মঙ্গলবার | ২২শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | রাত ৮:৪৫
Logo
এই মুহূর্তে ::
লোকসংস্কৃতিবিদ আশুতোষ ভট্টাচার্য ও তাঁর চিঠি : দিলীপ মজুমদার নববর্ষের সাদর সম্ভাষণ : শিবরাম চক্রবর্তী নববর্ষ গ্রাম থেকে নগরে : শিহাব শাহরিয়ার ফিরে আসছে কলের গান : ফজলুল কবির সিন্ধুসভ্যতার ফলকে খোদিত ইউনিকর্ন আসলে একশৃঙ্গ হরিণ : অসিত দাস একটু রসুন, রসুনের কথা শুনুন : রিঙ্কি সামন্ত ১২ বছর পর আরামবাগে শোলার মালা পরিয়ে বন্ধুত্বের সয়লা উৎসব জমজমাট : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় কোনিয়াকদের সঙ্গে দু’দিন : নন্দিনী অধিকারী স্বচ্ছ মসলিনের অধরা ব্যুৎপত্তি : অসিত দাস বাড়বে গরম, চোখের নানান সমস্যা থেকে সাবধান : ডা. তনুশ্রী চক্রবর্তী আঠালো মাটি ফুঁড়ে জন্মানো শৈশব : আনন্দগোপাল হালদার মাইহার ঘরানার সম্রাট আলি আকবর খান (শেষ পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত ওয়াকফ হিংসার জের কি মুর্শিদাবাদেই থেমে গিয়েছে : তপন মল্লিক চৌধুরী এক বাগদি মেয়ের লড়াই : দিলীপ মজুমদার এই সেনসরশিপের পিছনে কি মতাদর্শ থাকতে পারে : কল্পনা পাণ্ডে শিব কম্যুনিস্ট, বিষ্ণু ক্যাপিটেলিস্ট : জ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ‘গায়ন’ থেকেই গাজন শব্দের সৃষ্টি : অসিত দাস কালাপুষ্প : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় পয়লা বৈশাখ থেকে শুরু হোক বাঙালি-অস্মিতার প্রচারযাত্রা : দিলীপ মজুমদার মাইহার ঘরানার সম্রাট আলি আকবর খান (প্রথম পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত পেজফোর-এর নববর্ষ বিশেষ সংখ্যা ১৪৩২ প্রকাশিত হল সিন্ধিভাষায় দ্রাবিড় শব্দের ব্যবহার : অসিত দাস সিন্ধুসভ্যতার জীবজগতের গতিপ্রকৃতির মোটিফ : অসিত দাস হনুমান জয়ন্তীতে নিবেদন করুন ভগবানের প্রিয় নৈবেদ্য : রিঙ্কি সামন্ত গল্প লেখার গল্প : হাসান আজিজুল হক ওড়িশার হীরক ত্রিভুজ : ললিতগিরি, উদয়গিরি ও রত্নগিরি (শেষ পর্ব) : জমিল সৈয়দ চড়কপূজা কি আসলে ছিল চণ্ডকপূজা : অসিত দাস অরুণাচলের আপাতিনি : নন্দিনী অধিকারী ওড়িশার হীরক ত্রিভুজ : ললিতগিরি, উদয়গিরি ও রত্নগিরি (সপ্তম পর্ব) : জমিল সৈয়দ শাহরিয়ার কবিরকে মুক্তি দিন : লুৎফর রহমান রিটন
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-এর আন্তরিক প্রীতি শুভেচ্ছা ভালোবাসা।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

আজ ঘানা নামছে : যীশু নন্দী

যীশু নন্দী / ২৫৭ জন পড়েছেন
আপডেট বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২২

ঘানাপ্রেম ইউসুফ ইয়াকুবু থেকে। ইউসুফ ইয়াকুবু কোনোদিন মোহনবাগানে খেলেননি, মহিন্দ্রাতে ব্যারেটোর সাথে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন।ইস্টবেঙ্গলে যখন খেলতেন তখন তাঁর উপস্থিতিতে মাঝমাঠের দখল নেওয়ার কথা আমরা, মানে বিরোধীরা, ভুলেও ভাবতামনা। বুড়ো বয়সেও যখন ইউনাইটেড স্পোর্টসে খেলতেন আমরা সিঁটিয়ে থাকতাম, একবার তো একার পায়ে ভর করে মোহনবাগানকে ৩-২ এ হারিয়েও দিলো। এহেন ইউসুফ ইয়াকুবুর দেশ শুনলাম ঘানাতে। ঘানা নামটা আমাদের মধ্যে জনপ্রিয় হলো সেই থেকে। ২০১০ ফিফা বিশ্বকাপটা যখন চলছিলো তখন আমার এবং আমার সমবয়সী সক্কলেরই স্কুলজীবন।আমার ফারহান বলে একজন বন্ধু ছিলো,কোয়ার্টার ফাইনালে আমরা যখন কেউ আর্জেন্তিনা,কেউ ব্রাজিল বলছি, সেই বন্ধু হাতমুঠো করে বললো, “ঘানা ঘানা”। ১০’এর ফিফা বিশ্বকাপ মাতিয়ে রেখেছিলো  ঘানার আসামোয়া। আমেরিকার বিরুদ্ধে দুরন্ত শ্যুটিংয়ে গোল করে সাইডব্যারিকেড টপকে দৌড়ে যাচ্ছেন আসামোয়া। সার্বিয়ার জালে বল জড়িয়ে আসামোয়া ডেকে নিচ্ছেন ঘানার বাকীজনদের, সাইডলাইন বরাবর ছন্দবদ্ধ নৃত্যে নেচে যাচ্ছেন তাঁরা,তাঁদের সাথে নাচ্ছেন লাল-হলুদ-সবুজ রঙা ঘানাইয়ান ক্রাউড। এহেন ঘানা হেরে গেলো কোয়ার্টারে। তাদের স্বপ্নীল উত্থানের অপমৃত্যু ঘটালেন লুই সুয়ারেজ, হাত দিয়ে নিশ্চিত গোল সেভ করে। সুয়ারেজের লাল কার্ড, ঘানার ভাগ্যে পেনাল্টি। আসামোয়া পেনাল্টি মিস করে লুটিয়ে পড়লেন মাটিতে। ফোরলানের দুরন্ত ফ্রিকিক, টাইব্রেকারে দুরন্ত ওঠানামাকে ছাড়িয়ে সেইম্যাচের সবচেয়ে নজরকারা দৃশ্য বোধহয় আসামোয়া গায়ানের মাটিতে লুটিয়ে পড়া কান্নাটা।

আজ বিশ্বকাপে আবারও নামছে ঘানা, আমাদের স্কুলবেলার ডার্ক হর্স। ২০১০ বিশ্বকাপের দলটার একজনই মাত্র ২০২২ সালের বিশ্বকাপ দলের নিয়মিত মুখ,তিনি আন্দ্রে আয়িউ, মূলত নাম্বার টেন, কিন্তু সাম্প্রতিক সুইজারল্যান্ড-ঘানা ম্যাচটাতে খানিক স্লো মনে হলো। ঘানার ইনাকি উইলিয়ামস নিয়েও মাতামাতি হচ্ছে,মাতামাতি হচ্ছে ঘানার হয়ে ১১০ নম্বর ম্যাচ খেলে ফেলা আন্দ্রে আয়িউকে নিয়েও। কিন্তু আমার নজর থাকছে অন্য দুজনের দিকে — সুলেমানা এবং সেমেনিও। সুইজারল্যান্ড ম্যাচে আন্দ্রে আয়িউয়ের ভাই জর্ডন আয়িউ ঘানার লেফট উইং বরাবর তেমন কিছু করতে পারেননি, স্ট্রাইকার পজিশনে থাকা ইনাকিও সাদামাটা ছিলো। ঘানার কোচ সুলেমানা এবং সেমেনিওকে পরিবর্ত হিসাবে নামিয়েছিলেন। আর সুলেমানার দুরন্ত উইংপ্লে থেকে গোল করেছিলেন সেমেনিও।সেমেনিওর খেলা দেখলে একজন আদর্শ স্ট্রাইকারের কথাই মনে হয়। ঘানার আরেকজনকে দেখার আছে, ওদের নাম্বার থারটিন-আফ্রিয়ি। আজ মন বলছে পেপে, দানিলো, রুবেন ডায়াসেরা খুব একটা শান্তিতে থাকবেননা। রোনালদো নিজের শেষ বিশ্বকাপ স্মরণীয় করে রাখুক এটা আমি চাই, কিন্তু আমার এই চাওয়া-পাওয়া নিয়ে দড়িটানাটানি খেলা খেলছেন আফ্রিয়ি, সুলেমানা, সেমেনিও। ছেলেবেলার অপূর্ণ ঘানাপ্রেম বনাম ক্রিশ্চিয়ানোর পোর্তুগালের দুরন্ত মিডফিল্ড — নিজের সাথেই নিজেকে লড়তে হবে আজ।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন