৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ (রবিবার) কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতিধন্য কৃষ্ণনগরের গ্রেস কটেজে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। কৃষ্ণনগরের গ্রেস কটেজ পশ্চিমবঙ্গ সরকার স্বীকৃত একটি হেরিটেজ ভবন হিসেবে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর সৃষ্টিশীল জীবনের প্রায় আড়াই বছর (১৯২৬ থেকে ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দ) এই বাড়িটিতেই সপরিবার ছিলেন। এখানেই তিনি বাংলা গজল গানের সৃষ্টি করেছিলেন— যা বাংলা সাহিত্য ও সংগীত জগতের ইতিহাসে এক অনন্য নজির। নদিয়ার সদর শহর কৃষ্ণনগরের সঙ্গে কাজী নজরুলের আরও অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে।
২০২২ সাল থেকে কৃষ্ণনগর গ্রেস কটেজ কর্তৃপক্ষ অর্থাৎ ‘সুজন পাঠাগার ও নজরুল গবেষণা কেন্দ্র’ একজন নজরুল গবেষককে নির্বাচিত করে ‘গ্রেস কটেজ নজরুল সম্মান’ প্রদান শুরু করেছে। প্রথম বছর ‘গ্রেস কটেজ নজরুল সম্মান ২০২২’-এর জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন বাংলার স্বনামধন্য নজরুল গবেষক ড. বাঁধন সেনগুপ্ত। ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, (রবিবার) বাঁধন সেনগুপ্তের হাতে সেই সম্মান তুলে দেওয়া হয়েছিল। বাঁধন সেনগুপ্ত একজন নজরুল গবেষক হিসেবে সমগ্র বাংলায় বিশেষভাবে পরিচিত। তিনি নজরুলকে নিয়ে বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন। এর স্বীকৃতি স্বরূপ একাধিক পুরস্কারেও তিনি ভূষিত হয়েছেন। প্রবীণ নজরুল গবেষক বাঁধন সেনগুপ্ত ২০২২ সালে ‘গ্রেস কটেজ নজরুল সম্মান’ গ্রহণ করতে সশরীরে হাজির হয়েছিলেন নজরুল স্মৃতিধন্য কৃষ্ণনগরের এই গ্রেস কটেজে। নজরুল সম্মান অর্জনের পর তিনি নজরুলের বসত ঘরে উপস্থিত দর্শক-শ্রোতা মণ্ডলীর সম্মুখে তাঁর সুদীর্ঘ বক্তব্য পরিবেশন করেন। প্রথম ‘গ্রেস কটেজ নজরুল সম্মান’ প্রাপক হিসেবে তাঁর কথা আজকে বিশেষভাবে স্মরণ করতেই হয়।
এবছর ‘গ্রেস কটেজ নজরুল সম্মান ২০২৩’-এ ভূষিত হলেন বাংলাদেশের নজরুল গবেষক সাহিত্যিক আমিনুল ইসলাম। ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ (রবিবার) ‘সুজন পাঠাগার ও নজরুল গবেষণা কেন্দ্র’-র পক্ষ থেকে তাঁকে এই নজরুল সম্মান প্রদান করা হয়। সম্মান-প্রাপককে বিশেষ উত্তরীয় পরিয়ে সুজন বাসরের সভাপতি দীপঙ্কর দাস প্রথমে সম্বর্ধনা জানান। এরপর তাঁর হাতে বিশেষ স্মারক সম্মানটি তুলে দেওয়া হয়। নদিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি তারান্নুম সুলতানা মীর ও নদিয়া ডিস্ট্রিক্ট সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান শিবনাথ চৌধুরী আমিনুল ইসলামের হাতে এই সম্মান-স্মারকটি তুলে দেন। উল্লেখ্য, কাজী নজরুল ইসলামের প্রতিকৃতি সম্বলিত কাঠের ফ্রেমে ফাইবার গ্লাসের তৈরি এই বিশেষ স্মারক-সম্মানটি ঘূর্ণির তরুণ শিল্পী বাপী দাসের শিল্পকর্ম। আমিনুল ইসলামকে প্রদেয় মানপত্রটি এদিন পাঠ করেন গ্রেস কটেজের অন্যতম সদস্য অমৃতাভ দে। সভাকক্ষে উপস্থিত সকলকে সেই মানপত্রের প্রতিলিপি প্রদান করা হয়। মানপত্রটি যৌথভাবে তাঁর হাতে তুলে দেন শিবনাথ চৌধুরী ও তারান্নুম সুলতানা মীর। আর মানপত্রের একটি কপি রোল করে সুদৃশ চারকোনা বাক্সে নজরুল সম্মান-প্রাপকের হাতে এদিন তুলে দেওয়া হয়। গ্রেস কটেজের পক্ষ থেকে শহরের বিশিষ্ট অধ্যাপক সাহাজাহান আলি এই কর্মটি সম্পাদন করেন। এরপর বিশিষ্ট নজরুল সঙ্গীত শিল্পী চঞ্চল ঘোষ নজরুল সম্মাননার প্রতীকী অর্থসম্বলিত খামটি আমিনুল ইসলামের হাতে তুলে দেন। কৃষ্ণনগরের বিখ্যাত মিষ্টি সরপুরিয়াও এদিন সম্মান-প্রাপকের হাতে তুলে দেওয়া হয়। গ্রেস কটেজের অন্যতম সুজন সৌমেন দত্ত ও কমল মণ্ডলের হাত দিয়ে এই কর্মটি সুসম্পন্ন হয়।
গ্রেস কটেজের প্রথা মেনে নজরুলের আবক্ষ মূর্তি ও নজরুল প্রতিকৃতিতে মাল্য অর্পণ করে এদিনের অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। মাল্য অর্পণ করেন তারান্নুম সুলতানা মীর, আমিনুল ইসলাম, শিবনাথ চৌধুরী এবং সুজন বাসরের সভাপতি দীপঙ্কর দাস। এরপর উদ্বোধন সংগীত হিসেবে সমবেত কন্ঠে ‘দুর্গম গিরি কান্তার মরু’ গাওয়া হয়, যাতে অংশগ্রহণ করেন শঙ্খশুভ্র সরকার, দীপঙ্কর দাস, ইনাস উদ্দীন, সুকৃতি ঘোষ এবং চঞ্চল ঘোষ। গ্রেস কটেজের পক্ষ থেকে আমন্ত্রিত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও নজরুল সম্মান-প্রাপক আমিনুল ইসলামকে বরণ করে নেন গৌরী সাহা ও সুকৃতি ঘোষ।
গ্রেস কটেজের পক্ষ থেকে এদিন স্বাগত ভাষণ রাখেন দীপাঞ্জন দে। ‘গ্রেস কটেজ নজরুল সম্মান’ প্রদান সম্পর্কিত কিছু কথা এবং সুজন পরিবারের কথা তাঁর বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে উঠে আসে। স্বাগত ভাষণে গ্রেস কটেজের শুভানুধ্যায়ী সকলকে ধন্যবাদ জানানো হয়। নজরুল সম্মান-প্রাপক আমিনুল ইসলামের প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আরও কয়েকজনের কথা এদিন উল্লেখ করা হয়। বিশেষ কারণে যাঁরা এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন নি, যেমন— কাজী নজরুল ইসলামের সমগ্র রচনার ইংরেজি অনুবাদকর্মে নিয়োজিত আসানসোল নিবাসী প্রধান শিক্ষক গিয়াসউদ্দিন দালাল, গ্রেস কটেজ সংস্কারকার্যে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত নদিয়া জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক শ্রীনিবাস ভেঙ্কটরাও পাতিল, কৃষ্ণনগর পৌরসভার পৌরপ্রধান রীতা দাস প্রমুখ ব্যক্তিবর্গের নাম উল্লেখ করা হয় এবং তাদেরকে আগামীদিনেও এভাবেই পাশে থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়। এর পাশাপাশি স্বাগত ভাষণে গ্রেস কটেজের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, সুজন-বাসরের বাৎসরিক কর্মকাণ্ড, কৃষ্ণনগরের অন্যান্য হেরিটেজ ভবনের বর্তমান অবস্থা, সুজন প্রকাশন এবং আগামী দিনে ‘সুজন পাঠাগার ও নজরুল গবেষণা কেন্দ্র’-র কিছু পরিকল্পনার কথা তুলে ধরা হয়।
এদিন বক্তব্য রাখার সময় সভাধিপতি মহাশয়া গ্রেস কটেজ রক্ষবাবেক্ষণ, নজরুল সম্মান প্রদান অনুষ্ঠান প্রভৃতি কর্মকাণ্ডের জন্য সুজন বাসর কর্তৃপক্ষকে বিশেষভাবে অভিনন্দন জানান। আগামীদিনে এই ধরণের উদ্যোগে নদিয়া জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে পাশে থাকার ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতার বার্তাও দেন তিনি। এদিনের অনুষ্ঠানে বিশেষ আমন্ত্রিত শিবনাথ চৌধুরী তাঁর বক্তব্য রাখার সময় রবীন্দ্র-স্মৃতি বিজড়িত কৃষ্ণনগরের আরেকটি ঐতিহাসিক ভবন সাহিত্যিক প্রমথ চৌধুরীদের বসতবাড়ি রানিকুঠি সম্পর্কে সচেতনতার বার্তা দেন।
এদিনের অনুষ্ঠানে গ্রেস কটেজে বহু বিশিষ্টজনের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। গল্পকার আনসারউদ্দিন, প্রাবন্ধিক দেবনারায়ণ মোদক, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, অধ্যক্ষ সুহাস রায়, ডিএল রায় কলেজের অধ্যক্ষ সাহাজাহান আলি, পৌরপ্রতিনিধি স্থানীয় কাউন্সিলর আবুল হোসেন, কৃষ্ণনগর একাডেমি স্কুলের প্রধান পরিচালক সুব্রত চ্যাটার্জী, বাংলাদেশ থেকে আগত ফটোগ্রাফার জান্নাতুল মাওয়া, মুর্শিদাবাদের লালগোলা থেকে আগত নজরুলপ্রেমী জহিরুল হক, চুরুলিয়া পুরস্কার প্রাপ্ত নজরুল সংগীতশিল্পী শাহাবুদ্দিন বেতার, নদিয়া জেলা পরিষদের সচিব সৌমেন দত্ত প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এদিন উপস্থিত ছিলেন। সুজন-বাসরের পক্ষ থেকে সকল গুণীজনকে পুষ্পস্তবক এবং সুজন প্রকাশন থেকে সম্প্রতি প্রকাশিত ‘কাজী নজরুল গ্রেস কটেজ ও সুজন-বাসর’ শীর্ষক পুস্তিকা দিয়ে সম্মান জানানো হয়। সুজন পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁদের সম্মান জানান দেবাশিষ মণ্ডল, তপনকুমার ভট্টাচার্য, সঞ্জীব রাহা, সম্পদনারায়ণ ধর, অলোক সান্যাল, মমতা বিশ্বাস এবং দীপাঞ্জন দে।
এদিন আমিনুল ইসলামের হাতে দেবনারায়ণ মোদক, আনসারউদ্দিন, তপনকুমার ভট্টাচার্য, আবুল হোসেন প্রমুখরা তাঁদের প্রকাশিত গ্রন্থ আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেন। ‘কবি হেমচন্দ্র বাগচী স্মৃতি রক্ষা সমিতি’-র পক্ষ থেকে দীপাঞ্জন দে ‘কবি হেমচন্দ্র বাগচী স্মারক গ্রন্থ’টি তাঁর হাতে তুলে দেন। অমৃতাভ দে, সারিকুল ইসলাম, জহিরুল হক প্রমুখরা তাঁদের সম্পাদিত পত্রিকার সংখ্যা আমিনুল ইসলামের হাতে তুলে দেন। উল্লেখ্য, আমিনুল ইসলাম সুজন পাঠাগারের জন্য তাঁর গবেষণা ‘নজরুল সংগীতে বাণীর বৈভব’-সহ আরও কয়েকটি গ্রন্থও এদিন সভাপতি দীপঙ্কর দাস ও সম্পাদক ইনাস উদ্দীনের হাতে তুলে দেন। উল্লেখ্য, আমিনুল ইসলাম বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসনিক পদে দীর্ঘদিন দায়িত্বভার সামলিয়েও নিরলসভাবে তাঁর সাহিত্যচর্চা চালিয়ে গিয়েছেন। তিনি প্রায় ৩৫ বছর প্রশাসনিক উচ্চপদে আসীন ছিলেন। এর মধ্যে দিয়েই তিনি নজরুলচর্চা করে গিয়েছেন। নজরুল সংগীত বিষয়ক তাঁর গবেষণা গ্রন্থ ‘নজরুল সংগীতে বাণীর বৈভব’, যার জন্য তিনি ‘IFIC Bank Literary Award 2021’-এ ভূষিত হন। ইতিপূর্বে তিনি ‘নজরুল শিল্পী পরিষদ সম্মাননা-২০১৩’ এবং ‘কবি নজরুল স্মৃতি পুরস্কার ২০১৮’ (পশ্চিমবঙ্গের বারাসাত) দ্বারা সম্মানিত হয়েছেন। কবি হিসেবে তিনি বাংলায় সুপরিচিত। তাঁর কাব্য প্রতিভার জন্যও একাধিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি। এর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখ্য— ‘বগুড়া লেখক চক্র পুরস্কার ২০১০’, ‘এবং মানুষ পুরুস্কার ২০১৭’, ‘দাগ সাহিত্য পুরস্কার ২০১৮’, ‘কবিকুঞ্জ পদক ২০২১’, ‘পূর্ব পশ্চিম সাহিত্য পুরস্কার ২০২১’, ‘বিন্দু বিসর্গ পদক ২০২৩’ প্রভৃতি।
গ্রেস কটেজ কর্তৃপক্ষ আমিনুল ইসলামের মতো নজরুল গবেষকের হাতে তাদের এই বিশেষ নজরুল সন্মান তুলে দিতে পেরে খুবই আনন্দিত। নজরুল সম্মান প্রাপক আমিনুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে গ্রেস কটেজ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান এবং নজরুল বিষয়ক কিছু প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। আমিনুল ইসলাম তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে সম্প্রীতি ও উদারতার বার্তা ছড়িয়ে দেন। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে এক জাতীয়তাবাদের কথা বলেন। তিনি খুব সহজ ও সাধারণভাবে এদিন বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে গভীর আলোচনা করেন। বাংলা সাহিত্যচর্চার নিরিখে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলামের মতো নক্ষত্রদের বিশ্বমানবতার প্রতীক হিসেবে এবং বাঙালি জাতিসত্ত্বার প্রতীক হিসেবে দেখার কথা বলেন। সুজন বাসরের এই আন্তরিক প্রয়াস এবং ঘরোয়া আয়োজনের বিষয়টি আমিনুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।
‘গ্রেস কটেজ নজরুল সম্মান ২০২৩’ বিষয়ে আরও দু-একটি কথা বলতেই হয়। এদিন অনুষ্ঠান কক্ষের বাইরে একটি পুস্তক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল। সেটির দায়িত্বে ছিলেন অন্যতম সুজন মমতা বিশ্বাস। সেখানে সুজন প্রকাশনের সদ্য প্রকাশিত পুস্তিকা, আমিনুল ইসলামের গ্রন্থ এবং নজরুল বিষয়ক বেশ কয়েকটি গ্রন্থ প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সুজন বাসরের সহ-সম্পাদক রতনকুমার নাথ এদিন সশরীরে উপস্থিত না থাকলেও, অনুষ্ঠান আয়োজনে তাঁর বিশেষ ভূমিকার কথা স্মরণ করতেই হয়। এদিনের সমগ্র অনুষ্ঠান সুচারুভাবে পরিচালনা করেন সুজন বাসরের সম্পাদক ইনাস উদ্দীন। সভাপতি দীপঙ্কর দাস ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মধ্যে দিয়ে এদিনের অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। তবে সভা শেষে গ্রেস কটেজ সভাকক্ষে ও বাইরের প্রাঙ্গণে গ্রুপ ছবি তোলা ও কুশল বিনিময়ের মধ্যে দিয়ে এই সমগ্র কর্মযজ্ঞের সমাপন হয়।
লেখক: আঞ্চলিক ইতিহাস লেখক, নদিয়া।
বিস্তারিত ও তথ্যসমৃদ্ধ প্রতিবেদন। সুচিন্তিত। সুলিখিত ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার সান্নিধ্য পেয়ে এবং আপনাকে সম্মানিত করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত।
দীপাঞ্জনকে অনেক ধন্যবাদ। ভারি সুন্দর এবং প্রাঞ্জল প্রতিবেদন। আপাতদীর্ঘ, কিন্তু কোথাও বাড়তি বিবরণ নেই। পাঠকের চোখে আশা করি সম্পূর্ণ অনুষ্ঠান চলমান হয়ে ভেসে উঠবে।
ইনাস উদ্দীন
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
সকল সুজনের ভালোবাসা ও সহযোগিতায় সেদিনের অনুষ্ঠান খুব ভালো ভাবে সম্পন্ন হয়।