বৃহস্পতিবার কলকাতা প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে আর জি কর কাণ্ড নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির বিরুদ্ধে গর্জে উঠলো দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ। এদিন সম্মেলনের শুরুতেই পূর্ণেন্দু বোস জানান, আর জি কর কাণ্ড নিয়ে যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে তারই প্রতিবাদ স্বরূপ আজকের এই সম্মেলন। তিনি জানান, আমরাও চাই আর জি কর কাণ্ডে তরুণী ডাক্তার যে ভাবে ধর্ষিতা ও খুন হয়েছেন, তাতে অপরাধীর কঠোর শাস্তি ও ফাঁসি। কলকাতা হাইকোর্ট এ ধরনের নক্বরজনক ঘটনার জন্য সি বি আইকে তদন্তের ভার দেয়। ২১ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে রির্পোট জমা দিতে বলে। কিন্তু ১৭ দিন অতিক্রান্ত, এখনও পর্যন্ত দোষীকে ধরতে পারেনি। আমাদের দাবি অবিলম্বে দোষীদের খুঁজে বের করতে হবে।
এছাড়া আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ছাত্রদলের আড়ালে যেভাবে বিজেপির নেতারা রাস্তায় নেমে পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছে, এর নিন্দা করছি। পুলিশ যেভাবে সংযতভাব দেখিয়েছেন তার প্রশংসনীয়। উল্টে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের মাথা ফাটিয়েছে , চোখ নষ্ট করেছে — এটা চরম নিন্দনীয়। আমরা বিচার চাই, নৈরাজ্য নয়।
প্রসঙ্গত, এদিন সম্মেলনে বক্তাদের একটাই মূল উদ্দেশ্য তা হল আর জি কর কাণ্ড নিয়ে যে ভাবে রাজ্য জুড়ে বিরোধী দলগুলো রাস্তায় নেমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে তার চরম প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এছাড়া রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মু যেভাবে কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করেছেন,তার মানা যায় না। গণমঞ্চের দাবি, মণিপুর, অসম, ঝাড়খণ্ড, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশেও নক্বরজনক ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে, সেখানের রাষ্ট্রপতি কিছু বলছেন না। আসলে কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারের কথামতো তিনি চলছেন। নিরপেক্ষভাবে দেখা উচিত রাষ্ট্রপতির ।
এদিকে গণমঞ্চ থেকে জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সর্বভারতীয় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যৌথ বার্তা দিল্লির দরবারে ইতিমধ্যে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সেখানে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আমাদের দফা এক, দাবি এক, ধর্ষকের ফাঁসি। আর সে জন্য চাই ধর্ষণ বিরোধী কঠোর আইন। এই স্লোগান এবং শপথেই যৌথ বার্তা দিল্লির দরবার পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ করা যেতে পারে, এই লক্ষ্যেই আগামী সপ্তাহেই বিধানসভায় বিল আনছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর অভিষেকের প্রতিশ্রুতি, এই ইস্যুতে আইন প্রণয়নের জন্য সংসদে প্রাইভেট মেম্বার বিল আনবেন তিনিও।
ফাঁসির কথা , অভিষেক কি করবেন এসব গনমন্চের কেউ কি বলেছেন?