বৃহস্পতিবার | ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৪:৩৯
Logo
এই মুহূর্তে ::
নিম্ন চাপের অতিবৃষ্টি ও ডিভিসির ছাড়া জলে প্লাবিত আরামবাগ : দেবাশিস শেঠ আরামবাগে ভয়াবহ বন্যা, দুর্যোগের পদধ্বনি, ক্ষোভ জনমানসে : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন মেয়েদের ক্ষমতায়নের পক্ষেও আওয়াজ তুলেছে : তপন মল্লিক চৌধুরী কবি দেবদাস আচার্য-র কবিতাজগৎ — বহমান পৃথিবীর জীবনপ্রবাহ, চেতনাপ্রবাহ : অমৃতাভ দে মনসার নাম কেন ঢেলাফেলা : অসিত দাস ভোও.. ও ..ও.. কাট্টা…! ভো… কাট্টা…! : বিজয় চৌধুরী দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা : সন্দীপন বিশ্বাস নারীবেশী পুরুষ অভিনেতা শঙ্করকে সামাজিক ট্যাবুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয় না : বিশ্বেন্দু নন্দ সাসারামের রোহতাসগড়, বৃহতের কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ : নন্দিনী অধিকারী জমিদার রবীন্দ্রনাথ : আহমাদ ইশতিয়াক আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর, এবারও অধরা রইলো আলোচনা : সুমিত ভট্টাচার্য জগদীশ গুপ্তের গল্প, কিছু আলোকপাত (ষষ্ঠ পর্ব) : বিজয়া দেব চাষির দুঃখের ঘরে সাপের বাসা, আজও রেহাই নেই ছোবলের হাত থেকে : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় সল্টলেক তথা লবণহ্রদই কি কুচিনান : অসিত দাস পদ্মা বা পার্শ্বপরিবর্তনী একাদশী ব্রতকথা : রিঙ্কি সামন্ত জয়া মিত্র-র ছোটগল্প ‘ছক ভাঙার ছক’ কত দিন বিনা চিকিৎসায় চলে যাবে অসুস্থ মানুষের প্রাণ? প্রশ্ন দেশ বাঁচাও গণমঞ্চের : সুমিত ভট্টাচার্য দেবী করন্দেশ্বরীর পূজো ঘিরে উৎসবের আমেজ মন্তেশ্বরের করন্দা : প্রবীর কুমার সামন্ত প্রেতবৈঠকে (প্ল্যানচেট) আত্মার আগমন : দিলীপ মজুমদার সংগীত সাধক ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য : রিঙ্কি সামন্ত শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্যের অন্দরে বাহিরে বিরাজমান সিণ্ডিকেট : তপন মল্লিক চৌধুরী কবিতা সিংহ-এর ছোটগল্প ‘পশ্চিম রণাঙ্গন আজ শান্ত’ কলকাতার আর্মেনিয়ান জনগোষ্ঠী : অসিত দাস মঙ্গলবারের মধ্যে কাজে ফিরুন — সুপ্রিম ধমক, উৎসবে ফিরুন — মমতা : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় জগদীশ গুপ্তের গল্প, কিছু আলোকপাত (পঞ্চম পর্ব) : বিজয়া দেব বিবিসির ইয়ংগেস্ট হেডমাস্টার বাবর আলী (শেষ পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত হাঁসের ডিমের উৎপাদন বাড়াতে এগিয়ে এল রাজ্যের প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতর : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় এ আমার এ তোমার পাপ : দিলীপ মজুমদার জগদীশ গুপ্তের গল্প, কিছু আলোকপাত (চতুর্থ পর্ব) : বিজয়া দেব রোহিঙ্গা সংকট — ত্রান সহায়তা ও কূটনৈতিক তৎপরতার পাশাপাশি বহুমুখী পদক্ষেপ নিতে হবে : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে সকল বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ কৌশিকী অমাবস্যার-র আন্তরিক প্রীতি, শুভেচ্ছা, ভালোবাসা।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

শ্যামবাজার নামকরণের নেপথ্যে : অসিত দাস

অসিত দাস / ১৫৯ জন পড়েছেন
আপডেট শনিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৪

শ্যামবাজার যে আদতে নুনের বাজার ছিল এটা কলকাতা বিষয়ক কোনও বইয়েই নেই।

উত্তর কলকাতার এই শ্যামবাজার এক জমজমাট জায়গা। শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড় তো এক ঐতিহাসিক স্পট। পাঁচটি রাস্তার সংযোগ স্থলের ঢিল ছোঁড়াদূরত্বে অবস্থিত যে বাজার, তারই নাম শ্যামবাজার। বহুদিনের পুরনো বাজার। কথিত আছে প্রাচীন কলকাতার ধনাঢ্য ব্যক্তি শোভারাম বসাকের গৃহদেবতা শ্যামরায়ের নাম থেকেই নাকি শ্যামবাজার নামটি এসেছে। অনেকে আবার বলেন শোভারাম বসাকের কাকা শ্যাম বসাকের নাম থেকে এসেছে শ্যামবাজার নাম। আবার কলকাতা বিশেষজ্ঞ প্রাণকৃষ্ণ দত্ত বলেছেন, শ্যামলাল মুখোপাধ্যায় নামে এক নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণের নাম থেকেই নাকি এই নাম। যাই হোক ইংরেজ প্রশাসন একবার শ্যামবাজারের নাম পাল্টে চার্লসবাজার রেখেছিল। শোভারাম বসাক তখন প্রচুর আইনি লড়াই লড়ে শ্যামবাজার নাম পুনর্বহাল করেন।

শ্যামবাজার নামটি কেন হল, তা নিয়ে ভাবতে ভাবতে অভিধানগুলি ঘাঁটতেই হয়। বঙ্গীয় শব্দকোষ-এ ‘শ্যাম’ শব্দটির একটি অর্থ হল সামুদ্রিক লবণ। পুরনো কলকাতার অনেক ব্যবসায়ীই বিলেতি নুনের ব্যবসা করে ফুলেফেঁপে উঠেছিলেন।

সপ্তদশ শতকে শেঠ-বসাক পরিবার কলকাতার জঙ্গল কাটিয়ে সুতানুটির হাটের পত্তন করেছিলেন। বসাক বংশের প্রধান পুরুষ শোভারাম বসাক। তাঁর বাড়ি বড়োবাজার বা কলুটোলায় হলেও তাঁর ব্যবসাসাম্রাজ্য ছড়িয়ে ছিল সমগ্র উত্তর কলকাতা জুড়ে। শুধু সুতা ও কাপড়ের ব্যবসাই নয়, তাঁর ছিল সামুদ্রিক লবণের ব্যবসাও।

শোভারাম ১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দে মারা যান। তাঁর দুই পুত্র হরিমোহন এবং মদনমোহন ছিলেন তাঁর ব্যবসা সম্পত্তির উত্তরাধিকারী। শোভারাম তার উত্তরাধিকারীদের জন্য একটি বিশাল সম্পত্তি রেখে যান যার মধ্যে একত্রিশটি বাড়ি এবং আটটি বাগান ছিল। তিনি একটি সফল ব্যবসাও রেখে গেছেন। তাঁর ব্যবসায়িক হিসাব থেকে জানা যায়, পঁচিশ হাজার দুইশ কেজি সুতি কাপড়, তেরো হাজার আটশ কেজি সুতা, একশ কেজি সিল্ক, তিন লাখ নিরানব্বই কেজি লবণ, আটানব্বই কেজি মুক্তা, একশো তেরোটি হীরা, পঁয়ত্রিশটি রুবি, অঢেল সোনার মুদ্রা এবং নগদ টাকা। তিনি পাঁচ লাখ সাতাশ হাজার একশ বারো টাকার বন্ডও রেখে গিয়েছিলেন। তখনকার যুগে এটি এক উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ এবং সম্পত্তি।

বউবাজারের বিশ্বনাথ মতিলাল ছিলেন নামকরা লবণব্যবসায়ীদের একজন। যদিও আদতে তিনি জয়নগর-মজিলপুরের লোক। তেমনই হুগলি থেকে উত্তর কলকাতায় আসা বসুপরিবারের ছিল নুনের ব্যবসা। এই পরিবারের কৃষ্ণরাম বসু নুনের ব্যবসা করে বড়লোক বনে যান। ১৭৭১ সালে শ্যামবাজার এলাকায় বিরাট বসতবাড়ি, জোড়াশিবের মন্দির তৈরি করেন। বাড়িসংলগ্ন বিরাট পুকুর কাটান। তাঁর বাড়ি এখন আর নেই। এখন সেখানে শ্যামবাজার ট্রাম ডিপো। শ্যামবাজার অঞ্চলের নুনের আড়তগুলি ছিল বেলগাছিয়ার দিকে। এই অঞ্চলের আরও অনেকে সামুদ্রিক লবণের ব্যবসা করেছেন। বসুপরিবারের আগে থেকেই এই ব্যবসার রমরমা ছিল এখানে। শ্যাম তথা লবণের বাজার ছিল বলেই বাজারের নাম হয়েছিল শ্যামবাজার। পরে পুরো এলাকাটিই শ্যামবাজার নামে পরিচিত হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন