আন্দ্রে আয়িউ কেন উঠে গেলেন — ফেসবুক খুললে প্রশ্নটা দেখতে পাচ্ছি অনেক জায়গাতেই। আন্দ্রে আয়িউ ঘানার হয়ে প্রায় ১১০-এর উপর ম্যাচ খেলে ফেলা প্লেয়ার, অনেক অভিজ্ঞ, কিন্তু গতকাল ঘানা যে ফর্মেশনে খেলা শুরু করেছিলো তাতে গোল করতে গেলে আন্দ্রে এবং ইনাকিকে অনেক অনেক ওভারলোড নিতে হতো। আন্দ্রে গোল পেলেও তিনি প্রথম হাফে যতটা লোড নিয়েছেন, সেকেন্ড হাফে ততোটা লোড নিতে পারেননি। আন্দ্রের প্রথম হাফ বনাম সেকেন্ড হাফের টাচম্যাপ দেখলেই সেটা বোঝা যাবে। আয়িউকে সাব হতেই হতো। এখন ঘটনা হচ্ছে আয়িউয়ের বদলে আরেকজন স্ট্রাইকার কেনো নয়? (সেমেনিও ভালো স্ট্রাইকার, সুইশম্যাচে রিসেন্টলি গোলও পেয়েছেন, কাল মাঠে নামেন অনেক পরে)।
কাল ঘানা কোচ আয়িউয়ের বদলে নামালেন জর্ডন আয়িউকে, যিনি একজন উইংগার, আর আক্রমণভাগ সচল রাখা কুদ্দুসকে উঠিয়ে নামান বুকারিকে যিনিও একজন উইংগার। আসলে গোল খাবার আগে অবধি ঘানার উইংপ্লে বলে ছিলোইনা কিছু, গোল খেয়ে ঘানা খোলস ছাড়ে, উইংপ্লে সচল রাখতেই এই পরিবর্তন ছিলো। কিন্তু ঘটনা হচ্ছে ইনাকি উইলিয়ামস কেনো গোটা সময়জুড়ে খেললেন? শেষের কয়েক মিনিট ছাড়া পুরো সেকেন্ড হাফে ইনাকি কতবার বক্সে ঢুকতে পেরেছেন তা হয়তো গোনা যাবে, কতটা প্রেসিং করেছেন তাও হয়তো গোনা যাবে।
এফেক্টিভ স্ট্রাইকার সেমেনিও এই দলের প্রথম একাদশে ঢোকার যোগ্য দাবীদার। ঘানার আসল খেলা যারা দেখেছেন তারা জানেন দলটা প্রচুর উইংপ্লে করে, আর উইংপ্লের মুখ্য দায়িত্বে থাকেন আফ্রিয়ি এবং জর্ডন আয়িউ, এছাড়া সুলেমানা বলে একজন দুরন্ত উইংগার আছে ঘানার দলে যিনি রাইট-লেফট দুজায়গাতেই খেলতে সচ্ছন্দ।
গত ব্রাজিল ম্যাচে সুলেমানা লেফট উইংয়ে খেলেছিলেন, আর সুইশ ম্যাচে জর্ডনের সাব হয়ে রাইটে নামেন। আর গতকাল সুলেমানা নানলেনই না, যেমন নামলেননা আফ্রিয়ি। যাই হোক, ঘানা পরের রাউন্ডে যাবে কিনা জানিনা, তবে নিজেদের খোলস ছেড়ে ঘানা বেরোবে এই আশা রাখি।
গ্রাফিক্স যীশু নন্দী, ছবিতে আন্দ্রের প্রথম হাফের টাচম্যাপ বনাম সেকেন্ড হাফের টাচম্যাপ ।