হুগলির কামারপুকুরে মহাসমারোহে অভিনব পদ্ধতিতে পালিত হল এল আইসির লাইফ প্লাসের ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠা বাৎসরিক অনুষ্ঠান। মানব কল্যাণে রক্তের সংকট, ছায়াদান ও অক্সিজেনের অভাব মেটাতে এগিয়ে এল কামারপুকুরের এলআইসির স্যাটেলাইট অফিস। শুক্রবার এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জনমানসের কল্যাণ ও পরিষেবার বার্তা পৌঁছে দিল।
সমাজের মানুষের পাশে থেকে স্বাস্থ্য ও জীবন বীমার পরিষেবা দেওয়ার পাশাপাশি এদিন প্রায় শ’খানেক তরতাজা যুবক রক্তদান করে সুস্থ জীবনধারনের নজির সৃষ্টি করল। এখানেই শেষ নয়, প্রকৃতি ও প্রাণীকুলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে গাছকে বাঁচাতে হবে। সেই লক্ষ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে গাছের চারা উপহার দিয়ে বিশুদ্ধ পরিবেশের বার্তাও দিল কতৃপক্ষ। ডেভলপমেন্ট অফিসার শৈলেন দাসের পরিচালনায় ও এজেন্টদের সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়।
প্রসঙ্গত, এদিন একদল তরতাজা যুবক স্বেচ্ছায় রক্তের সংকট নিরসনে এগিয়ে আসেন। এদের হাতে মেহগনি গাছের চারা উপহার তুলে দিয়ে অক্সিজেন ও ছায়ার অভাব মেটাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন। উপস্থিত ছিলেন আরামবাগ এল আই সি অফিসের চিফ ম্যানেজার মিতালী গিরি সহ বিশিষ্টজনেরা। শৈলেন দাস জানান, এলআইসি কেবল স্বাস্থ্য বীমা পরিষেবা দেয় না। মানুষের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করে আসছে। রক্তের সংকট মেটাতে রক্তদান কর্মসূচি পালন করে। পাশাপাশি বৃক্ষ নিধনের ফলে ছায়াদান ও অক্সিজেন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ। তাই বৃক্ষরোপণ করে তারও অভাব মেটাতে চায়। এছাড়াও এলআইসি দুঃস্থ ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের পাশে থাকার নজির আছে। তাছাড়া বিভিন্ন পরিষেবার সঙ্গেও যুক্ত।
LIFE PLUS অফিসের ৬ তম বাৎসরিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে শৈলেনবাবু আরও জানান, কামারপুকুর স্যাটেলাইট অফিস সংলগ্ন প্রায় ২০০ জন বীমা এজেন্টকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। সঙ্গে ছিল স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির। ভারতীয় জীবন বীমা নিগমের প্রধান উদ্যেশ্যের মধ্যে পড়ে এজেন্ট হিসাবে কর্মসংস্থান ও তাদের মাধ্যমে মানুষকে সঞ্চয়মুখী করে তোলা। কিন্তু সব থেকে মুখ্য উদ্যেশ্য হল আমাদের সমাজের প্রতিটি পরিবারের আর্থিক সুরক্ষা প্রদান করা বীমার মাধ্যমে। সেই সমাজ সেবার ধারাকে আরও একধাপ এগিয়ে গিয়ে আমরা এই রক্তদান শিবির ও বৃক্ষদানের আয়োজন করেছি।