মঙ্গলবার | ২৭শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | রাত ৯:৩২
Logo
এই মুহূর্তে ::
গ্রেস কটেজ বুলেটিন প্রকাশ : দীপাঞ্জন দে অথ ওয়াইন কথা : রিঙ্কি সামন্ত বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের চিকিৎসাবিভ্রাট : অসিত দাস বাংলা ইসলামি গান ও কাজী নজরুল ইসলাম : আবু বকর সিদ্দিকি পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের অনবদ্য সৃষ্টি ‘কবর’ কবিতার শতবর্ষ পূর্তি : মনোজিৎকুমার দাস কঠোর শাস্তি হতে চলেছে নেহা সিং রাঠোরের : দিলীপ মজুমদার রবীন্দ্রনাথ ও শান্তিনিকেতন : শান্তা দেবী বাঙালি মুসলমান সম্পাদিত প্রথম পত্রিকা : ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান সিন্ধু সভ্যতার ভূখণ্ড মেলুহা-র সঙ্গে বাণিজ্যে মাগান দেশ : অসিত দাস তদন্তমূলক সাংবাদিকতা — প্রধান বিচারপতির কাছে খোলা চিঠি : দিলীপ মজুমদার হেমন্তকুমার সরকার ও নজরুল-স্মৃতিধন্য মদনমোহন কুটির : ড. দীপাঞ্জন দে রামমোহন — পুবের সূর্য পশ্চিমে অস্তাচলে গেলেও শেষ জীবনে পিছু ছাড়েনি বিতর্ক : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় মাওবাদী দমন না আদিবাসীদের জমি জঙ্গল কর্পোরেট হস্তান্তর : তপন মল্লিক চৌধুরী জৈষ্ঠ মাসের কৃষ্ণপক্ষে শ্রী অপরা একাদশী মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত পর্যটন মানচিত্রে রামমোহনের জন্মভূমিতে উন্নয়ন না হওয়ায় জনমানসে ক্ষোভ : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় সংগীতে রবীন্দ্রনাথ : সৌম্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর গোয়ার সংস্কৃতিতে সুপারি ও কুলাগার কৃষিব্যবস্থা : অসিত দাস পুলওয়ামা থেকে পহেলগাঁও, চিয়ার লিডার এবং ফানুসের শব : দিলীপ মজুমদার ক্যের-সাংরী কথা : নন্দিনী অধিকারী সুপারি তথা গুবাক থেকেই এসেছে গোয়ার নাম : অসিত দাস রোনাল্ড রসের কাছে জব্দ ম্যালেরিয়া : রিঙ্কি সামন্ত রাজ্যে পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়ছে, কমবে অন্য রাজ্যের উপর নির্ভরতা : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় উনিশের উত্তরাধিকার : শ্যামলী কর কেট উইন্সলেটের অভিনয় দক্ষতা ও চ্যালেঞ্জিং ভূমিকার ৩টি চলচ্চিত্র : কল্পনা পান্ডে হিন্দু-জার্মান ষড়যন্ত্র মামলা — আমেরিকায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংকট : সুব্রত কুমার দাস সিন্ধুসভ্যতার ভাষা যে ছিল প্রোটোদ্রাবিড়ীয়, তার প্রমাণ মেলুহা তথা শস্যভাণ্ডার : অসিত দাস চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (শেষ পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস জাতিভিত্তিক জনগণনার বিজেপি রাজনীতি : তপন মল্লিক চৌধুরী গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তালশাঁসের চাহিদা : রিঙ্কি সামন্ত চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (ষষ্ঠ পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা (গুরু পূর্ণিমা) আন্তরিক প্রীতি শুভেচ্ছা ভালোবাসা।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

গোপিনী সমভিব্যাহারে রাধাকৃষ্ণের হোলি ও ধ্যানী অশোকবৃক্ষ : অসিত দাস

অসিত দাস / ২১৭ জন পড়েছেন
আপডেট মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫

দোল উৎসবকে রাধাকৃষ্ণের লীলামাহাত্ম্যের প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। যদিও শ্রীচৈতন্যের সময় থেকে এই উৎসব আপামর জনতার উৎসব হয়ে ওঠে। মদন ও রতির মদনোৎসব থেকে বিবর্তিত হয়েই নাকি দোল বা হোলি উৎসব এসেছে। তবে মদনোৎসব পালিত হত অশোকবৃক্ষ বা দোহলীর নীচে। রাধাকৃষ্ণের লীলাখেলাও কি তাহলে অশোকবৃক্ষের নীচে সংঘটিত হত? চৈতন্যদেবের সময় তো অশোকবৃক্ষ তথা দোহলী অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে। কোনও বিবরণেও পাওয়া যায় না অশোকবৃক্ষের কথা। তবে গোপিনীসমভিব্যাহারে রাধাকৃষ্ণের হোলিখেলায় অন্তত তিনটি ক্ষেত্রে অশোকবৃক্ষের কথা পেয়েছি।

রাধা-কৃষ্ণের ভালোবাসাকে জীবাত্মা ও পরমাত্মার মিলন বলা হয়ে থাকে। রাধা শুধুমাত্র কৃষ্ণের প্রেমিকাই নন, বরং তাঁর আত্মা ও শক্তি স্বরূপা প্রেমের দেবী।তিনি হ্লাদিনীশক্তির প্রতীক। সর্বদা কৃষ্ণের নামের আগে রাধার নাম নেওয়া হয়। মনে করা হয় রাধার নামমাত্রেই কৃষ্ণের প্রতিটি শিরা প্রফুল্ল ও শিহরিত হয়ে পড়ে। তাই রাধার আশীর্বাদ লাভের জন্য শক্তিশালী ‘শ্রী রাধা কৃপা কটাক্ষ স্তোত্র’ পাঠ করা বাঞ্ছনীয় বলে পণ্ডিতদের বিশ্বাস। কথিত আছে যে, এই স্তোত্রের রচয়িতা স্বয়ং শিব। ধর্মীয় ধারণা অনুযায়ী রাধাকে তুষ্ট করার জন্য শিব এই স্তোত্র রচনা করে পার্বতীকে শুনিয়ে ছিলেন। এই স্তোত্রের মাধ্যমে শিব রাধার শৃঙ্গার, রূপসম্পদ ও করুণা ব্যখ্যা করেছেন।

শ্রী রাধা কৃপা কটাক্ষ স্তোত্র —

রাধা সাধ্যম সাধনং যস্য রাধা, মন্ত্রো রাধা মন্ত্র দাত্রী চ রাধা,

সর্বং রাধা জীবনম্ যস্য রাধা, রাধা রাধা বাচিকিম তস্য শেষম।

মুনীন্দবৃন্দবন্দিতে ত্রিলোকশোকহারিণী, প্রসন্নবক্ত্রপংকজে নিকঞ্জভূবিলাসিনী,

ব্রজেন্দভানুনন্দিনী ব্রজেন্দ্র সূনুসঙ্গতে, কদা করিষ্যসীহ মাং কৃপা-কটাক্ষ-ভজানম্

অশোকবৃক্ষ বল্লরী বিতানমণ্ডপস্থিতে, প্রবালজ্বালপল্লব প্রভারূণাঙ্ঘি কোমলে,

বরাভয়স্ফুরত্করে প্রভূতসম্পদালয়ে, কদা করিষ্যসীহ মাং কৃপা-কটাক্ষ-ভজানম্। (সংক্ষেপিত)

খ্রিস্টীয় অষ্টম শতকে জনৈক শিবাচার্য নামক প্রয়াগনিবাসী কবি রচনা করেন ‘শ্রীরাধা কৃপাস্তোত্র’। সেখানে তিনি শ্রীরাধার অঙ্গশোভার বর্ণনা দিতে গিয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে লিখেছেন, —

অশোকবল্লরীসম শরীরোত্তম শোভিতে

প্রবালজ্বালকুসুম প্রভারূণাঙ্ঘি কোমলে।।

বরাভয়স্ফুরত্করে প্রভূতসম্পদালয়ে

কদা করিষ্যসীহ মাং কৃপা-কটাক্ষ-ভজানম্।।

কাজী নজরুল ইসলামের হিন্দু পুরাণ গুলে খেয়েছিলেন। তাঁর কলম থেকে রাধাকৃষ্ণের লীলাখেলার বিবরণও বেরোবে, এটাই প্রত্যাশিত। এই বহুশ্রুত নজরুলগীতিটিতে হোলি খেলায় মত্ত রাধাকৃষ্ণের পারিপার্শ্বিক দৃশ্যে অশোক ফুলও শোভা পাচ্ছে —

ব্রজ–গোপী খেলে হোরী

খেলে আনন্দ নবঘন শ্যাম সাথে।

রাঙা অধরে ঝরে হাসির কুম্কুম্

অনুরাগ–আবীর নয়ন–পাতে।।

পিরীতি–ফাগ মাখা গোরীর সঙ্গে

হোরি খেলে হরি উন্মাদ রঙ্গে।

বসন্তে এ কোন্ কিশোর দুরন্ত

রাধারে জিনিতে এলো পিচ্কারী হাতে।।

গোপিনীরা হানে অপাঙ্গ খর শর ভ্রুকুটি ভঙ্গ

অনঙ্গ আবেশে জর জর থর থর শ্যামের অঙ্গ।

শ্যামল তনুতে হরিত কুঞ্জে

অশোক ফুটেছে যেন পুঞ্জে পুঞ্জে

রঙ–পিয়াসি মন ভ্রমর গুঞ্জে

ঢালো আরো ঢালো রঙ প্রেম–যমুনাতে।।

দোহলী হল অশোকবৃক্ষের আর এক নাম। দোহলী থেকেই দোল ও হোলি কথাদুটির সৃষ্টি হয়েছে বলে আমার বিশ্বাস। জানি না, সংস্কৃত বা প্রাকৃত সাহিত্যে দোলের প্রাকশব্দ হিসেবে দোহলী বা দোঅলি কোনও জায়গায় উল্লিখিত হয়েছে কিনা। সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিতদের এদিকটায় একটু আলোকপাত করতে অনুরোধ জানাই।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন