ঘটনা লখনউয়ের বারাউলি খলিলাবাদ গ্রামের। যোগীর উত্তরপ্রদেশে দলিতদের উপর ফের নির্মম অত্যাচারের ঘটনা সামনে এলো। ৪ জুন এই গ্রামের এক ব্রাহ্মণ পরিবারের ফ্যান চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েন তিন জন। দলিত কিনা ব্রাহ্মণ বাড়িতে ফ্যান চুরি করবে! তাঁদের মধ্যে একজন ওবিসি ও দু’জন তফশিলি জাতিভুক্ত। তাঁদের হাত বেঁধে রেখে চলে ব্যাপক মারধর। মাথা কামিয়ে জুতোর মালা গলায় ঝুলিয়ে গ্রাম ঘোরানো হয়। এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই অনেকের মনে পড়ে যায় ২০১৬ সালে গুজরাটের উনায় গোরক্ষকদের হাতে দলিত পরিবারের সাত সদস্যের ব্যাপকভাবে নিগৃহীত হওয়ার ঘটনা। লখনউয়ের গ্রামের এই ঘটনায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। ফ্যান চুরির অপরাধে যেমন তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তেমনই আইন হাতে তুলে দলিতদের এমন মারধর করার জন্য দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভিডিও দেখে বাকিদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। দোষীদের গ্রেফতার করা না হলে বড়ো আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভীম আর্মি প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ।
গত সাত দিনে এই নিয়ে দলিত নিগ্রহের দ্বিতীয় ঘটনা ঘটল উত্তরপ্রদেশে। ৬ জুন আমরোহা জেলার গ্রামে এক মন্দিরে ঢোকায় গুলি করে মারা হয় ১৭ বছরের এক দলিত কিশোরকে।