আজকের সময়ের সবচেয়ে বড় একটি সমস্যা হল পরিবেশ দূষণ। এই নিয়ে সারা বিশ্বের মানুষ আজ দুশ্চিন্তায় মগ্ন। চিন্তাবিদরা প্রকৃতিকে রক্ষা করতে বিভিন্ন উপায়ের কথা ভাবছেন। এমনই এক উদ্ভ্রান্ত সময়ে এভাবেও যে প্রকৃতিকে একটু স্বস্তি দেওয়া যায় সে কথা ভাবলেই অবাক হতে হয়।
সেমিনার চলছিল জৈব পদ্ধতিতে কিভাবে চাষ করা যায় তার উপর। শুরুতেই প্রত্যেকের হাতে এলো একেবারে হাতের তৈরি একটি কাগজের ফোল্ডার, নোট বই এবং কাগজেরই তৈরি অভিনব এবং সুন্দর একটি কলম। প্রতিটি কলমের পিছনে আবার বিভিন্ন রকম গাছের বেশ কয়েকটি করে বীজ জুড়ে দেওয়া আছে। কলমের কালির রিফিল ফুরিয়ে যাওয়ার পর কাগজের কলমটি মাটিতে ফেলে দিলে বৃষ্টির জলে কাগজ সহজেই নষ্ট হয়ে যাবে এবং বীজ অঙ্কুরিত হয়ে তার থেকে একটি করে চারাগাছ ফুটে ওঠার সম্ভাবনা থাকবে। বাজার চলতি ইউজ এন্ড থ্রো পেন ব্যবহার করে আমরা প্রতিদিন আমাদের চারিদিকে যে প্লাস্টিক ফেলছি তার থেকে প্রকৃতিকে স্বস্তি দেওয়া যাবে উপরন্তু একটা সবুজ গাছের সম্ভাবনা তো থাকছেই।
এই অভিনব ভাবনা ভেবেছেন, “কলাবতী মুদ্রা ট্রাস্টের” কর্ণধার শ্রী বিশ্বেন্দু নন্দ। সাধারন কাগজ থেকে অনায়াসে কিভাবে এই কলম তৈরি করা যায় তার প্রশিক্ষণ দেওয়া থেকে শুরু করে এটিকে ব্যবহারিক ক্ষেত্রে হাজির করে দেওয়ার নানা কর্মসূচি তাঁরা ইতিমধ্যেই গ্রহণ করেছেন।
পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি স্বনির্ভরতার ক্ষেত্রেও মানুষকে দু-পা এগিয়ে দেওয়ার নানা অভিনব পরিকল্পনা তাঁদের হাতে আছে। এই সমস্ত কিছুর পরেও বলা যায়, পরিবেশের প্রতি এক গভীর ভালোবাসা থেকে এরকম একটি পরিবেশবান্ধব কলমের পরিকল্পনা নিঃসন্দেহে অভিনন্দন যোগ্য।
খুব সুন্দর একটি sustenable development এর চিন্তা ভাবনা
খুব ভালো হয় যদি আমরা এরকম অভিনব চিন্তা ভাবনার বাস্তবায়নে সমাজের অধিকাংশকে involve করাতে সক্ষম হই।
দেবাশীষ বাবুকে ধন্যবাদ জানাই এমন সময়োপযোগী অভিনব সমাজ ভাবনা তুলে ধরার জন্য।