মঙ্গলবার | ২৭শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | রাত ১১:৩৯
Logo
এই মুহূর্তে ::
মনোজ বসু-র ছোটগল্প ‘বাঁশের কেল্লা’ গ্রেস কটেজ বুলেটিন প্রকাশ : দীপাঞ্জন দে অথ ওয়াইন কথা : রিঙ্কি সামন্ত বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের চিকিৎসাবিভ্রাট : অসিত দাস বাংলা ইসলামি গান ও কাজী নজরুল ইসলাম : আবু বকর সিদ্দিকি পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের অনবদ্য সৃষ্টি ‘কবর’ কবিতার শতবর্ষ পূর্তি : মনোজিৎকুমার দাস কঠোর শাস্তি হতে চলেছে নেহা সিং রাঠোরের : দিলীপ মজুমদার রবীন্দ্রনাথ ও শান্তিনিকেতন : শান্তা দেবী বাঙালি মুসলমান সম্পাদিত প্রথম পত্রিকা : ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান সিন্ধু সভ্যতার ভূখণ্ড মেলুহা-র সঙ্গে বাণিজ্যে মাগান দেশ : অসিত দাস তদন্তমূলক সাংবাদিকতা — প্রধান বিচারপতির কাছে খোলা চিঠি : দিলীপ মজুমদার হেমন্তকুমার সরকার ও নজরুল-স্মৃতিধন্য মদনমোহন কুটির : ড. দীপাঞ্জন দে রামমোহন — পুবের সূর্য পশ্চিমে অস্তাচলে গেলেও শেষ জীবনে পিছু ছাড়েনি বিতর্ক : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় মাওবাদী দমন না আদিবাসীদের জমি জঙ্গল কর্পোরেট হস্তান্তর : তপন মল্লিক চৌধুরী জৈষ্ঠ মাসের কৃষ্ণপক্ষে শ্রী অপরা একাদশী মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত পর্যটন মানচিত্রে রামমোহনের জন্মভূমিতে উন্নয়ন না হওয়ায় জনমানসে ক্ষোভ : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় সংগীতে রবীন্দ্রনাথ : সৌম্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর গোয়ার সংস্কৃতিতে সুপারি ও কুলাগার কৃষিব্যবস্থা : অসিত দাস পুলওয়ামা থেকে পহেলগাঁও, চিয়ার লিডার এবং ফানুসের শব : দিলীপ মজুমদার ক্যের-সাংরী কথা : নন্দিনী অধিকারী সুপারি তথা গুবাক থেকেই এসেছে গোয়ার নাম : অসিত দাস রোনাল্ড রসের কাছে জব্দ ম্যালেরিয়া : রিঙ্কি সামন্ত রাজ্যে পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়ছে, কমবে অন্য রাজ্যের উপর নির্ভরতা : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় উনিশের উত্তরাধিকার : শ্যামলী কর কেট উইন্সলেটের অভিনয় দক্ষতা ও চ্যালেঞ্জিং ভূমিকার ৩টি চলচ্চিত্র : কল্পনা পান্ডে হিন্দু-জার্মান ষড়যন্ত্র মামলা — আমেরিকায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংকট : সুব্রত কুমার দাস সিন্ধুসভ্যতার ভাষা যে ছিল প্রোটোদ্রাবিড়ীয়, তার প্রমাণ মেলুহা তথা শস্যভাণ্ডার : অসিত দাস চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (শেষ পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস জাতিভিত্তিক জনগণনার বিজেপি রাজনীতি : তপন মল্লিক চৌধুরী গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তালশাঁসের চাহিদা : রিঙ্কি সামন্ত
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা (গুরু পূর্ণিমা) আন্তরিক প্রীতি শুভেচ্ছা ভালোবাসা।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমছে কোথায়? : রঞ্জন সেন

রঞ্জন সেন / ৮৮৮ জন পড়েছেন
আপডেট বৃহস্পতিবার, ২১ অক্টোবর, ২০২১

পরিবেশ দূষণ কমানোর ব্যাপারে কেন বিশেষজ্ঞ কিংবা নজরদার সংস্থাগুলি সরকারের কাছে আবেদন জানান এবং কেনই বা তারা বাধ্য ছাত্রের মত সেসব মেনে চলার মত প্রতিশ্রুতি দেন তা সত্যিই বোঝা কঠিন! আমরা দেখছি সবচেয়ে বেশি দূষণ সৃষ্টিকারী দেশগুলি পরিবেশ বিজ্ঞানী, বিশেষজ্ঞদের কোন নিষেধাজ্ঞাই  মানেনা। সেকারণে তাদের বিরুদ্ধে বিরাট কিছু শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তাও নয়। ব্যাপারটা খুব অদ্ভুত। এ যেন এক রুটিন হুঁশিয়ারি! তাতে বিষয়টির গুরুত্ব কমে যায়। এই যে ইউনাইটেড নেশনস এনভায়র্নমেন্ট প্রোগ্রাম জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করার জন্য যে লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিলেন, কটা দেশ তা মানলো? কারণ বহু দেশই বুঝে গেছে কোন নিয়ম না মেনেও পরিবেশ সংরক্ষণের বাণী বিতরণ করা যায়। আমরা দেখছি ইউএনইপি নিষেধাজ্ঞার পর অভিযুক্ত রাষ্ট্রগুলি জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার প্রায় দ্বিগুণ করেছে। বিশ্বের তাপমান বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে আটকে রাখার ব্যাপারে কোন উদ্যোগই নিচ্ছে না তারা।

পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, সবচেয়ে কম করতে হবে কয়লার ব্যবহার। অথচ বহু দেশের সরকার যা পরিকল্পনা করছে তাতে ২০৩০ এর মধ্যে কয়লার ব্যবহার কম করার বদলে ২৪০ শতাংশ বাড়বে। খনিজ তেলের ব্যবহার বাড়বে আরও ৫৭ শতাংশ বেশি। গ্যাসের ব্যবহার বাড়বে ৭১ শতাংশ। এতে হতাশ হয়ে কেউ বলতেই পারেন, তাহলে এত ঘটা করে এই ধরণের ঘোষণায় লাভ কি হল?

তবে হতাশ হলে আমাদের চলবে না। এটা পরিবেশ ও মানুষের বাঁচা-মরার প্রশ্ন। যেমন কার্বন দূষণ ও মিথেন গ্যাস নিঃসরণ কম করার জন্য সিডিআর প্রযুক্তি না ব্যবহার করা গেলে পরবর্তীকালে সঙ্কট আরও বাড়বে। দিনের পর দিন এই সঙ্কট আরও তীব্র হবে, তখন আগের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা আর কাজ করবে না। সবচেয়ে আশঙ্কার কথা হল, এই অবস্থাতেও সবচেয়ে বেশি দূষণ সৃষ্টিকারী অধিকাংশই বড় দেশই ২০৩০ এবং তারও পরবর্তী সময়ে এমন পরিকল্পনা নিয়েছে যাতে কার্বন ও মিথেন নিঃসরণ আরও বাড়বে। পরিবেশ বিজ্ঞানীরা পৃথিবীতে ক্লিন এনার্জির ব্যবহার আরও বাড়াতে বলছেন। কিন্তু বিশ্বের ২০টি রাষ্ট্রের যে গোষ্ঠীটি জীবাশ্ম জ্বালানি ক্ষেত্রে ৩০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছিল তারা দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছে কাজকারবার! তাদের বিরুদ্ধে জোরদার ব্যবস্থা নেওয়ার মত কোন কণ্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে না। আমাদের সময় বড় কম, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতেই হবে। এক্ষেত্রে সামান্য বিচ্যুতিও পরবর্তী প্রজন্মকে মারাত্মক বিপদের মুখে ঠেলে দিতে পারে। মানুষের তৈরি করা এই সঙ্কট রুখতে হবে মানুষকেই। আগামি নভেম্বরে গ্লাসগোতে এব্যাপারে সমাধান সূত্র খোঁজার জন্য রাষ্ট্রসংঘ যে বৈঠক ডেকেছে আশাবাদীরা এখন তার দিকেই তাকিয়ে আছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন