শনিবার | ৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ১০:৪৬
Logo
এই মুহূর্তে ::
বাংলার নবজাগরণের কুশীলব (তৃতীয় পর্ব) : দিলীপ মজুমদার সর্বপাপবিনাশীনি জয়া একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত বাংলার নবজাগরণের কুশীলব (দ্বিতীয় পর্ব) : দিলীপ মজুমদার বাজেটে সাধারণের জীবনমানের উন্নয়নের একটি কথাও নেই : তপন মল্লিক চৌধুরী শঙ্খ ঘোষ-এর ‘এখন সব অলীক’ নস্টালজিক অনুভূতি দিয়ে ঘেরা মায়াময় এক জগৎ : অমৃতাভ দে বাংলার নবজাগরণের কুশীলব (প্রথম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার কালো গোঁসাইয়ের চিঠি — চিঠিকেন্দ্রীক স্মৃতির পুনর্জীবন : মোঃ তুষার উদ্দিন নব নব রূপে : নন্দিনী অধিকারী সরস্বতীর বীণা কচ্ছপী ও গজকচ্ছপ বাঙালি বুদ্ধিজীবী : অসিত দাস মহাকুম্ভ উপলক্ষে এবার যে জনপ্লাবন দেখা যাচ্ছে, তা এককথায় অভূতপূর্ব : অসিত দাস মৈত্রেয়ী ব্যানার্জি-র ছোটগল্প ‘আখের রস’ নন্দিনী অধিকারী-র ছোটগল্প ‘সরস্বতী দিদিমণি’ মহাকুম্ভ থেকে মহাদুর্ঘটনা দায় কার : তপন মল্লিক চৌধুরী কুমোরপাড়ার মৃৎশিল্পীরা খুঁজছে মাটির নিরাপত্তা : রিঙ্কি সামন্ত জিবিএস নিয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই, মত চিকিৎসকদের : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় বিন্যাসকে ভিন্নমাত্রায় নিয়ে গেছেন গল্পকার অনিশ্চয় চক্রবর্তী : পুরুষোত্তম সিংহ বিমল কর-এর ছোটগল্প ‘খিল’ মৌনী অমাবস্যায় তৃতীয় শাহি স্নান : রিঙ্কি সামন্ত ঢেঁকি নেই, নেই ঢেঁকিশাল, গ্রামের মানুষের কাছে আজ ইতিহাস : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় টাকা মাটি, মাটি টাকা : দিলীপ মজুমদার মির্জা নাথানের চোখে বাংলার ভুঁইয়াদের হাতি : মাহবুব আলম ভিয়েতনামের গল্প (অষ্টম পর্ব) : বিজয়া দেব ‘জাওয়ানি জানেমান হাসিনা দিলরুবা’র একাকিত্বের কাহিনী (শেষ পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত “কপোতাক্ষ নদ”-এর কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত : আসমা অন্বেষা কৃষ্ণনগরে সর্বধর্ম ভ্রাতৃত্ব সমাবেশ : ড. দীপাঞ্জন দে চোখের ক্যানসার থেকে সাবধান! দিন দিন বাড়ছে, আগাম সতর্কতা জরুরি : ডা. তনুশ্রী চক্রবর্তী রাখাইন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন বিদ্বজ্জনসমাজ ও জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির কবিয়ালের প্রেত : অসিত দাস ষষ্ঠীলা একাদশী বা ষটতিলা একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত একদা বিরুদ্ধরাই আজ নেতাজির স্তুতিগানে সরব : সন্দীপন বিশ্বাস
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ বসন্ত পঞ্চমী ও সরস্বতী পুজোর  আন্তরিক শুভেচ্ছা শুভনন্দন।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেব ও বিশ্বগুরু নরেন্দ্র মোদি : দিলীপ মজুমদার

দিলীপ মজুমদার / ৩১০ জন পড়েছেন
আপডেট বৃহস্পতিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৩

২০১৪ আর ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচন মাতিয়ে দিয়েছিলেন শ্রীরামচন্দ্র। রামজন্মভূমি আন্দোলন সফল হয়েছে। শ্রীরামচন্দ্র পেয়েছেন তাঁর স্বকীয় আবাস। আদালতে রায় দিয়েছিলেন যে বিচারক, তিনি পুরস্কার পেয়েছেন। পরের বছর জানুয়ারিতে, লোকসভা নির্বাচনের ঈষৎ পূর্বে উদ্বোধন হবে আযোধ্যার রামমন্দিরের। এখন রামের পর্ব শেষ। এবার একটা খুঁটি চাই ভারতীয় জনতা দলের। সে খুঁটি মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেব।

ব্যাপারটা শুরু হয়েছিল আদালতে পাঁচ মহিলার পিটিশন ফাইলে। তাঁদের দাবি বছরে একবারের বদলে তাঁদের যেন রোজ মা শৃঙ্গার গৌরীকে পুজো করতে দেওয়া হয়। এখান থেকেই জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে অভিযোগের শুরু। অভিযোগ, মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেব কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ভেঙে ফেলে তৈরি করেছিলেন মসজিদ। আবার অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ড্রিম প্রজেক্ট বিশ্বনাথ টেম্পল করিডোরকে রূপ দিতে ব্যস্ত। ভারতের গৌরব তিনি উদ্ধার করতে চান।

প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর দলের নেতারা আওরঙ্গজেবকে ‘কসাই’, ‘ঘাতক’ বলে সম্বোধন করতে লাগলেন। আমাদের তথাকথিত ইতিহাস বইতে এই মোগল সম্রাটের যে ইমেজ তৈরি হয়ে আছে মানুষের মনে, তার সঙ্গে বর্তমান শাসকদের চোখা চোখা বিশেষণগুলি খাপ খেয়ে যায়। আওরঙ্গজেব বন্দি করে রেখেছিলেন পিতাকে, একের পর এক হত্যা করেছেন ভ্রাতাদের, প্রবর্তন করেছেন জিজিয়া কর, ধ্বংস করেছেন হিন্দু মন্দির ইত্যাদি ইত্যাদি।

লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে ততই আওরঙ্গজেববিরোধী (আসলে মুসলমানবিরোধী) কণ্ঠস্বর তীব্র হতে থাকবে। গত মাসে মহারাষ্ট্রে তার সূত্রপাত হয়ে গেল। এক কিশোর সমাজ মাধ্যমে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিল। সে পোস্টে আওরঙ্গজেব সম্বন্ধে প্রশংসাসূচক কিছু কথা ছিল। এর বিরোধিতা করে হিন্দুত্ববাদীরা ধর্মঘট ডাকে। কোলাপুরের আর একটি ঘটনা। তিন নাবালিকা আওরঙ্গজেবকে নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাস দেয়। হিন্দুত্ববাদীরা প্রতিবাদ জানায়। মুসলমানদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এন সি পি সুপ্রিমো শরদ পওয়ার, শিবসেনার উদ্ভব গোষ্ঠীর নেতা সঞ্জয় রাউত ও তাঁর বিধায়ক ভাইকে খুনের মেসেজ পাঠানো হয় মোবাইলে। উত্তরপ্রদেশের বিজেপি বিধায়ক সুরেন্দ্র সিং সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবকে তুলনা করেন আওরঙ্গজেবের সঙ্গে। এখানেই থেমে থাকেন নি হিন্দুত্ববাদীরা। তাঁরা দাবি করতে শুরু করেছেন আওরঙ্গজেবের সমাধি ধ্বংস করে দেওয়া হোক এবং হিন্দু উপাসনালয় ভেঙে যে সব মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে, সেগুলিও বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হোক।

শাসকরা সব সময় ইতিহাসকে নিজেদের মতাদর্শের ছাঁচে গড়ে তুলতে চান। কংগ্রেসি শাসনও তার ব্যতিক্রম ছিল না। তখনকার ইতিহাসে সুভাষচন্দ্র বসুর কর্মকাণ্ড, বামপন্থীদের পরিচালিত গণ আন্দোলনগুলিকে গুরুত্ব দেওয়া হয় নি। তার প্রতিবাদও হয়েছিল। সেই প্রতিবাদ গায়ে লেগেছিল শাসকের। তাই কংগ্রেস সরকার অনড় থাকেন নি। কিন্তু বিজেপি সরকার কোন প্রতিবাদকে তোয়াক্কা করেন না। তাঁরা ভারতেতিহাসের খোল-নলচেই বদলে দিতে চান। রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ যে ‘হিন্দুত্ববাদী ইতিহাস’ রচনার প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন বহুকাল আগে, তাকে পরিণতি দিতে বিজেপি সরকার বদ্ধ পরিকর। তাই বিদ্যালয়ের পাঠ্যগ্রন্থে ইসলামিক যুগকে বর্জন ও কাটছাঁট করার কাজ শুরু হয়েছে। মানব মনস্তত্ব এঁরা ভালোই জানেন। জানেন যে, কোপটা মারতে হবে বিদ্যালয় পাঠ্যগ্রন্থ থেকে, কারণ এখান থেকেই সাধারণ মানুষের ইতিহাসবোধ গড়ে ওঠে।

আগ্রা শহরের মেয়র আওরঙ্গজেবকে ‘কসাই’ বলেছেন। এই ইমেজটাই শেকড় গেড়ে বসে আছে মানুষের মনে। সেই সুযোগটা বিজেপি নিতে চায়। শিখ গুরু তেগ বাহাদুরের ৪০০তম জন্মবার্ষিকীতে ভাষণ দিতে গিয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রী আওরঙ্গজেবের ‘কসাই’ ইমেজ তুলে ধরেছেন। কানাডীয়-আমেরিকান সাংবাদিক ডেভিড ফরুম অবাক হয়ে তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলেন ৩০০ বছর আগের এক মোগল সম্রাটকে আক্রমণ করে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী কেন এত লম্বা বক্তৃতা দিচ্ছেন! ইতিহাসবিদ অড্রে ট্রাশকি বলেন যে হিন্দু জাতীয়তাবাদীরা বিশ্বাস করেন যে মুসলমানরা সুদীর্ঘকাল হিন্দুদের নির্যাতন করে এসেছেন, সুতরাং এখন মুসলমানদেরও শাস্তি পেতে হবে। ট্রাশকির মতে, মুসলমানদের ঘৃণা করা এবং তাঁদের সঙ্গে সহিংস আচরণ করাকে গ্রহণযোগ্য করতেই আওরঙ্গজেবের নাম ব্যবহার করা হচ্ছে। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, ইতিহাসবিদ নাদিম রেজাভি বলেন, ভারতের বর্তমান নেতাদের মতো আওরঙ্গজেবও ব্যর্থতা ধামাচাপা দিতে এবং কর্তৃত্ব জোরালো করতে ধর্মের আশ্রয় নিয়েছিলেন।

আওরঙ্গজেবের নির্দেশে বিশ্বনাথ মন্দির ধবংস করা হয়েছিল, এ কথা মেনে নিয়েও সেই মোগল সম্রাটের স্ববিরোধী চরিত্রের কথা চমৎকার করে বলেছেন বিশ্বনাথ মন্দিরের মহন্ত রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি। তিনি বলেছেন যে ১৬৫৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আওরঙ্গজেব একটা ফরমান জারি করে বলেন যে পুরাতন মন্দির ও ব্রাহ্মণ পুরোহিতদের রক্ষা করা উচিত। সে ফরমান এখনও বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে। তারপর ভোল পালটে তিনি বিশ্বনাথ মন্দির ধ্বংস করেন। যাতে লিঙ্গায়তরা শিবপুজো ও সংস্কৃত পুঁথির পাঠ চালিয়ে যেতে পারে তার জন্যাও আরঙ্গজেব জঙ্গমবাদী মঠকে ৪/৫ বিঘা জমি ও নগদ অর্থ দিয়েছিলেন। আওরঙ্গজেবের সেই পাট্টা সরিয়ে ফেলারও চেষ্টা হয়।

এর পরে রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ করিডোর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করে বলেন যে আওরঙ্গজেব বারাণসীতে একটা মন্দির ভেঙে ছিলেন, কিন্তু করিডোর নির্মাণে বহু মন্দির ভেঙে ফেলা হয়। এই বিশ্বনাথ করিডোর প্রধানমন্ত্রীর ‘ড্রিম প্রজেক্ট’।

তিওয়ারি বলেন, — ‘বিশ্বনাথ করিডোর তৈরি করতেও প্রচুর প্রাচীন মন্দির ধ্বংস করা হয়েছে। এই ধ্বংসের দায়িত্বও মোদির ঘাড়ে চাপা উচিত। প্রায় ২৮৬টি শিবলিঙ্গ উপড়ে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। কয়েকটাতো নর্দমায় ফেলা হয়েছে। তার মধ্যে মাত্র ১৪৬টি শিবলিঙ্গ উদ্ধার করা গেছে। (সেগুলি বারাণসীর লঙ্কার থানায় আছে, সেখানেই পুজো হয়) বলা বাহুল্য আমি আওরঙ্গজেবকে বিশ্বনাথ মন্দির ধ্বংস করতে দেখি নি। কিন্তু আমি মোদির দলবলকে হিন্দুদের আবেগের তোয়াক্কা না করে ঐতিহাসিক মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত শিবলিঙ্গকে অসম্মান করতে দেখেছি। মোদি কোন হিন্দুই নন। হিন্দুইজম স্রেফ ওঁর পার্টির ব্যবসা। সোজাসুজি বলছি, মোদি আওরঙ্গজেবের চেয়ে বেশি মন্দির ধ্বংস করেছেন। ‘[রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারির সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন আজাজ আশরফ। ২০২২ সালের ১লা অক্টোবর ‘নাগরিক নেটে’ প্রকাশিত হয়। …..” For the construction of the Vishwanath Corridor, several ancient temples were destroyed . This destruction should be ascribed to Modi. Around 286 shivlingas were uprooted and tossed around. … He (Modi) is not Hindu; he and his party only trade in Hinduism.”]. The Wire পত্রিকার সাংবাদিক অর্ফো খানুম শেরওয়ানিকে রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বলেছিলেন যে মোদি এখানে ‘কাশী বিশ্বনাথ মল’ তৈরি করেছেন।

যাই বলুন ঐতিহাসিকেরা, যাই বলুন ক্ষুব্ধ রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি, ক্ষমতা বড় বালাই ; আর ক্ষমতা কুক্ষীগত করার জন্য নির্বাচন। আবার নির্বাচনের জন্য ছল-বল-কৌশল। আওরঙ্গজেবের (তথা সমগ্র মুসলমানের) হিন্দু নির্যাতনই হবে বিরাট ইস্যু। অন্তত উত্তর ভারতে।


আপনার মতামত লিখুন :

4 responses to “মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেব ও বিশ্বগুরু নরেন্দ্র মোদি : দিলীপ মজুমদার”

  1. Abhijit Banerjee says:

    অতুলনীয় বিশ্লেষণ করেছেন দিলীপদা।
    আপনার আরো অনেক আলোচনা শোনার জন্য অপেক্ষায় রইলাম।

  2. Mouno Bhaumik says:

    পড়লাম।
    সঞ্চয় করে রেখেছি।

  3. Dr, Dilip Majumdar, writer says:

    অভিজিৎ ও ভৌমিকবাবু , দুজনকেই ধন্যবাদ ।

  4. S Kumar says:

    Mr. Mazumder, I think some special topics on the present Situation of Bengal under TMC should be written instead of criticising Modi who is a favourite politician to the maximum Hindus (99pc) and Muslims (50pc) of India. Actually it is a very easy and simple process to be in limelight like Dhruv Rathi by criticising Modi and the followers of Late Shyama prasad Mukherjee. This Rathi,s YouTube is subscribed by maximum people as it contains only the criticism of Modi. Actually India was captured by Muslim terrorists from outside areas only for the Hindus who were the betrayer of India and power crazy and envious and the same traditions are ongoing. It is a totally false statement that Modi has destroyed Temples. All these statues were under the buildings which were taken on payment from Muslim inhabitants. This Arfa Khanum is a journalist who always propagate fake narratives and having an orthodox religious mindset. I think your topic will be well accepted by the students of JNU who gave slogan “India tere tukre hoga.”. But my submission is that some stories must be written by you about the present conditions of Hindus in Bangladesh and the present trend of the TMC leaders of Mushidabad, Malda where the majority is threatening the minority members to through them in Ganges. Our new generation has no idea how the Hindus of East Bengal suffered and left their own houses. But it is fact that the people of India have rejected the left parties who are now favouring the most corrupted Congress party. Now Indians are well conversant with the fake seculars. But I personally don’t accept the details of your topic as it lacks the reality.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন