সোমবার | ৩রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৩:০৮
Logo
এই মুহূর্তে ::
সরস্বতীর বীণা কচ্ছপী ও গজকচ্ছপ বাঙালি বুদ্ধিজীবী : অসিত দাস মহাকুম্ভ উপলক্ষে এবার যে জনপ্লাবন দেখা যাচ্ছে, তা এককথায় অভূতপূর্ব : অসিত দাস মৈত্রেয়ী ব্যানার্জি-র ছোটগল্প ‘আখের রস’ নন্দিনী অধিকারী-র ছোটগল্প ‘সরস্বতী দিদিমণি’ মহাকুম্ভ থেকে মহাদুর্ঘটনা দায় কার : তপন মল্লিক চৌধুরী কুমোরপাড়ার মৃৎশিল্পীরা খুঁজছে মাটির নিরাপত্তা : রিঙ্কি সামন্ত জিবিএস নিয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই, মত চিকিৎসকদের : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় বিন্যাসকে ভিন্নমাত্রায় নিয়ে গেছেন গল্পকার অনিশ্চয় চক্রবর্তী : পুরুষোত্তম সিংহ বিমল কর-এর ছোটগল্প ‘খিল’ মৌনী অমাবস্যায় তৃতীয় শাহি স্নান : রিঙ্কি সামন্ত ঢেঁকি নেই, নেই ঢেঁকিশাল, গ্রামের মানুষের কাছে আজ ইতিহাস : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় টাকা মাটি, মাটি টাকা : দিলীপ মজুমদার মির্জা নাথানের চোখে বাংলার ভুঁইয়াদের হাতি : মাহবুব আলম ভিয়েতনামের গল্প (অষ্টম পর্ব) : বিজয়া দেব ‘জাওয়ানি জানেমান হাসিনা দিলরুবা’র একাকিত্বের কাহিনী (শেষ পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত “কপোতাক্ষ নদ”-এর কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত : আসমা অন্বেষা কৃষ্ণনগরে সর্বধর্ম ভ্রাতৃত্ব সমাবেশ : ড. দীপাঞ্জন দে চোখের ক্যানসার থেকে সাবধান! দিন দিন বাড়ছে, আগাম সতর্কতা জরুরি : ডা. তনুশ্রী চক্রবর্তী রাখাইন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন বিদ্বজ্জনসমাজ ও জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির কবিয়ালের প্রেত : অসিত দাস ষষ্ঠীলা একাদশী বা ষটতিলা একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত একদা বিরুদ্ধরাই আজ নেতাজির স্তুতিগানে সরব : সন্দীপন বিশ্বাস জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির পদবি ঠাকুর থেকে Tagore হওয়ার নেপথ্যকাহিনী : অসিত দাস সুভাষের সুবাসে এখনও ম ম করছে ডালহৌসি শহরের বাতাস — এ এক তীর্থক্ষেত্র : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী তারাভরা তারানাথ (১৮১২-১৮৮৫) : নন্দিনী অধিকারী ‘জাওয়ানি জানেমান হাসিনা দিলরুবা’র একাকিত্বের কাহিনী (প্রথম পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত জোটে ব্রাত্য কংগ্রেস কি দিল্লি ভোটের পর আরও গুরুত্ব হারাবে : তপন মল্লিক চৌধুরী খালাসিটোলা, রবীন্দ্রনাথ ও পঞ্চানন কুশারী : অসিত দাস পীযূষ পাঠ প্রস্তাব : ড. পুরুষোত্তম সিংহ চর্যাপদে সমাজচিত্র : নুরুল আমিন রোকন
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ বসন্ত পঞ্চমী ও সরস্বতী পুজোর  আন্তরিক শুভেচ্ছা শুভনন্দন।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

সরস্বতীর বীণা কচ্ছপী ও গজকচ্ছপ বাঙালি বুদ্ধিজীবী : অসিত দাস

অসিত দাস / ৪১ জন পড়েছেন
আপডেট রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এক লেখায় লিখেছিলেন দেবী সরস্বতীকে দেখে নাকি তাঁর কামবাসনা জেগে উঠেছিল কৈশোরে। তিনি কিন্তু দেবী সরস্বতীর হাতের বীণাটিকে ভালো করে দেখেননি। তাহলে হয়তো তিনি অন্তঃসলিলা সরস্বতীর বীণারহস্যের উন্মোচনও করতে পারতেন।

দেবী সরস্বতী ঋগ্‌বেদে নদীগণের দেবী হিসেবে বন্দিত হয়েছেন৷ নদীর দেবী বাগ্‌দেবী হলেন কীভাবে? কী সেই মেটামরফোসিস? কল্পনাকে একটু বিস্তৃত করলে দেবী সরস্বতীর অনুষঙ্গে কয়েকটি জলজ-সভ্যতার চিহ্ণ খুঁজে পাওয়া যাবে৷ তিনি পদ্মাসনা, হংসবাহিনী৷ পদ্ম ও হাঁস জলে অধিষ্ঠিত৷ সরস্বতীর হাতের বীণার সঙ্গে নাবিক বা মাঝির হাল বা দাঁড়ের সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়৷ সরস্বতীর ‘হাল’ দেখেই বোঝা যায়, তিনি জল থেকে সদ্য ডাঙায় উঠেছেন৷ সরস্বতীর শুভ্রবসন কীসের ইঙ্গিত করে? জলবিধৌত পরিধেয়বস্ত্র যে বর্ণহীন বা শ্বেতরূপ ধারণ করে, তা সবাই দেখেছে৷ আবার দেবীর কুচযুগ নন্দিত কীসের হারে! না মুক্তার হারে। মুক্তা তো সামুদ্রিক ঝিনুকের পেটেই থাকে। সরস্বতীকে জল থেকে ডাঙায় তোলা হলটা কেন? ‘ফার্টিলিটি কাল্ট’-এর ব্যাখ্যাটা মন্দ নয়৷ জল যেমন জমিকে উর্বর করে, বিদ্যা তেমনি মস্তিষ্ককে উর্বর করে, সরস হয় মেধা ও মনন৷

সরস্বতীর বীণার একটি পোশাকি নাম আছে৷ ‘কচ্ছপী বীণা’ বলে এটিকে৷ যেমন নারদের বীণার নাম ‘মহতী’৷ বাগ্‌দেবী সরস্বতীর বীণার নাম কচ্ছপী কেন হল, তা বোঝা শক্ত৷ ঋগ্‌বেদে সরস্বতীকে নদীমাতা বা নদীর দেবী বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷ কূর্ম বা কচ্ছপ জলের বাসিন্দা, তাই তার শক্ত খোল দিয়ে তৈরি হল বাগ্‌দেবীর বীণা৷ বলা যায়, নদীবাচী সরস্বতীর দেবীবাচী হওয়ার ‘মেটামফোসিস-পথে’ এই কচ্ছপী বীণার আমদানি৷

অন্য একটি সম্ভাবনার কথাও মনে আসে৷ পুরাণমতে দেবী সরস্বতী হলেন ব্রহ্মার স্ত্রী৷ ব্রহ্মার মানসপুত্র হলেন কশ্যপ মুনি৷ ইনি এক বিশিষ্ট মুনি, যিনি প্রজাপতি দক্ষের তেইশজন কন্যাকে বিবাহ করেছিলেন৷ এই কশ্যপ মুনি দক্ষের মেয়েদের ছাড়াও আরও কয়েকজন রমণীর পাণিগ্রহণ করেছিলেন৷ তাঁদের একজন হলেন সুরভি৷ সুরভি হলেন রুদ্রগণের মাতা৷ রুদ্রবীণার নাম আমাদের জানা আছে৷ মনে হয়, কশ্যপ মুনিই তাঁর মাতৃদেবী সরস্বতীর হাতের বীণাটি নির্মাণ করেছিলেন৷ ‘কশ্যপী বীণা’ নামে সরস্বতীর বীণাটি পরিচিত হয়৷ কশ্যপী বীণা ক্রমে অপভ্রংশপ্রাপ্ত হয়ে ‘কস্যপী বীণা’ তথা ‘কচ্ছপী বীণা’য় পরিণত হতে পারে৷ কচ্ছপের সংস্কৃত নাম কস্যপ৷ তাই কি এই বিভ্রান্তি!

আবার পদ্মপুরাণ অনুসারে কশ্যপমুনির স্ত্রী হলেন বাগদেবী সরস্বতী। তাহলে তো সরস্বতীই সরাসরি কশ্যপী। যেমন ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ অনুসারে নারায়ণের স্ত্রীরূপে তিনি হলেন নারায়ণী। কশ্যপীর হাতে যে বীণা থাকে তারই নাম কশ্যপী। কশ্যপী থেকে কচ্ছপী হতে আর কতক্ষণ! সরস্বতীর হাতের বীণাটির নাম কী জিজ্ঞেস করলে বসন্তপঞ্চমীর রোমিও জুলিয়েটরা ভিরমি খেতে পারে!


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন