মঙ্গলবার | ৪ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ভোর ৫:২৬
Logo
এই মুহূর্তে ::
নব নব রূপে : নন্দিনী অধিকারী সরস্বতীর বীণা কচ্ছপী ও গজকচ্ছপ বাঙালি বুদ্ধিজীবী : অসিত দাস মহাকুম্ভ উপলক্ষে এবার যে জনপ্লাবন দেখা যাচ্ছে, তা এককথায় অভূতপূর্ব : অসিত দাস মৈত্রেয়ী ব্যানার্জি-র ছোটগল্প ‘আখের রস’ নন্দিনী অধিকারী-র ছোটগল্প ‘সরস্বতী দিদিমণি’ মহাকুম্ভ থেকে মহাদুর্ঘটনা দায় কার : তপন মল্লিক চৌধুরী কুমোরপাড়ার মৃৎশিল্পীরা খুঁজছে মাটির নিরাপত্তা : রিঙ্কি সামন্ত জিবিএস নিয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই, মত চিকিৎসকদের : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় বিন্যাসকে ভিন্নমাত্রায় নিয়ে গেছেন গল্পকার অনিশ্চয় চক্রবর্তী : পুরুষোত্তম সিংহ বিমল কর-এর ছোটগল্প ‘খিল’ মৌনী অমাবস্যায় তৃতীয় শাহি স্নান : রিঙ্কি সামন্ত ঢেঁকি নেই, নেই ঢেঁকিশাল, গ্রামের মানুষের কাছে আজ ইতিহাস : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় টাকা মাটি, মাটি টাকা : দিলীপ মজুমদার মির্জা নাথানের চোখে বাংলার ভুঁইয়াদের হাতি : মাহবুব আলম ভিয়েতনামের গল্প (অষ্টম পর্ব) : বিজয়া দেব ‘জাওয়ানি জানেমান হাসিনা দিলরুবা’র একাকিত্বের কাহিনী (শেষ পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত “কপোতাক্ষ নদ”-এর কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত : আসমা অন্বেষা কৃষ্ণনগরে সর্বধর্ম ভ্রাতৃত্ব সমাবেশ : ড. দীপাঞ্জন দে চোখের ক্যানসার থেকে সাবধান! দিন দিন বাড়ছে, আগাম সতর্কতা জরুরি : ডা. তনুশ্রী চক্রবর্তী রাখাইন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন বিদ্বজ্জনসমাজ ও জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির কবিয়ালের প্রেত : অসিত দাস ষষ্ঠীলা একাদশী বা ষটতিলা একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত একদা বিরুদ্ধরাই আজ নেতাজির স্তুতিগানে সরব : সন্দীপন বিশ্বাস জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির পদবি ঠাকুর থেকে Tagore হওয়ার নেপথ্যকাহিনী : অসিত দাস সুভাষের সুবাসে এখনও ম ম করছে ডালহৌসি শহরের বাতাস — এ এক তীর্থক্ষেত্র : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী তারাভরা তারানাথ (১৮১২-১৮৮৫) : নন্দিনী অধিকারী ‘জাওয়ানি জানেমান হাসিনা দিলরুবা’র একাকিত্বের কাহিনী (প্রথম পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত জোটে ব্রাত্য কংগ্রেস কি দিল্লি ভোটের পর আরও গুরুত্ব হারাবে : তপন মল্লিক চৌধুরী খালাসিটোলা, রবীন্দ্রনাথ ও পঞ্চানন কুশারী : অসিত দাস পীযূষ পাঠ প্রস্তাব : ড. পুরুষোত্তম সিংহ
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ বসন্ত পঞ্চমী ও সরস্বতী পুজোর  আন্তরিক শুভেচ্ছা শুভনন্দন।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

পাম তেল নয়, রাইস ব্র্যান অয়েল

পেজ ফোর, বিশেষ প্রতিনিধি / ২২৬ জন পড়েছেন
আপডেট বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট, ২০২২

ভোজ্য তেলের ব্যবহারে আমাদের দেশ এখন বিশ্বে দ্বিতীয়, বাইরে থেকে সবচেয়ে বেশি ভোজ্য তেল কিনি আমরাই। এই অবস্থাটা বদলে ফেলার জন্য উৎপাদন বাড়ানোর বহু চেষ্টা করেছে দেশ, কিন্তু কিছুই হয়নি। এখনও প্রায় ৬০ শতাংশ ভোজ্য তেল আমরা কিনি, মূলত মালয়েশিয়া আর ইন্দোনেশিয়া থেকে। সবচেয়ে বেশি আমদানি করা হয় পাম তেল। এরপর আছে সয়াবিন এবং সানফ্লাওয়ার তেল। সব মিলিয়ে এ বাজার বাড়ছে। তৈলবীজ উৎপাদন বাড়ানো এবং তেল তৈরির  প্রযুক্তির উন্নতির জন্য অনেক চেষ্টা হয়েছে। ৯০ এর দশকে কিছুটা অগ্রগতিও চোখে পড়েছিল কিন্তু আর্থিক উদারীকরণের ধাক্কায় তা থমকে গেছে। দশম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় তা পুরোপুরি বাতিল হয়ে যায়।

২০২১ এ আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের একটা অংশ হিসেবে ১১ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প ‘ন্যাশনাল এডিবল অয়েল মিশন — অয়েল পাম’ ঘোষিত হয়। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ এবং ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অয়েল পাম রিসার্চ এর রিঅ্যাসেসমেন্ট কমিটি অয়েল পাম চাষের জন্য প্রায় ২.৮ মিলিয়ন হেক্টর জমি লাগবে বলে জানায়। সংশ্লিষ্ট চাষিদেরও জানানো হয় সরকার তাদের কাছ থেকে ন্যায্য মূল্যে সব উৎপাদন কিনে নেবে। সবই ঠিক আছে, কিন্তু কৃষিবিজ্ঞানীদের একটা অংশ প্রশ্ন তুলেছেন এই চাষে অতিরিক্ত জল লাগে, জমিও লাগে বিস্তর। তাদের মতে, আমাদের চাষিদের অধিকাংশ ক্ষুদ্র কৃষক এবং তাদের জমির পরিমাণও খুব কম, তারা এই চাষে আগ্রহী হবে কেন? যেখানে গোটা কৃষি ব্যবস্থাটাই বৃষ্টি নির্ভর সেখানে এত জল পাওয়া যাবে কী করে?

মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ার মত পাম তেল উৎপাদক দেশগুলিতে জীববৈচিত্র কমছে। তাই এখন অয়েল পাম চাষের জন্য উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলি এবং আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কথা ভাবা হচ্ছে। পাম অয়েলের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ হল রাইস ব্র্যান, বাদাম, সূর্যমুখী, সর্ষে ইত্যাদি ভোজ্য তেলের তুলনায় এর পুষ্টিগুণও কম। তাছাড়া ফলন ইত্যাদির সমস্যার জন্য ভাল পাম তেল উৎপাদন পেতে প্রায় ৭ বছর সময় লেগে যায়। সব থেকে বড় কথা আমাদের দেশে বীজ থেকে উৎপাদিত তেলের বাজার ভাল নয়। উৎপাদকদের তা প্রায়শই নূন্যতম সহায়ক মূল্যের কম দামে বিক্রি করতে হয়।

কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব কারণেই রাইস ব্র্যান অয়েলের বা ধানের তুষ থেকে তৈরি তেলের ওপর বেশি জোর দেওয়া উচিৎ। কারণ তুষে থাকে প্রায় ১৮-২০ শতাংশ তেল, যার থেকে সহজেই ভোজ্য তেল তৈরি করা যায়। এটা সহজপাচ্য এবং ফ্যাট কম। উৎপাদন পদ্ধতিও অনেক সহজ। সবচেয়ে বড় কথা হল ধান যেহেতু আমাদের দেশের প্রধান শস্য তাই তা পাওয়াও সহজ। কাঁচামালের কোন সমস্যাও থাকবে না। যেকোন জায়গায় এই তেল কল খুলে ফেলে যায়। বাজারে চাহিদা থাকায় রাইস ব্র্যান অয়েলের রপ্তানি বাণিজ্যের বাজারও ভাল, বিনিয়োগও কম। এই উদ্যোগে অনেক বেশি কৃষককে যুক্ত করা যায়। তবে তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে সহায়তা দিতে হবে। সঠিক রাস্তায় এগোলে আমাদের ভোজ্য তেলের বাজারে রাইস ব্র্যান অয়েল একটা বড় জায়গা নিতে পারে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন