প্রাচীনত্বের দিক থেকে সমগ্র বাংলার মধ্যে তৃতীয় এবং নদিয়া জেলার মধ্যে সর্বপ্রথম কলেজ হল কৃষ্ণনগর কলেজ, যার বর্তমান নাম কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজ। ১৮৪৬ খ্রিস্টাব্দের ১লা জানুয়ারি কৃষ্ণনগর কলেজ আনুষ্ঠানিকভাবে পথচলা শুরু করে। তখন গভর্নর জেনারেল ছিলেন লর্ড হার্ডিঞ্জ। নদিয়া-রাজ শ্রীশচন্দ্র রায় এবং কাশিমবাজারের রানী স্বর্ণময়ী কৃষ্ণনগর কলেজের জন্য শতাধিক বিঘা জমি দান করলে সেই জমিতে ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে কলেজের বর্তমান প্রাসাদোপম ভবনটি নির্মিত হয়। নদিয়া জেলা তথা বাংলায় আধুনিক শিক্ষার বিস্তারে কৃষ্ণনগর কলেজের ভূমিকা বিশেষভাবে উল্লেখনীয়। কৃষ্ণনগর কলেজ থেকে পড়াশোনা করে বহু শিক্ষার্থী জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। কবি, সাহিত্যিক, নাট্যকার থেকে শুরু করে বিশিষ্ট তাত্ত্বিক, স্বাধীনতা সংগ্রামী, খেলোয়ার, সাংবাদিক, ঐতিহাসিক— বহু গুণীজন কৃষ্ণনগর কলেজে পড়াশোনা করেছেন এবং স্ব-স্ব ক্ষেত্রে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। কৃষ্ণনগর কলেজের শিক্ষকেরাও ছিলেন বিশিষ্ট পণ্ডিত ব্যক্তিত্ব। রামতনু লাহিড়ী, মদনমোহন তর্কালঙ্কার, চিন্তাহরণ চক্রবর্তী, ভবতোষ দত্ত, ফনীভূষণ মুখোপাধ্যায়, তুহিনাংশু ভট্টাচার্য, ধীরানন্দ ঠাকুর, গৌরী ঘোষ, শশীভূষণ দাস, দুর্গাপ্রসন্ন আচার্য, ক্ষুদিরাম দাস, অমলেশ ত্রিপাঠী থেকে সুধীর চক্রবর্তী পর্যন্ত বহু বিশিষ্ট অধ্যাপক কৃষ্ণনগর কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। কৃষ্ণনগর কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ স্যর ডি এল রিচার্ডসন ছিলেন একজন বিশিষ্ট শেক্সপিয়ার বিশেষজ্ঞ।
২ এপ্রিল ২০২৩ (রবিবার) কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজ প্রাক্তনী সংসদের উদ্যোগে কলেজ প্রাঙ্গণে চতুর্দশতম পুনর্মিলন উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। ২০২৩ সালের এই পুনর্মিলন উৎসব বেশ কয়েকটি দিক থেকে একটু বিশেষ ছিল বলা যায়। কলেজের সকল প্রাক্তনীদের, এমনকি বর্তমান শিক্ষার্থী ও কলেজ কর্তৃপক্ষকেও উক্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছিল। পত্র মারফত আমন্ত্রণ, প্রাক্তনীদের ফোন নম্বরে যোগাযোগ করার পাশাপাশি সামাজিক গণমাধ্যমেও ব্যাপকভাবে প্রচার চালানো হয়। এমনকি এবছর প্রথম সারির জনপ্রিয় সংবাদপত্রের জেলার পাতায় কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজের চতুর্দশতম পুনর্মিলন উৎসবে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বিজ্ঞাপন পর্যন্ত দেওয়া হয়। কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজ প্রাক্তনী সংসদের (REGN. NO. S/IL/51964 OF 2008-09) সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমগুলিও (e-mail: kgc.alumni.association@gmail.com. M: 94344 51786 / 77971 07847 / 97340 67466) সেই বিজ্ঞাপনে উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছিল। পুনর্মিলন উৎসবের দিন নাম নথিভুক্তকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয় সকাল ৯:৩০ থেকে। সারাদিনব্যাপী অনুষ্ঠান চলে। ২ এপ্রিল ২০২৩-এর মধ্যে যারা প্রাক্তনী সংসদের নতুন সদস্যপদ গ্রহণ করেন, তাদের এক বছরের চাঁদা, রেজিস্ট্রেশন ফি ও ঐদিনের খাওয়া দাওয়া বাবদ মোট ২০০ টাকা ধার্য করা হয়েছিল। এই বিশেষ ব্যবস্থা কেবলমাত্র ২০২৩ সালের পুনর্মিলন উৎসবের জন্যই করা হয়েছিল। এবছর পুনর্মিলন উৎসবের দিন প্রায় চল্লিশজন প্রাক্তনী ‘কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজ প্রাক্তনী সংসদ’-এর নতুন সদস্যপদ গ্রহণ করেন।
সারাদিনব্যাপী একাধিক কার্যক্রমের মধ্যে দিয়ে পুনর্মিলন উৎসব সম্পন্ন হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং অ্যালাম্নাই অ্যাসোসিয়েশনের পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভসূচনা হয়। পতাকা উত্তোলন করেন প্রাক্তনী সংসদের সভাপতি শংকরেশ্বর দত্ত এবং বিশিষ্ট নাট্যকার চন্দন সেন। তারপর কলেজের মূল ভবনের সামনের বাগানে স্থাপিত প্রখ্যাত সাহিত্যিক দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের আবক্ষমূর্তিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। অতঃপর পুনর্মিলন উৎসবের প্রচলিত প্রথানুযায়ী দ্বিজেন্দ্রমূর্তির সম্মুখে দাঁড়িয়ে প্রাক্তনীরা সমবেত কন্ঠে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের লেখা কালজয়ী দেশাত্মবোধক গান “ধনধান্য পুষ্প ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা / তাহার মাঝে আছে দেশ এক— সকল দেশের সেরা” পরিবেশন করেন। এর মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব সম্পন্ন হয়। পুনর্মিলন উৎসবের পরবর্তী কার্যক্রম চলে কলেজের মূলভবনের সেই ঐতিহাসিক সভাকক্ষে। শিল্পী শঙ্খশুভ্র সরকারের নেতৃত্বে কয়েকজন প্রাক্তনী সমবেত কন্ঠে উদ্বোধন সংগীত পরিবেশন করেন। তারপর প্রাক্তনী সংসদের সভাপতি শংকরেশ্বর দত্ত স্বাগত ভাষণ রাখেন। স্বাগত ভাষণের পর সভামঞ্চে উপস্থিত সম্মানীয় ব্যক্তিবর্গ শংকরেশ্বর দত্ত, ডা: বাসুদেব মণ্ডল, অলোককান্তি ভৌমিক, কানাইলাল বিশ্বাস, শিবনাথ চৌধুরী এবং অর্চনা ঘোষ সরকারকে পুষ্পস্তবক দিয়ে বরণ করে নেন সম্পাদক খগেন্দ্রকুমার দত্ত। প্রাক্তনীদের পাশাপাশি কলেজের বর্তমান শিক্ষার্থীরাও চতুর্দশতম পুনর্মিলন উৎসবে অংশগ্রহণ করেছিল। পুনর্মিলন উৎসব বিষয়ে নৃত্য-গীত সহযোগে তারা এদিন বিশেষ একটি অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।
বিশিষ্ট নাট্যকার চন্দন সেন ছিলেন চতুর্দশতম পুনর্মিলন উৎসবের প্রধান অতিথি। আধুনিক নাট্য-আন্দোলনের অক্লান্ত সৈনিক চন্দন সেন কৃষ্ণনগর কলেজের একজন প্রাক্তনী— ১৯৫৮-৫৯ সালে তিনি এই কলেজে পড়াশোনা করেছেন। একাধারে ব্যতিক্রমী নাট্যকার ও নাট্য-নির্দেশক চন্দন সেন শতাধিক নাটক লিখেছেন। তাঁর লেখা ‘দুই হুজুরের গপ্পো’, ‘অনিকেত সন্ধ্যা’, ‘দায়বদ্ধ’ ইত্যাদি নাটক নাট্যোৎসাহী সচেতন দর্শকদের সমীহ আদায় করেছে। চন্দন সেনের নাটকগুলির বিষয়ভাবনা, মৌলিকতা এবং চরিত্রচিত্রণ বলিষ্ঠতায় ভরপুর। চাকদহের ‘হযবরল’ নাট্যসংস্থা গঠন ও তার পরিচালনা চন্দন সেনের সাংগঠনিক কৃতির অন্যতম পরিচায়ক। নামী প্রকাশন-প্রতিষ্ঠান থেকে প্রকাশ পেয়েছে তাঁর ষাটখানিরও বেশি নাটক। কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজ প্রাক্তনী সংসদের চতুর্দশতম পুনর্মিলন উৎসবে চন্দন সেনকে পুষ্পস্তবক এবং মানপত্র দিয়ে বিশেষভাবে সম্বর্ধনা জানানো হয়। চন্দন সেনকে প্রদেয় মানপত্রটি পাঠ করে তাঁর হাতে তুলে দেন প্রাক্তনী সংসদের অন্যতম সদস্য সম্পদনারায়ণ ধর। চন্দন সেনের স্মৃতিকথায় কৃষ্ণনগর কলেজের পঞ্চাশের দশকের শেষের দিকের কথা উঠে আসে।
চন্দন সেনকে সম্বর্ধনা জ্ঞাপনের পর বক্তব্য রাখেন প্রাক্তনী সংসদের সহ-সভাপতি কানাইলাল বিশ্বাস ও শিবনাথ চৌধুরী। সভামঞ্চে উপস্থিত অধ্যাপক অলোককান্তি ভৌমিক এদিন কলেজের শ্রীবৃদ্ধির বিষয়ে প্রাক্তনী সংসদের নিকট একাধিক প্রস্তাব রাখেন। এরপর ডাক্তার বাসুদেব মণ্ডল ও অর্চনা ঘোষ সরকার তাঁদের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। কৃষ্ণনগর কলেজের প্রাক্তনী বিশিষ্ট পর্বতারোহী দেবাশিস বিশ্বাস তাঁর পর্বতারোহণের অভিজ্ঞতার কথা সকলকে শোনান। চতুর্দশতম পুনর্মিলন উৎসব উপলক্ষে মুদ্রিত প্রাক্তনী সংসদের স্মরণিকাটি এদিন সভামঞ্চ থেকে প্রকাশ করা হয়। স্মরণিকার আবরণ উন্মোচন করেন নাট্যকার চন্দন সেন, সঙ্গে ছিলেন শংকরেশ্বর দত্ত, অলোককান্তি ভৌমিক, শিবনাথ চৌধুরী, খগেন্দ্রকুমার দত্ত এবং দীপাঞ্জন দে। স্মরণিকা প্রকাশ অনুষ্ঠান সমাপ্তির পর সম্পাদকীয় প্রতিবেদন পাঠ করেন প্রাক্তনী সংসদের সম্পাদক খগেন্দ্রকুমার দত্ত। সভাগৃহে উপস্থিত প্রাক্তনীরা সর্বসম্মতিক্রমে সম্পাদকীয় প্রতিবেদনটিকে সমর্থন করেন এবং সেটি গৃহীত হয়। এরপর উপস্থিত সদস্যরা সম্পাদকীয় প্রতিবেদনের উপর বিস্তারিত আলোচনা করেন।
কলেজের উন্নতিতে আগামীদিনের বিভিন্ন পরিকল্পনা বিষয়ে সভায় একাধিক প্রস্তাব আসে। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন— গৌতম চট্টোপাধ্যায়, অলোককান্তি ভৌমিক প্রমুখ প্রাক্তনীরা। কলেজের পক্ষে হিতকর একাধিক বিষয় প্রাক্তনী সংসদের আলোচনা থেকে উঠে আসে। কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে অ্যালাম্নাই অ্যাসোসিয়েশনের দীর্ঘদিনের একটি দাবি হল কলেজ প্রাঙ্গণে প্রাক্তনীদের একটি স্থায়ী অফিস ঘরের ব্যবস্থা করা। এদিনের সভাতেও বিষয়টি উঠে আসে এবং কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে অবিলম্বে স্থায়ী অফিস ঘরের দাবি পূরণের প্রচেষ্টা আরো জোর দিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়াও একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়। কলেজ থেকে পাশ করা সকল শিক্ষার্থীদের ঠিকানা, ফোন নম্বর নথিবদ্ধ করে তাদের প্রতিবছর বার্ষিক সাধারণ সভায় আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পাশাপাশি বর্তমান শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রাক্তনী সংসদের যোগসূত্রতা তৈরি করে তাদের কলেজের ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল করে তোলার বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসে। প্রাক্তনী সংসদের পক্ষ থেকে একটি ওয়েবসাইট খোলার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরপর প্রাক্তনী সংসদের কোষাধ্যক্ষ দীপঙ্কর দাস বিগত কমিটির আয়-ব্যয়ের হিসাব পেশ করেন। সেটিও প্রত্যেক সদস্যের সমর্থনে গৃহীত হয়। অতঃপর সভাপতি মধ্যাহ্ন ভোজনের ঘোষণা করেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন প্রাক্তনী দীপাঞ্জন দে।
প্রাক্তনী সংসদের পূর্ববর্তী সভায় অর্থাৎ ১৩ নভেম্বর ২০২২ (ত্রয়োদশ বার্ষিক সাধারণ সভায়) দুই বছরের জন্য কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজ অ্যালাম্নাই অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি গঠিত হয়েছিল। প্রাক্তনী সংসদের ২০২২-২০২৪ কালপর্বের জন্য নির্বাচিত সেই নতুন কমিটিটি এইরূপ— সভাপতি শংকরেশ্বর দত্ত, সহ-সভাপতি শিবনাথ চৌধুরী, কানাইলাল বিশ্বাস এবং সুধাকর বিশ্বাস। সম্পাদক খগেন্দ্রকুমার দত্ত, সহ-সম্পাদক বিশ্বেশ্বর দত্ত এবং দীপাঞ্জন দে। কোষাধ্যক্ষ দীপঙ্কর দাস, সহ-কোষাধ্যক্ষ অসীমানন্দ মজুমদার। আর সদস্যরা হলেন পীযূষকুমার তরফদার, তুষার চট্টোপাধ্যায়, প্রণবকুমার কর, প্রশান্ত মল্লিক, উজ্জ্বল মোদক, সুকুমার মুখার্জি, প্রশান্ত সাহা, দীপক সান্যাল, চাঁদগোপাল মণ্ডল এবং স্বপনকুমার বাগচী। এই কমিটির পরিচালনাতেই ২০২৩ সালে চতুর্দশতম পুনর্মিলন উৎসব আয়োজিত হয়।
মধ্যাহ্ন ভোজনের পর সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়, পরিচালনায় ছিলেন শিল্পী শঙ্খশুভ্র সরকার। প্রাক্তনী সুহাস মিত্র মাউথঅর্গান বাজিয়ে দুটি গান পরিবেশন করেন। প্রাক্তনী দীপঙ্কর দাস, শঙ্খশুভ্র সরকার, প্রশান্ত মল্লিক ও চাঁদগোপাল মণ্ডল এদিন সংগীত পরিবেশন করেন। আবৃত্তি করেন কলেজের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপিকা স্বাগতা দে এবং প্রাক্তনী জয়িতা সাহা। কলেজের প্রতি অন্তরের টান অনুভব করে বহু প্রাক্তনী বহু দূর-দূরান্ত থেকে এদিনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে এসেছিলেন। কলেজ জীবন অনেক আগে শেষ হলেও পুনর্মিলন উৎসবকে কেন্দ্র করে ফি-বছর প্রাক্তনীরা কলেজ প্রাঙ্গণে একত্রিত হওয়ার সুযোগ পান। ২০২৩ সালে চতুর্দশতম পুনর্মিলন উৎসবে প্রায় ১৫০ জন প্রাক্তনী অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, ‘কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজ প্রাক্তনী সংসদ’-এর উদ্যোগেই অতিসম্প্রতি এই কলেজ হেরিটেজ ভবনের স্বীকৃতি অর্জন করেছে। ৩ জুলাই ২০২০ ওয়েস্ট বেঙ্গল হেরিটেজ কমিশন গেজেট নোটিফিকেশন জারি করে কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজকে হেরিটেজ ভবন হিসেবে ঘোষণা করেছে। প্রাক্তনী সংসদ তাদের কর্মে নিয়োজিত। তাদের পক্ষ থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষের নিকট আরও কয়েকটি দাবী জানানো হয়েছে, যথা— ১) কলেজে পড়াশোনার সার্বিক মান উন্নয়ন, ২) প্রতিটি বিভাগে স্নাতকোত্তর পড়াশোনা চালু, ৩) আগামীদিনে কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজকে ডিমড্ ইউনিভার্সিটিতে উত্তীর্ণ করা, প্রভৃতি। ইতিমধ্যে পুনর্মিলন উৎসবের দুইদিন পর ৫ এপ্রিল ২০২৩ কলেজের বর্তমান অফিসার-ইন-চার্জের সঙ্গে প্রাক্তনী সংসদের প্রতিনিধিরা আলোচনায় বসেছিলেন। চতুর্দশতম পুনর্মিলন উৎসবের দিন কলেজের মানোন্নয়ন সংক্রান্ত যে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়, সেগুলি এদিনের আলোচনায় তুলে ধরা হয়। আগামীদিনে আমাদেরকৃষ্ণনগর কলেজের অনেক শ্রীবৃদ্ধি হোকহবে— এই কামনা করি। সার্বিক দিক থেকে আমাদের জেলা তথা বাংলার অন্যতম ঐতিহ্যমন্ডিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজের ১৭৮তম বর্ষে এই পুনর্মিলন উৎসব নিশ্চয় স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
লেখক: প্রাক্তনী, ইতিহাস বিভাগ, কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজ।
খুব ভালো লাগলো তোমার সুন্দর প্রতিবেদন, দীপাঞ্জন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ স্যর। কলেজের একটি পর্ব ধরা থাকল।
I am so glad to hear regarding this occasion but same way so sad for not to present bcoz out of state..
From 1998 t0 2003 sciennce section
It will be great to see you next year.
খুব সুন্দর উপস্থাপনা। তথ্যসমৃদ্ধ এবং আগ্রহ উদ্দীপক।ধন্যবাদ জানাই প্রতিবেদককে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে আনন্দ পেলাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
সংক্ষিপ্ত পরিসরে যথাযথ বর্ণনা।ভালো লাগলো
ধন্যবাদ ম্যাডাম।