বৃহস্পতিবার | ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বিকাল ৪:১৫
Logo
এই মুহূর্তে ::
কেন বারবার মণিপুরে আগুন জ্বলে আর রক্ত ঝড়ে : তপন মল্লিক চৌধুরী শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (শেষ পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ হাইপেশিয়া — এক বিস্মৃতপ্রায় গনিতজ্ঞ নারীর বেদনাঘন উপাখ্যান (প্রথম পর্ব) : অভিজিৎ রায় শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (ষষ্ঠ পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ জগদীশ গুপ্তের গল্প, কিছু আলোকপাত (শেষ পর্ব) : বিজয়া দেব শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (পঞ্চম পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ পথিক, তুমি পথ হারাইয়াছ? : দিলীপ মজুমদার শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (চতুর্থ পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (শেষ পর্ব) : দিলীপ মজুমদার শতবর্ষে সঙ্গীতের ‘জাদুকর’ সলিল চৌধুরী : সন্দীপন বিশ্বাস সাজানো বাগান, প্রায় পঞ্চাশ : অমর মিত্র শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (তৃতীয় পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (একাদশ পর্ব) : দিলীপ মজুমদার খাদ্যদ্রব্যের লাগামছাড়া দামে নাভিশ্বাস উঠেছে মানুষের : তপন মল্লিক চৌধুরী মিয়ানমারের সীমান্ত ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রতিবেশী দেশগুলোর উদ্যোগ : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (দ্বিতীয় পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (দশম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার বুদ্ধদেব গুহ-র ছোটগল্প ‘পহেলি পেয়ার’ ‘দক্ষিণী’ সংবর্ধনা জানাল সাইকেলদাদা ক্যানসারজয়ীকে : দিলীপ মজুমদার শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (প্রথম পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (নবম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত-র ছোটগল্প ‘তোমার নাম’ কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (অষ্টম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত-র ছোটগল্প ‘হাওয়া-বদল’ কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (সপ্তম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার প্রবোধিনী একাদশী ও হলদিয়ায় ইসকন মন্দির : রিঙ্কি সামন্ত সেনিয়া-মাইহার ঘরানার শুদ্ধতম প্রতিনিধি অন্নপূর্ণা খাঁ : আবদুশ শাকুর নন্দিনী অধিকারী-র ছোটগল্প ‘শুভ লাভ’ কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (ষষ্ঠ পর্ব) : দিলীপ মজুমদার কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (পঞ্চম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই দীপাবলি এবং কালীপুজোর আন্তরিক শুভনন্দন।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

তেহট্ট মহকুমার লিট্‌ল ম্যাগাজিনের ইতিহাস (শেষ পর্ব) : প্রসেনজিৎ দাস

প্রসেনজিৎ দাস / ১৫৫ জন পড়েছেন
আপডেট শনিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৪

প্রথম সংখ্যার সম্পাদকীয়তেই এই লিটল ম্যাগাজিনটির প্রকাশ করার উদ্দেশ্য নিয়ে কথা বলেছেন সম্পাদক।

বিপন্ন সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি পত্রিকা প্রকাশের মাধ্যমে শিল্প সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে চারিদিকে ছড়িয়ে দিতেই তাদের এই প্রয়াস। ম্যাগাজিনটির ট্যাগলাইনটি দেখলেই সকলে ঠাহর করতে পারবেন — “একটি সাংস্কৃতিক প্রয়াস”। যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে সাহিত্যচর্চা করছেন তাঁদের পাশাপাশি নতুনরাও যাতে উঠে আসতে পারে তার জন্য পত্রিকাটি বিশেষ নজর দিয়ে এসেছে।প্রবীর আচার্য্য, শ্যামাপ্রসাদ ঘোষ, সেলিম মণ্ডল, উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায়, শক্তি প্রসাদ ঘোষ, দেবাশিস মুখোপাধ্যায়, চৈতন্য দাশ, দেবজ্যোতি কর্মকার, সুব্রত পাল, কুন্তল মণ্ডল, তুলসীদাস ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে অনেক তরুণ ব্রিগেড কলম ধরেছেন এই পত্রিকাটির প্রথম সংখ্যায়। বেতাই এর লোক সংস্কৃতিকে নতুন করে জানতে রয়েছে বেতাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক তথা লোকতাত্ত্বিক ও পুরাতাত্ত্বিক গবেষক শ্রী লোকেশ চন্দ্র বিশ্বাস মহাশয়ের প্রবন্ধ ‘ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে বেতাই’। অপসংস্কৃতির আঁধার ভেদ করে এই “স্বপ্নের ভেলা” হয়ে উঠুক শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষদের কাছে মুক্তির নতুন মন্ত্র।

২০১৮ সালের ১৫ই আগস্ট করিমপুর থেকে প্রকাশিত হয় পাক্ষিক পত্রিকা ‘সময়ের সাথে’ পত্রিকাটির সম্পাদক সঞ্জয় কুমার ঘোষ এবং সহ-সম্পাদক অপূর্ব বিশ্বাস। এ পর্যন্ত প্রতিটি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে। এটি মূলত সংবাদপত্র। তবে লিটল ম্যাগাজিনের ইতিহাসের মধ্যে ঢোকানোর মূল কারণ — নদীয়া জেলার কোথায় কী ঘটছে, কোথায় কোন নতুন পত্রিকা প্রকাশিত হচ্ছে,কার কোন কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ পেল,কোথায় কোন অনুষ্ঠান হচ্ছে — তার খবরাখবর আমরা পাই এই পত্রিকা থেকে। আবার মাঝে মাঝে এতে কিছু কবিতাও প্রকাশিত হয়, যা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। ২০১৮ সালেই তেহট্ট থেকে প্রকাশিত হয় বার্ষিক পত্রিকা ‘ভোরের শিশির’। পত্রিকাটি সম্পাদক সমীর দেবনাথ এবং সহকারী সম্পাদক উদিত কুমার বিশ্বাস। এখনো পর্যন্ত দুটি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে। ভাইয়ের স্মৃতি স্মরণ করে পত্রিকাটি প্রকাশ করা হয়।২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে করিমপুর থেকে প্রকাশিত হয় আর একটি নজরকাড়া পত্রিকা। পত্রিকাটির নাম ‘ম্যাগনাম ওপাস’। পত্রিকাটির সম্পাদকত্রয় জয়ব্রত বিশ্বাস,টোটস বিশ্বাস ও নিলয় সাহা।ব্যতিক্রমী এই পত্রিকাটির সম্পাদকীয়তে ধরা পড়ে কিছু কথা —

“লিটল ম্যাগের অঙ্গন গাছ-গাছালি, ফুল-ফলে ভরা। হঠাৎ একটি নতুন সংযোজন যে নজর কাড়বে তা অনভিপ্রেত। তবু দীর্ঘদিন সাহিত্যক্ষেত্রে ঘুরঘুর করতে করতে কিছু ইচ্ছে জমতে থাকে। তারই বহিঃপ্রকাশ ‘ম্যাগনাম ওপাস’। ল্যাটিন শব্দবন্ধটির অর্থ ‘প্রধান গ্রন্থ’। সভাপতির উদ্যোগ, কার্যকরী সম্পাদকের ব্যবস্থাপনা, আমার শ্রম। পাশে পেয়েছি যোগ্য উপদেষ্টামণ্ডলীর পরামর্শ। প্রকাশের পথে পা বাড়াল লিখিত লিপিমালার দলিল। কবিতা তো রাখতেই হয় বেশি সংখ্যক পাঠক-পাঠিকা ও সাহিত্যপ্রেমীর দরবারে পৌঁছাতে। পাশাপাশি রয়েছে পত্রিকাকে প্রচলিত প্রতিযোগিতার বাইরে রাখার খানিক প্রয়াস। তাই আমাদের সংযোজন সংস্কৃতি, ইতিহাস ইত্যাদি বিষয়ক আলোচনার ক্ষেত্র। শুরু করছি নদীয়া জেলার সংস্কৃতি, ইতিহাস নিয়ে। আশা করছি ভবিষ্যতে সারা বাংলার সংস্কৃতি, ইতিহাস, লোকাচারের আলোচনা — ক্ষেত্র হয়ে উঠবে ‘ম্যাগনাম ওপাস’। এবিষয়ে উৎসাহী ও মননশীল লেখক, সংগ্রাহক, গবেষকদের হার্দিক আহ্বান জানাই। সাদরে গৃহীত হবে আন্তরিক ও গুণমানসম্পন্ন রচনা।”

২০২০-র শেষ পর্বে অর্থাৎ নভেম্বর মাসে করিমপুর থেকে আরও একটি পত্রিকা প্রকাশিত হয় তার নাম ‘উজানখেয়া’। পত্রিকাটির সম্পাদক প্রবীর শর্মা। এছাড়াও নিলাদ্রীশঙ্কর মুখার্জি সম্পাদিত ‘কাজলাদিদি’ পত্রিকাটিও আরেকটি নতুন পত্রিকা।

একবিংশ শতকের দ্বিতীয় দশকের গোড়াতেই ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে তেহট্ট মহকুমার বাঘাখালি থেকে প্রকাশিত হয় ‘নবকান্ডারী’ পত্রিকা।বছরে দুটি করে সংস্থা প্রকাশিত হয়। পত্রিকাটির সম্পাদক অপূর্ব বিশ্বাস এবং সভাপতি তাপস কুমার চক্রবর্তী। এই পত্রিকার নটি সংখ্যা আপাতত প্রকাশ হয়েছে। এর মধ্যে একটি বিশেষ সংখ্যাও করা হয়েছে- ‘ভাষা শহীদ’ সংখ্যা। ২০২১ সালে ‘রোপণ’ সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশিত হয় তেহট্ট মহকুমার গোবিন্দপুর থেকে। এর সম্পাদক ফজলুর রহমান মন্ডল। এটি একটি বার্ষিক পত্রিকা। একটি বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করা হয়েছিল ‘কবি জয়নাল আবেদিন’ সংখ্যা ২০২৩। এটি একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যা।২১ সালে ২০২১ সালে তেহট্ট থেকে প্রকাশিত হয় উদিত কুমার বিশ্বাস সম্পাদিত পাঁচ মিশালি সাহিত্য পত্রিকা এখনো পর্যন্ত তিনটি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে এটি একটি বার্ষিক পত্রিকা প্রতিবছর নতুন নতুন বিষয় নিয়ে সংখ্যাও করা হয় এই পত্রিকা তরফ থেকে তাহাদের কথা একটি মাসিক পত্রিকা ২০২২ সালের ২৫ শে নভেম্বর পত্রিকাটি প্রথম প্রকাশ এ পত্রিকাটি সম্পাদক সঞ্জয় কুমার ঘোষ পত্রিকাটি প্রকাশিত হয় হাতিশালা থেকে এর সহ-সম্পাদক তাপস চক্রবর্তী।

২০২৪ সালের মে মাসে নদীয়া জেলার এক প্রান্তিক জনপদ বেতাই থেকে প্রকাশিত হয় একটি মননশীল সাহিত্য পত্রিকা ‘বহ্নি’। এর সম্পাদক প্রসেনজিৎ দাস। এটি মূলত সাহিত্য পত্রিকা। প্রথম সংখ্যাটিই একটি বিশেষ সংখ্যা-‘বিশেষ কবিতা সংখ্যা’।এই পত্রিকাটির আলোচনা লিখতে গিয়ে কবি ও সম্পাদক ধীমান ব্রহ্মচারী লিখছেন —

“একটি পত্রিকাকে কী ভাবে পাঠকের কাছে বিশেষভাবে মেলে ধরতে হয় তার জ্বলন্ত উদাহরণ হিসেবে সুদূর নদিয়া থেকে প্রকাশিত ‘বহ্নি’ পড়লেই সহজে বোঝা যায়। এই পত্রিকার সম্পাদক প্রসেনজিৎ দাস। একটি পত্রিকা কী ভাবে পাঠকের প্রেরণা বা প্রকাশের প্রধান মাধ্যম হতে পারে, সেই পরিকল্পনা বা পত্রিকা নির্মাণের কাজ করছেন সুদূর প্রান্তিক জেলার একটি শহরে বসে।

মূলত বহ্নি পত্রিকা একটি সাহিত্য পত্রিকা। যেখানে কবিতা ও প্রচুর পরিমাণে প্রবন্ধের আলোচনায় সমৃদ্ধ হয়েছে পত্রিকার প্রতিটি পৃষ্ঠা। অগ্রজ কবি থেকে অসংখ্য তরুণ ও নবীন কবির কবিতায় সম্মিলিত হয়েছে বহ্নির কবিতা বিভাগ। কবি সন্দীপ কুমার চক্রবর্তী, দেবজ্যোতি কর্মকার, সু-ব্রত, ধর্মেন্দ্র বিশ্বাস, অমিতাভ ও বিশ্বাস, হামিদুল ইসলাম শেখ, গৌতম সাহা, দীপঙ্কর বিশ্বাস, দেবদাস কুন্ডু, পিয়ালী চক্রবর্তী, রঞ্জন মন্ডল, বাবলু কাজি সহ অসংখ্য কবিদের অভাবনীয় কবিতার ছন্দের কবিতা বিভাগ সমৃদ্ধভাবে রচিত হয়েছে। প্রতিটি কবিতার মধ্যেই সমসাময়িক কবিদের সামাজিক ও বাস্তবতার সঙ্গে কল্পনা আশ্রিত নতুন ভাবনা ও সুচারু ছন্দে নির্মাণ হয়েছে প্রত্যেক কবির নিজস্ব ভাবনা ও কবিতা। এরই পাশাপাশি ব্যক্ত হয়েছে এই পত্রিকায় একটি বিশেষ বিভাগ অর্থাৎ খুব সহজেই বলা যেতে পারে পত্রিকাটির দ্বিতীয় ভাগ। এবং এই ভাগ খুব সমৃদ্ধ এবং প্রাসঙ্গিক। বর্তমানে বেশিরভাগ পত্রপত্রিকা কবিতা সম্পর্কিত হওয়ায় প্রচুর পরিমাণে কবিতার প্রকাশ দেখতে পাওয়া যায়। বহ্নি এর ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু ব্যতিক্রম হয়েও এই পত্রিকা পাঠকের কাছে বা বাংলার কবিতা প্রেমের কাছে অন্যভাবে সাড়া দিয়েছে। কেননা শুধু অসংখ্য কবিতা দিয়ে পত্রিকাটি নির্মাণ হয়নি। পত্রিকাতে একই সঙ্গে স্থান পেয়েছে কবি ও কবিতার সম্পর্কিত প্রাবন্ধিকদের সু চিন্তিত প্রবন্ধ। ‘কবি দেবদাস আচার্যর কবিতা জগত’ নিয়ে আলোচনা করেছেন অমৃতাভ দে। আবার নাসির ওয়াদেন আলোচনা করেছেন ‘ শিল্পসাহিত্যে বিভিন্ন মতবাদের ক্রমবিকাশ : প্রসঙ্গে জিরো বাউন্ডারীর কবিতা’। কবি শংকর ব্রহ্ম আলোচনা করেছেন কবি ও কবিতা। মনোরঞ্জন ঘোষাল লিখেছেন ‘আধুনিক কবিতা ও তার ভবিষ্যৎ’। তপোময় ঘোষ লিখছেন ‘আধুনিক কবিতা কি ক্রমশ দুর্বোধ্য হচ্ছে ?’ এবং এই পর্বের শেষ লেখক লোকেশ চন্দ্র বিশ্বাস তিনি লিখেছেন ‘মঙ্গলকাব্যে লৌকিক উপাদান’।

কবিতা, কবিতার ভাষা, কবিতার ভাব, কবিতার বর্ণনা, কবিতার সুর, কবিতার তাল ও ছন্দ, কবিতার বিষয় ও ব্যক্তি এই সব কিছুই বহ্নি পত্রিকার স্বাভাবিক স্বর বললে খুব ভুল বলা হবে না। সম্পূর্ণ পত্রিকাটি অপূর্ব ভাবে প্রকাশ করছেন সম্পাদক। শুধুমাত্র সম্পাদক এই পত্রিকাটিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তা নয় সঙ্গে রয়েছেন অসংখ্য কবিতাপ্রেমী মানুষ যাঁরা কবিতা ও কবিতা পাঠকে ভালোবেসে এই পত্রিকার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত হয়েছেন। কলকাতা থেকে প্রায় আড়াইশো কিলোমিটার দূরে অবস্থিত জনপদ নদিয়ার তেহট্ট থেকে সদ্য প্রকাশিত পত্রিকা পাঠক মহলে বিশেষ সাড়া ফেলেছে। ঝকঝকে ছাপা এবং সুন্দর অলংকরণ পত্রিকাটির দৃষ্টি ও নান্দনিকতা অনেকটা বাড়িয়েছে পাঠকের কাছে। কবিতা সম্পর্কিত প্রতিটি প্রবন্ধই আজকের প্রাবন্ধিক ও বিভিন্ন পাঠকের কাছে খুবই প্রাসঙ্গিক এবং এই প্রতিটি লেখায় আগামীর পাঠক ও গবেষণা যারা করছেন তাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি পত্রিকা হতে পারে। যদিও এই সংখ্যাটি একেবারেই নতুন ও বলা যেতে পারে আত্মপ্রকাশ সংখ্যা, তবুও এই আত্মপ্রকাশ সংখ্যাকে পাথেয় করেই আগামী দিনে আরো সংখ্যা প্রকাশিত হোক এটুকুই আশা করা যেতে পারে।”

করিমপুর থেকে প্রকাশিত পত্র পত্রিকা গুলির দৌড়ে মেয়েরাও পিছিয়ে নেই।এখনও পর্যন্ত নারী পরিচালিত ও সম্পাদিত যে কটি পত্রিকার নাম পাওয়া যায় সেগুলি হল-পিয়াসি বিশ্বাস সম্পাদিত ‘সায়ানাইড’ পত্রিকা, বর্ণিতা প্রামাণিকের সম্পাদনায় ‘ছেঁড়া তার’,ঋত্বিকা বিশ্বাসের ‘অপরাজিতা’,রুম্পা ভদ্র সম্পাদিত ‘এবং শ্রী’ পত্রিকা।এই পত্রিকাগুলির মধ্যে ‘সায়ানাইড’ পত্রিকাটি বিশেষ আলোচনার দাবি রাখে। ২০০৭ সালে পত্রিকাটি প্রথম প্রকাশিত হয় পিয়াসী বিশ্বাসের সম্পাদনায়। তবে ২০১৪ সালে পঞ্চম সংখ্যা প্রকাশ হওয়ার পর পত্রিকাটির প্রকাশ বন্ধ হয়ে যায়। সম্প্রতি করিমপুরের বারবাকপুর থেকে আরেকটি মহিলা পরিচালিত পত্রিকা প্রকাশিত হচ্ছে,পত্রিকাটির নাম ‘সম্প্রীতি’। এর সম্পাদক নাজমিনা সুলতানা। ২০২৩ সালে করিমপুর লিটল ম্যাগাজিন মেলায় পত্রিকাটি প্রথম প্রকাশিত হয়।

ক্ষুদ্র এই আলোচনায় তেহট্ট মহকুমার বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রকাশিত পত্র-পত্রিকাগুলি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত রূপরেখা আমি তুলে ধরার চেষ্টা করলাম। আলোচনার ফাঁক-ফোঁকর গলে অনেক পত্র-পত্রিকার নাম বাদ চলে যেতে পারে। তাই সুধী পাঠক মন্ডলীর নিকট আমার বিনম্র অনুরোধ এমনটা হলে আমার নজরে আনবেন নিশ্চয়। আরেকটি কথা-বেশি বেশি করে লিটল ম্যাগাজিন কিনুন, অন্যকে কিনতে উৎসাহিত করুন তবেই লিটল ম্যাগাজিন গুলো বাঁচবে। লিটল ম্যাগাজিন পড়ুন এবং পড়ান। নতুবা বাণিজ্য সফল পত্রপত্রিকাগুলির ভিড়ে অনেক দামী দামী লিটল ম্যাগাজিন কালের অতল গর্ভে হারিয়ে যাবে।

১) তথ্যঋণ : দেবজ্যোতি কর্মকার, লোকেশ চন্দ্র বিশ্বাস, নীলোৎপল দত্ত, দুর্বাদল দত্ত, রঞ্জন গোলদার, সন্তু প্রামানিক, অমিতাভ বিশ্বাস, বাবলু মণ্ডল, গৌতম সাহা, সঞ্জয় কুমার ঘোষ, অপূর্ব বিশ্বাস, ফজলুর রহমান মণ্ডল, উদিত কুমার বিশ্বাস, পিয়াসী বিশাস, জয়ব্রত বিশ্বাস, সমীরণ পাল, দয়ালউদ্দীন সেখ, দীপঙ্কর বিশ্বাস, প্রসাদ নন্দী, ধীমান ব্রহ্মচারী।

২) তথ্যঋণ : ‘নদীয়া গাইড’ (লেখক-এস.এম.তাজিরুল ইসলাম)।

৩) ক্ষেত্র সমীক্ষায় প্রাপ্ত তথ্য।

৪) বিশেষ সহায়তায় : দেবজ্যোতি কর্মকার, (সম্পাদক -‘দর্পণ…মুখের খোঁজে’ সাহিত্য পত্রিকা, করিমপুর, নদীয়া)।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন