বৃহস্পতিবার | ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ১১:৫৬
Logo
এই মুহূর্তে ::
কেন বারবার মণিপুরে আগুন জ্বলে আর রক্ত ঝড়ে : তপন মল্লিক চৌধুরী শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (শেষ পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ হাইপেশিয়া — এক বিস্মৃতপ্রায় গনিতজ্ঞ নারীর বেদনাঘন উপাখ্যান (প্রথম পর্ব) : অভিজিৎ রায় শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (ষষ্ঠ পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ জগদীশ গুপ্তের গল্প, কিছু আলোকপাত (শেষ পর্ব) : বিজয়া দেব শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (পঞ্চম পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ পথিক, তুমি পথ হারাইয়াছ? : দিলীপ মজুমদার শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (চতুর্থ পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (শেষ পর্ব) : দিলীপ মজুমদার শতবর্ষে সঙ্গীতের ‘জাদুকর’ সলিল চৌধুরী : সন্দীপন বিশ্বাস সাজানো বাগান, প্রায় পঞ্চাশ : অমর মিত্র শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (তৃতীয় পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (একাদশ পর্ব) : দিলীপ মজুমদার খাদ্যদ্রব্যের লাগামছাড়া দামে নাভিশ্বাস উঠেছে মানুষের : তপন মল্লিক চৌধুরী মিয়ানমারের সীমান্ত ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রতিবেশী দেশগুলোর উদ্যোগ : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (দ্বিতীয় পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (দশম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার বুদ্ধদেব গুহ-র ছোটগল্প ‘পহেলি পেয়ার’ ‘দক্ষিণী’ সংবর্ধনা জানাল সাইকেলদাদা ক্যানসারজয়ীকে : দিলীপ মজুমদার শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (প্রথম পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (নবম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত-র ছোটগল্প ‘তোমার নাম’ কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (অষ্টম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত-র ছোটগল্প ‘হাওয়া-বদল’ কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (সপ্তম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার প্রবোধিনী একাদশী ও হলদিয়ায় ইসকন মন্দির : রিঙ্কি সামন্ত সেনিয়া-মাইহার ঘরানার শুদ্ধতম প্রতিনিধি অন্নপূর্ণা খাঁ : আবদুশ শাকুর নন্দিনী অধিকারী-র ছোটগল্প ‘শুভ লাভ’ কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (ষষ্ঠ পর্ব) : দিলীপ মজুমদার কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (পঞ্চম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই দীপাবলি এবং কালীপুজোর আন্তরিক শুভনন্দন।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (সপ্তম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার

দিলীপ মজুমদার / ৬২ জন পড়েছেন
আপডেট মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৪

জেনি ক্যারোলিন লংগেট (Jenny Carolina Longett) বা লরা মার্কস (Laura Marx) ও চার্লস লংগেট (Charles Longett) // কার্ল মার্কসের মেয়ে-জামাই

জেনি ক্যারোলিন লংগেট বা লরা মার্কস (১৮৪৪-১৮৮৩) — স্ত্রী জেনির নামে বড় মেয়ের নাম রেখেছিলেন কার্ল মার্কস। অন্য সবাই তাঁকে ডাকতেন জেনিশেন বলে। জন্মের পর জেনিশেন রুগ্ন ছিলেন। তবে এই রোগ প্রাণঘাতী হয় নি।

২৪ বছরে জেনিশেন অর্থনৈতিকভাবে মা-বাবাকে সাহায্য করার জন্য ফরাসি ভাষার শিক্ষিকার কাজ করতে শুরু করেন। ‘জে ইউলিয়াম’ ছদ্মনামে তিনি প্রবন্ধও লিখতেন সমাজতান্ত্রিক পত্রিকায়। আইরিশ রাজবন্দিদের প্রতি ব্রিটিশ সরকারের আচরণের প্রতিবাদ থাকত সেই সব লেখায়।

জেনি ক্যারোলিন লংগেট ও চার্লস লংগেট

১৮৭১ সালে সাংবাদিক ও রাজনৈতিক কর্মী চার্লস লংগেটের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। ১৮৭২ সালের ১০ অক্টোবর তাঁরা সেন্ট পানক্রাস রেজিস্ট্রি অফিসে বিয়ে করেন। তার পর তাঁর নাম হয় জেনি লংগেট। বিবাহিত জীবনের প্রথম দিকে আর্থিক কষ্টে পড়তে হয় তাঁদের। এর পর তাঁরা অক্সফোর্ডে চলে আসেন। শিক্ষকতার চাকরির সন্ধান করে ব্যর্থ হলেন চার্লস লংগেট। জেনি নিযুক্ত হলেন গৃহশিক্ষকতায়। তিনি জার্মান, ফরাসি ভাষার সঙ্গে সংগীত শিক্ষাও দিতে লাগলেন। ১৮৭৪ সালে তাঁদের অবস্থার কিছু পরিবর্তন হল। চার্লস কিংস কলেজে ফরাসি ভাষায় শিক্ষকতার চাকরি পেলেন আর জেনি চাকরি পেলেন সেন্ট ক্লিমেন্ট ডেনস স্কুলে। জেনির প্রথম সন্তান জন্ম নেয় ১৮৭৩ সালে, কিন্তু অত্যল্পকাল পরে ডায়েরিয়ায় তার মৃত্যু হয়। দ্বিতীয় পুত্র জেন লরেন্ট ফ্রেডারিখ জনি লংগেট ফ্রান্সের সোশ্যালিস্ট পার্টির নেতা হয়েছিলেন। তৃতীয় পুত্র মানসিক প্রতিবন্ধী ছিল, ৫ বছর বয়েসে সে মারা যায়। চতুর্থ পুত্র এডগার উল্ফ লংগেট চিকিৎসক হয়েছিলেন এবং যোগ দিয়েছিলেন ফরাসি সমাজতন্ত্রী দলে।

১৮৮০ সালে চার্লস লংগেট ফ্রান্সে ফিরে আসেন। জর্জ ক্লিমেনসিউ প্রতিষ্ঠিত ‘লা জাস্টিস’ পত্রিকার সম্পাদনায় নিষুক্ত হন চার্লস লংগেট। ১৮৮১ সালে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানরা চলে আসেন তাঁর কাছে। প্যারিসের সন্নিকটে আর্জেন্টিউলে বসবাস করতে শুরু করেন। এই বাড়িতে কার্ল মার্কসও আসতেন। এখানেই ১৮৮১ সালে জন্ম গ্রহণ করেন জেনিশেনের পঞ্চম সন্তান মার্সেল লংগেট, যিনি পরে সাংবাদিক হয়েছিলেন। ১৮৮২ জন্ম হয় ষষ্ঠ সন্তানের, যাঁর নাম রাখা হয় জেনি লংগেট। কন্যার জন্মের চার মাস পরে জেনিশেন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

চার্লস ফেলিক্স সিজার লংগেট

(Charles Felix Cesar Longett) (১৮৩৯-১৯০৩)

লংগেস্ট ছিলেন এক সাংবাদিক ও শ্রমজীবীদের আন্দোলনের কর্মী। প্রথম আন্তর্জাতিকের জেনারেল কাউন্সিলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। লাসেন, ব্রাসেলস ও লণ্ডনের সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ‘জার্নাল অফিসিয়ালে’র সম্পাদনা করেছিলেন। ১৮৭১ সালের প্যারি কমিউনে যোগদান করেন সক্রিয়ভাবে। পরাজয়ের পরে তিনি চলে আসেন লণ্ডনে। এখানেই কার্ল মার্কসের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়।

১৮৮০ সালে তিনি আবার ফিরে যান ফ্রান্সে। ‘লা জাস্টিস’ নামক দৈনিক সংবাদপত্রের সম্পাদনা শুরু করেন। তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয় ১৮৮৩ সালে, তিনি মারা যান ১৯০৩ সালে।

তাঁদের সন্তানদের মধ্যে মাত্র দুজনের পরিচয়লিপি আমরা সংগ্রহ করতে পেরেছি।

জিন-লরেন্ট-ফ্রেডারিখ লংগেট (Jean-Laurent-Frederich Longuet) (১৮৭৬-১৯৩৮)

জিন-লরেন্ট-ফ্রেডারিখের জন্ম হয় লণ্ডনে। তাঁকে বাড়ির লোকেরা ‘জনি’ বলে ডাকতেন। কার্ল মার্কস তাঁদের বাড়িতে এলে জনি দাদুর সঙ্গে খেলা করতেন। ১৮৮১ সালে তাঁরা ফ্রান্সে চলে যান। কার্ল মার্কস তাঁদের বাড়িতে তিন মাস ছিলেন। পরে মার্কসের মেয়ে এলেনর এসে যোগ দেন। এলেনর জনিকে ছেলের মতো ভালোবাসতেন। ক্যানসারে জনির মায়ের মৃত্যু হলে এলেনর জনিকে লণ্ডনে নিয়ে যান। সেখানে তিনি পড়াশুনো করেন।

জিন-লরেন্ট-ফ্রেডারিখ লংগেট

বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়া শেষ করে জনি আইন ও সাংবাদিকতায় যোগ দেন। ‘লা হিউম্যানাইট’ পত্রিকায় তিনি কিছুদিন কাজ করেন, তারপর নিজে প্রকাশ করেন ‘লা পপুলেয়ার’। ফরাসি সমাজতান্ত্রিক দলের সঙ্গে তাঁর যোগ ছিল। ‘ওয়ার্কাস ইন্টারন্যাশনাল’-এর ফরাসি শাখার সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ১৯১৮ সালের স্ট্রাসবার্গ কংগ্রেসে এস.এফ.আই.ও-র সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য তাঁর নীতি গ্রহণ করে। ১৯২০ সালের ‘টুর কংগ্রেসে’ কমিউনিস্টরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে, তিনি মধ্যপন্থী ‘টু-অ্যাণ্ড-আ-হাফ ইন্টারন্যাশনালে’ যোগ দেন। ১৯৩০ সালে ব্রাসেলসের সোশ্যালিস্ট ইন্টারন্যাশনালে তিনি জিনোইস্টদের পক্ষ গ্রহণ করেন। রাজনৈতিক বন্দি বিনায়ক দামোদর সাভারকরের পক্ষে তিনি হেগের ‘পারমানেন্ট কোর্ট অব আরবিট্রেশন’-এ সওয়াল করেন। ১৯৩৮ সালে এক মোটর দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়।

এডগার মার্সেল লংগেট (Edgar Marcel Longett) (১৮৭৯-১৯৫০)

এডগার লংগেটের জন্ম লণ্ডনের রামসেগেটে। পেটুক ছিলেন বলে তাঁর ডাক নাম ‘উলফ’। তাঁর দেড় বছর বয়েসে তাঁদের পরিবার লণ্ডন থেকে ফ্রান্সে আসেন। এডগার চিকিৎসাবিদ্যা অধ্যয়ন করেছিলেন। ডাক্তারি করতেন তিনি।

এডগার ফরাসি শ্রমিক আন্দোলনে যোগ দেন। ১৯০৫ সালে তিনি যোগ দেন সমাজতন্ত্রী দলে। ১৯৩৮ সালে সদস্য হন ফরাসি কমিউনিস্ট পার্টির। তিনি ছিলেন স্টালিনপন্থী। সোবিয়েত ইউনিয়নের প্রশংসা করতেন। ১৯৪৮ সালে ‘কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো’র শতবর্ষপূর্তি উৎসবে তিনি অংশগ্রহণ করেন। তাঁর ছেলে পল লংগেট সক্রিয় ছিলেন সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনে। (ক্রমশ)


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন