শুক্রবার | ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১২:২৪
Logo
এই মুহূর্তে ::
চব্বিশে ভোট আর ফলাফলে ছিল উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক পরিবর্তন : তপন মল্লিক চৌধুরী কার্ল মার্কসের পরিজন, পরিকর (চতুর্থ পর্ব) : দিলীপ মজুমদার মৈত্রেয়ী ব্যানার্জি-র ছোটগল্প ‘জিঙ্গল বেল’ নোবেল বিজয়ী কথাসাহিত্যিক উইলিয়াম ফকনার : মনোজিৎকুমার দাস কার্ল মার্কসের পরিজন, পরিকর (তৃতীয় পর্ব) : দিলীপ মজুমদার সফলা একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত সুবিমল মিশ্র-র ছোটগল্প ‘বাব্বি’ হাইনরিখ হাইনে ও তাঁর ইতিহাসবোধ : মিনহাজুল ইসলাম আবার মহাভারত : শশী থারুর ভিয়েতনামের গল্প (দ্বিতীয় পর্ব) : বিজয়া দেব মহারানী ভিক্টোরিয়া ও মুন্সী আব্দুল করিম-এর অমর প্রেম : মাহবুব আলম শাড়িদিবসে এক শাড়িবিলাসিনীর ভালোবাসা : নন্দিনী অধিকারী আম্বেদকর প্রসঙ্গে বিজেপি দলিত বিরোধী তথা মনুবাদী রূপ প্রকাশ করে ফেলেছে : তপন মল্লিক চৌধুরী যে আখ্যানে অভিজ্ঞতার উত্তরণ ঘটেছে দার্শনিকতায় : ড. পুরুষোত্তম সিংহ যেভাবে লেখা হলো ‘কবি’ উপন্যাস : জাকির তালুকদার শ্যামাপ্রসাদ ঘোষের ছোটোদের লেখা কবিতা — শব্দে-বর্ণে নির্মিত শৈশবের চালচিত্র : অমৃতাভ দে ভিয়েতনামের গল্প (প্রথম পর্ব) : বিজয়া দেব লেখা যেন কোনভাবেই মহত্ না হয়ে যায় : অমর মিত্র আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্ত : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন চাল চকচকে করতে বিষ, সবজিতেও বিষাক্ত হরমোন প্রয়োগ, চিন্তায় বিশেষজ্ঞরা : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় কার্ল মার্কসের পরিজন, পরিকর (দ্বিতীয় পর্ব) : দিলীপ মজুমদার স্মিতা পাতিল — অকালে ঝরে পড়া এক উজ্জ্বল নক্ষত্র : রিঙ্কি সামন্ত কীভাবে রবীন্দ্রনাথ ‘ঠাকুর’ হলেন : অসিত দাস সর্ব ধর্ম সমন্বয় — ক্ষীর ভবানী ও শঙ্করাচার্যের মন্দির : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী কার্ল মার্কসের পরিজন, পরিকর (প্রথম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার হরিপদ দত্ত-র ছোটগল্প ‘আত্মজা ও পিতা’ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় : আবদুল মান্নান সৈয়দ নবেন্দু ঘোষ-এর ছোটগল্প ‘ত্রাণ-কর্ত্তা’ অরণি বসু সরণিতে কিছুক্ষণ : ড. পুরুষোত্তম সিংহ অন্য এক ইলিয়াস : আহমাদ মোস্তফা কামাল
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে বড়দিনের বিশেষ দিনে জানাই Merry Christmas! আন্তরিক শুভনন্দন।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

কার্ল মার্কসের পরিজন, পরিকর (চতুর্থ পর্ব) : দিলীপ মজুমদার

দিলীপ মজুমদার / ৩৫ জন পড়েছেন
আপডেট বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

কার্ল লুডুইগ জোহান ডি’ ইস্টার (Karl Ludwig Johann d’Ester) (১৮১৩-১৮৫৯)

তিনি ছিলে চিকিৎসক। তবে সমাজতন্ত্রে তাঁর বিশ্বাস ছিল। তিনি কোলোনের ‘কমিউনিস্ট লিগে’র সঙ্গে যুক্ত হন। ১৮৪৮ সালে তিনি ‘প্রুশিয়ান ন্যাশনাল অ্যাসেম্ব্লি’তে মন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন। সেখানে তিনি বামপন্থী মন্ত্রীদের সঙ্গে ষড়যন্ত্রে সামিল হন। ১৮৪৮ সালের অক্টোবরে তিনি জার্মান ডেমোক্রাটদের সেন্ট্রাল কমিটির সদস্য হন। ১৮৪৯ সালের বাডেন-পালাটিনেট বিদ্রোহে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। সেই বিদ্রোহ ব্যর্থ হবার পরে তিনি সুইজারল্যাণ্ডে আশ্রয় গ্রহন করেন।

কার্ল ফ্রেডারিখ শ্যাপার (Karl Friedrich Schaefer) (১৮১২-১৮৭০)

ওয়েনবাখে শ্যাপারের জন্ম। ছাত্রাবস্থা থেকে তিনি রাজনীতিতে আগ্রহী। ১৮৩২ সালের ‘ফ্রাঙ্কফুর্ট ল্যাণ্ডস্টার্ম’ বিদ্রোহে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ‘ইয়ং জার্মানি’ সংগঠনে যোগ দেন তিনি। রাজনৈতিক কাজকর্মের জন্য ১৮৩৬ সালে তাঁকে সুইজারল্যাণ্ড থেকে বিতাড়িত হতে হয়। তিনি প্যারিসে যান। সেখানে তিনি যোগ দেন ‘কমিউনিস্ট লিগে’। ১৮৪০ সালে তিনি ফ্রান্স থেকে বিতাড়িত হয়ে লণ্ডনে যান এবং সেখানে ‘কমিউনিস্ট লিগ’ সংগঠিত করেন। লণ্ডনে তিনি চার্টিস্ট নেতা জুলিয়ান হার্নের সঙ্গে ‘জার্মান ওয়ার্কাস এডুকেশনাল অ্যাসোসিয়েশন’ ও ‘ফ্রার্টান্যাল ডেমোক্রাটস’ গড়ে তোলার কাজে আত্মনিয়োগ করেন।

১৮৪০ সালে লিগের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন মার্কস ও এঙ্গেলস। শ্যাপার তখন ‘কমিউনিস্ট করসপনডেন্স কমিটি’র প্রধান হন। ১৮৪৮ সালে মার্কস ও এঙ্গেলসের ‘কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো’ প্রকাশ করেন। নিজেও কমিউনিস্ট পত্র-পত্রিকায় লিখতে থাকেন।

১৮৪৮ সালের বিপ্লবের সময়ে তিনি ফিরে আসেন জার্মানিতে। প্রথমে তিনি যান কোলোনে। ‘নিউ রাইনিশে সাইতুং ‘ পত্রিকা পরিচালনায় সাহায্য করেন। জোসেফ মলের সঙ্গে শ্রমিক সংগঠন মজবুত করতে চেষ্টা করেন। সেখানে কারারুদ্ধ হবার পরে তিনি নাসাউতে চলে যান। ফ্রাঙ্কফুর্ট পার্লামেন্টের নতুন সংবিধান সম্পর্কে তিক্ত সমালোচনার জন্য তিনি জার্মানি থেকে বিতাড়িত হয়ে লণ্ডনে যান।

১৮৫০ সালে মার্কস ও এঙ্গেলসের সঙ্গে তাঁর ও আগস্ট উইলিখের মতভেদ হয় বিপ্লবের পরবর্তী কার্যক্রম প্রসঙ্গে। বিপ্লব ব্যর্থ হবার পরে মার্কস শ্রমিকদের আন্দোলন গড়ে তোলার কথা বলেন, কিন্তু শ্যাপাররা আবার অভ্যুথ্থানের উপর জোর দেন। শ্যাপার আলাদা দল গড়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এরপর তিনি আমেরিকায় আশ্রয় গ্রহণ করেন।

মার্কসের সঙ্গে পুনর্মিলিত হন শ্যাপর ১৮৫৬ সালে। লণ্ডনে ১৮৬৪ সালে ‘প্রথম আন্তর্জাতিকে’র প্রস্তুতি শুরু করে দেন। যেহেতু ফরাসি, ব্রিটিশ, ইতালীয়, আমেরিকান বিপ্লবীদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল তাই ‘প্রথম আন্তর্জাতিকে’ তাঁদের টেনে আনা তাঁর পক্ষে সহজ হয়। ১৮৬৫ সালে শ্যাপার ‘প্রথম আন্তর্জাতিকে’র জেনারেল কাউন্সিলে নির্বাচিত হন। এই আন্তর্জাতিকে উপদলীয় কোন্দল শুরু হলে শ্যাপার মার্কসের পক্ষ গ্রহণ করেন।

কলেট ডবশন কলেট (Collet Dobson Collet) (১৮১২-১৮৯৮)

বিখ্যাত লেখিকা সোফিয়া ডবসন কলেটের ভাই কলেট ডবশন কলেট জন্মগ্রহণ করেন লণ্ডনে। আইন পড়তে গিয়েছিলেন, অর্থাভাবে বন্ধ করতে হয় পড়া। ‘সাউথ প্লেস চ্যাপেলে’ সংগীত পরিচালক হন। জড়িয়ে পড়েন চার্টিস্ট আন্দোলনে। ‘পিপলস চার্টার ইউনিয়ন’ ও ‘নিউজপেপার স্ট্যাম্প অ্যাবলিশন কমিটি’র সম্পাদক হন।

১৮৬৬ সালে সম্পাদক হন ‘দ্য ডিপ্লোমেটিক রিভিউ’ পত্রিকার। এই পত্রিকায় প্রকাশিত হয় কার্ল মার্কসের নানা প্রবন্ধ। দুজনের গভীর বন্ধত্ব হয়। সাপ্তাহিক বৈঠক বসত দুজনের বাড়িতে। যা ‘ডগবারি ক্লাব’ নামে পরিচিত হয়। এই সব সভায় থাকতেন মার্কসের মেয়ে এলেনর আর কলেটের মেয়ে ক্লারা কলেট।

অসোয়াল্ড দিয়েৎস (Oswald Dietz) (১৮২৩-১৮৯৮)

১৮৪৮ সালের জার্মান বিপ্লবে তিনি অংশগ্রহণ করছিলেন। বিপ্লব ব্যর্থ হলে তিনি লণ্ডনে চলে যান। ‘কমিউনিস্ট লিগে’র ভেতরে আগস্ট উইলিখ- কার্ল শ্যাপার যে উপদল তৈরি করে্ছিলেন অসোয়াল্ড তাতে যোগ দেন। আমেরিকার গৃহযুদ্ধেও তিনি অংশগ্রহণ করেন।

হারমান উইলহেল্ম হপ্ট (Hermann Wilhelm Haupt) (১৮৩১-১৮৮৬)

হারমান উইলহেল্ম জন্মগ্রহণ করেন জার্মানিতে। তিনি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ‘কমিউনিস্ট লিগে’র সদস্য হন। কিন্তু ‘কোলোন কমিউনিস্ট ট্রায়ালে’ তিনি বিশ্বাসঘাতকতা করেন। তাই সরকারি জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাঁকে পুলিশ মুক্তি দেয়।

পেটার নথজুং (Peter Nothjung) (১৮২১-১৮৬৬)

কোলোনে তিনি দর্জির কাজ করতেন। যোগ দেন ‘কোলোন ওয়ার্কাস অ্যাসোসিয়েশনে’। এর পরে সদস্য হন ‘কমিউনিস্ট লিগে’র। এই দুই সংগঠনের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষার ভার ছিল তাঁর উপর। দেশবিরোধী কাজের জন্য ১৮৫২ সালে ‘কোলোন কমিউনিস্ট ট্রায়ালে’ তিনি অভিযুক্ত হন।

জোহান হাইনরিখ জর্জ বারর্জারস (Johann Heinrich Georg Bergers) (১৮২০-১৮৭৮)

কোলোনে জন্মগ্রহণ করেন জোহান হাইনরিখ। তিনি ছিলেন সাংবাদিক। তারপরে তিনি ‘নিউ রাইনিশে সাইতুং’এর সম্পাদক হন। ‘কমিউনিস্ট লিগে’রও সদস্য হন। ১৮৪৮-৪৯ এর বিদ্রোহে অংশগ্রহণের জন্য তিনি অভিযুক্ত হন।

আগস্ট গেবার্ট (August Gebert) (?)

জার্মানির মেকলেনবার্গে জন্ম তাঁর। সুইজারল্যাণ্ডে থাকার সময়ে তিনি ‘কমিউনিস্ট লিগে’র সদস্য হন। ১৮৫০ সালে লণ্ডনে গিয়েও লিগের কাজ করেন। সেখানে উইলিখ–শ্যাপারের উপদলীয় অংশের প্রভাবে পড়েন। লণ্ডনে ‘জার্মান কমিউনিস্ট এডুকেশনাল ইউনিয়নে’র নেতৃত্ব গ্রহণ করেন তিনি।

গুস্তাভ অ্যাডলফ কোয়েটজেন (Gustav Adolf Schöll) (১৮০৫-১৮৮২)

অ্যাডলফ কোয়েটজেন ডুসেলডর্ফের ‘রোয়্যাল অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসে’র ছাত্র। তিনি বহু প্রতিকৃতি আঁকেন। ১৮৪৫ সালে কমিউনিস্টদের এক সভায় তিনি সভাপতিত্ব করেন। সেই সভায় বক্তৃতা করেছিলেন ফ্রেডারিখ এঙ্গেলস। ১৮৪৬ সালে তিনি এঙ্গেলসকে যে চিঠি লেখেন তার উত্তরে ‘কমিউনিস্ট করসপনডেন্স কমিটি’ তাঁকে ও তাঁর সমমনোভাবাপন্ন বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানান ব্রাসেলস কমিটিতে কাজ করার জন্য। পরবর্তীকালে কোয়েটজেন ‘কমিউনিস্ট লিগে’র সক্রিয় সদস্য হয়ে উঠেছিলেন।

তাঁর স্ত্রী মেরি আগস্টও রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তিনি ব্রিমেনে ‘ডেমোক্রাটিক ওমেন’স অ্যাসোসিয়েশন’ গঠন করেছিলেন। কোয়েটজেন কবিতাও লিখতেন। তাঁর ‘স্প্রিং সঙ’ কবিতার একটি পংক্তি : ‘The limbs are all the same and bread and work delivers rich the Red Republic’.-এর জন্যই তাঁকে কারাদণ্ড ভোগ করতে হয়, বিতাড়িত হতে হয় ব্রিমেন থেকে। ১৮৬৬ সালে কার্ল মার্কসের বাড়িতে যান তিনি। দুজনের আলাপ-আলোচনা হয়।  [ক্রমশ]


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন