‘ওরে গৃহবাসী খোল দ্বার খোল’ গানটির মাধ্যমে বসন্ত উৎসবে মাতল খানাকুলের সংস্কৃতি মনস্কদের নিয়ে হেলান লায়ন্স ক্লাব। রবিবার খানাকুলের সংস্কৃতিপ্রেমী অসংখ্য মানুষ হৃদয়কে এক করার ঋতু, দূরত্ব দূর করার ঋতু, রঙে ডুবে যাওয়ার ঋতুকে আবির রঙে বরণ করলেন। সেই সঙ্গে ভালোবাসার রঙে রাঙিয়ে দাও সারা পৃথিবী — এরই বার্তা পৌঁছে দিলেন হেলান লায়ন্স ক্লাব।
প্রসঙ্গত, এদিন হেলান লায়ন্স ক্লাবের উদ্যোগে তিলকচকের হিমঘর প্রাঙ্গন থেকে ‘ওরে গৃহবাসী খোল দ্বার খোল’ গানটির মাধ্যমে বসন্ত উৎসবে র সূচনা হয়। ‘আজ সবার রঙে রঙ মেশাতে হবে’ এই মূল মন্ত্র নিয়ে ক্লাবের সদস্যরা বসন্ত উৎসবে সামিল হন। বসন্তে আবির রঙে রাঙিয়ে দিতে এলাকার সাংস্কৃতিক মনোভাবাপন্ন তালিম, কথা, শিঞ্জিনী ডান্স একাডেমী সহ বেশ কিছু সংগঠন অংশ নেয়।
প্রসঙ্গত, রবিবার সকাল আটটায় বসন্ত-প্রেমী কলাকুশলীরা শোভাযাত্রার মাধ্যমে শুরু করেন। এরপর কলাকুশলীরা নৃত্য ও গানের মাধ্যমে বাতাসে রঙ ছড়িয়ে উপস্থিত হন হেলানের লাইব্রেরি মঞ্চে। এখানে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে বসন্ত উৎসবের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন রামনগর অতুল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমিত কুমার আঢ্য। গান, নৃত্য ও কবিতার মধ্য দিয়ে বসন্ত উৎসব ছিল জমজমাট। উপস্থিত ছিলেন হেলান লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি অমিয় কুমার আদক, সম্পাদক দিব্যেন্দু রায় ও লায়ন সকল সদস্যরা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় পঞ্চায়েত উপ প্রধান সুজিত ঘোষ ও বাচিক শিল্পী সঞ্জয় ঘোষাল প্রমুখ ।
এখানকার লায়ন্স ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি দেবাশিস শেঠ জানান, করোনার বছর ছাড়া প্রত্যেক বছর চলে আসছে এই বসন্ত উৎসব। এলাকার মানুষ খুশি। অসংখ্য সংস্কৃতি মনোজ্ঞ মানুষ এগিয়ে এসেছেন। বসন্ত উৎসব হল ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায় প্রিয়জনের মন রাঙিয়ে দেওয়ার দিন। রঙের এই উৎসব এনে দেয় মনের আনন্দ, রঙিন মুহূর্ত, মধুর স্মৃতি ও ইতিবাচক শক্তির ইঙ্গিত। হেলান লায়ন্স ক্লাব প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বসন্ত উৎসবে সামিল হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের ক্লাবের মূল আদর্শ হল — ‘আপন হতে বাহির হয়ে বাইরে দাঁড়া / বুকের মাঝে বিশ্বলোকের পাবি সাড়া’।
উল্লেখ্য, এদিন সমগ্ৰ এই উৎসবে আনন্দে সামিল ও সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন ক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি গৌতম রায়, তনুশ্রী শেঠ, মনোজ নন্দী, দিলীপ শেঠ, অরূপ শেঠ, মানস রায়, বাচিক শিল্পী সঞ্জয় ঘোষাল প্রমুখ। এছাড়া এই মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানে বসন্তের গান গেয়ে নজর কাড়েন অভিজিৎ নিয়োগী ও সুজিত মান্না। সেই সঙ্গে কলাকুশলীদের নৃত্য, গান ও কবিতা সকলের নজর কাড়ে।