পৌঁছানোর কথা ছিল সাড়ে চারটায় কিন্তু জনপ্লাবনের ঢেউ কাটিয়ে এসে উপস্থিত হলেন প্রায় সাতটায়। প্রখর রোদ মাথায় নিয়ে চারটে থেকে অপেক্ষা করছে অগণিত জনতা অথচ কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা নেই, অসন্তোষ নেই, ধৈর্যচ্যুতির চিহ্নমাত্র নাই। শুধু যুবরাজের নামে মুহূর্ত জয়ধ্বনিতে মুখরিত হচ্ছে আকাশ বাতাস।
আরামবাগ মহকুমায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক তথা সংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনজোয়ার কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৬ ও ৭ জুন। ছয় তারিখে তারকেশ্বর মন্দিরের পূজো দিয়ে পুরশুড়া হয়ে খানাকুলের রাধানগর রামমোহনের জন্মভিটায় এসে উপস্থিত হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগে থেকেই কথা ছিল এখানে ইতিহাস বিশেষজ্ঞ দেবাশিস শেঠ ও রাজা রামমোহন রায়ের পরিবারের কোন বর্ষিয়ান সদস্যর সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং আলোচনা করবেন।
সেইমতো দেবাশিস বাবুর সঙ্গে রায় পরিবারের বর্তমান প্রজন্মের সদস্য তথা বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী শান্তিমোহন রায়ের পুত্র চন্দন রায় ও রামমোহনের দৌহিত্র বংশের বর্তমান প্রজন্মের নিত্যব্রত মুখোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। রামমোহনের জীবন দর্শন ও তার ভাবনা, এই এলাকার উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। এখানকার বন্যা পীড়িত কিছু মানুষের সঙ্গেও তিনি কথা বলেন।
আলোচনায় উঠে আসে রামমোহনের বসতবাড়ি রঘুনাথপুরের উন্নয়ন, রাধানগর রামমোহন কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে উন্নীত করা, খানাকুলের বন্যা সমস্যার বিভিন্ন দিক ইত্যাদি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই সমস্ত বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন এবং আন্তরিক চেষ্টা করবেন বলে কথা দিয়েছেন।
এরপর তিনি কামারপুকুরে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন পরিদর্শন করেন। এদিন তার রাত্রিবাসের ব্যবস্থা হয়েছিল আরামবাগের কালিপুর এলাকায়। সেখানে উচ্চ পর্যায়ের দলীয় নেতাদের নিয়ে আলাপ আলোচনা হয়। এদিন আগামী নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী ঠিক করার জন্য ভোট হয়। এই প্রক্রিয়ায় অভিভূত দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত। সবশেষে ৭ জুন বিকেলে আরামবাগের ভালিয়া এলাকায় সাধারণ জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। এখানে তিনি জনতার উদ্দেশ্যে তার বক্তব্য রাখবেন। এক কথায় জনজোয়ারের এই কর্মসূচিতে টগবগ করে ফুটছে আরামবাগ মহকুমা।