শুক্রবার | ২১শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১১:৪৭
Logo
এই মুহূর্তে ::
বাংলাভাষার নেচিতে ‘ময়ান’ ও ‘শাহিস্নান’-এর হিড়িক : অসিত দাস একটু একটু করে মারা যাচ্ছে বাংলা ভাষা : দিলীপ মজুমদার রাজ্যে এই প্রথম হিমঘরগুলিতে প্রান্তিক চাষিরা ৩০ শতাংশ আলু রাখতে পারবে : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় সামরিক জান্তার চার বছর — মিয়ানমার পরিস্থিতি : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন ১৯ ফেব্রুয়ারি ও স্বামীজির স্মৃতিবিজড়িত আলমবাজার মঠ (প্রথম পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত চাষিদের বাঁচাতে রাজ্যের সরাসরি ফসল কেনার দাওয়াই গ্রামীণ অর্থনীতি আরও চাঙ্গা হবে : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় বাংলার নবজাগরণের কুশীলব (সপ্তম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার মোদীর মিডিয়া ব্যস্ত কুম্ভের মৃত্যুমিছিল ঢাকতে : তপন মল্লিক চৌধুরী রেডিওকে আরো শ্রুতিমধুর করে তুলেছিলো আমিন সায়ানী : রিঙ্কি সামন্ত গোপাল ভাঁড়ের আসল বাড়ি চুঁচুড়ার সুগন্ধ্যায় : অসিত দাস প্রতুলদার মৃত্যু বাংলা গানের জগতে অপূরণীয় ক্ষতি — মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : সুমিত ভট্টাচার্য মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র ও গোপাল ভাঁড়, মিথ এবং ডিকনস্ট্রাকশন : অসিত দাস মহাকুম্ভ ও কয়েকটি প্রশ্ন : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী ভিয়েতনামের গল্প (শেষ পর্ব) : বিজয়া দেব কাশীকান্ত মৈত্রের জন্মশতবর্ষ উদ্‌যাপন : ড. দীপাঞ্জন দে অমৃতের সন্ধানে মাঘী পূর্ণিমায় শাহীস্নান : রিঙ্কি সামন্ত বাংলার নবজাগরণের কুশীলব (ষষ্ঠ পর্ব) : দিলীপ মজুমদার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির সঙ্গে মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের যোগ : অসিত দাস ‘হরিপদ একজন বেঁটে খাটো সাদামাটা লোক’-এর গল্প হলেও… সত্যি : রিঙ্কি সামন্ত রোহিঙ্গা সংকট — ফেলে আসা বছর ও আগামীদিনের প্রত্যাশা : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন বাংলার নবজাগরণের কুশীলব (পঞ্চম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার ‘রাঙা শুক্রবার অথবা কহরকন্ঠ কথা’ উপন্যাস বিষয়ে শতদল মিত্র যা বললেন রবীন্দ্রনাথের ধর্মীয় পরিচয় : গোলাম মুরশিদ কেজরিওয়াল হারলো প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে অরাজকতা ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতার জন্য : তপন মল্লিক চৌধুরী বাংলার নবজাগরণের কুশীলব (চতুর্থ পর্ব) : দিলীপ মজুমদার সাহেব লেখক দেড়শো বছর আগেই বলেছিলেন পঞ্চানন কুশারীর কবিয়াল হওয়ার সম্ভাবনার কথা : অসিত দাস বাংলার নবজাগরণের কুশীলব (তৃতীয় পর্ব) : দিলীপ মজুমদার সর্বপাপবিনাশীনি জয়া একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত বাংলার নবজাগরণের কুশীলব (দ্বিতীয় পর্ব) : দিলীপ মজুমদার বাজেটে সাধারণের জীবনমানের উন্নয়নের একটি কথাও নেই : তপন মল্লিক চৌধুরী
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ বসন্ত পঞ্চমী ও সরস্বতী পুজোর  আন্তরিক শুভেচ্ছা শুভনন্দন।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

গুজরাট মডেলের কেলেঙ্কারি! জাল ভেন্টিলেটরকে জোড়াতালি দিতে এবার বরাত রূপাণি সরকারের

রিপোর্টার / ১৮১ জন পড়েছেন
আপডেট মঙ্গলবার, ১৯ মে, ২০২০

গুজরাটে জাল ভেন্টিলেটর কেলেঙ্কারিতে ক্রমেই উঠে আসছে একের পর এক ভয়ঙ্কর তথ্য। গুজরাট সরকার নানা সময় বিবৃতি দিয়ে রাজ্যজুড়ে যে ভেন্টিলেটর বসানো হয়েছে বলে দাবি করে তা আসলে ভেন্টিলেটরই নয়। এমন দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণির রাজকোট নিবাসী বন্ধু পরাক্রমসিং জাদেজা, যাঁর জ্যোতি আইএনসি নামক সংস্থার তৈরি জাল ভেন্টিলেটর নিয়েই এখন গুজরাট সরকারের নতুন কেলেঙ্কারি সামনে এসেছে।

কী বলছেন পরাক্রমসিং জাদেজা? তিনি যাতে মুখ খুলতে না পারেন তার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে আমেদাবাদ সিভিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জাদেজা বলেন, তাঁরা আগে ধামন-১ নামে মেকানাইজড অ্যাম্বু ব্যাগ তৈরি করেছেন। ধামন-২-তে ফ্লো সেন্সর লাগানো হবে, যাতে বোঝা যায় রোগীর দেহে কতটা অক্সিজেন যাচ্ছে। এখন ধামন-৩ নামে পুরোদস্তুর ভেন্টিলেটর তৈরির কাজ করছে তাঁর সংস্থা, যা প্রস্তুত হতে ৮-১০ দিন লাগবে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে গুজরাট সরকার যাকে ভেন্টিলেটর বলে চালাতে চাইছে তা ভেন্টিলেটরই না। আরও ভয়ঙ্কর তথ্য হলো, যে ৯০০টি জাল ভেন্টিলেটর বসানো হয়েছে সরকারি হাসপাতালগুলিতে তার পুরোটাই হয়েছে বেআইনি পদ্ধতিতে। সে কথা জানানোর আগে আরও উদ্বেগের খবর হলো, ওই জাল ভেন্টিলেটরগুলিতে জোড়াতালি দিতে স্পেয়ার পার্টস কিনছে রূপাণি সরকার। এমনকী রূপাণির বন্ধুই জানিয়েছেন, সরকার ওই মেশিনগুলির জন্য হিউমিডিফায়ার কিনছে। ১.৩ কোটি টাকার টেন্ডার ডাকা হয়েছে রেসপিরেটরি হিউমিডিফায়ার ও হাই ফ্লো মিটার কেনার জন্য।

সবচেয়ে বড়ো প্রশ্ন, সরকারি হাসপাতালে যে জাল ভেন্টিলেটর বসেছে সেগুলি কি তৈরি হয়েছে নিয়ম মেনে? উত্তর ‘না’! মুখ্যমন্ত্রী রূপাণির বন্ধু স্বীকার করেছেন, সরকারি হাসপাতালে যে মেশিনগুলি বসেছে তার জন্য প্রয়োজনীয় সরকারি অনুমোদন নেওয়া হয়নি। মেডিক্যাল ডিভাইসের সি ও ডি ক্যাটেগরিতে পড়ে ভেন্টিলেটর, এ জন্য ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার অনুমতি পেয়ে লাইসেন্স নিতে হয়। ধামন-১-এর ক্ষেত্রে তা নেওয়া হয়নি। সর্বোপরি এই অনুমতি দেয় কেন্দ্র, রাজ্যের কোনও ক্ষমতা নেই। এই মেশিনগুলি পরীক্ষা করার জন্য যে ট্রায়াল হওয়ার কথা তা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত এথিক্যাল কমিটির সামনে হওয়ার কথা। নিয়ম অনুযায়ী সেই কমিটিতে রাখতে হবে একজন মেডিক্যাল কলেজের ডিরেক্টর বা সরকারি হাসপাতালের প্রধান, ওই বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ, একজন আইনজীবী, একজন সমাজকর্মী ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের। কতজন রোগীর উপর ট্রায়াল হবে, কবে হবে, রোগীর শারীরিক অবস্থা, তাঁর অনুমতি-পত্র এই সব বিষয়টি একজন চিফ ইনভেস্টিগেটর ওই কমিটির সামনে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরবেন, এটাই নিয়ম। যার কিছুই হয়নি গুজরাটে। নামমাত্র কমিটিতে বিশেষজ্ঞ দূরে থাক, একজন অ্যানাসথেটিস্ট আর একজন মেডিসিনের চিকিৎসককে রাখা হয়, যিনি ক্রিটিক্যাল কেয়ার এক্সপার্ট নন। তারপর জাদেজা নিজেই বলেছেন, এনএবিএল অনুমোদিত ল্যাবে মাত্র একজনের উপর ট্রায়াল হয়েছিল ওই মেশিন বা জাল ভেন্টিলেটরের। রাজ্যের অনুমোদন দেওয়ার ক্ষমতা না থাকলেও গুজরাট সরকারের স্বাস্থ্য পরিবারকল্যাণ দফতরের সচিব জয়ন্তী রবি বলেন, রাজ্য সরকারের ইলেকট্রনিক্স ও কোয়ালিটি ডেভেলপমেন্ট সেন্টার ও সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা ছাড়পত্র দেওয়ার পরেই ওই ‘ভেন্টিলেটর’গুলি বসানো হয়। কেলেঙ্কারি চাপতে রবি রবিবার ১৭ মে বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর বন্ধুর ওই সংস্থা বিনামূল্যে সরকারকে ১০০০টি ভেন্টিলেটর দিয়েছেন! সবচেয়ে বড়ো কথা, যাঁরা ওগুলি বানালেন তাঁরাই বলছেন সেগুলি ভেন্টিলেটর নয়। অথচ গুজরাট সরকার বারবার এগুলিকে ভেন্টিলেটর বলছে! প্রশ্ন উঠছে, কার নির্দেশে বেআইনি ওই ৯০০ মেশিন ভেন্টিলেটর বলে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে বসানো হলো? সবাই বুঝছে বন্ধুপ্রেম কার! মুখ্যমন্ত্রী নিজের রাজ্যের মানুষের জীবন নিয়ে খেলছেন!

তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কটাক্ষ করে লিখেছেন, নরেন্দ্র মোদীর ‘মিত্রোঁ’ বিবর্তিত হয়েছে ‘সাথীয়োঁ’তে। আর গুজরাট মডেল ‘ফেক নিউজ’ থেকে বিবর্তিত হয়েছে ‘ফেক ভেন্টিলেটর’-এ। আর এ সবটাই হচ্ছে মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলে! তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ আবার বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যকে ঠুকে বলেছেন, ফেক নিউজ না ছড়িয়ে মানুষকে সাহায্য করায় মন দিন। জাল ভেন্টিলেটর মেনে নেওয়া যায় না। এ বিষয়টিতে আলোকপাত করবেন না?


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন