নাচের জন্য স্টেজ রেডি করার সময়টুকুতে মহুল নাচের ড্রেসেই স্টেজে উঠেছিল আবৃত্তি করতে। স্টেজ থেকে নামতেই দিগন্ত এগিয়ে এসে মহুলের কানে বলল, “শোন্, এবার থেকে তুই আবৃত্তিটাই করিস। নাচ করার দরকার নেই।
ক্লাস এইটে পড়া মহুল অবাক হয়ে দিগন্তর দিকে তাকায়। বলে, “মানে?”
— “ধর্ আমি বললাম তাই!”
— “তোমার কথা শুনতে আমার ভারি বয়েই গেছে” বলেই মহুল চলে যায় পরবর্তী নাচের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে।
প্রতিবছর মহুলদের বাড়ির এই হলঘরেই রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করে পাড়ার ছেলেমেয়েরা। এই ঘরটা নাকি একসময় সরকারী প্রাথমিক স্কুল ছিল। পরে তা উঠে গেলেও নামটা ইস্কুলঘর হিসেবেই থেকে যায়।
সময় বয়ে চলে। অল্পদিনের ব্যবধানে দিগন্তর মা বাবা দুজনেই মারা যান। রেলে চাকরি পেয়ে ও এখন পুরুলিয়ায় থাকলেও সময় পেলেই চলে আসে মা-বাবার স্মৃতি জড়ানো বাড়িতে। আজ বাবার বাইকটা নিয়ে মোটর-গ্যারেজের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিল সার্ভিসিং করানোর জন্য। পথে মহুলকে দেখেই দাঁড়িয়ে পড়ে ও। মহুল কলেজে যাচ্ছে। দিগন্ত দেখে ঘন নীল শাড়ি, হাল্কা মুক্তোর গয়না আর লিপস্টিকে আজ ও অপরূপা। ডাক দেয় মহুলকে, “এ্যাই, এদিকে শোন্”।
কাছাকাছি এলে বলে, “এমন শাঁকচুন্নী সেজে চললি কোথায়?” হঠাৎ এমন কথায় মহুল ভ্যাবাচ্যাকা খায়। ওর হতভম্ব মুখের দিকে তাকিয়ে দিগন্ত মজা পায়। বলে, “জিন্স-কুর্তি আর চোখের নীচে ধ্যাবড়ানো কাজলেই তোকে বেশি ভালো লাগে!” মহুল ভুরু কুঁচকে অবাক হয়ে দিগন্তর দিকে তাকিয়ে থাকে। তারপর বলে, “কি ব্যাপার বলোতো দিগন্তদা? হঠাৎ এমন তারকাটা হয়ে গেলে কি করে? রেলের চাকরি ছেড়ে বলিউডে মেকআপ আর্টিস্টের কাজ নিয়েছ নাকি?”
— “তা এখনো নিইনি, তবে তোর যা ড্রেসিং সেন্স দেখছি তাতে তুই রাজী থাকলে তোর মেকআপ মেন্টর হতেই পারি!” দিগন্ত হাসতে থাকে।
ওর ফিচেল হাসিতে মহুলের পা থেকে মাথা পর্যন্ত জ্বলতে থাকে। “আয়নায় নিজেকে কখনো দেখেছ?” বলেই যাওয়ার জন্য পা বাড়ায় ও।
“শোন্ মহুল, চোখের নীচের কাজল যে পড়ে সে দেখতে পায় না। যে দেখে, সে কাজল শুধু তার জন্যই, বুঝলি!” বলেই বাইকে স্টার্ট দিয়ে হাওয়া।
***
ভূমি আর মহুলের অপেক্ষায় আধঘণ্টা ধরে কলেজগেটে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে ওরা ধৈর্য্যহারা। ওরা বেশ কয়েকবার দুজনকেই ফোন করেছে; মহুল ফোন ধরছে না আর ভূমি “আসছি” বলেই ফোন কেটে দিয়েছে। ওরা মানে শ্রী, মৌপিয়া আর আগাথা। গতকাল কলেজ কেটে ওরা সিনেমা দেখতে গিয়েছিল। হিরো প্রভাস মানেই এই পঞ্চকন্যার হৃদয়ের লাবডুব শব্দ। সুতরাং সেই সিনেমার সালতামামি না করলে চলে! তাই আজ আবারও কলেজ কেটে কোনও একটা মলে যাওয়া হবে। খানিক খাওয়াদাওয়া আর দেদার আড্ডার প্ল্যান নিয়ে অপেক্ষা করতে করতে বিরক্ত হয়ে মৌপিয়া বলল, “চল্ ক্লাসে যাই। এভাবে দাঁড়িয়ে থাকার চেয়ে ক্লাসের লাস্ট বেঞ্চে বসে হাই তোলা ঢের ভালো। ওর কথায় শ্রী হেসে ওঠে। আগাথা ওদের চুপ করিয়ে দিয়ে বলে, “ওই দেখ্, মহারাণী আসছে।” হন্তদন্ত হয়ে মহুল এসেই ফেটে পড়ে রাগে, “এই, তোরা ঠিক করে বলতো আমাকে কি দেখতে শাঁকচুন্নীর মতো লাগছে?” কি হয়েছে ঠিক বুঝতে না পেরে ওরা এ ওর মুখের দিকে তাকায়। আগাথা ওর পিঠে হাত রেখে বলে, “কি হয়েছে তোর?”
মহুল কলেজে আসার পথে যা হয়েছে তার সবটাই বলে। ওর কথা শুনে সবাই হইহই করে ওঠে, দিগন্ত তো তোর প্রেমে পড়েছে রে। মহুল রেগে ওঠে, “বাজে বকিস না তো! সব ব্যাপারে ওর জ্যাঠামি আমার সহ্য হয় না। দাদার বন্ধু বলে এতদিন সহ্য করেছি, কিন্ত এবার একটা হেস্তনেস্ত করেই ছাড়ব।” ওর কথায় আগাথা ঊচ্ছ্বসিত হয়ে বলে, “একদম ঠিক বলেছিস ভাই। আমরাও চাই এসবের মীমাংসা হোক। পার্ট টু পরীক্ষার আগেই তোর একটা হিল্লে হোক। তাহলে কলেজের এইসব পরীক্ষা তোর জীবনে আর ম্যাটার করবে না।” শ্রী কলকলিয়ে ওঠে, “বন্ধুগণ, আগামীকাল আমরা কলেজ কেটে মহুল আর দিগন্তের সম্পর্কের রসায়ন খোঁজার চেষ্টা করব।”
আসলে ক্লাস ফাঁকি দেওয়ার যেকোন একটা অজুহাত ওদের চাই। কলেজ ওদের কাছে আড্ডার ঠেক। মাঝেমধ্যে ক্লাসে মুখ দেখিয়ে মা সরস্বতীর সঙ্গে সম্পর্ক টিঁকিয়ে রাখে। ওদের জীবন জুড়ে সিনেমা, শপিংমল আর মাঝেমধ্যে খুচরো প্রেম। একমাত্র ভূমিরই স্টেডি বয়ফ্রেণ্ড আছে। তাছাড়া বাকি চারজন দুমদাম প্রেমে পড়ে আর কয়েকদিনের মধ্যেই তাতে ইতি টানে।
মহুলকে আরও একটু রাগাতে মৌপিয়া বলে, “যাই বলিস ভাই, দিগন্তদার মতো হ্যাণ্ডুকে পেলে আমি ঠিক ঝুলে পড়ব।” মহুল চোখে আগুন ঝরিয়ে কিছু একটা বলতে যায় আর ঠিক তখনই ভূমি এসে জড়িয়ে ধরে বন্ধুদের। বলে, “আজ আমি খুব খুশি। অনেক টানাপোড়েনের পর আমার আর সুগতর সম্পর্ক আমাদের দুই বাড়িতেই মেনে নিয়েছে।”
আগামীকালের জন্য মহুলের সমস্যা মুলতবি রেখে ভূমির খুশিতে মেতে ওঠে ওরা। ভূমি জানায় আগামী মাসে ওর বিয়ে। তারপরেই ও চলে যাবে সুগতর কর্মস্থল সুদূর কানাডায়। বন্ধু বিচ্ছেদের সম্ভাবনায় ওদের মন ভারি হলেও পড়াশোনা আর পরীক্ষার মতো সাংঘাতিক জিনিসের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনায় ভূমির আনন্দে ওরা খুশি হয়।
***
ছেলে পিয়াল আর মেয়ে মহুলকে নিয়ে সুতপার ছোট্ট সংসার। স্বামীর অকালমৃত্যুর পর একার হাতেই ছেলেমেয়েকে মানুষ করার চেষ্টা করে চলেছেন। পিয়াল একটা সরকারী স্কুলে চাকরি পাওয়ার পর একটু যেন স্বস্তি মিলেছে। তবুও মহুলকে নিয়ে একটা চাপা উদ্বেগ কাজ করে সুতপার মনে। মহুল পড়াশোনায় মনোযোগী না হলেও বরাবর এক ক্লাস থেকে আর এক ক্লাসে উতরে গেছে। কিন্তু কলেজে ভর্তি হওয়ার পর থেকে পড়াশোনার প্রতি আগ্ৰহ যেন একেবারেই কমে গেছে। এখন ভালোয় ভালোয় মেয়েকে পাত্রস্থ করতে পারলেই বাঁচেন। ভূমি এসে ওর বিয়ের নেমন্তন্ন করে যাওয়ার পর থেকে কেবলই মেয়ের বিয়ের চিন্তা মাথায় পাক খাচ্ছে।
আজ না ডাকতেই মহুল খাবার টেবিলে এসে গেছে। রাতের খাবারটা ওরা একসাথেই খায়। ছেলেমেয়েকে খাবার বেড়ে দিয়ে সুতপাও নিজের খাবারটা নিয়ে ওদের সঙ্গেই বসে পড়েন। সারাদিনের জমে থাকা গল্পে আড্ডায় জমে ওঠে খাবার টেবিল। মহুল সুযোগ পেলেই মা আর দাদাকে বন্ধুদের কাল্পনিক বিয়ের গল্প শোনায়। আজ ও ভূমির বিয়ে নিয়ে ঊচ্ছ্বসিত। পিয়াল আজ আর চুপ থাকতে পারে না। বলে, “তোদের গোটা কলেজই তো দেখছি বিবাহিত।” ছেলের কথায় সুতপা হেসে ফেলে বলেন, “না রে, সত্যিই ভূমির বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। আজ এসেছিল নেমন্তন্ন করতে।” মহুল কটমটিয়ে দাদার দিকে তাকায়। পিয়াল বলে, “শোন্ মহুল, পড়াশোনা শেষ করে নিজের পায়ে না দাঁড়ানো পর্যন্ত তোর বিয়ের কথা মাথাতেও আনিস না।” দাদাকে মুখ ভেঙিয়ে টেবিল ছেড়ে উঠে যায় ও।
***
আজকাল মহুলদের বাড়িতে দিগন্তের আসা-যাওয়া যেন একটু বেশিই। পিয়াল বাড়িতে থাকলে তো কথাই নেই, মাঝে মাঝে অন্যসময়েও “কাকীমা” বলে হাঁক দিয়ে বাড়িতে ঢুকে পড়ে। ছোট থেকে একই পাড়ায় বড়ো হওয়া ছেলের বন্ধুকে সুতপাও স্নেহ করেন। মিষ্টি স্বভাবের মাতৃপিতৃহীন ছেলেটাকে আগলে রাখতে ইচ্ছে করে। কিন্তু ওর এই গায়েপড়া স্বভাবকে মহুল মোটেই পছন্দ করে না বরং এড়িয়েই চলে।
ভূমির বিয়ের দিন সকাল সকাল সেজেগুজে তৈরী হয়ে ইস্কুলঘরে এসে মহুল চিৎকার করে, “মা আসছি।” ভেতর থেকে সুতপা উত্তর দেন, “একটু দাঁড়া।” তারপরই রান্নাঘর থেকে আঁচলে হাত মুছতে মুছতে বেরিয়ে এসে মেয়ের দিকে তাকিয়ে বলেন, “কপালে একটা টিপ পড়। তাহলেই সাজটা ঠিকঠাক হবে।” মহুল মাকে জড়িয়ে ধরে, “তুমি তো জান মা, টিপ আমার না-পসন্দ!” ঠিক তখনই ঘেমেনেয়ে পিয়ালের সঙ্গে ঘরে ঢোকে দিগন্ত। ওদের দেখে সুতপা বলেন, “পাখার নীচে একটু জিরিয়ে নে তোরা। আমি তোদের জন্যে শরবত নিয়ে আসছি।” সুতপা রান্নাঘরে চলে যান। হাতমুখ ধুতে যায় পিয়াল। মহুল মায়ের অনুমতি ছাড়া বেরোতে না পেরে গোঁজ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। ঘরে ঢুকতে ঢুকতেই মহুলের কথাগুলো দিগন্তর কানে গিয়েছিল। খুব আস্তে আস্তে ও বলে, “টিপ ছাড়াই তুই সুন্দর।”
ওর দিকে তাকিয়ে মহুল কেমনযেন চমকে যায়। এমন দৃষ্টি তো ও আগে দেখেনি! ওর ভেতরটা তোলপাড় করতে থাকে। মহুল ধীরে ধীরে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। ভূমির বিয়ের হইহুল্লোড়ের মাঝেও ও যেন কোথায় হারিয়ে যায়। ওই দৃষ্টি সারাটাদিন ঘিরে থাকে ওকে। মনে মনে ভাবে, এমন মুহূর্তের জন্যে বোধহয় সারাজীবন অপেক্ষা করা যায়। বন্ধুরা লক্ষ্য করে ওকে। হাসিঠাট্টার মাঝে খোঁচা দেয়, “কি হয়েছে তোর?” সকালের ঘটনা সবটা বলে ও। ওর অবস্থা দেখে শ্রী, মৌপিয়া, আগাথা হেসেই কুটোপাটি। বলে, “এবারে তুই-ই মরেছিস।”
***
মহুল গড়িয়ে গড়িয়ে শেষপর্যন্ত বি.এ পাশ করেছে। পড়াশোনার প্রতি কোনোরকম ঝোঁক নেই দেখেই সুতপা মেয়েকে পাত্রস্থ করতে উঠেপড়ে লাগেন। একদিন দিগন্ত নিজেই মহুলকে বিয়ে করার প্রস্তাব নিয়ে হাজির হলে সুতপা অমত করেননি। মেয়ের মতটুকু জানার জন্য সময় চেয়ে নিয়েছিলেন। শুধু পিয়াল বলেছিল, “তোরা দুজনে দুজনের চিন্তাধারাকে সারাজীবন সম্মান জানাতে পারবি তো?” দিগন্ত হেসে বলেছিল, “কাউকে ভালোবেসে দেখ্। তাহলেই বুঝতে পারবি।” মহুলের নীরব সম্মতিতে এক শুভদিনে চারহাত এক হয়ে যায়।
***
পুরুলিয়ার রেল-কোয়ার্টাসে মহুল আর দিগন্তের ছোট্ট সংসার। ওদের দুজনেরই বেড়ানোর নেশা। ছুটিছাটায় বেরিয়ে পড়ে এদিক-ওদিক। কিন্তু ওরা মানসিকভাবে ভিন্ন মেরুর বাসিন্দা। বেড়াতে গিয়ে মহুল উত্তেজিত থাকে কোথায় থাকবে, কি খাবে, কি কি কেনাকাটা করবে এসব নিয়ে। ওর কাছে জীবন মানেই ঝাঁ-চকচকে ব্যাপার; অন্যদিকে দিগন্তর কাছে বেড়ানো মানে সেখানকার মানুষজনের সাথে মেলামেশা করা, স্থানীয় খাবার, লোকাচারের সাথে পরিচিত হওয়া অর্থাৎ নতুন জায়গার সাথে নিজেকে মিশিয়ে নেওয়া। এ ব্যাপারে মহুলের সাথে মতের অমিল হলেও দিগন্ত কখনোই ওকে বুঝতে দেয় না। ফলে বাইরে থেকে একসাথে ঘুরে আসার পর কয়েকটাদিন কিছুটা মনমরা হয়ে থেকে নিজের সাথেই বোঝাপড়া সেরে দিগন্ত আবার ছন্দে ফেরে।
***
অনেকদিন পর দিগন্ত আজ খুব খুশি। সেই কবেকার ধ্যাবড়ানো কাজলে ভাসা বড়ো বড়ো শান্ত চোখের মেয়েটাকে আজ আবার একটু একটু করে খুঁজে পাচ্ছে ও। আজও ওর একমাথা আলুথালু চুলগুলো কোনোরকমে ক্যাচারে আটকানো। অবাধ্য কয়েকটা চুল কপালে লুটোপুটি খেতে খেতে মাঝেমাঝেই ওর গাল ছুঁয়ে দিচ্ছে। ওই দৃষ্টির গভীরতায় ডুবে যাচ্ছে ও। ওরা বেড়াতে এসেছে সেই পাহাড়ে যেখানে রাতগুলো এখনও তাদের কৌমার্য রক্ষা করে চলেছে। কোনো মানুষকে সাথে নিয়ে আজ পর্যন্ত রাত কাটায়নি এ পাহাড়। রোপওয়ে চড়ে পাহাড়ের পর পাহাড় ডিঙিয়ে এখানে এসেছে ওরা। দিনের আলো নেভার আগেই পাহাড়ের শেষ মানুষটাকে নিয়ে ফিরে গেছে রোপওয়ে। রয়ে গেছে ওরা দুজন। পূর্ণিমার রাতে আজ প্রকৃতি সেজেছে শুধু ওদের জন্য। পাহাড়ের পর পাহাড়ের গা বেয়ে জোছনা-ঝোরার বুকে হিমেল হাওয়া রূপকথা শোনাচ্ছে। মনের ওপর মন রেখে কুয়াশার মায়াজালের ওপর জ্যোৎস্না-সরের আল্পনা বিছানো চাদরে নিজেদের মুড়ে নিয়েছে ওরা। পাহাড় থেকে পাহাড় জুড়ে হাওয়ার মোহনবাঁশিতে না-বলা কথাগুলো সুরে সুরে অণুরণিত হয়ে চলেছে। বড় মনকেমন করে। আচ্ছন্ন মহুল জড়িয়ে ধরে দিগন্তকে। মহুলের ঠোঁটে মাখা তরল চাঁদের সুধা আশ্লেষে পান করে দিগন্ত। জীবনের পালে হাওয়া লেগে ভালোবাসার খেয়ায় ভাসতে থাকে ওরা। হঠাৎ কিসের আওয়াজে দিগন্ত সচকিত হয়ে ওঠে।
— “কি গো, কখন থেকে ডাকছি; এই ভরদুপুরে দিবাস্বপ্ন দেখছ নাকি?”
তারপরই আদুরে গলায় আব্দার ঝরে পড়ে, “চলো না গো কমলা ট্রেডার্সে; একটা পিওর কলমকারির তসর সিল্ক কিনব। মাত্র বাইশ হাজার টাকা।”
রবিবারের ভাতঘুমের চটকা ভেঙে দিগন্ত দেখে কোয়ার্টাসের ঘরে ওর সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে মহুল।।
ভাঙ্গনের ইঙ্গিত? ভালই লাগল।
হয়তো ভাঙন, নয়তো বা সমঝোতায় গড়িয়ে চলা। মন্তব্যে আপ্লুত।❤️❤️
এই ভোগবাদ সব নষ্ট করে দিচ্ছে। ভালোবাসা কেও। অতি বাস্তব,সুন্দর গল্প।
একদমই তাই। মন্তব্যে আপ্লুত হলাম। অশেষ ধন্যবাদ❤️❤️