সংক্রামক রোগের চক্রব্যূহ থেকে বেরোতে ‘ওয়ান হেলথ’ অ্যাপ্রোচের সুপারিশ করেছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। সম্প্রতি বিশ্ব ব্যাঙ্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পলিসি পার্টনারশিপ মারি পেঙ্গেস্তু একথা জানিয়েছেন। প্রশ্ন আসতে পারে ‘ওয়ান হেলথ’ অ্যাপ্রোচ ব্যাপারটা কি? স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন — এই নিরাময় ব্যবস্থায় মানুষের স্বাস্থ্যকে একটা পৃথক ব্যাপার হিসেবে না দেখে তার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে বন্যপ্রাণ এবং পরিবেশের স্বাস্থ্য। কারণ পরিবেশে দূষণ থাকলে এবং জীবজন্তুর থেকে মানুষের শরীরে রোগ ছড়ানোর সুযোগ থাকলে কোন চিকিৎসায় সুফল মিলবে না। এটাকেই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘ওয়ান হেলথ’ অ্যাপ্রোচ।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, মানুষের ৭৫ শতাংশ রোগই জুনোটিক, অর্থাৎ তা জীবজন্তুর থেকে ছড়াচ্ছে। কোভিড প্রমাণ করেছে অতিমারির কোন নির্দিষ্ট অঞ্চল নেই। তা যেকোন দেশে হতে পারে, যেকোন জায়গায় ছড়াতে পারে। তা রুখতে সময় একটা বড় ব্যাপার। অর্থাৎ ঠিক সময়ে ব্যবস্থা না নিলে সংক্রমণ সামাল দেওয়া মুশকিল। ‘ওয়ান হেলথ’ অ্যাপ্রোচ সময়ের সমস্যাটা সমাধান করতে পারে। কারণ এতে একই সঙ্গে মানুষের সংক্রমণ রোখার পাশাপাশি পরিবেশ এবং জীবজন্তু থেকে সংক্রমণ ছড়ানো রোখার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ফলে কমছে পরিবেশ ও পশুপাখি থেকে রোগ ছড়ানোর বিপদ। বিশ্ব ব্যাঙ্কের মতে, ‘ওয়ান হেলথ’ অ্যাপ্রোচই মানব স্বাস্থ্য সুরক্ষিত করতে সবচেয়ে বড় ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ।
এবছরের ২৪ অক্টোবরে প্রকাশিত বিশ্ব ব্যাঙ্কের ‘পুটিং প্যানডেমিক বিহাইন্ড আসঃ ইনভেস্টিং ইন ওয়ান হেলথ টু রিডিউস রিস্ক অফ এমারজিং ইনফেকশাস ডিজিজ’ নামে রিপোর্টে বলা হয়েছে ১৯৮০ থেকেই সংক্রামক রোগ বছরে ৬.৭ শতাংশ বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রোগ সংক্রমণ। অভিজ্ঞতা বলছে, প্রস্তুতির সময় না দিয়েই ছড়িয়ে যাচ্ছে রোগ। একটা সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি ছাড়া এই দ্রুত সংক্রমণের মোকাবিলা করা অসম্ভব। মানুষের চিকিৎসার পাশাপাশি আটকাতে হবে পরিবেশ ও পশুপাখি থেকে সংক্রমণের বিপদ। তাহলে সংক্রমণের গতি কমবে। বিশ্ব ব্যাঙ্কের মতে এর জন্য ব্যয় হবে প্রায় ৮৪,৪৮৫৬ কোটি টাকা। ‘ওয়ান হেলথ’ অ্যাপ্রোচের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ফাও, ইউএনইপি, হু, অ্যানিম্যাল হেলথ বডি’র মত আন্তর্জাতিক সংস্থা।
রাষ্ট্রের বিলোপ না হলে ” ওয়ান হেলথ ” কি ভাবে সম্ভব? পরিবেশ /প্রকৃতিকে তো ধ্বংস/নষ্ট করছে ধনীরা। পৃথিবীর সমস্ত সম্পদ তো ধনীরাই পেটে পুরছে।এই কিছুকাল আগে রাজা/জমিদাররা নিজেদের শখ মেটাতে/বীরত্ব জাহির করতে বন্য প্রানী শিকার করতো। আর আজ সকল ধনীদের সীমাহীন লোভের ফলে প্রকৃতিকে ধ্বংস করছি। বিশ্ব ব্যাঙ্কের কর্মরত লোকজনদের বেতন/ভাতা ও কি কি সুযোগ সুবিধা পায়- সেই তথ্য কি পাওয়া যায়। তাদের পরিবারের সম্পদের হিসাব কি পাওয়া যাবে?