শনিবার | ২২শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৭:৪৩
Logo
এই মুহূর্তে ::
নন্দিনী অধিকারী-র ছোটগল্প ‘অমৃতসরী জায়কা’ মহিলা সংশোধনাগারগুলিতে অন্তঃসত্ত্বা একের পর এক কয়েদি, এক বছরে ১৯৬ শিশুর জন্ম : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় ‘শোলে’র পঞ্চাশ বছর : সন্দীপন বিশ্বাস বিভাজনের রাজনীতি চালিয়ে হিন্দুত্ববাদীরা ইতিহাস পালটাতে চায় : তপন মল্লিক চৌধুরী অশোক সম্পর্কে দু-চারটে কথা যা আমি জানি : অসিত দাস চৈত্রের শুরুতেই শৈবতীর্থ তারকেশ্বরে শুরু হলো সন্ন্যাস মেলা : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় প্রথম বাঙালি পরিচালকের প্রথম নির্বাক লাভ স্টোরি : রিঙ্কি সামন্ত গোপিনী সমভিব্যাহারে রাধাকৃষ্ণের হোলি ও ধ্যানী অশোকবৃক্ষ : অসিত দাস শেখাওয়াটির হোলী-হাভেলী : নন্দিনী অধিকারী সংস্কৃত সাহিত্যে অশোকবৃক্ষ যখন দোহলী : অসিত দাস প্রাণগৌরাঙ্গের প্রিয় পঞ্চব্যঞ্জন : রিঙ্কি সামন্ত ‘দ্য স্টোরিটেলার’ — শিল্প এবং বাজারের মধ্যে দ্বন্দ্ব : কল্পনা পান্ডে অপুষ্টি আর দারিদ্রতা ঢাকতে সরকার আর্থিক উন্নয়নের পরিসংখ্যান আওড়ায় : তপন মল্লিক চৌধুরী দোহলী মানে অশোকবৃক্ষ, তা থেকেই দোল ও হোলি : অসিত দাস সিনেমা প্রেমীদের হোলির গান : রিঙ্কি সামন্ত দোলের আগের দিনের চাঁচর নিয়ে চাঁচাছোলা কথা : অসিত দাস খোল দ্বার খোল, লাগল যে দোল — দোলা লাগল কি : দিলীপ মজুমদার শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর বৃন্দাবন যাত্রা (শেষ পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত সিঙেরকোণ-এর রাধাকান্ত এখনও এখানে ব্যাচেলর : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর বৃন্দাবন যাত্রা (প্রথম পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত বাজারে ভেজাল ওষুধের রমরমা দায় কার : তপন মল্লিক চৌধুরী বাঙালি বিজ্ঞানীর গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য ‘কুড়কুড়ে ছাতুতে’ ক্যানসার নিকেশ : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় বোলপুর কি সত্যিই বলিপুর : অসিত দাস রাখাইন পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশের উপর প্রভাব : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন অসুখী রাজকন্যাদের লড়াইয়ের গল্প : রিঙ্কি সামন্ত বিশ্ব থেকে ক্যানসারকে নির্মূল করতে গবেষণায় একের পর এক সাফল্য রূপায়ণের : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় কল্পনার ডানায় বাস্তবের রূপকথা : পুরুষোত্তম সিংহ হাইকোর্টের রায়ে ভাবাদিঘীতে তিন মাসের মধ্যে কাজ শুরুর নির্দেশ : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কমছে, সঙ্কটে সরকারি বাংলা মাধ্যম স্কুল : তপন মল্লিক চৌধুরী ফল্গু নদীর তীরে একটি ছোট শহর এই বুদ্ধগয়া : বিজয় চৌধুরী
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ দোলপূর্ণিমা ও হোলি ও বসন্ত উৎসবের  আন্তরিক শুভেচ্ছা শুভনন্দন।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

আর্জেন্তিনা : সৌদি আরব — আমার দেখা প্রথম হাফের চাল পালটা চাল : যীশু নন্দী

যীশু নন্দী / ২৬৭ জন পড়েছেন
আপডেট বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২২

আর্জেন্তিনা হেরে যাবে ভাবিনি।সৌদি আরবকেও হাল্কাভাবে নিয়েছিলাম—একথা সোজাসাপটা স্বীকার করছি।কিন্তু আর্জেন্তিনার মসনদ যে ভেঙে যেতে পারে এমন একটা সম্ভাবনা তৈরী হয়েছিলো মনের মধ্যে। প্রথমত, লো সেলসোর অনুপস্থিতি। দেখুন, আর্জেন্তিনার খেলা দেখার সুবাদে এটুকু বুঝি আর্জেন্তিনার ট্র‍্যাডিশনাল লেফট উইংগার নেই, অনেকেরই থাকেনা। তাই আর্জেন্তিনার বামপন্থী আক্রমণগুলোর মূল কান্ডারি হতেন লেফট ব্যাক আকুনা আর লেফট ওয়াইড মিডফিল্ডার লো সেলসো। তবে লো সেলসোকে পুরোপুরি ওয়াইড মিডফিল্ডার বলা যাবেনা। ওর অনেকগুলো কাজ থাকতো। কখনও আকুনার সাথে লিঙ্ক আপ প্লে করত, কখনও প্রতিপক্ষের রাইট ব্যাককে টেনে আকুনার জন্য স্পেস ক্রিয়েট করতো, কখনও আকুনা হাফস্পেস ইনভলভ করতো আর লো সেলসো ওয়াইড সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রোল হলো মেসির সাথে লিংক আপ প্লে করতো। আর্জেন্তিনার এই স্কোয়াডে লো সেলসো নেই। দ্বিতীয় কারণ, প্যারাদেস যবে থেকে জুভেন্তাসে গেছেন তবে থেকে তিনি দলের প্রথম একাদশে রেগুলার হতে পারেননি। পিএসজিতে যতদিন ভিটিনহা রেগুলার হননি, ততদিন পারাদেস-ভেরাত্তি জুড়ি ছিলো পিএসজির রেগুলার ফেস। ভিটিনহার মতো খেলোয়াড় যে সারাক্ষণ প্রেস করতে পারে আর যার ডিফেন্সিভ কোয়ালিটিও ভালো,এরকম একজন এসে যাওয়ায় পারাদেস ইরেগুলার হন প্রথম একাদশে, তিনি জুভেন্তাসে যান, সেখানেও তিনি ইরেগুলার এখনও অবধি। অর্থাৎ, সাম্প্রতিক সময়ে আর্জেন্তিনার অন্যতম পিভট পারাদেসের ম্যাচ প্র‍্যাক্টিস নেই। আর তৃতীয় কারণ, লোন স্ট্রাইকার হিসাবে মার্তিনেজ চিরকালই না পসন্দ। মনে রাখতে হবে মেসি কিন্তু স্ট্রাইকার নন। মেসি আদর্শ নাম্বার টেন। আর ইন্টারে লোতারের পাশে জোয়াকিন কোরিয়া খেলেন। কাজেই এইসকল কারণে আর্জেন্তিনার কিছু দুর্বল জায়গা ছিলোই।

এখন আসা যাক গতকালের খেলায়। আমি খেলার টেকনিক্যাল দিক বিশেষ কিছু বুঝিনা। কালকের আর্জেন্তিনার সেকেন্ড হাফও দেখিনি। ফার্স্ট হাফ দেখে যেটা মনে হলো, সেটা আজ সকাল থেকেই ফেসবুকের বহু আলোচ্য বিষয়, আর তা হলো হাই ব্যাকলাইন। অবশ্যই এটা মাস্টারস্ট্রোক। তবে আরও যে দুটো স্ট্র‍্যাটেজি নিয়ে আলোচনা হচ্ছেনা তা হলো এইরূপ—

১) সৌদি দল সাজিয়েছিলো ৪-৪-২ এ। ওদের ব্যাকলাইন হাই ছিলো, কিন্তু আসল যে জায়গাটায় ওরা কুপোকাত করেছে তা হলো ব্যাকলাইন আর মিডলাইনের মাঝের দূরত্ব ছিলো একেবারে মিনিমাল। অর্থাৎ সেন্ট্রালি সৌদি ছিলো অনেক বেশি কম্প্যাক্ট। দেখুন, হাই ব্যাকলাইন অনেক অনেক রিস্কি। এক্ষেত্রে ব্যাকলাইনকে সবসময় একসাথে ওঠানামা করতে হয়, নয়তো যেকোনো মুহূর্তে আর্জেন্তাইন ফরোয়ার্ডেরা ওয়ান ইজ টু ওয়ান সিচুয়েশনে চলে আসতে পারেন। আমিও সেটাই ভেবেছিলাম। সত্যি বলতে কি হাই ব্যাকলাইন দেখে আমি খুশিই হয়েছিলাম।ব্যাকলাইনের পিছনের স্পেসটা দেখে আমার খুব লোভ লাগছিলো। ভাবছিলাম আজ অনেকগুলো গোল করবে আর্জেন্তিনা, কারণ একবার না একবার সৌদির ডিফেন্ডারেরা ভুলচুক করবেই। কিন্তু গোটা ম্যাচে একসাথে ওঠানামার কাজটা নিখুঁতভাবে করলো সৌদি। একবারের জন্যেও ভুলচুক করলোনা। তাই আর্জেন্তিনার তিন তিনটি গোল বাতিল হলো অফসাইডে।

কিন্তু স্কালোনি কি এতোই মূর্খ কোচ? সৌদির এই প্ল্যানের পালটা চাল তিনি কি দেননি? দিয়েছিলেন কিন্তু তা কাজ করেনি।কেনো করেনি? তার জন্য আমাদের আসতে হবে সৌদি কোচের আরেকটা মাস্টারস্ট্রোকের কথায় —

২) আর্জেন্তিনা চার ব্যাক নিয়ে খেলা শুরু করলেও ওরা কিন্তু খেলা চলাকালীন থ্রি ব্যাক সিস্টেমে হয়ে যায়, এমনকি আক্রমনের সময় টু ব্যাক সিস্টেমেও হয়ে যায়।আক্রমণের সময় আর্জেন্তিনার দুই সাইড ব্যাক মোলিনা/মন্ট্রিয়েল আর আকুনা/ট্যাগ্লাফিকোর একজন ওভার ল্যাপে ওঠেন গিয়ে যোগ দেন মেসি-মারিয়া-মার্তিনেজ-সেলসোর সাথে (৫) [এই স্কোয়াডে লো সেলসো নেই, গোমেজ কাল সেলসোর পূর্ববর্ণিত কাজগুলো করতে পারেননি], আর আরেকজন সেন্ট্রালি চলে আসেন ডি পল পারাদেসের সাথে (৩) অর্থাৎ ২-৩-৫। আবার অনেক সময় সেন্ট্রাল পিভট-ডি পল এবং পারাদেসের একজন নীচে নেমে আসেন সেন্ট্রাল ডিফেন্সে (৩), বাকীটা একই থাকে, অর্থাৎ ৩-২-৫। কালকে প্রথম হাফে ডিপল উঠে গিয়েছিলো ফরোয়ার্ড লাইনে, মেসির ছায়া হয়ে। পারাদেস ছিলো সিঙ্গল পিভট। আসলে সৌদির ৪ জনের হাই ব্যাকলাইনকে আর্জেন্তিনা ৫ ফরোয়ার্ড লাইন দিয়ে প্রেস করতে চাইছিলো। কিন্তু সৌদির সেকেন্ড লাইনের ৪ জন এতোই কাছাকাছি এবং স্টাউট ছিলো যে লড়াইটা সৌদির (৪+৪) বনাম আর্জেন্তিনার ৫ হয়ে যায়। মেসি পুরোপুরিভাবে সৌদির এই দুই লাইনের মাঝে ছিলো স্যান্ডউইচড। আর মেসি বসে যাওয়া মানে লোতারোর শক্তি অর্ধেক হয়ে যাওয়া। এবার সৌদির কোচের অন্যতম মাস্টারস্ট্রোক — সৌদির দুই উইংগার অনেকটা ন্যারো হয়ে গেলো। উইংগার দের মার্ক করতে আর্জেন্তিনার দুই সাইড ব্যাকও নিজের পজিশন থেকে সরে গেলো। গলদটা ঘটলো এখানেই। আর্জেন্তিনার দুই উইং ব্যবহৃত হলোনা, আর সৌদি সেন্ট্রালি ছিলো অনেক সলিড। ফলে আর্জেন্তিনা আউট অফ পজেশন হয়ে গেলো।

স্কালোনি এবার আরেকটা চাল দিয়েছিলো। স্কালোনির টিমে রোমেরোর মতো একজন আছেন যিনি উইথ দ্য বল বেশ স্বছন্দ, আর লং বল বাড়াতেও ওস্তাদ। রোমেরো দু-এক বার বল নিয়ে এগোলো, সৌদির একজন প্রেস করতে এসে আউট অফ পজেশন হলো আর এই সুযোগে রোমেরো লং বল বাড়ালো লোতেরোর জন্য। কিন্তু টাইমিং-এর গন্ডগোল থাকায় লোতেরো অফসাইডে পড়ল। স্কালোনির এই চালের পালটা চাল দিলো সৌদিকোচ। রোমেরোকে প্রেস করালো ওদের দুই স্ট্রাইকারের একজনকে দিয়ে, আর কদাচিত লোতেরোর জন্য লং বল বাড়ানোগুলো ব্লক করে গেলো সৌদির নম্বর ফাইভ।

কালকের প্রথম হাফের আর্জেন্তিনাকে দেখে মন ভরেনি উক্ত কারণগুলোয়। প্রথম হাফ দেখে বেরিয়ে পড়লাম চেম্বারে। একজন পেশেন্ট দেখার পর যখন মোবাইল চালালাম তখন আর্জেন্তিনা ১-২ এ হারছে। আর খেলা দেখার ইচ্ছেও হয়নি। তাই সেকেন্ড হাফের খুঁটিনাটি আপনাদের কাছেই শুনতে চাই।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন