খানাকুলের তিনটি গ্রামকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিরাময়যোগ্য অন্ধত্ব মুক্ত গ্রাম হিসেবে ঘোষণা করল হেলান লায়ন্স আই হাসপাতাল। জামালপুর লায়ন্স সেবা আই হসপিটালের উদ্যোগে এবং হেলান লায়ন্স ক্লাবের ব্যবস্থাপনায় ভিশন টোয়েন্টি-টোয়েন্টি ও কগনিজেন্ট ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এই এলাকার ২৯টি গ্রামে প্রায় সাত বছর ধরে ‘অন্ধত্বমুক্ত’ কর্মসূচির কাজ চলছে। উল্লেখ্য, আগেই আরামবাগ ব্লকের কিসমত খেদাইল গ্রামকে ‘অন্ধত্ব মুক্ত’ গ্রাম হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত , রবিবার হেলান লায়ন্স আই হাসপাতালে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে খানাকুল ব্লকের রঘুনাথপুর, কলিম্বা ও শ্রীরামপুর গ্রামকে নিরাময় যোগ্য ‘অন্ধত্ব মুক্ত’ গ্রাম হিসেবে ঘোষণা করা হল। এই বর্ণময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শ্রীরামপুর বিবেকানন্দ আশ্রমের সম্পাদক ব্রহ্মচারী সত্যচৈতন্য , রামমোহন-২ পঞ্চায়েতের প্রধান সুলেখা বক্সী ছাড়াও অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা।
লায়ন্স ক্লাব অফ হেলান ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট এর চেয়ারম্যান দেবাশিস শেঠ জানিয়েছেন, “বহুদিনের পরিশ্রমে আমাদের মিশন সাফল্যের মুখ দেখছে, এ অত্যন্ত আনন্দের কথা। কিন্তু এই প্রকল্প আগামী দিনে ধারাবাহিকভাবে চলতেই থাকবে। উল্লেখ করা যেতে পারে এই এলাকা অনুন্নত ও দারিদ্র প্রবণ হিসেবে চিহ্নিত। এখানে স্বাস্থ্য সচেতনতা অত্যন্ত দুর্বল। এরকম একটি জায়গায় মানুষকে সচেতন করে তাদের ঘরে ঘরে চক্ষু পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া অত্যন্ত কঠিন কাজ। সকলের সহযোগিতায় সেই কাজ আমরা সার্থকভাবে করতে পারছি, সেজন্য আমরা কৃতজ্ঞ।”
উপভোক্তাদের মধ্যে সত্তরোর্ধ্ব আমিনা বেগমের বক্তব্য, “দুই ছেলে আমার চোখ অপারেশনের ব্যাপারে সেভাবে গুরুত্ব দিচ্ছিল না। কিন্তু হেলান লায়ন্স আই হাসপাতালের লোকেরা অনেক কষ্টে তাদের বুঝিয়ে রাজি করিয়েছেন। বিনা পয়সায় অপারেশন হয়েছে ।আজ আবার ভালো করে দেখতে পাচ্ছি। এদের ঋণ জীবনে শোধ করতে পারব না।”