বেশ কয়েক বছর আগে রাজবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। ওখানকার বিসিক সিল্কের উপর একটি প্রজেক্ট দেখতে গিয়েছিলাম। ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম ওদের কাজ কর্মের প্রতিটি ধাপ। বেশ ভালো লাগছিল নতুন একটি বিষয়ে জানতে। কিভাবে তুঁত গাছের পাতা খেয়ে লারভি (পলু) থেকে গুটি পোকা তৈরি হচ্ছে, তারপর সেই গুটি পোকার গুটি থেকে সিল্কের সুতা সংগ্রহ করা হচ্ছে। অবশেষে সেই সুতো থেকে তৈরি হচ্ছে সিল্কের থান কাপড়। সেই থান থেকে তৈরি হচ্ছে শাড়ি ও অন্যান্য পোষাক যেমন পাঞ্জাবী, শার্ট, ফতুয়া ও সালোয়ার-কামিজ। ভালো লাগছিল ঘুরে ঘুরে দেখতে। কেবল একটি জায়গাতে এসে খটকা লাগলো, যেখানে গরম পানিতে সিদ্ধ করে গুটি পোকাগুলোকে মেরে ফেলা হচ্ছিল সুতা সংগ্রহ করার আগে। যদিও এটা নতুন কিছু না, যূগের পর যূগ ধরে আমরা মানুষরা অন্যান্য প্রাণীদের প্রাণ নাশ করে নিজেরা বেঁচে থাকি। তবুও ব্যাপারটা মানতে কষ্ট হচ্ছিল যে আমাদের পোষাক তৈরির জন্য আত্মাহুতী দিচ্ছে নিরীহ গুটি পোকাগুলোকে।
রেশম সিল্কের গুটিপোকার খুব প্রিয় খাদ্য তুঁত গাছের পাতা। বলা যায়, তুঁত গাছের পাতা রেশম শিল্পের জন্য অপরিহার্য একটি উপাদান। তুতেঁর ফল খুবই রসালো, টক-মিষ্টি ও সুস্বাদু। পাকা তুঁত ফলের রস থেকে জ্যাম, জেলি বা পানীয় তৈরি করা হয়। তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশের মাটিতে হওয়া তুঁতফল বেশি সুস্বাদু। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তুঁত গাছ ফলের জন্য চাষ করা হলেও বাংলাদেশে তুঁত কখনও ফলের জন্য চাষ করা হয় না। বাংলাদেশে তুঁত গাছ চাষ করা হয় রেশম সিল্কের জন্য। এক সময় বাংলাদেশের গ্রামে প্রচুর তুঁত গাছ দেখা যেতো। অনেক পাখিরই প্রিয় খাবার তুঁতফল।
তুঁত গাছের ইংরেজি নাম Mulberry plant। Moraceae পরিবারের, Morus জেনাসে তুঁতের ১০-১৬ টি প্রজাতি রয়েছে। মালবেরির বুনো জাতও রয়েছে আবার আবাদি জাতও আছে বেশ কিছু। তুঁত গাছের তিনটি প্রজাতির বৈজ্ঞানিক নাম মোরাস নিগ্রা (Morus nigra), মোরাস রুব্রা (Morus rubra) ও মোরাস ইনডিকা (Moras indika)। এই তিনটি প্রজাতি রেশমের জন্য চাষ করা হয় বাংলাদেশে। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রেশম চাষের জন্য তুঁত গাছ চাষ করা হয়। তুঁত গাছের আদিবাস চীনে। ভারত, বাংলাদেশ ছাড়াও এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন স্থানে তুঁত গাছের চাষ হয়। কালো, লাল এবং সাদা মালবেরি গাছ দক্ষিণ ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা এবং ভারত উপমহাদেশে বেশ ভালোভাবে বিস্তৃত। প্রতিটি এলাকাতেই তাদের নিজস্ব ভাষায় নাম রয়েছে। এই সমস্ত এলাকায় তুঁত ফল থেকে জ্যাম এবং শরবত তৈরি করা হয়। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি তুঁত চাষ করা হয় রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে। এছাড়াও নাটোর, রংপুর, পাবনা, বগুড়া, ঠাকুরগাঁও, ময়মনসিংহ, দিনাজপুর এবং সিলেটে রেশম পোকার খাদ্যের জন্য তুঁত গাছের চাষ করা হয়ে থাকে। বিশেষ করে পাকা লালচে কালো বা কালচে ফলের প্রজাতির চাষ করা হয়। এদের গাছ তুলনামুলকভাবে খাটো হয়ে থাকে।
উত্তর আমেরিকার কিছু শহরে মালবেরি চাষ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরা বেশ অনেকটা পরিমাণ পোলেন বা পরাগ রেণু তৈ্রি করে যা কিছু মানুষের এলার্জির কারণ হয়। কেবল মাত্র পুরুষ তুঁত গাছ এই পোলেন তৈরি করে থাকে। বাতাসে ভেসে বেড়ানো এই হালকা পোলেন মানুষের ফুস্ফুসে ভালো মত ঢুকে যায় এবং এর ফলে কারো কারো এজমা হয়ে যায়। অন্য দিকে, স্ত্রী মালবেরি গাছ কেবল স্ত্রী ফুলই তৈরি করে যারা বাতাস থেকে পরাগরেণু গ্রহন করে পরাগায়নের জন্য। পরাগরেণু গ্রহন করার কারণে স্ত্রী মালবেরি গাছকেও অনেকে সাস্থের জন্য ক্ষতিকর ভাবেন। আবার কেউ কেউ একে এলার্জি-ফ্রি মনে করেন।
বেশ কিছু ঔষধি গুণ রয়েছে তুঁত ফলের। তুঁত গাছের ছাল ও শিকড়ের রস কৃমিনাশক। পাকা ফলের রস বায়ু, পিত্ত, কফ ও জ্বরনাশক হিসেবে কাজ করে থাকে। পাকা তুঁতফল বেশ উপকারী কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য। তুঁতফলের রস বেশি খেলে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তুঁত ফলে ক্যানসার প্রতিরোধী গুনাবলী রয়েছে। ডায়াবিটিস প্রতিরোধের জন্যও এটি অত্যন্ত উপকারী গাছ। তুঁত ফল এবং তুঁত গাছের পাতা ও শিকড়ে থাকা একটি উপাদান (স্যাকারাইড) মানবদেহে থাকে। এই উপাদানটি রক্তে শর্করা কমিয়ে স্বাভাবিক মাত্রায় আনতে সাহায্য করে। এর কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই বলে জানা যায়। এটি কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে। কালো তুঁত ১৭ শতাব্দিতে ব্রিটেনে আনা হয় যাতে সিল্কের পোকা চাষে ব্যবহৃত হতে পারে। কিন্তু আসলে এই গাছ বেশি ব্যবহার করা হলো folk medicine তৈরিতে। বিশেষ করে গোল কৃমির (ringworm) চিকিৎসাতে। মালবেরি গাছ গ্রিসেও বেশ বিস্তৃত।
তুঁত গাছের ছাল দিয়ে কাগজ তৈরি হতো প্রাচীনকালে। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার খমের সাম্রাজ্যে বৌদ্ধ মন্দিরের সন্ন্যাসীরা তুঁত গাছের ছাল থেকে কাগজ তৈরি করতেন সেই আংকোরিয়ান যুগে। কাগজগুলো ক্রাইং নামে পরিচিত ছিল। এই কাগজ বই তৈরিতে ব্যবহৃত হতো। কাছাকাছি জেনাস Broussonetia এর গাছকেও মালবেরি বলে। বিশেষ করে Broussonetia papyrifera কে পেপার মালবেরি বলা হয়।
তুঁত গাছ পর্ণমোচী বা পাতা ঝরা প্রকৃতির ছোট ধরনের বৃক্ষ। শীতে গাছের পাতা ঝড়ে যায় এবং বসন্তের শুরুতে তুঁত গাছে নতুন পাতা আসে। তুঁত গাছের পাতা ডিম্বাকার, খসখসে ও আগার দিকে সুঁচালো। পাতার মার্জিনে করাতের মত খাঁজ কাটা আছে। পুরুষ ও স্ত্রী ফুল প্রিথক তুঁত গাছে হয়। এটি বেরী জাতীয় ফল। তুঁত গাছের কাণ্ড থেকে উৎপন্ন মঞ্জরীদণ্ডের ছোট ছোট ফুলগুলি ঘন হয়ে ফুটে থাকে। অনেকগুলো ক্ষুদ্র ফল মিলে একটি ফল তৈরি হয়। সাধারণত কাঁচা ফলের রং সবুজ এবং বেশির ভাগ প্রজাতির ফল প্রথমে গোলাপি রং ধারণ করে এবং যখন পাকে তখন গাড় বেগুনী বা কালো রং ধারণ করে। সাদা ফল বিশিষ্ট প্রজাতির ফল পাকার পরেও সাদা থাকে। এদের ফলও খুব মিষ্টি এবং হালকা একটি মিষ্টি গন্ধ রয়েছে যা কালো ফল গুলোতে থাকে না। দেখতে অবশ্য একই রকমের হয় আকার ও আকৃতিতে।
আমাদের দেশের আবহাওয়ায় ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে তুঁত গাছে প্রচুর ফুল আসে এবং মার্চ-এপ্রিল মাসে ফল পাকে। সারা বছরই ফল দেয় এই গাছ এবং অল্প দিনের মধ্যেই ফল পাকে। পাকা ফল দেখতে বেশ সুন্দর, রসালো এবং টক-মিষ্টি স্বাদের। তুঁত গাছ কচি অবস্থায় বেশ ভালো বৃদ্ধি পায়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এদের বৃদ্ধি কমে যায়। ১০ থেকে ১৫ মিটার অবধি বৃদ্ধি হয় এদের। একটি তুঁত গাছ লাগানোর পর থেকে ২০-২৫ বছর ধরে পাতা দেয়। গাছের উচ্চতা ৬ ফুট হলেই ডাল কেটে দেওয়া হয় যাতে গাছে পাতা বেশি হয় এবং উচ্চতা কম হয়। রেশম পোকার খাদ্য হিসেবে পাতার জন্য যে গাছের চাষ হয় তার কাণ্ড খুবই নরম থাকে।
সাধারণত শাখা কলম করে তুঁত গাছের চাষ করা হয় বাংলাদেশে। এছাড়া শীতকালে ছাঁটাই করা ডাল মাটিতে রোপন করলেও নতুন গাছ তৈরি করা যায়। বীজ থেকেও সহজেই চারা তৈরি করা যায়। ছোট বা বড় টব বা যে কোনো পাত্রে লাগালে তুঁত গাছ সুন্দর ভাবে বেড়ে ওঠে। দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটিতে তুঁত গাছ খুব ভালো জন্মে। এছাড়া উঁচু ও সমতল জমিতেও তুঁত চাষ ভালো হয়। আবহাওয়া ও উর্বর মাটির কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় সবচেয়ে বেশি তুঁত চাষ হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় সাদা, কালো ও লাল তুঁত এই তিন প্রজাতির গাছের উপর নির্ভর করে রেশম পোকার চাষ করা হয়। আশ্বিন-কার্তিক মাস তুঁত গাছ লাগানোর উপযুক্ত সময় বাংলাদেশের আবহাওয়া অনুযায়ী। তুঁত গাছ থেকে উন্নত মানের রেশম গুটি সংগ্রহ করতে চাইলে এই গাছের সেচ ব্যবস্থার দিকে নজর দিতে হবে। বর্ষা মৌসুমে উপযুক্ত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকলে ও শুষ্ক মৌসুমে পর্যাপ্ত পরিমাণে সেচের ব্যবস্থা থাকলে তুঁতের পাতার ফলন ভালো হয়। ওষধি গাছ হিসেবে ব্যবহারের জন্য তুঁত গাছ ছাদে বা বাগানেও লাগানো যেতে পারে।
তিনটি ধাপ রয়েছে রেশম সিল্ক চাষের, যেমন তুঁতগাছ চাষ করা, রেশম পোকা পালন করা এবং কাপড় তৈরির জন্য রেশমগুটির সুতা পৃথক করা ও সংগ্রহ করে কাপড় বোনা। তুঁতগাছ চাষ করা এবং রেশম পোকা পালন করা কৃষিভিত্তিক কাজ। শেষ ধাপের কাজ মূলত শিল্পগত কাজ যাকে ফিলাচার বলে। এই ধাপ সম্পন্ন করা হয় কুটির শিল্প প্রতিষ্ঠা্নগুলোতে। বাংলাদেশে বছরে চার থেকে পাঁচটি রেশম মৌসুম থাকে। সাধারণত আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে একটি রেশম মৌসুম ৩০ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। প্রধান মৌসুম হচ্ছে চৈত্র, জ্যৈষ্ঠ ও অগ্রহায়ণ মাস।
বমবিক্স মোরি (Bombyx mori) প্রজাতির রেশম পোকার গুটি থেকে তৈরি সুতা দিয়ে রেশম সিল্ক তৈরি হয়। তুঁত গাছের পাতা রেশম পোকা বা পলুকে খাওয়ানো হয়। এই পোকার লালা থেকে রেশম সুতা তৈরি হয়। বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে রেশম পোকার তৈরি বাসা বা গুটি থেকে তৈরি হয় রেশমি সুতা । এই সুতা থেকে তৈরি হয় সিল্ক বা রেশমি কাপড়। একটি তুঁত গাছের জন্য একটি ডিম প্রয়োজন হয়। ডিম থেকে রেশম পোকা বা পলু বের হওয়ার ২৫ দিনের মধ্যে গুটি তৈরি করে এবং ২৫ দিন পর্যন্ত অর্থাৎ গুটি তৈরির আগে পর্যন্ত পলু পাতা খেতে থাকে। সাধারণত একটি রেশম মথ থেকে ৫০০ রেশম পোকা জন্ম নেয় এবং গুটি তৈরি করে। এক কেজি ভালো মানের গুটি পাওয়ার জন্য প্রায় ৬০০টি ভালো মানের রেশম পোকার প্রয়োজন হয়। প্রতি বিঘা তুঁত গাছ থেকে ১০০ থেকে ১২০ মণ পাতা পাওয়া যায়।
সাদা রেশমগুটি বা ককুন দেখতে অনেকটা ছোট পাখির ডিমের মতো। ককুনের ভিতরে ৫০০ মিটারের বেশি লম্বা একটিমাত্র সুতা সমকেন্দ্রীয়ভাবে বিন্যস্ত থাকে। ককুন তৈরি হতে তিন দিন সময় লাগে। আট দিনের মধ্যে গুটির ভিতরের শূককীট পিউপায় পরিণত হয়। পিউপায় পরিণত হওয়ার আগেই ককুনকে গরম পানিতে সিদ্ধ করে ভিতরের পোকাটি মেরে ফেলা হয়। পরে এই ককুন থেকেই রেশম সুতা সংগ্রহ করা হয়। কিছুদিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ পিউপা মথে পরিণত হয় এবং গুটির এক প্রান্ত ফুটো করে বের হয়ে আসে। পিউপা মথে পরিণত হয়ে গুটি থেকে বের হয়ে আসার পর রেশম সুতার গুণগত মান নেমে যায়। সেই কারণে পিউপা মথে পরিণত হওয়ার আগেই তাকে মেরে ফেলার প্রয়োজন হয়। ২, ৪ এবং ৬টি গুটির সুতা একত্র করে একটি রীল তৈরি করা হয়। কতটি সুতা একত্র করা হচ্ছে তার উপর নির্ভর করে রীলটি কত প্লাইয়ের হচ্ছে এবং কাপড় বোনার সময় কত প্লাইয়ের সিল্ক তৈরি হচ্ছে। ককুনেরখোলসের বাইরের পরিত্যক্ত সুতা দিয়ে তৈরি হয় মটকা সিল্ক।
সিল্ক একটি অভিজাত পণ্য। বরেন্দ্রভূমির রেশম একসময় বিশ্ববিখ্যাত ছিল। সিল্কের তৈরি কাপড়ের স্বর্ণযুগ ছিল তখন। সিল্কের চাহিদা ছিল ইউরোপের অভিজাত মহলে। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই লাভবান হতেন তখন। রাজশাহীতে হ্যান্ডলুম ও পাওয়ার লুমের শব্দে মুখর হয়ে থাকত দিনরাত। আজ আর সেই দিন নেই। এখন সেখানে নীরবতা। কালের পরিক্রমায়, কর্তাব্যক্তিদের অদূরদর্শিতা আর গাফিলতির কারণে আজ তার চাহিদা নেমেছে শূন্যের কোঠায়। যে রেশমশিল্পকে কেন্দ্র করে রাজশাহী অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে, তারা আজ বেকার হয়ে কিংবা অন্য কোনো পেশায় সম্পৃক্ত হয়েছেন। তারপরও অল্পসংখ্যক মানুষ যুক্ত আছেন এই শিল্পের সঙ্গে। রেশমের ঐতিহ্য ধরে রাখতে তারা কাজ করে যাচ্ছেন নিরন্তর। কিছু কারখানায় সুতা আসছে ভারত ও চীন থেকে। মাঝে মাঝে দূর থেকে দু-একটি কারখানায় মেশিন চলার শব্দ শোনা যায়। সেখানে কাজ করেন হাতে গোনা কিছু বয়নশিল্পী। তারা মেধা ও শ্রম দিয়ে বুনে যাচ্ছেন রেশম বস্ত্র।
কভার ছবির ক্যাপশন : কালো তুঁত ফল