রবিবার | ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১২:৫৭
Logo
এই মুহূর্তে ::
গানের ভিতর দিয়ে দেখা পুজোর ভুবনখানি : সন্দীপন বিশ্বাস নবদুর্গা নবরাত্রি : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী সাদা কালোয় কুমোরটুলি : বিজয় চৌধুরী জেল খাটাদের পুজো, মাইক আসছে মাইক, ছুটছে গ্রাম : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় কাশ্মীর নির্বাচনে বিপুল সাড়ার নেপথ্যে কি ৩৭০ বিলোপের জবাব : তপন মল্লিক চৌধুরী তর্পণের তাৎপর্য : সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় মহালয়ার চন্ডীপাঠ মন্ত্র, মহিষাসুরমর্দিনী স্তোত্র : বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র পেজফোর-এর শারদোৎসব বিশেষ সংখ্যা ২০২৪ সুকুমার রায় মানেই শৈশব ও কৈশোর : রিঙ্কি সামন্ত অমৃতা প্রীতম-এর অনুবাদ গল্প ‘বুনোফুল’ মিল অমিলের মানিক ও মার্কেজ : রাজু আলাউদ্দিন কলকাতা ছিল একসময় ভেড়াদের শহর : অসিত দাস নিরাপদর পদযাত্রা ও শিমূলগাছ : বিজয়া দেব তোলা বন্দ্যো মা : নন্দিনী অধিকারী বাংলার নবজাগরণ ও মুসলমান সমাজ : দেবাশিস শেঠ সৌরভ হোসেন-এর ছোটগল্প ‘সালাম’ বঙ্গের শক্তি-পূজা : সুখেন্দু হীরা পুজোর পরিবর্তন, পরিবর্তনের পুজো : সন্দীপন বিশ্বাস পিতৃপক্ষের মধ্যে পালিত একাদশী — ইন্দিরা একাদশী : রিঙ্কি সামন্ত অরণ্যের অন্তরালে তাম্বদি সূরলা : নন্দিনী অধিকারী ভারতীয় চলচ্চিত্রের পথিকৃৎ হীরালাল সেন : রিঙ্কি সামন্ত বিদ্যাসাগরের অন্তরালে ঈশ্বরচন্দ্র, পূর্ব পুরুষের ভিটে আজও অবহেলিত : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় জগদীশ গুপ্তের গল্প, কিছু আলোকপাত (সপ্তম পর্ব) : বিজয়া দেব সুধীর চক্রবর্তী স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার : দীপাঞ্জন দে কুড়িয়ে পাওয়া মেয়েকে দুর্গা রূপে আরাধনা : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় বাঙালির নিজস্ব দুর্গা : শৌনক দত্ত সে নারী বিচিত্র বেশে মৃদু হেসে খুলিয়াছে দ্বার : দিলীপ মজুমদার শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়-এর ছোটগল্প ‘প্রাতঃভ্রমণ’ বন্যায় পুনর্জীবন বেহুলার : রিঙ্কি সামন্ত গরানহাটা কি ছিল ভেড়ার হাট : অসিত দাস
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে সকল বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই পিতৃপক্ষের সমাপ্তি মাতৃপক্ষের শুভ সূচনা-র আন্তরিক প্রীতি, শুভেচ্ছা, ভালোবাসা।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

হুগলির খানাকুল থানাকে দুটি করার দাবিতে সরব এলাকার বাসিন্দারা : মোহন গঙ্গোপাধ্যায়

মোহন গঙ্গোপাধ্যায় / ১২২ জন পড়েছেন
আপডেট বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০২৪

হুগলির খানাকুল থানাকে ভেঙে দুটি করার দাবিতে সরব হলেন এলাকার বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের দাবি, আয়তন ও লোকসংখ্যা অনুযায়ী অবিলম্বে খানাকুল থানাকে ভেঙে দুটি থানা করা হোক। নদীবাহিত এলাকায় পুলিশের সঙ্গে জনসংযোগ রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে খানাকুল-২ ব্লকের অধিকাংশ গ্রামের মানুষের সঙ্গে পুলিশের সংযোগ নেই বললেই চলে। নদী-দ্বীপগুলিতে বসবাসকারী মানুষ আছেন অসংখ্য। সেই সঙ্গে নদী তীরবর্তী বাসিন্দারাও পুলিশের নিরাপত্তা থেকে বঞ্চিত। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকা মানুষের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বাড়ছে। দীর্ঘদিনের দাবি, শীঘ্রই খানাকুল থানা ভেঙে দুটি করা হোক। দক্ষিণ খানাকুলের মানুষ একাধিকবার লিখিত ভাবে প্রশাসন, স্থানীয় বিধায়কের কাছে আবেদন জানিয়েছেন এ বিষয়ে। মানুষের অভিযোগ, রাজ্যে থানা ভেঙে অনেক নতুন থানা গড়ে উঠেছে। এমনকী নতুন ভাবেই বেশ কিছু থানা হয়েছে। তা হলে কেন খানাকুলের মতো বন্যাকবলিত ও নদীবাহিত অঞ্চলে মানুষের নিরাপত্তার কথা ভেবে নতুন থানা গড়ে উঠবে না? এ প্রশ্নই এখন খানাকুলের মানুষের মুখে মুখে। প্রসঙ্গত, খানাকুল-১ এবং খানাকুল-২ ব্লক দুটিতে মাত্র একটি থানা। দুটি  ব্লকের ৫২টি গ্রামের জনসংখ্যা ৪ লক্ষ ৩৯ হাজার ১৬৮ (২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী)।

বর্তমানে খানাকুল থানা শহরের মূলকেন্দ্রে। অথচ রূপনারায়ণ, মুণ্ডেশ্বরী, কানামুন্ডেশ্বরী এবং ছোট খাটো নদীর দু’পারে অসংখ্য গ্রাম আছে। এমন কিছু গ্রাম আছে, যেখানে চুরি-ডাকাতি, সংঘর্ষ, খুন-রাহাজানির মতো ঘটনা ঘটলে পুলিশ সরাসরি সেই গ্রামে পৌঁছতে পারে না। নদীর এক পাড়ে জিপ রেখে নৌকায় পার হয়ে পুলিশকে পৌঁছতে হয় ঘটনাস্থলে। দেখা গিয়েছে, বহু ঘটনা ঘটেছে অথচ পুলিশ সময়ে পৌঁছতে পারেনি। বড় ধরনের ঘটনা ঘটলেও, পুলিশকে অসহায়ভাবে ফিরে আসতে হয়েছে। নতুবা জনরোষের শিকার হয়েছে পুলিশ। বাসিন্দাদের অভিযোগ, চুরি-ডাকাতি হলে সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ আসার আগেই দুষ্কৃতীরা কাজ হাসিল করে চলে যায়। এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা, কিংবা নিরাপত্তা বজায় রাখতে পুলিশের দরকার হলে সহজে তাদের দেখা মেলে না। এলাকায় যে ভাবে দিন দিন অশান্তি বাড়ছে, তাতে মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। অবিলম্বে নতুন থানা গড়ে তোলা হোক। আর সেই থানা গড়ে তোলা হোক নদীর অন্য পাড় নতিবপুর গ্রামে। তা হলে অনেকটা নিরাপত্তা পাবেন  মানুষ।

হাওড়া ও পূর্ব মেদিনীপুর সীমান্ত এলাকায় থানা জরুরি। শিক্ষক মানস সামন্ত, সরকারি অফিসার মনোজ মুখোপাধ্যায়, ডা. সুব্রত ঘোষদের মতে সীমান্তবর্তী এলাকায় এবং নদীবাহিত অঞ্চলে নতুন থানা আবশ্যক। আর তা না হলে, অপরাধমূলক কাজ করে সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে দুষ্কৃতীরা সহজে গা ঢাকা দেওয়ার সুযোগ পাবে। খানাকুল থানার পুলিশ থাকবে অসহায়। কিছু করার থাকবে না। উল্লেখ্য, খানাকুল-২ ব্লকের নতিবপুর, বলপাই, চিংড়া, হরিশচক, সাবলসিংহপুর, চাঁদকুণ্ড, কামদেবচক, কাকনান, নন্দনপুর, বাড়নন্দনপুর, পানশিউলি, ভাটোরা, গণেশপুর, বনহিজলি, বালিগড়ি, ঘোড়াদহ ইত্যাদি গ্রামগুলিকে নিয়ে আলাদা থানা গড়ার দাবি উঠেছে। এজন্য লিখিত ভাবে আবেদনও জমা পড়েছে। আবেদনে বলা হয়েছে ‘মা মাটি মানুষের’ সরকার আসার পর নতুন নতুন জেলা হয়েছে। থানা ভেঙে থানা হয়েছে, সেই ভাবে নদীবাহিত এলাকায় মানুষের নিরপত্তার কথা ভেবে যেন আলাদা থানা গঠন করা হয়।

মুণ্ডেশ্বরী নদীর ওপারে নতিবপুর, বলপাই, চিংড়া গ্রামগুলি খানাকুল থানার পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। একই ভাবে ঘোড়াদহ, সাবলসিংহপুর, ভাটোরা, পানশিউলির মতো গ্রামগুলি অন্য জেলা সীমানায় অবস্থিত। এখানকার মানুষের নিরাপত্তার কথা অবিলম্বে ভাবা দরকার সরকারের। অবেদনপত্রে আরও বলা হয়েছে, খানাকুল থানাকে ভেঙে দুটি করা হোক, যাতে মানুষ উপকৃত হয়। খানাকুলের ইতিহাস গবেষক দেবাশিস শেঠ জানান, দক্ষিণ খানাকুলের গ্রামগুলির নিরাপত্তা আর‌ও জোরদার করা উচিত। পুলিশ সর্বদা নজর রাখে যাতে কোনও রকম বিশৃঙ্খলা না হয়। লোকসংখ্যা বেড়েছে। এটা ঠিক। একটা থানার পক্ষে ৫২টি গ্রামকে পুরোপুরি ভাবে নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয়। যাতে খানাকুল থানাকে ভেঙে দুটি করা হোক।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন