‘ওরে গৃহবাসী খোল দ্বার খোল’ গানটির মাধ্যমে বসন্ত উৎসবে মাতল খানাকুলের সংস্কৃতি মনস্কদের নিয়ে হেলান লায়ন্স ক্লাব। রবিবার খানাকুলের সংস্কৃতিপ্রেমী অসংখ্য মানুষ হৃদয়কে এক করার ঋতু, দূরত্ব দূর করার ঋতু, রঙে ডুবে যাওয়ার ঋতুকে আবির রঙে বরণ করলেন। সেই সঙ্গে ভালোবাসার রঙে রাঙিয়ে দাও সারা পৃথিবী — এরই বার্তা পৌঁছে দিলেন হেলান লায়ন্স ক্লাব।
প্রসঙ্গত, হেলান লায়ন্স ক্লাবের উদ্যোগে তিলকচকের হিমঘর প্রাঙ্গন থেকে ‘ওরে গৃহবাসী খোল দ্বার খোল’ গানটির মাধ্যমে বসন্ত উৎসবের সূচনা। বসন্তে আবির রঙে রাঙিয়ে দিতে এলাকার সাংস্কৃতিক মনোভাবাপন্ন কথা, তালিম, শিঞ্জিনী ডান্স একাডেমি-সহ বেশ কিছু সংগঠন অংশ নেয়। শোভাযাত্রায় কলাকুশলীরা নৃত্য ও গানের মাধ্যমে বাতাসে রঙ ছড়িয়ে উপস্থিত হন হেলানের লাইব্রেরি মঞ্চে। এখানে গান, নৃত্য ও কবিতার মধ্য দিয়ে বসন্ত উৎসব ছিল জমজমাট।
হেলান লায়ন্স ক্লাবের পক্ষ থেকে প্রাক্তন সভাপতি শান্তনু পুরকাইত জানান, করোনার বছর ছাড়া প্রত্যেক বছর চলে আসছে এই বসন্ত উৎসব। এলাকার মানুষ খুশি। অসংখ্য সংস্কৃতি মনোজ্ঞ মানুষ এগিয়ে এসেছেন। ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি দেবাশিস শেঠ বলেন, বসন্ত উৎসব হল ফাগুন হাওয়ায় প্রিয়জনের মন রাঙিয়ে দেওয়ার দিন। রঙের এই উৎসব এনে দেয় মনের আনন্দ, রঙিন মুহূর্ত, মধুর স্মৃতি ও ইতিবাচক শক্তির ইঙ্গিত।
হেলান লায়ন্স ক্লাব প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দোলের আগে বসন্ত উৎসবে সামিল হয়েছে। রাজহাটি উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক নবেন্দু সামন্ত জানান, শান্তিনিকেতন থেকে সকলের জন্য এই বসন্ত উৎসব হারিয়ে যাচ্ছে, সেখানে আরামবাগ, রাজহাটি ও হেলানে সেই উৎসব উজ্জীবিত হচ্ছে। এটা সংস্কৃতি মনস্কদের কাছে আশার আলো। এছাড়া এদিন উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিপ্রেমী অমিয় আদক, সঞ্জয় ঘোষাল ও সুজিত ঘোষ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, এদিন সমগ্ৰ এই উৎসবে আনন্দে সামিল ও সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন ক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি গৌতম রায়, তনুশ্রী শেঠ, মনোজ নন্দী, দিলীপ শেঠ ও মানস রায়। এছাড়া এই মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানে বসন্তের গান গেয়ে নজর কাড়েন অভিজিৎ নিয়োগী ও সুজিত মান্না। সেই সঙ্গে কলাকুশলীদের নৃত্য, গান ও কবিতা ছিল উল্লেক্ষণীয়।