“এক-একটা লেখকের মধ্য দিয়ে লেখকের এক ধরনের যন্ত্রণার মুক্তি, সেই সঙ্গে কিছু আনন্দেরও। এর মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের আত্মতুষ্টিগত যতি-চিহ্ন কোনো পাকা স্বাক্ষরের স্পর্ধা ধরে না। কোন্ লেখার মধ্যে এই ব্যথা-ছোঁয়া আনন্দের একটা পূর্ণ রূপ দেখে যেতে পারব? কোন্ লেখার মধ্যে গ্লানির গর্ভবাস থেকে শিব সুন্দরের উত্থানের খবরটি সহস্রজনের কাছে রেখে যেতে পারব? আর কোন লেখার মধ্যেই আগামী দিনের লেখকদের কাছে একটি মাত্র ঘোষণা সম্পূর্ণ করে যেতে পারব- বলে যেতে পারব,এ বিশ্বসংসারে বেঁচে থাকার শক্তিটাও বড় অদ্ভুত ভাই-দয়া না, ক্ষমা নয়, রুদ্র তোমার প্রসন্ন মুখ দ্বারা আমাকে সর্বদা রক্ষা করো।পারলে সেটাই হবে শেষ আর সব থেকে সেরা লেখা।”
এই কথাগুলো যিনি বলেছেন তিনি বাংলা সাহিত্যের একজন বিশিষ্ট কথাকার। যাঁর উপন্যাস পড়ার জন্য একসময় গ্রন্থাগারে ছুটতেন পাঠকেরা। পাঠকদের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতেন গ্রন্থাগারিকরা। সিনেমাহলগুলোতে অনেকদিন ধরে চলত তাঁর লেখা উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্র। ‘তাঁর উপন্যাস এককালে ছাত্র-ছাত্রীদের বই-খাতার ফাঁকে লুকোনো থাকতো, সরকারি-বেসরকারি অফিসের কর্মীরা ফাঁক পেলেই ফাঁকি দিয়ে অফিসেই পড়তেন তাঁর উপন্যাস, নিত্যযাত্রীদের ট্রেনের সঙ্গী ছিল তাঁর লেখা। গিন্নীদের ভাত ঘুম কেড়ে নিত।’ তাঁর হাতে ছিল সেই সব কাহিনিনির্মাণের ক্ষমতা, যা সাধারণ মানুষকে ভীষণভাবে আকর্ষণ করতে পারতো। ‘মানবিক আবেদন, হৃদয় গভীর থেকে উঠে আসা ভালবাসার সুগন্ধ যাঁর সমস্ত আখ্যানে ওতপ্রোত হয়ে আছে’, মানুষের হৃদয়ের অতলে জমে থাকা আলো এবং অন্ধকারের সূক্ষ্ম খেলা আর কারুকাজ যাঁর কথাসাহিত্যের মূল কথা, চরিত্র সৃজনের নিপুণ শিল্পকৌশল যিনি জানতেন, যাঁর উপন্যাসে প্রেম আছে কিন্তু তা সর্বস্ব হয়ে উঠেছে মানবিকতায়, যাঁর সব চরিত্র রক্তমাংসের মানুষের, যাঁর ছোটগল্পের অনেক ঘটনাবর্ত, তিনি আর কেউ নন, ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, চিত্রনাট্যকার, আশুতোষ মুখোপাধ্যায়। বিশিষ্ট সাহিত্যিক শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের ভাষা ধার করে বলতে ইচ্ছে করে “বাংলায় গল্প উপন্যাস লিখে এবং শুধুই লিখে অন্য কোন উপায়ে হইচই না করে কিংবা বড় প্রচারের তোল্লাই না পেয়েও আশুতোষ মুখোপাধ্যায় বাঙালী পাঠক-পাঠিকাদের কাছে একটি গার্হস্থ্য নাম হয়ে ওঠে।… নিজেকে নিয়ে রিডিকিউল করতেন অবলীলায়। সেখানে দুঃখের ঝিনুক থেকে হাসির মুক্তো তুলে আনতে পারতেন। এসব বড় মানুষ — বড় লেখক বড় একটা হয় না।”
জন্ম ১৯২০ সালের ৭ই সেপ্টেম্বর, ঢাকার বিক্রমপুরের বজ্রযোগিনী গ্রামে। বাবা পরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ছিলেন সরকারি চাকুরে।সারা বাংলা ঘুরেছেন, সেই সুবাদে অখন্ড বাংলার প্রায় সর্বত্র ঘুরেছেন কিশোর আশুতোষ।ফলে তাঁর পড়াশোনার ‘ক্ষতি কিছু হয়েছে কিন্তু খেলাধুলার ছোট জগতটা কাছে এসে গেছে।আত্মকথা ‘সবিনয় নিবেদন’ থেকে জানা যায়, মফঃস্বল শহরে স্কুল থেকে কলেজের পাঠান্তকাল পর্যন্ত কোন্ খেলায় গত কাপ-মেডেল পেলাম বা পেতে পারি কোন টিমকে কিভাবে পর্যুদস্ত করা যেতে পারে — এসব ছাড়া আর কোন চিন্তা মাথায় ছিল না। ওই সময় পর্যন্ত একটি গল্পের দাগও মাথায় জমাট বাঁধেনি কখনো।প্রথম কিশোর-যৌবনে অমন অস্থির বহির্মুখিতার পাশাপাশি একটা খাপছাড়া অন্তঃপুরের জগৎ ছিল তাঁর, তাই রাতে বিছানায় শুয়ে শুয়ে গল্প বানিয়ে ভাইদের শোনাতে ভালোবাসতেন। শরৎচন্দ্রের উপন্যাসের নায়িকারা তাকে খুবই প্রভাবিত করেছে। আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের রচনাবলির প্রথম খন্ডের ভূমিকায় অরুণকুমার মুখোপাধ্যায়ের লেখা ‘জীবন-সন্ধানী আশুতোষ মুখোপাধ্যায়’ আশুতোষ মুখোপাধ্যায় জীবন ও সাহিত্য সম্পর্কে একটি উল্লেখযোগ্য কাজ। নরেশ সেনগুপ্ত, সৌরীন মুখোপাধ্যায়, অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের উপন্যাসগুলো তাঁর সামনে একটা বিরাট জগত খুলে দিয়েছিল।পড়াশোনায় তাঁর অনুরাগ ছিল না। তার জন্য গঞ্জনা শুনতে হয়েছে বাড়িতে। হুগলি মহসীন কলেজ আই.এস.সি.উত্তীর্ণ হওয়ার পর কলকাতায় কলেজে পড়তে শুরু করেন, তার চোখের অসুখ হয়, অনেকদিন অন্ধকার ঘরে কাটিয়েছেন। সুস্থ হওয়ার পর তিনি কলেজে লেখাপড়া ছেড়ে দেন। পরিবারে তিনিই ছিলেন অকৃতী।এ কারণে তাকে অনেক গঞ্জনা সইতে হয়েছিল। পরপর চাকরি-ব্যবসা ধরেছেন — ছেড়েছেন এবং শেষে ‘যুগান্তর’ পত্রিকায় চাকরি। এখানে তিনি ১৮ বছর চাকরি করেন। ‘সবিনয় নিবেদনে’ই তিনি লিখেছেন, জীবনে অনেক সুন্দর দেখেছি, কুৎসিত দেখেছি, অনেক ভালো দেখেছি, মন্দ দেখেছি, সেই সুন্দর কুৎসিত, ভালো-মন্দের নজির সামনে রেখে মানুষের মুখের তলার জগৎটাই নানা ভাবে তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি।’ তাঁর মেয়ের কথায় —
“মুখোপাধ্যায় পরিবারে দুঃস্বপ্নেও কেউ কল্পনা করেনি, সাহিত্যিক হবে। বাবার তিন কুলে না ছিল কোনও সমঝদার, না কোনও উৎসাহী। তাই শুরুতে ঝড়ঝাপ্টা ঝঞ্ঝাট তো কম আসেনি। বাবা বলত, “এ যেন বিনা ছাড়পত্রে হুট করে ঢুকে পড়ে নাস্তানাবুদ হওয়া।”…দশ ভাইবোনের মধ্যে পঞ্চম। ভাইদের মধ্যে তৃতীয়। সবার ‘সেজদা’ হয়েও বিরাট যৌথ সংসারে তাঁর ভূমিকা ছিল ‘বড় ভাইয়ের। লেখার জন্য নিজের খাটের ওপর একটা জলচৌকি, এ-ফোর সাইজের রাইটিং প্যাড আর নিজস্ব কয়েকটা কলম ব্যস, আর কিচ্ছু না। তাতেই যা হওয়ার হয়েছে। সরস্বতী পুজোর দিন দেখতাম, প্রতি বছর একটা না একটা গল্প বা উপন্যাসের লাইন লিখত ওই জলচৌকি টেনে নিয়ে। ওটাই ছিল হয়তো বা বাবার অর্ঘ্য। অঞ্জলি দিত পেট পুরে খেয়ে দেয়ে।”
আশুতোষ মুখোপাধ্যায় অসংখ্য উপন্যাস লিখেছেন, লিখেছেন অনেক ছোট গল্প। জীবনকে দেখার অভিজ্ঞতা ছিল তাঁর। জীবনের জটিলতাকেও ধরতে পারতেন খুব সহজেই। মানব মনের জটিলতা সন্ধানে তাঁর যেমন আগ্রহ ছিল, তেমনি জীবনের বৈচিত্র্য সন্ধানে ছিল আকর্ষণ। তাঁর সাহিত্যসমালোচকদের কথায় — “জীবনের বিচিত্র ক্ষেত্রকে তিনি খুব নিকট থেকে পর্যবেক্ষণ করেছেন, জীবিকা ও বৃত্তির নানা রূপ তন্ন তন্ন করে দেখেছেন। তারপর তাকে কেন্দ্র করে গড়ে তুলেছেন মানুষকে, উঠে এসেছে জীবনের সদর্থকতা।
তাঁর উপন্যাসগুলির দিকে যদি একটু তাকাই, অসাধারণ সেই সব উপন্যাসগুলির নাম। ‘তাঁর উপন্যাস তাঁর অজস্র জীবনবীক্ষণের ফসল’। উল্লেখ করতে হবে-চলাচল, জীবনতৃষ্ণা, পঞ্চতপা, অলকাতিলক, অগ্নিমিতা, কাল তুমি আলেয়া, রোশনাই, নগর পারে রূপনগর, সাঁঝের মল্লিকা, বকুলবাসর, নতুন তুলির টান, বিদেশিনী, আমি সে ও সখা, সারি তুমি কার, রূপের হাটে বিকিকিনি, সোনার কাঠি রূপোর কাঠি, চাঁদের কাছাকাছি, মেঘের মিনার, পুরুষোত্তম, সোনার হরিণ নেই, আশ্রয়, তিন পুরুষ, সাত পাকে বাঁধা, পরকপালে রাজধানী প্রভৃতি উপন্যাসের কথা। জীবনের ব্যাপ্ত জটিলতা আর মানব অস্তিত্বের বিচিত্রমুখী বিন্যাস-এই দুয়ের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস। ‘চলাচল’ উপন্যাসটি তাঁকে প্রথম প্রতিষ্ঠা দেয়। পরবর্তী চল্লিশ বছর আর ফিরে তাকান নি। মাসিক বসুমতী তে প্রকাশিত ‘নার্স মিত্র’ গল্পটি ১৯৫১ থেকে ১৯৫৩ সালের মধ্যে লেখা। তারপরে ‘দীপ জ্বেলে যাই’ নামে সিনেমা হয় ১৯৫৬-তে। এই সময় পরপর সিনেমা হয় চলাচল, পঞ্চতপা, জীবনতৃষ্ণা। এর ফলে তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে।
সর্বাণী মুখোপাধ্যায় তাঁর ‘দশটি উপন্যাস’-এর ভূমিকায় লিখেছেন, “উনিশশো পঞ্চাশ থেকে উনিশশো ঊননব্বই প্রায় চল্লিশ বছর ধরে জীবনের শেষতম দিনটি পর্যন্ত অবিরাম লেখনী বর্ষণে উৎপন্ন হয়েছে বহুমুখী সোনালী ফসলের সম্ভার।”
‘পঞ্চতপা’ উপন্যাসে আছে শুষ্ক পার্বত্য নদী মড়াই ও তৎসংলগ্ন অঞ্চল, সাঁওতালি পরিবেশ। লেখকের লক্ষ্য ছিল তথাকথিত কঠোর বা তথাকথিত মন্দ চরিত্রের আদলে মানুষের আদর্শবাদে দীক্ষিত মহানুভবতা বা উদারতার রূপায়ণ। ‘চলাচল’ আর ‘পঞ্চতপা’ স্বাধীন ভারতের কর্মকান্ডের বিপুল পটভূমিতে নতুন ধরনের উপন্যাস। “অরুণ বাবুর কথার সূত্র ধরেই বলতে হয়,”জীবনের বৈচিত্র্যর সন্ধান আর পরমের সন্ধান — একই সঙ্গে দুটি ধারা আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের প্রধান প্রধান উপন্যাসে লক্ষ্য করা যায়। ‘নগর পারে রূপনগর’ উপন্যাসটি ‘ব্যক্তি’র সংকীর্ণতা দুর্গে আবদ্ধ নয়, আত্মানুসন্ধানের বৃহত্তর শুভবোধের আবেদন; এই উপন্যাসে গভীর সুস্থ জীবনবোধে লেখক আমাদের ফেরাতে চেয়েছেন। “তাঁর উপন্যাসের পটভূমি বিভিন্ন।কখনো পাহাড়ের খাদান, কখনো আদিম আরণ্যক জীবন, আবার কখনো চা-বাগান কিংবা রেলসেতু — ওঠে তাঁর উপন্যাসের পটভূমি। পাশাপাশি নিজের ব্যক্তিজীবন উপন্যাসে রূপ পেয়ে যায়। দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত তাঁর পুত্রের স্মৃতি জড়িয়ে থাকে উপন্যাসের সঙ্গে।
বারিদবরণ ঘোষের কথায় “ধ্বংস আর সৃষ্টি সুখের উল্লাস, সুস্থ জীবনবোধে প্রত্যাবর্তনের প্রতিশ্রুতি, পুরোনো মূল্যবোধের প্রতি আস্থা, গল্প বলার অতুলন দক্ষতা, অন্ধকার -মৃত্যু-পতনকে অস্বীকার করেই আশুতোষ জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক।”
তাঁর উল্লেখযোগ্য ছোটগল্প গ্রন্থগুলির মধ্যে মুখোমুখি, দুজনার ঘর, ফেরারি অতীত, চলো জঙ্গলে যাই, রূপসী বাংলার মুখ, ত্রিবর্ণা, কথামালা প্রভৃতির পাশাপাশি উল্লেখ করতে হয় রাপ্তীর ডাক, জানালার ধারে, কুমারী মাতা, মনমধুচন্দ্রিকা, প্রতিবিম্বিতা, পিক পয়েন্ট, উত্তর বসন্ত গল্পগ্রন্থগুলির কথা। তাঁর গল্পে ‘অসহায় মানুষের জেতার কাহিনি আছে। তাই অন্ধকার আর পতনকে সরিয়ে সরিয়ে আমরা তাঁর লেখায় সাধারণ মানুষকেই জয়ী হতে দেখি। লিখেছেন আত্মজৈবনিক গল্প, ঘরোয়া জীবনের কাহিনি, নারীর রহস্যময় গতিপ্রকৃতির গল্প, লিখেছেন বৈচিত্র্যময় নারীর বিভিন্ন রূপ। মধ্যবিত্তের সুখ-দুঃখের মেলা যেন তাঁর গল্প। মনে পড়ে যাই মুখোমুখি, বিবেচনা, দাম্পত্য, দুজনার ঘর প্রভৃতি গল্পের কথা। শাণিত সমাপ্তির গুণে তাঁর গল্প পৌঁছে গেছে সব ধরণের পাঠকের কাছে। অনেক ঘটনাবর্ত কালব্যাপ্তি উৎকণ্ঠার পরম্পরা পেরিয়ে নাটকীয় উত্থান-পতনের পথ ধরে সেই সব গল্পের যাত্রা। প্রসঙ্গত বর্ষা, শুভচক্র, মডেল, রক্তাম্বর, সহৃদয় সংহার, ভাদ্রের রবি, প্রতিনিধি, শেষপর্যন্ত প্রভৃতি গল্পের কথা বলতে হয়।
বাস্তবজীবনে বরাবর দারুন স্মার্ট প্রখর বাকচাতুর্যে ভরা আর শ্যামল সুন্দর পুরুষ আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা ছিল প্রশ্নাতীত। কোনরকম বড় সম্মানে সম্মানিত হন নি ঠিকই, কিন্তু প্রজার প্রাণের প্রণাম তো পেয়েছেন অজস্র, সেই পাওয়াই হয়তো তাঁর প্রকৃত পাওয়া। ‘তাঁর প্রত্যেকটি বই একাধিক সংস্করণের বেড়া ডিঙিয়েছে, তাঁর প্রায় সব বই সর্বদা বাজারে সচল অবস্থায় প্রাপ্তিযোগ্য থাকে।’গ্রন্থাগারের একটা আলমারি জুড়ে তাঁর রচনাবলী। জন্মশতবর্ষ পেরিয়ে এসেছি কয়েকবছর আগে।আজও রচনাবলী ওল্টাতে ওল্টাতে আজও আধুনিক প্রজন্ম বিস্মিত হয়। আজও স্মার্টফোনে তরুণ যুবক সার্চ করে ‘কাল তুমি আলেয়া’ কিংবা ‘দীপ জ্বেলে যাই’ অথবা ‘সাত পাকে বাঁধা’র মতো সেই অসাধারণ চলচ্চিত্রগুলি।কথাবার্তায় পোশাকে-আশাকে ব্যবহারে বন্ধুত্বে ষোলআনা একজন বাঙালী ছিলেন আশুতোষ। তিনি তাঁর মতো করেই লিখেছেন, তাঁর মতো করেই লিখেছেন, তাঁর মতো করেই ভেবেছেন। ‘একজন হৃদয়বান যোদ্ধা’, ‘রূপনগরের মানুষ’, ‘হৃদয়-পথের পথিক’আশুতোষ মুখোপাধ্যায়। রুদ্রপ্রসাদ চক্রবর্তীর কথা দিয়ে শেষ করি — “আগামী প্রজন্মের কাছে খাঁটি বাঙালী চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য যখন অচেনা রূপকথার জগৎ হয়ে যাবে, সেদিন সত্যসন্ধানী গবেষক ডুব দেবেন আশুতোষ সাহিত্যের বিশাল সমুদ্রে। অনাগত যুগের সেইসব সর্বনাশা দিনের জন্য আশুতোষ সাহিত্যসম্ভার অত্যন্ত জরুরী।”
অমৃতাভ দে। ‘কথার ঘর’ শিবতলা লেন, ঘূর্ণি, কৃষ্ণনগর, নদিয়া, ৭৪১১০৩
খুব ভাল লেগেছে লেখাটা। ওনার লেখা অনেক উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা হয়েছে যেসব গুলোর বেশির ভাগেই উত্তমকুমার ছিলেন।
সঠিক মূল্যায়ন। লেখাটি ভালো লাগলো
নিবিষ্ট পাঠ ও পাঠপ্রতিক্রিয়া নিঃসন্দেহে সুখপাঠ্য ও তথ্যসমৃদ্ধ। লেখককে। ধন্যবাদ
মধ্যবিত্ত বাঙালি জীবনের নিষ্ঠাবান কথাকার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তার মূল সূত্র ও কারণগুলি সঠিকভাবে ধরবার চেষ্টায় সম্পূর্ণ সফল কবি ও লেখক অমৃতাভ দে। আগাগোড়া সুখপাঠ্য এই লেখাটির জন্য তাঁকে অভিনন্দন।