শুক্রবার | ১লা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ভোর ৫:২৯
Logo
এই মুহূর্তে ::
মীনাক্ষী সেন-এর বড়োগল্প ‘একটি ভূতের বাড়ির আজগুবি গল্প’ অজ্ঞানতার আঁধার পেরিয়ে আলোর উৎসব : সন্দীপন বিশ্বাস রায় ভিলা ও বিশ্বরূপ মহারাজ (শেষ পর্ব) : কৌশিক মজুমদার ভূত চতুর্দশী — নেত্যকালীর মিরর ইমেজ ও প্রেতলোকের চোদ্দকাহন : প্রলয় চক্রবর্তী কালীপূজার আগের দিনটি চোদ্দবাতি জ্বালানো ও চোদ্দশাক খাওয়ার জন্যে নির্দিষ্ট : অসিত দাস পেঁয়াজের ঝাঁজে গৃহস্থের চোখে জল, সংরক্ষণ কেন্দ্র গড়বে রাজ্য : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় ধনং দেহী ধনতেরাস অ্যান্ড পুরুষালী গয়না : রিঙ্কি সামন্ত এ উৎসবের লগনে : নন্দিনী অধিকারী রায় ভিলা ও বিশ্বরূপ মহারাজ (দ্বিতীয় পর্ব) : কৌশিক মজুমদার কাশীপুরে নয়, দক্ষিণেশ্বরেই শেষ নিঃশ্বাস ফেলতে চেয়েছিলেন ছোট ভট্টাচার্য (শেষ পর্ব) : শংকর ধনতেরাস এখন বাঙালিরও : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী ডাক্তারদের আন্দোলন উপনির্বাচনে ইস্যু নয়, জয় নিয়ে শাসকদল নিশ্চিত : তপন মল্লিক চৌধুরী রায় ভিলা ও বিশ্বরূপ মহারাজ (প্রথম পর্ব) : কৌশিক মজুমদার কাশীপুরে নয়, দক্ষিণেশ্বরেই শেষ নিঃশ্বাস ফেলতে চেয়েছিলেন ছোট ভট্টাচার্য (তৃতীয় পর্ব) : শংকর সেকালের প্রেতচর্চা — শিক্ষিত জনের কাছে থিওসফি : প্রলয় চক্রবর্তী মা কালী যখন মহালক্ষ্মী : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী কাশীপুরে নয়, দক্ষিণেশ্বরেই শেষ নিঃশ্বাস ফেলতে চেয়েছিলেন ছোট ভট্টাচার্য (দ্বিতীয় পর্ব) : শংকর মহাকাব্যে ভেড়ার উল্লেখ : অসিত দাস কাশীপুরে নয়, দক্ষিণেশ্বরেই শেষ নিঃশ্বাস ফেলতে চেয়েছিলেন ছোট ভট্টাচার্য (প্রথম পর্ব) : শংকর রমা একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য ও একাদশী পালনের নিয়মাবলী : রিঙ্কি সামন্ত আশাপূর্ণা দেবী-র ছোটগল্প ‘চাবি’ একে দানা-য় রক্ষা নেই তারওপর ডিভিসি-র ৪২ হাজার কিউসেক জল : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় জগদীশ গুপ্তের গল্প, কিছু আলোকপাত (নবম পর্ব) : বিজয়া দেব চেতনার সমস্যা, সামাজিক অবকাঠামো এবং বলপ্রয়োগ : এরিক ফ্রম, অনুবাদ ফাতিন ইশরাক বারবার ভিলেন সেই বঙ্গোপসাগর : তপন মল্লিক চৌধুরী নতুন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ রাখাইন পরিস্থিতি ও বাংলাদেশের উদ্যোগ : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন ‘দানা’ থেকে ভয় পাবেন না, সতর্ক থাকুন, মোকাবিলায় রাজ্য সরকার প্রস্তুত : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় সই বা বন্ধুত্ব স্থাপনের উৎসব সয়লা : রিঙ্কি সামন্ত প্রথম পাঠ — “নিশিপালনের প্রহরে” নিয়ে, দুয়েকটি কথা : সোনালি চন্দ বৃহন্নলার অন্তরসত্তা : নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই দীপাবলি এবং কালীপুজোর আন্তরিক শুভনন্দন।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

কোভিড কালের জুলুম-তন্ত্র — বামেদের মুখে কেন শাসকের বুলি? (শেষ কিস্তি) : ক্রিস আর, ভাষান্তর: ড. গৌতম দাস

ড. গৌতম দাস / ২৩৬ জন পড়েছেন
আপডেট সোমবার, ২৭ মার্চ, ২০২৩

এইসব বামেদের ধিক!

সমসাময়িক কালের প্রেক্ষাপটে যে অপূর্ব ইতিহাস রচিত হচ্ছে সেই প্রক্রিয়া থেকে বামেরা নিজেদের সম্পূর্ণভাবে বিযুক্ত রেখেছে। গণআন্দোলনের এমন অভিনব এবং সৃষ্টিশীল প্রকাশভঙ্গি দেখেও গত তিন বছরে তাদের হতশ্রী অবস্থার কোন পরিবর্তন হয়নি। যে লক্ষ লক্ষ জনতা ক্রোধে গর্জে উঠেছেন, অন্যদের সংগঠিত করেছেন কিংবা পথে প্রান্তরে নেমেছেন- তাদের অনেকেই এই প্রথমবার জীবনে কোন আন্দোলনের শরিক হয়েছেন। নতুন আঙ্গিকে ভাবনার একটি রোমাঞ্চকর ঢেউ বয়ে যাচ্ছে।

বিশ্বব্যাপী স্বাধীনতার আন্দোলন যতই বিক্ষিপ্ত এবং বিচিত্র মুখী হোক না কেন, বিপ্লবের তত্ত্বে এবং অনুশীলনে যারা আস্থাশীল তাদের কাছে এক শিক্ষণীয় বিষয় হয়ে থাকছে। কোটি কোটি মানুষ জেগে উঠেছেন এবং আমাদের বিশ্বাস তারা আর কখনো পুরনো পন্থার ভাবনায় ফিরে যাবেন না। এসবই কিন্তু ঘটছে বামপন্থার কাল্পনিক গণ্ডির বাইরে গিয়ে।

যখন বাইরের পৃথিবীতে নতুন এক বিপ্লবী সম্ভাবনা জন্ম নিচ্ছে তখন বামেরা তাদের চিরাচরিত আদব কায়দায় নিশ্চল রয়েছেন। তাদের পরিচিত আদব কায়দা এখন শত ছিন্ন, ক্লান্ত এবং বিচ্ছিন্ন ও বিপর্যস্ত।

ইতিহাসের কি নির্মম পরিহাস যে  চক্রান্ত তত্ত্বের সমর্থক বলে নিন্দিত দা লাইট পত্রিকা এখন অবিসংবাদিতভাবে মুক্তমনা, উজ্জীবিত, সাহসী, প্রেরণার উৎস এবং সর্বোপরি সঠিক অর্থেই বৈপ্লবিক। বামপন্থী পত্র-পত্রিকার চেয়ে তাদের পাঠক সংখ্যা এখন অনেক অনেক বেশি। শাসক শ্রেণী সম্পর্কে তাদের বিশ্লেষণ অনেক বেশি নিখুঁত এবং ধারালো।

মর্নিং স্টার এবং সোশ্যালিস্ট ওয়ার্কার এর মত বামপন্থী পত্রপত্রিকাগুলি সাধারণত যেসব বিষয় নিয়ে কখনোই লেখেনা সেগুলো হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, ডিজিটাল মুদ্র্‌ যন্ত্র-কুশলীদের একনায়কত্ব, মেডিকেল ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স এবং ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম। তারা কখনো অর্থনৈতিকভাবে বিশ্লেষণ করে দেখায়নি কোভিড প্রকল্পের অর্থনৈতিক বনিয়াদ কি ছিল।

কখনোই বলা যাবে না মূল ধারার দ্য গার্ডিয়ান, দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট অথবা বিবিসির থেকে এই বামেরা অনেক বেশি প্রগতিশীল।

একটি নতুন প্রজন্মের সাংবাদিক , বিশ্লেষক এবং ভাষ্যকাররা উঠে আসছেন যারা বর্তমান বিশ্বের দ্রুত পরিবর্তনশীল পরিস্থিতি নিয়ে অত্যন্ত মূল্যবান এবং তথ্যসমৃদ্ধ প্রতিবেদন তুলে ধরছেন। দেখার বিষয় হল এই নতুন প্রজন্মের বুদ্ধিজীবীদের কেউই বামপন্থার চিরাচরিত দৃষ্টিভঙ্গির কাছে দায়বদ্ধ নয়। শ্রেণী সংগ্রামে তারা কতটা আছেন বা নেই এইরকম সেকেলে ভাবনা থেকে তারা মুক্ত।

বর্তমানে শিল্পক্ষেত্রে যে অসন্তোষ এবং সক্রিয় প্রতিবাদ দেখা যাচ্ছে, প্রধানতঃ তার মূলে রয়েছে সেই উন্মত্ত রাষ্ট্রীয় নীতি যাকে বামেরা ২০২০ সাল থেকেই সমর্থন করে আসছে। তিন বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। ইতিমধ্যেই অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। আধুনিক কালের ইতিহাসে শ্রমিক শ্রেণীর বিরুদ্ধে সর্ববৃহৎ আক্রমণের উত্তরের বামেরা তাদের লাল টুপির বদলে আনুগত্যের নীল মুখোশ মুখে এঁটে নিয়েছে। বিচার বিবেচনার এই ধ্বংসাত্মক ভুলের পর প্রশ্নটা থাকছে না বামেদের পুনর্জাগরণ হবে কিনা। বরং প্রশ্নটা থেকে যাচ্ছে এইভাবে তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা উচিত হবে কিনা।

মূল ইংরাজী নিবন্ধের লিঙ্কঃ

https://leftlockdownsceptics.com/the-left-and-covid-part-i-reflections-on-a-catastrophe/


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন