শনিবার | ২৮শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৮:৫৯
Logo
এই মুহূর্তে ::
সৌরভ হোসেন-এর ছোটগল্প ‘সালাম’ বঙ্গের শক্তি-পূজা : সুখেন্দু হীরা পুজোর পরিবর্তন, পরিবর্তনের পুজো : সন্দীপন বিশ্বাস পিতৃপক্ষের মধ্যে পালিত একাদশী — ইন্দিরা একাদশী : রিঙ্কি সামন্ত অরণ্যের অন্তরালে তাম্বদি সূরলা : নন্দিনী অধিকারী ভারতীয় চলচ্চিত্রের পথিকৃৎ হীরালাল সেন : রিঙ্কি সামন্ত বিদ্যাসাগরের অন্তরালে ঈশ্বরচন্দ্র, পূর্ব পুরুষের ভিটে আজও অবহেলিত : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় জগদীশ গুপ্তের গল্প, কিছু আলোকপাত (সপ্তম পর্ব) : বিজয়া দেব সুধীর চক্রবর্তী স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার : দীপাঞ্জন দে কুড়িয়ে পাওয়া মেয়েকে দুর্গা রূপে আরাধনা : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় বাঙালির নিজস্ব দুর্গা : শৌনক দত্ত সে নারী বিচিত্র বেশে মৃদু হেসে খুলিয়াছে দ্বার : দিলীপ মজুমদার শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়-এর ছোটগল্প ‘প্রাতঃভ্রমণ’ বন্যায় পুনর্জীবন বেহুলার : রিঙ্কি সামন্ত গরানহাটা কি ছিল ভেড়ার হাট : অসিত দাস ডিভিসি-র ছাড়া জলে দক্ষিণবঙ্গের মানুষ নাজেহাল, দায় কার : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় সুধীর চক্রবর্তী মুক্তধারা ভাষণমালা : দীপাঞ্জন দে বোর্হেসের গোলকধাঁধা : অশ্রুকুমার সিকদার ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি আমলের দুর্গোৎসব : রিঙ্কি সামন্ত মর্ত্যে দুর্গাপূজার সেকাল ও একাল : অসিত দাস বই-বাই : নবনীতা দেব সেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ছোটগল্প ‘প্রবাসী’ ম্যান মেড নয় ডিভিসি-র পরিকল্পনা আর রূপায়নে গলদ : তপন মল্লিক চৌধুরী রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে রাখাইনে সেইফ জোন তৈরি করা আবশ্যক : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন ফলের নামটি পাকা কলা : রিঙ্কি সামন্ত বই-বাই : নবনীতা দেব সেন হেমচন্দ্র বাগচীর ১২০তম জন্মবর্ষ : দীপাঞ্জন দে নিম্ন চাপের অতিবৃষ্টি ও ডিভিসির ছাড়া জলে প্লাবিত আরামবাগ : দেবাশিস শেঠ আরামবাগে ভয়াবহ বন্যা, দুর্যোগের পদধ্বনি, ক্ষোভ জনমানসে : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন মেয়েদের ক্ষমতায়নের পক্ষেও আওয়াজ তুলেছে : তপন মল্লিক চৌধুরী
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে সকল বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ কৌশিকী অমাবস্যার-র আন্তরিক প্রীতি, শুভেচ্ছা, ভালোবাসা।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

গ্রেস কটেজে নজরুলের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী : দীপাঞ্জন দে

দীপাঞ্জন দে / ২৫৫৫ জন পড়েছেন
আপডেট শনিবার, ২২ জুন, ২০২৪

১১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দে (২৫ মে, ২০২৪) নদিয়া জেলার সদর শহর কৃষ্ণনগরে কাজী নজরুল ইসলামের বাসভবনে তাঁর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী বিশেষভাবে পালিত হয়। কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর সমগ্র জীবনে একাধিকবার বাসা বদল করেছেন। কৃষ্ণনগরে নজরুল প্রায় আড়াই বছর (১৯২৬-১৯২৮ খ্রি.) সপরিবার ছিলেন। কৃষ্ণনগরে তাঁর বসবাসের দুটি ঠিকানার কথা জানা যায়। হুগলি থেকে কৃষ্ণনগরে এসে প্রথমে নজরুল তাঁর সুহৃদ বিপ্লবী হেমন্তকুমার সরকারের পরিবারের তত্ত্বাবধানে গোলাপট্টি এলাকায় ছিলেন। তারপর সেখান থেকে তিনি সপরিবার কৃষ্ণনগরের চাঁদসড়ক পল্লীতে অবস্থিত গ্রেস কটেজ বাড়িটিতে বসবাস করতে চলে আসেন। এই সময় কৃষ্ণনগরে হেমন্তকুমার সরকারের অনুপস্থিতিতে নজরুলকে হেমচন্দ্র দত্তগুপ্ত বিশেষভাবে সাহায্য করেছিলেন বলে জানা যায়। এই গ্রেস কটেজে বসবাসকালেই নজরুল ‘মৃত্যক্ষুধা’ উপন্যাস লিখেছিলেন। ‘দারিদ্র্য’, ‘খালেদ’-এর মতো কবিতা রচনা করেছিলেন, যেগুলি বাংলা সাহিত্যের মূল্যবান সম্পদ। নজরুল রচিত বাংলা গজল গানের সৃষ্টি হয়েছিল এই বাড়িতেই। ২০১২ সালে পশ্চিমবঙ্গ হেরিটেজ কমিশন এই বাড়িটিকে হেরিটেজ ভবন বলে ঘোষণা করে।

পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ দপ্তরের এলাকাধীন এই বাড়িটি একসময় প্রায় ধ্বংস হতেই বসেছিল। কিছু সচেতন কৃষ্ণনাগরিক এবং সাংস্কৃতিক সংস্থা সুজন-বাসরের উদ্যোগে বাড়িটি ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পায়। শুধু তাই নয়, সুজন-বাসরের তৎপরতায় নজরুল-স্মৃতিবিজড়িত হওয়ার কারণে ২০১২ সালে এটি হেরিটেজ বলে ঘোষিত হয়। তারপর থেকে সুজন-বাসরের উদ্যোগে সরকারি ব্যয়ে ইতিমধ্যে দুইবার ভবনটির সংস্কারও করা হয়েছে। বর্তমানে গ্রেস কটেজ হলো পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে নজরুলচর্চার একটি অন্যতম কেন্দ্র। গ্রেস কটেজের সদস্যরা নিয়মিত সেখানে বসেন এবং নজরুলচর্চায় নিয়োজিত থাকেন। সেখানে নজরুলের লেখা গ্রন্থ এবং নজরুল সম্পর্কিত পত্রপত্রিকা, গ্রন্থরাজির সংগ্রহ গড়ে তোলার উদ্যোগও গ্রহণ করা হয়েছে। গ্রেস কটেজে নজরুল বিষয়ে একটি সংগ্রহশালা গড়ে তোলার প্রচেষ্টাও চলছে। নজরুল স্মৃতিধন্য এই ঐতিহাসিক ভবনেই তাঁর ১২৫তম জন্মবার্ষিকীতে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।

২০২৪ সালের মে মাসের শুরু থেকেই নজরুল জন্মবার্ষিকীকে কেন্দ্র করে গ্রেস কটেজ কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন রকমের প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল। ১ মে ছিল বসে আঁকো প্রতিযোগিতা। ১৮ মে ছিল সংগীত প্রতিযোগিতা। আর ১৯ মে ছিল আবৃত্তি ও প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা। প্রায় তিনশতাধিক প্রতিযোগী এইসব প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিল। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীদের নজরুলের জন্মোৎসবের দিন পুরস্কৃত করা হয়। বসে আঁকো প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন প্রবীণ চিত্রশিল্পী নিরঞ্জন শীল। আবৃত্তি প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন বিশিষ্ট কৃষ্ণনাগরিক সম্পদনারায়ণ ধর ও লেখক সুজিতকুমার বিশ্বাস। সংগীত প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন সংগীতশিল্পী শাহাবুদ্দিন বেতার ও শ্যামলী ভট্টাচার্য। আর প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন দীপাঞ্জন দে।

১১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দে (২৫ মে, ২০২৪) সকাল ন’টা থেকে গ্রেস কটেজ কর্তৃপক্ষ তথা সাংস্কৃতিক সংস্থা ‘সুজন-বাসর ও নজরুল গবেষণা কেন্দ্র’-এর উদ্যোগে পথপরিক্রমার মধ্যে দিয়ে নজরুল জন্মোৎসব সূচনা হয়। গ্রেস কটেজের সামনে থেকে পথপরিক্রমা শুরু হয় এবং সামনে হুগনিতলা মোড়ে আমরা সবাই ক্লাব প্রাঙ্গণে স্থাপিত রবীন্দ্র ও নজরুল মূর্তিতে মাল্য অর্পণ করে আবার গ্রেস কটেজে এসেই তা শেষ হয়। নজরুল-পত্নী প্রমীলা দেবীর ভগিনী অঞ্জলি সেনগুপ্তের (জটু, খুকি ও কাঠবেড়ালির খুকি) পুত্র অশোককুমার সেনগুপ্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আবক্ষ মূর্তিতে মাল্য অর্পণ করেন। আর নজরুলের আবক্ষ মূর্তিতে মাল্য অর্পণ করেন আন্তর্জাতিক মানবতাবাদী মুক্তমঞ্চ ‘শিকড়ের সন্ধানে’-র আহ্বায়ক মণিমোহন ধর। গ্রেস কটেজের রীতি মেনে সংক্ষিপ্ত এই পথপরিক্রমার সময় সমবেত কণ্ঠে উপস্থিত সকলে নজরুল রচিত ‘দুর্গম গিরি কান্তার মরু’ গানটি পরিবেশন করেন।

পথপরিক্রমার পর গ্রেস কটেজ প্রাঙ্গণে স্থাপিত নজরুল মূর্তি এবং ভিতরের ঘরে স্থাপিত নজরুল প্রতিকৃতিতে মাল্য অর্পণ করা হয়। গ্রেস কটেজের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানের সূচনায় স্বাগত ভাষণ রাখেন সুজন-বাসর ও নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের যুগ্ম-সম্পাদক রতনকুমার নাথ। এরপর সংগীতশিল্পী শঙ্খশুভ্র সরকারের নেতৃত্বে গ্রেস কটেজ সংগীত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষার্থীদের সমবেত কণ্ঠে ‘নম নম নম, বাংলাদেশ মম’ গানটি পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন হয়। এর পর গ্রন্থপ্রকাশ, পুরস্কার বিতরণ, কবিতা নৃত্য গীত পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে নজরুল জন্মোৎসবের অনুষ্ঠান এগিয়ে চলে।

এদিন গ্রেস কটেজে দুটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। সাংস্কৃতিক সংস্থা ‘আলিয়া সংস্কৃতি সংসদ’ (কলকাতা) প্রকাশিত নজরুলের ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যের গিয়াসউদ্দিন দালাল-কৃত ইংরেজি অনুবাদ ‘Harp of Fire’ গ্রন্থটি এদিন গ্রেস কটেজে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ পায়। এদিনের বিশিষ্ট অতিথি অশোককুমার সেনগুপ্তের হাত দিয়ে গ্রন্থটির আবরণ উন্মোচিত হয়। আলিয়া সংস্কৃতি সংসদের পক্ষ থেকে সেই সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক সাইফুল্লা, অধ্যাপক মীর রেজাউল করিম এবং অধ্যাপক আফসার আলী।

আর এদিন গ্রেস কটেজে দ্বিতীয় যে গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়, সেটি হলো ‘কাজী নজরুল ইসলাম: একশো পঁচিশে’, সংগ্রহ-সংকলন-গবেষণা-সম্পাদনা দীপাঞ্জন দে। বৃহৎ কলেবরের এই গ্রন্থটির প্রকাশক গেটওয়ে পাবলিশিং হাউস। বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সম্পদনারায়ণ ধর ও আন্তর্জাতিক মানবতাবাদী মুক্তমঞ্চ ‘শিকড়ের সন্ধানে’-র আহ্বায়ক মণিমোহন ধর গ্রন্থটির আবরণ উন্মোচন করেন। সেই সময় বহু বিশিষ্টজন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। প্রমিলা দেবীর ভগিনী অঞ্জলি সেনগুপ্তের (‘খুকি ও কাঠবেড়ালি’-র খুকি) পুত্র অশোককুমার সেনগুপ্ত, সুজন-বাসরের সভাপতি দীপঙ্কর দাস, লেখক আরফান আলি বিশ্বাস, অধ্যাপক দেবনারায়ণ মোদক, কবি রামকৃষ্ণ দে প্রমুখরা গ্রন্থটি প্রকাশের সময় উপস্থিত ছিলেন। আর উপস্থিত ছিলেন এই গ্রন্থের প্রকাশক তন্ময় ধর এবং গ্রন্থটির সম্পাদক দীপাঞ্জন দে। কবির ১২৫তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁকে বিশেষ শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করা হয়েছে এই গ্রন্থটির মধ্যে দিয়ে। গ্রন্থের প্রচ্ছদ করেছেন বিশিষ্ট শিল্পী সুশোভন অধিকারী। প্রচ্ছদে কাজী নজরুল ইসলামের নিজ হস্তাক্ষর ব্যবহার করা হয়েছে। আর ‘একশো পঁচিশে’ নামাঙ্কনটি করেছেন কবি অমৃতাভ দে। গ্রন্থটি বিশিষ্ট সাহিত্যিক সুধীর চক্রবর্তীকে উৎসর্গ করা হয়েছে। গ্রন্থের ভূমিকা লিখেছেন পুরাণবিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী। বৃহৎ কলেবরের এই গ্রন্থে নজরুল ইসলামকে ধরা হয়েছে এই পর্ববিন্যাসে— স্মৃতিসুধায় নজরুল (প্রবন্ধমালা), অনালোচিত পাঠ— কাজী নজরুল ইসলাম এক অজ্ঞাত পর্ব, স্মরণে-মননে (কবিতা সংকলন), ১২৫-এ নিবেদিত প্রবন্ধ, ১২৫-এ নিবেদিত কবিতা, অগ্রন্থিত নজরুল, নজরুল-ঠিকানাপঞ্জি, নজরুল-নথিপত্র, চিঠিপত্র: নজরুল, চিঠিপত্র: নজরুল সম্পর্কিত, নজরুল-প্রকাশক, নজরুলের গ্রন্থপরিচয়, নজরুল বিষয়ক গ্রন্থপঞ্জি, জীবনপঞ্জি, নজরুলের বেতারজগৎ, নজরুলগীতি-নির্দেশিকা, নজরুলের স্কুল, লেখক পরিচিতি এবং পরিশিষ্ট।

নজরুলের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় স্থানাধিকারীদের হাতে এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে একটি শংসাপত্র এবং নজরুল বিষয়ক একটি গ্রন্থ তুলে দেওয়া হয়। আর সকল অংশগ্রহণকারীদের হাতে প্রতিযোগিতার দিনই একটি করে শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়েছিল। বসে আঁকো প্রতিযোগিতার ফলাফল ছিল এইরূপ— ক বিভাগে প্রথম পৃথ্বীজিৎ দেব, দ্বিতীয় অস্মি পান এবং যুগ্মভাবে তৃতীয় সৃজা ঘোষ ও ঐশানী পোদ্দার। খ বিভাগে প্রথম তপরূপ সাহা, দ্বিতীয় অমিত পাল এবং যুগ্মভাবে তৃতীয় প্রবৃত্তা চক্রবর্তী ও রাজন্যা বিশ্বাস। গ বিভাগে প্রথম সৌম্যজিৎ বর্ধন, দ্বিতীয় অনুরাধা চৌধুরী এবং তৃতীয় শ্রাবণী শীল। আবৃত্তি প্রতিযোগিতার ফলাফল ছিল এইরূপ— ক বিভাগে প্রথম দেবস্মী রায়, দ্বিতীয় ধিয়ানশ্রী দাস এবং তৃতীয় বসুন্ধরা সরকার। খ বিভাগে যৌথভাবে প্রথম হয় তনভী বিশ্বাস, মৃত্তিকা মোস্তাফা ও অর্থিতা দে। দ্বিতীয় অদ্রিজা রায় এবং তৃতীয় সৃজিতা বিশ্বাস। গ বিভাগে প্রথম ময়ুখ বিশ্বাস, দ্বিতীয় মেধা নাগ এবং তৃতীয় ঋষিতা সামন্ত। ঘ বিভাগে প্রথম দিশারী মজুমদার, দ্বিতীয় মুনমুন সান্যাল মুখার্জী এবং তৃতীয় ফারহান মোস্তফা।

 

প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার ফলাফল ছিল এইরূপ— ক বিভাগে প্রথম অর্থিতা দে, দ্বিতীয় অর্ঘ্যাংশু ঘোষ এবং তৃতীয় অনুরাধা চৌধুরী। প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় দুইজন প্রতিযোগীকে খ বিভাগের সৌমিলি নন্দী এবং ঘ বিভাগের কঙ্কনা বিশ্বাসকে বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়। সংগীত প্রতিযোগিতার ফলাফল ছিল এইরূপ— ক বিভাগে প্রথম তিথি ঘোষ, দ্বিতীয় মোনালিসা মাণ্ডি এবং তৃতীয় তমোঘ্না বিশ্বাস। খ বিভাগে যুগ্মভাবে প্রথম হয় সমৃদ্ধ বিশ্বাস ও উৎসা বিশ্বাস, যৌথভাবে দ্বিতীয় হয় কৌশিকী সিংহ, প্রত্যুষা মুখার্জী, ঋত্বিষ বৈরাগ্য ও অস্মিতা নন্দী এবং তৃতীয় হয় অদ্রিশা ঘোষ। গ বিভাগে প্রথম নন্দিনী হালদার, দ্বিতীয় অপ্রাজিৎ বিশ্বাস এবং যুগ্মভাবে তৃতীয় হয় শিঞ্জিনী বিশ্বাস ও অয়ন্তিকা মজুমদার। ঘ বিভাগে প্রথম শুভ্র ব্যানার্জী, দ্বিতীয় সায়ন্তনী কুণ্ডু এবং তৃতীয় পায়েল দাস।

সংগীত প্রতিযোগিতায় স্থানাধিকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে এদিন অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করে তিথি ঘোষ, উৎসা বিশ্বাস, অপ্রাজিত বিশ্বাস এবং শুভ্র ব্যানার্জী। আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় স্থানাধিকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে এদিন অনুষ্ঠানে আবৃত্তি পরিবেশন করে মৃত্তিকা মোস্তাফা, ময়ুখ বিশ্বাস ও দিশারী মজুমদার। বাচিক শিল্পী তিলক বিশ্বাসের পরিচালনায় কল্পনা আবৃত্তিচর্চা কেন্দ্রের শিক্ষার্থীরা ‘ফরিয়াদ’ কবিতার একটি কোলাজ এদিন পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন সুবীর দত্ত, প্রীতিকণা জোয়ারদার, দীপঙ্কর দাস, ইনাস উদ্দীন, বীথিকা মল্লিক, মণীষা সরকার, জয়দেব মণ্ডল, গার্গী সেনগুপ্ত, সীমা বড়াল প্রমুখ। আবৃত্তি পরিবেশন করেন সুকৃতি ঘোষ, গোপা দেবনাথ, চৈতালী বড়াল, বিকাশ বিশ্বাস, সন্টু ঘোষ, স্বরাজ বক্সী, সন্ধ্যারানী সেনগুপ্ত, পাপড়ি দাস, মুকুল পাল প্রমুখ। সামগ্রিকভাবে অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন সুজন-বাসরের সভাপতি দীপঙ্কর দাস। এদিনের সমগ্র অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন সুজন-বাসরের সম্পাদক ইনাস উদ্দীন। ‘সুজন-বাসর ও নজরুল গবেষণা কেন্দ্র’-এর পরিচালনায় নজরুলের ১২৫তম জন্মবার্ষিকীর সমগ্র অনুষ্ঠান আয়োজনে অমৃতাভ দে, বাপি দাস, বীথিকা মল্লিক, সুকৃতি ঘোষ, রাজিফা খাতুন, শোভনা দাস, রোহিত শেখ, মুনতাজ মল্লিক (বাপ্পা) প্রমুখরা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেন।

এদিন প্রাবন্ধিক আরফান আলি বিশ্বাস নজরুল পাঠাগারের জন্য গ্রেস কটেজের সভাপতি দীপঙ্কর দাসের হাতে তাঁর কয়েকটি গ্রন্থ অনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেন। অশোককুমার সেনগুপ্তও তাঁর রচিত একটি গ্রন্থ গ্রেস কটেজ লাইব্রেরির জন্য উপহার দেন। অনুষ্ঠানে আগত বিশিষ্ট অতিথি এবং প্রতিযোগিতার বিচারকদের হাতে সুজন-বাসরের পক্ষ থেকে এদিন একটি বিশেষ স্মারক উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হয়। নজরুলের ১২৫তম জন্মবার্ষিকীতে গ্রেস কটেজ ভবনের প্রতিকৃতি নির্মিত এই বিশেষ স্মারকটি তৈরি করা হয়েছিল। কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্পী বাপী দাস এটি তৈরি করেছিলেন।

নজরুলপ্রেমী একাধিক সংগঠন তাঁর ১২৫তম জন্মবার্ষিকীর দিন সকাল থেকেই গ্রেস কটেজ প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়েছিল এবং সেখানে স্থাপিত নজরুল মূর্তিতে মাল্য অর্পণের মধ্যে দিয়ে নজরুলের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেছিল। ছন্দভূমি নৃত্যসংস্থা, গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সংঘ, বিশ্ব মৈত্রী পরিষদ প্রভৃতি সংগঠনের প্রতিনিধিরা এদিন গ্রেস কটেজ প্রাঙ্গণে কবিতা ও নৃত্যগীত সহকারে সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে কবির ১২৫তম জন্মবার্ষিকী পালন করেন।

লেখক: আঞ্চলিক ইতিহাস লেখক, নদিয়া।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন