শুক্রবার | ১লা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ভোর ৫:১৭
Logo
এই মুহূর্তে ::
মীনাক্ষী সেন-এর বড়োগল্প ‘একটি ভূতের বাড়ির আজগুবি গল্প’ অজ্ঞানতার আঁধার পেরিয়ে আলোর উৎসব : সন্দীপন বিশ্বাস রায় ভিলা ও বিশ্বরূপ মহারাজ (শেষ পর্ব) : কৌশিক মজুমদার ভূত চতুর্দশী — নেত্যকালীর মিরর ইমেজ ও প্রেতলোকের চোদ্দকাহন : প্রলয় চক্রবর্তী কালীপূজার আগের দিনটি চোদ্দবাতি জ্বালানো ও চোদ্দশাক খাওয়ার জন্যে নির্দিষ্ট : অসিত দাস পেঁয়াজের ঝাঁজে গৃহস্থের চোখে জল, সংরক্ষণ কেন্দ্র গড়বে রাজ্য : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় ধনং দেহী ধনতেরাস অ্যান্ড পুরুষালী গয়না : রিঙ্কি সামন্ত এ উৎসবের লগনে : নন্দিনী অধিকারী রায় ভিলা ও বিশ্বরূপ মহারাজ (দ্বিতীয় পর্ব) : কৌশিক মজুমদার কাশীপুরে নয়, দক্ষিণেশ্বরেই শেষ নিঃশ্বাস ফেলতে চেয়েছিলেন ছোট ভট্টাচার্য (শেষ পর্ব) : শংকর ধনতেরাস এখন বাঙালিরও : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী ডাক্তারদের আন্দোলন উপনির্বাচনে ইস্যু নয়, জয় নিয়ে শাসকদল নিশ্চিত : তপন মল্লিক চৌধুরী রায় ভিলা ও বিশ্বরূপ মহারাজ (প্রথম পর্ব) : কৌশিক মজুমদার কাশীপুরে নয়, দক্ষিণেশ্বরেই শেষ নিঃশ্বাস ফেলতে চেয়েছিলেন ছোট ভট্টাচার্য (তৃতীয় পর্ব) : শংকর সেকালের প্রেতচর্চা — শিক্ষিত জনের কাছে থিওসফি : প্রলয় চক্রবর্তী মা কালী যখন মহালক্ষ্মী : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী কাশীপুরে নয়, দক্ষিণেশ্বরেই শেষ নিঃশ্বাস ফেলতে চেয়েছিলেন ছোট ভট্টাচার্য (দ্বিতীয় পর্ব) : শংকর মহাকাব্যে ভেড়ার উল্লেখ : অসিত দাস কাশীপুরে নয়, দক্ষিণেশ্বরেই শেষ নিঃশ্বাস ফেলতে চেয়েছিলেন ছোট ভট্টাচার্য (প্রথম পর্ব) : শংকর রমা একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য ও একাদশী পালনের নিয়মাবলী : রিঙ্কি সামন্ত আশাপূর্ণা দেবী-র ছোটগল্প ‘চাবি’ একে দানা-য় রক্ষা নেই তারওপর ডিভিসি-র ৪২ হাজার কিউসেক জল : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় জগদীশ গুপ্তের গল্প, কিছু আলোকপাত (নবম পর্ব) : বিজয়া দেব চেতনার সমস্যা, সামাজিক অবকাঠামো এবং বলপ্রয়োগ : এরিক ফ্রম, অনুবাদ ফাতিন ইশরাক বারবার ভিলেন সেই বঙ্গোপসাগর : তপন মল্লিক চৌধুরী নতুন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ রাখাইন পরিস্থিতি ও বাংলাদেশের উদ্যোগ : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন ‘দানা’ থেকে ভয় পাবেন না, সতর্ক থাকুন, মোকাবিলায় রাজ্য সরকার প্রস্তুত : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় সই বা বন্ধুত্ব স্থাপনের উৎসব সয়লা : রিঙ্কি সামন্ত প্রথম পাঠ — “নিশিপালনের প্রহরে” নিয়ে, দুয়েকটি কথা : সোনালি চন্দ বৃহন্নলার অন্তরসত্তা : নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই দীপাবলি এবং কালীপুজোর আন্তরিক শুভনন্দন।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

ফের বাংলা মডেলেই ত্রিপুরা ভোটে কগ্রেস, সিপিএম : তপন মল্লিক চৌধুরী

তপন মল্লিক চৌধুরী / ৩৬০ জন পড়েছেন
আপডেট শনিবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৩

সংসদীয় রাজনীতিতে নীতি এবং ভোট — এই দুটির মধ্যে ভোট-ই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া সংসদে দলীয় উপস্থিতি না থাকলে যে সংসদীয় রাজনীতিতে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা যায় না সে কথা মানেন বামপন্থীরাও। তাই ভোটই যে শেষ কথা তা সিপিএম তো বটেই, ফ্রন্টের অধিকাংশ শরিক দলগুলিও মনে করছে, ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা বা জোট করলে তৃণমূলকে যুঝতে অনেকটাই সুবিধা হবে। সাড়ে তিন দশকেরও বেশি সময় ক্ষমতায় থেকে ক্ষমতার স্বাদ যারা পেয়েছে, তারা যে কেবলমাত্র ‘বাম ঐক্য’ গড়ে তোলার মতো কাজকেই গুরুত্ব দেবে সেটা আর ভাবা সম্ভব নয়! তাই কল্পনাতীত হলেও নজিরবিহীনভাবে সিপিএম-তৃণমূল কংগ্রেস জোটও দেখা গিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির বহু প্রাচীন সমবায় সমিতির পরিচালন কমিটির নির্বাচনে। শুধু কি তাই, সেই নির্বাচনে জিতে দুই দল যৌথভাবে পরিচালন কমিটি গঠন করেছে। যেখানে সিপিএম বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস থেকে দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলে আসছে সেখানে এই জোট যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কংগ্রেস চরিত্রগত ভাবে ধর্মনিরপেক্ষ কিন্তু পুঁজিপতিদের-ই প্রতিনিধিত্ব করে সিপিএম এ কথা বললেও সম্প্রতি এ রাজ্যে সিপিএম কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে নির্বাচনে লড়েছে।

এ রাজ্যের একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাম,কংগ্রেস ও আইএসএফ-এর ‘সংযুক্ত মোর্চা’ জোট ভোট বাক্সে এমন ভাবে বিফল হয়েছিল যে বাম-কংগ্রেসের যে টুকু ভোট ছিল তাও হারায়৷ কার্যত, বাম-কংগ্রেস ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছিল৷ বিধানসভা ভোট মিটতে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেছিলেন, ভোট শেষ, জোট শেষ। তার কথা অনুযায়ী কংগ্রেসের সঙ্গে জোট আসলে ছিল নির্বাচনী সমঝোতা। যা ভোট মিটতেই শেষ হয়েছে। পরবর্তীতে রাজ্যের পুরভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে বামেরা জোট না করে একাই খড়দহ, শান্তিপুরের মতো আসনে ভোট বাড়িয়েছিল। কিন্তু ২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোট লড়াইয়ের মতো চলতি বছর ত্রিপুরা বিধানসভা ভোটেও কংগ্রেসের সঙ্গে বামেদের মহাজোট হচ্ছে। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে বিজেপিকে পর্যুদস্ত করতে বাম, কংগ্রেস ও তিপ্রা মথা আসন সমঝোতা করে ভোট লড়বে। সাংবাদিক বৈঠক করে সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি জানিয়েছেন, আপাতত নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। কে কটা আসনে লড়বে, কোথায় কে প্রার্থী দেবে তা নিয়ে পরবর্তীকালে আরও আলোচনা হবে।

ত্রিপুরাকে অনেকেই মিনি পশ্চিমবঙ্গ বলেন। পশ্চিমবঙ্গের মতোই সেখানেও কংগ্রেসের হাত থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে দীর্ঘদিন বামফ্রন্ট সে রাজ্য শাসন করেছে। আবার ২০১৮ সালে সে রাজ্যের ক্ষমতা বদল হয়। বাম জমানার অবসান ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসে বিজেপি সরকার। বামেরা দীর্ঘ ৫ বছর বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে নিজেদের জায়গা ফেরত পাওয়ার জন্য মরিয়া লড়াই চালাচ্ছে। এবার বাংলার মতোই কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা করে বিজেপিকে হাঁটতে চায় সিপিএম। প্রসঙ্গত, একটা সময় পর্যন্ত ত্রিপুরায় দুটি দলই ছিল- কংগ্রেস ও সিপিএম। কিন্তু ২০১৮ র নির্বাচনে কংগ্রেসের সব ভোট গিয়ে পড়ে বিজেপির বাক্সে। অন্যদিকে ত্রিপুরায় কংগ্রেস একেবারে শূন্য হয়ে যায়। সেই অবস্থায় কংগ্রেস থেকে বেড়িয়ে সুদীপ রায় বর্মণ বিজেপিতে যোগ দেন। কিন্তু তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সঙ্গে তাঁর বনিবনা না হওয়ায় তিনি ফের বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন। ফের ভোট দাঁড়িয়েও জেতেন। এখন ত্রিপুরার কংগ্রেস সংগঠন বলতে সুদীপবাবুকেই ধরা হয়। কিন্তু একা সুদীপবাবু কি বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই দিতে পারবেন?

অন্যদিকে এ রাজ্যের জনজাতি অধ্যুষিত এলাকায় ত্রিপুরার রাজ পরিবারের উত্তরাধিকারী প্রদ্যোৎ রায়বর্মণ ও তাঁর পার্টি তিপ্রা মথা এখন বিপুল জনপ্রিয়। আসন্ন ভোটে তিপ্রা মথার সঙ্গে কংগ্রেস ও বামেদের জোট হলে ত্রিপুরা নির্বাচনে বিজেপি বিরাট ধাক্কা খাবে বলেই মনে করেন রাজনইতিক বিশেষঙ্গরা। যদিও এখানে একটা ‘কিন্তু’ রয়ে গিয়েছে। প্রদ্যোৎ রায়বর্মণ আগে ছিলেন কংগ্রেসে। রাহুল গান্ধী তাঁকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করেছিলেন। সুদীপ রায়বর্মণদের সঙ্গে বনিবনা না হওয়াতেই তিনি কংগ্রেস ছেড়েছিলেন। এবার সেই প্রদ্যোৎ কি সুদীপের সঙ্গে আসন সমঝোতায় সহজ হবেন, এই প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে। তাছাড়া প্রদ্যোতের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসও সমঝোতার চেষ্টা চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে ত্রিপুরায় বিজেপির সন্ত্রাস, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা ইত্যাদি নিয়ে নাগরিকদের উদ্দেশে ছ’টি দল মিলে যৌথ বিবৃতি রেখেছেন। সেখানে সিপিআই, ফরওয়ার্ড ব্লক, লিবারেশন, আরএসপি-র পাশাপাশি সই করেছেন ত্রিপুরা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরীর তারপরেই সই করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বির্জিত সিংহ। এই ঘটনায় ত্রিপুরার রাজনীতিতে বাম-কংগ্রেস জল্পনা আরও তীব্র হয়ে উঠেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন