অধ্যাপক ও ছাত্র-ছাত্রীরা সরাসরি মাঠে গিয়ে কৃষকদের সঙ্গে পালন করল জাতীয় কৃষক দিবস। শনিবার অর্থাৎ ২৩ ডিসেম্বর চাঁপাডাঙা রবীন্দ্র মহাবিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ও ছাত্র-ছাত্রীরা কৃষকদের পাশে থেকে এদিন উৎসাহ ও সচেতনতার বার্তা দিলেন।
উল্লেখ্য, ভারতের জাতীয় কৃষক দিবস কিসান দিবস নামেও পরিচিত। কৃষক দিবস প্রতি বছর ২৩ ডিসেম্বর, ভারতের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী চরণ সিং-এর জন্মদিনে পালিত হয়। যিনি একজন কৃষক নেতাও ছিলেন, তিনি ভারতীয় কৃষকদের জীবন উন্নত করার জন্য অনেক নীতি প্রবর্তন করেছিলেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গেও বিভিন্ন অনুষ্ঠান, আলোচনাচক্র, কু্ইজ, প্রতিযোগিতা, কর্মশালা, প্রদর্শনী, প্রবন্ধ রচনা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দিনটি পালিত হয়।
প্রসঙ্গত, এদিন হুগলির চাঁপাডাঙা রবীন্দ্র মহাবিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. তন্ময় ঘোষ, অধ্যাপক নঈম আহমেদ খান, অধ্যাপক জয়দীপ ঘোষ এবং ছাত্রছাত্রীরা সরাসরি মাঠে চাষিদের সঙ্গে কাজে হাত লাগান। চাষে উৎসাহদান ও সচেতন করেন। তন্ময়বাবু বলেন, কৃষকদের কুর্ণিশ জানাতেই সরাসরি ক্ষেতে আসার উদ্যোগ। তিনি আরও বলেন, ভারতের মেরুদণ্ড কৃষকদের জন্য এই দিনটি উৎসর্গ করা হয়েছে। ভারতের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী চরণ সিংহ-এর জন্মদিন ২৩ ডিসেম্বর। কৃষকদের সুবিধার্থে একাধিক পদক্ষেপ করেছিলেন চৌধুরী চরণ সিংহ। তাঁর আমলেই কৃষকদের দিকটি বিশেষ প্রাধান্য দিয়ে দেখা হয়েছে। খুব কম সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী হয়েই চৌধুরি চরণ সিং কৃষকদের জন্য একাধিক প্রকল্পও শুরু করেন।
উল্লেখ করা যেতে পারে চৌধুরী চরণ সিংহ ১৯০২ সালের ২৩ ডিসেম্বর উত্তর প্রদেশের মিরাট জেলার নুরপুর গ্রামে একটি মধ্যবিত্ত কৃষক পরিবারে জন্ম নেন। তিনি ১৯৭৯-৮০ সালের মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দেশে বেশ কয়েকটি কৃষক-বান্ধব ভূমি সংস্কার নীতি নেন। আমাদের কৃষিপ্রধান দেশে গ্রামীণ জনসংখ্যার অধিকাংশই কৃষক বা কৃষির সঙ্গে যুক্ত। কৃষকদের আত্মত্যাগকে সম্মান জানাতে প্রতি বছর কিষাণ দিবস পালন করা হয়। এই উদযাপনের মুখ্য উদ্দেশ্য হল কৃষকদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।