দ্য ইন্সট ইন্ডিয়া ট্রেড ইজ দ্য মোস্ট ন্যাশনাল অব অল ফরেন ট্রেডস, ১৬৮১, ইন্ডিয়া অফিস লাইব্রেরি ট্রাক্টস, ৮৩ খণ্ড, ট্রাক্ট সংখ্যা ১, ১৮-১৯; টার্কি এন্ড কোংর অভিযোগের উত্তরে বলা কথা, এস এ খানের প্রাগুক্ত বইতে উদ্ধৃত, ১৫৮-৫৯)। (চলবে)


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন