শনিবার | ২২শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৭:৩৪
Logo
এই মুহূর্তে ::
নন্দিনী অধিকারী-র ছোটগল্প ‘অমৃতসরী জায়কা’ মহিলা সংশোধনাগারগুলিতে অন্তঃসত্ত্বা একের পর এক কয়েদি, এক বছরে ১৯৬ শিশুর জন্ম : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় ‘শোলে’র পঞ্চাশ বছর : সন্দীপন বিশ্বাস বিভাজনের রাজনীতি চালিয়ে হিন্দুত্ববাদীরা ইতিহাস পালটাতে চায় : তপন মল্লিক চৌধুরী অশোক সম্পর্কে দু-চারটে কথা যা আমি জানি : অসিত দাস চৈত্রের শুরুতেই শৈবতীর্থ তারকেশ্বরে শুরু হলো সন্ন্যাস মেলা : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় প্রথম বাঙালি পরিচালকের প্রথম নির্বাক লাভ স্টোরি : রিঙ্কি সামন্ত গোপিনী সমভিব্যাহারে রাধাকৃষ্ণের হোলি ও ধ্যানী অশোকবৃক্ষ : অসিত দাস শেখাওয়াটির হোলী-হাভেলী : নন্দিনী অধিকারী সংস্কৃত সাহিত্যে অশোকবৃক্ষ যখন দোহলী : অসিত দাস প্রাণগৌরাঙ্গের প্রিয় পঞ্চব্যঞ্জন : রিঙ্কি সামন্ত ‘দ্য স্টোরিটেলার’ — শিল্প এবং বাজারের মধ্যে দ্বন্দ্ব : কল্পনা পান্ডে অপুষ্টি আর দারিদ্রতা ঢাকতে সরকার আর্থিক উন্নয়নের পরিসংখ্যান আওড়ায় : তপন মল্লিক চৌধুরী দোহলী মানে অশোকবৃক্ষ, তা থেকেই দোল ও হোলি : অসিত দাস সিনেমা প্রেমীদের হোলির গান : রিঙ্কি সামন্ত দোলের আগের দিনের চাঁচর নিয়ে চাঁচাছোলা কথা : অসিত দাস খোল দ্বার খোল, লাগল যে দোল — দোলা লাগল কি : দিলীপ মজুমদার শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর বৃন্দাবন যাত্রা (শেষ পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত সিঙেরকোণ-এর রাধাকান্ত এখনও এখানে ব্যাচেলর : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর বৃন্দাবন যাত্রা (প্রথম পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত বাজারে ভেজাল ওষুধের রমরমা দায় কার : তপন মল্লিক চৌধুরী বাঙালি বিজ্ঞানীর গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য ‘কুড়কুড়ে ছাতুতে’ ক্যানসার নিকেশ : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় বোলপুর কি সত্যিই বলিপুর : অসিত দাস রাখাইন পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশের উপর প্রভাব : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন অসুখী রাজকন্যাদের লড়াইয়ের গল্প : রিঙ্কি সামন্ত বিশ্ব থেকে ক্যানসারকে নির্মূল করতে গবেষণায় একের পর এক সাফল্য রূপায়ণের : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় কল্পনার ডানায় বাস্তবের রূপকথা : পুরুষোত্তম সিংহ হাইকোর্টের রায়ে ভাবাদিঘীতে তিন মাসের মধ্যে কাজ শুরুর নির্দেশ : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কমছে, সঙ্কটে সরকারি বাংলা মাধ্যম স্কুল : তপন মল্লিক চৌধুরী ফল্গু নদীর তীরে একটি ছোট শহর এই বুদ্ধগয়া : বিজয় চৌধুরী
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ দোলপূর্ণিমা ও হোলি ও বসন্ত উৎসবের  আন্তরিক শুভেচ্ছা শুভনন্দন।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

আজ ঘানা নামছে : যীশু নন্দী

যীশু নন্দী / ২৪৭ জন পড়েছেন
আপডেট বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২২

ঘানাপ্রেম ইউসুফ ইয়াকুবু থেকে। ইউসুফ ইয়াকুবু কোনোদিন মোহনবাগানে খেলেননি, মহিন্দ্রাতে ব্যারেটোর সাথে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন।ইস্টবেঙ্গলে যখন খেলতেন তখন তাঁর উপস্থিতিতে মাঝমাঠের দখল নেওয়ার কথা আমরা, মানে বিরোধীরা, ভুলেও ভাবতামনা। বুড়ো বয়সেও যখন ইউনাইটেড স্পোর্টসে খেলতেন আমরা সিঁটিয়ে থাকতাম, একবার তো একার পায়ে ভর করে মোহনবাগানকে ৩-২ এ হারিয়েও দিলো। এহেন ইউসুফ ইয়াকুবুর দেশ শুনলাম ঘানাতে। ঘানা নামটা আমাদের মধ্যে জনপ্রিয় হলো সেই থেকে। ২০১০ ফিফা বিশ্বকাপটা যখন চলছিলো তখন আমার এবং আমার সমবয়সী সক্কলেরই স্কুলজীবন।আমার ফারহান বলে একজন বন্ধু ছিলো,কোয়ার্টার ফাইনালে আমরা যখন কেউ আর্জেন্তিনা,কেউ ব্রাজিল বলছি, সেই বন্ধু হাতমুঠো করে বললো, “ঘানা ঘানা”। ১০’এর ফিফা বিশ্বকাপ মাতিয়ে রেখেছিলো  ঘানার আসামোয়া। আমেরিকার বিরুদ্ধে দুরন্ত শ্যুটিংয়ে গোল করে সাইডব্যারিকেড টপকে দৌড়ে যাচ্ছেন আসামোয়া। সার্বিয়ার জালে বল জড়িয়ে আসামোয়া ডেকে নিচ্ছেন ঘানার বাকীজনদের, সাইডলাইন বরাবর ছন্দবদ্ধ নৃত্যে নেচে যাচ্ছেন তাঁরা,তাঁদের সাথে নাচ্ছেন লাল-হলুদ-সবুজ রঙা ঘানাইয়ান ক্রাউড। এহেন ঘানা হেরে গেলো কোয়ার্টারে। তাদের স্বপ্নীল উত্থানের অপমৃত্যু ঘটালেন লুই সুয়ারেজ, হাত দিয়ে নিশ্চিত গোল সেভ করে। সুয়ারেজের লাল কার্ড, ঘানার ভাগ্যে পেনাল্টি। আসামোয়া পেনাল্টি মিস করে লুটিয়ে পড়লেন মাটিতে। ফোরলানের দুরন্ত ফ্রিকিক, টাইব্রেকারে দুরন্ত ওঠানামাকে ছাড়িয়ে সেইম্যাচের সবচেয়ে নজরকারা দৃশ্য বোধহয় আসামোয়া গায়ানের মাটিতে লুটিয়ে পড়া কান্নাটা।

আজ বিশ্বকাপে আবারও নামছে ঘানা, আমাদের স্কুলবেলার ডার্ক হর্স। ২০১০ বিশ্বকাপের দলটার একজনই মাত্র ২০২২ সালের বিশ্বকাপ দলের নিয়মিত মুখ,তিনি আন্দ্রে আয়িউ, মূলত নাম্বার টেন, কিন্তু সাম্প্রতিক সুইজারল্যান্ড-ঘানা ম্যাচটাতে খানিক স্লো মনে হলো। ঘানার ইনাকি উইলিয়ামস নিয়েও মাতামাতি হচ্ছে,মাতামাতি হচ্ছে ঘানার হয়ে ১১০ নম্বর ম্যাচ খেলে ফেলা আন্দ্রে আয়িউকে নিয়েও। কিন্তু আমার নজর থাকছে অন্য দুজনের দিকে — সুলেমানা এবং সেমেনিও। সুইজারল্যান্ড ম্যাচে আন্দ্রে আয়িউয়ের ভাই জর্ডন আয়িউ ঘানার লেফট উইং বরাবর তেমন কিছু করতে পারেননি, স্ট্রাইকার পজিশনে থাকা ইনাকিও সাদামাটা ছিলো। ঘানার কোচ সুলেমানা এবং সেমেনিওকে পরিবর্ত হিসাবে নামিয়েছিলেন। আর সুলেমানার দুরন্ত উইংপ্লে থেকে গোল করেছিলেন সেমেনিও।সেমেনিওর খেলা দেখলে একজন আদর্শ স্ট্রাইকারের কথাই মনে হয়। ঘানার আরেকজনকে দেখার আছে, ওদের নাম্বার থারটিন-আফ্রিয়ি। আজ মন বলছে পেপে, দানিলো, রুবেন ডায়াসেরা খুব একটা শান্তিতে থাকবেননা। রোনালদো নিজের শেষ বিশ্বকাপ স্মরণীয় করে রাখুক এটা আমি চাই, কিন্তু আমার এই চাওয়া-পাওয়া নিয়ে দড়িটানাটানি খেলা খেলছেন আফ্রিয়ি, সুলেমানা, সেমেনিও। ছেলেবেলার অপূর্ণ ঘানাপ্রেম বনাম ক্রিশ্চিয়ানোর পোর্তুগালের দুরন্ত মিডফিল্ড — নিজের সাথেই নিজেকে লড়তে হবে আজ।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন