বৃহস্পতিবার | ৬ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১২:৩৮
Logo
এই মুহূর্তে ::
বাংলার নবজাগরণের কুশীলব (দ্বিতীয় পর্ব) : দিলীপ মজুমদার বাজেটে সাধারণের জীবনমানের উন্নয়নের একটি কথাও নেই : তপন মল্লিক চৌধুরী শঙ্খ ঘোষ-এর ‘এখন সব অলীক’ নস্টালজিক অনুভূতি দিয়ে ঘেরা মায়াময় এক জগৎ : অমৃতাভ দে বাংলার নবজাগরণের কুশীলব (প্রথম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার কালো গোঁসাইয়ের চিঠি — চিঠিকেন্দ্রীক স্মৃতির পুনর্জীবন : মোঃ তুষার উদ্দিন নব নব রূপে : নন্দিনী অধিকারী সরস্বতীর বীণা কচ্ছপী ও গজকচ্ছপ বাঙালি বুদ্ধিজীবী : অসিত দাস মহাকুম্ভ উপলক্ষে এবার যে জনপ্লাবন দেখা যাচ্ছে, তা এককথায় অভূতপূর্ব : অসিত দাস মৈত্রেয়ী ব্যানার্জি-র ছোটগল্প ‘আখের রস’ নন্দিনী অধিকারী-র ছোটগল্প ‘সরস্বতী দিদিমণি’ মহাকুম্ভ থেকে মহাদুর্ঘটনা দায় কার : তপন মল্লিক চৌধুরী কুমোরপাড়ার মৃৎশিল্পীরা খুঁজছে মাটির নিরাপত্তা : রিঙ্কি সামন্ত জিবিএস নিয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই, মত চিকিৎসকদের : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় বিন্যাসকে ভিন্নমাত্রায় নিয়ে গেছেন গল্পকার অনিশ্চয় চক্রবর্তী : পুরুষোত্তম সিংহ বিমল কর-এর ছোটগল্প ‘খিল’ মৌনী অমাবস্যায় তৃতীয় শাহি স্নান : রিঙ্কি সামন্ত ঢেঁকি নেই, নেই ঢেঁকিশাল, গ্রামের মানুষের কাছে আজ ইতিহাস : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় টাকা মাটি, মাটি টাকা : দিলীপ মজুমদার মির্জা নাথানের চোখে বাংলার ভুঁইয়াদের হাতি : মাহবুব আলম ভিয়েতনামের গল্প (অষ্টম পর্ব) : বিজয়া দেব ‘জাওয়ানি জানেমান হাসিনা দিলরুবা’র একাকিত্বের কাহিনী (শেষ পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত “কপোতাক্ষ নদ”-এর কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত : আসমা অন্বেষা কৃষ্ণনগরে সর্বধর্ম ভ্রাতৃত্ব সমাবেশ : ড. দীপাঞ্জন দে চোখের ক্যানসার থেকে সাবধান! দিন দিন বাড়ছে, আগাম সতর্কতা জরুরি : ডা. তনুশ্রী চক্রবর্তী রাখাইন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন বিদ্বজ্জনসমাজ ও জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির কবিয়ালের প্রেত : অসিত দাস ষষ্ঠীলা একাদশী বা ষটতিলা একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত একদা বিরুদ্ধরাই আজ নেতাজির স্তুতিগানে সরব : সন্দীপন বিশ্বাস জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির পদবি ঠাকুর থেকে Tagore হওয়ার নেপথ্যকাহিনী : অসিত দাস সুভাষের সুবাসে এখনও ম ম করছে ডালহৌসি শহরের বাতাস — এ এক তীর্থক্ষেত্র : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ বসন্ত পঞ্চমী ও সরস্বতী পুজোর  আন্তরিক শুভেচ্ছা শুভনন্দন।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

রাজগীরের আকর্ষণ ঘোড়াকটোরা এবং গ্লাস ব্রিজ : রিঙ্কি সামন্ত

রিঙ্কি সামন্ত / ৫০৭ জন পড়েছেন
আপডেট শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২২

বিহারের পর্যটন কেন্দ্র বলতে প্রথমেই যে নামটি মনে আসে তাহলো রাজগীর। রাজগীরের পূর্বের নাম ছিল রাজগৃহ। রামায়ণেও এর উল্লেখ আছে। জরাসন্ধের রাজধানী ছিল এই রাজগৃহ। মহাবীর তার প্রথম ধর্মসভা করেন এই রাজগৃহেই। বুদ্ধের আগমনে মৌর্য সাম্রাট বিম্বিসার তাঁর কাছ থেকে দীক্ষা নেন।

বৈভার, বিপুল, রত্নগিরি, উদয়গিরি আর শোনগিরি — এই পাঁচপাহাড়ির দেশ, সম্রাট অজাতশত্রুর রাজধানী, ভগবান বুদ্ধ এবং ভগবান মহাবীরের স্মৃতিধন্য এই রাজগীর। আর রাজগীরের স্থানীয় স্পটগুলি বলতেই সকলে বোঝেন বিশ্বশান্তি স্তূপ, বেনুবন , উষ্ণপ্রসবন ইত্যাদি। একটু দূরে গেলেই নালন্দা বা পাওয়াপুরী, ককোলা ফলস। অথচ রাজগীরের পর্যটন মানচিত্রে বেশ অজানা এক ছবির মত সুন্দর স্পট আছে — যার নাম ঘোড়াকাটোরা।

চারিদিকে পাহাড় মাঝখানে বয়ে চলেছে ছোট্ট এক নদী। কথিত আছে এটি ছিল নাকি মহাভারতে বর্ণিত জরাসন্ধের রাজ্যের দক্ষিণদ্বার। এখানেই নাকি ছিল তার ঘোড়াশালা। ঘোরাকাটোরা (Aimee Maganda) যার অর্থ “ঘোড়ার বাটি”, এটি রাজগীর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। চার মাইল দীর্ঘ একটি বনের রাস্তা রাজগীরকে ঘোড়াকাটোরার সঙ্গে যুক্ত করে রেখেছে।

২০০৯ সালে বিহারের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ইকো-ট্যুরিজমের জন্য এলাকাটিকে জনপ্রিয় করার প্রয়াস হিসাবে প্রথমবার পরিদর্শন করেছিলেন। ২৯ শে জানুয়ারি ২০১১ হ্রদটি সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছিল। ২০১৮ নভেম্বরে একটি ৭০ ফুট উঁচু পদ্মাসীন ধ্যানস্থ বুদ্ধ মূর্তি উদ্বোধন করা হয়েছে। মূর্তিটি ৪৫,০০০ ঘনফুট গোলাপী বেলেপাথর দিয়ে তৈরি। হ্রদে প্যাডেল বোটিং, একটি ক্যাফেটেরিয়া এবং অতিথি কক্ষের সুবিধা রয়েছে। এটি রাজগীরের সবচেয়ে পরিষ্কার দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে একটি। বোটিং মাথাপিছু ৪০ টাকা, দুজনের ৮০ টাকা।

উজ্জ্বল এবং শান্তিপূর্ণ ও পরিচ্ছন্ন হ্রদটিতে সাইবেরিয়া এবং মধ্য এশিয়া থেকে আসা সাইবেরিয়ান ক্রেন, বার-হেডেড হংস (Bar-Headed Goose), এবং ডালমেটিয়ান পেলিকান (Dalmatian Pelican)-সহ অনেক পরিযায়ী পাখির আবাসস্থল। দ্য ইন্ডিয়ান রোলার, ব্ল্যাক ড্রংগো, হর্সফিল্ডের বুশ চ্যাট, ব্রিস্টেড গ্রাসবার্ড (Bristled Grassbird) এবং ব্ল্যাক ফ্রাঙ্কোলিন এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি প্রজাতির পাখি সাধারণত ঘোরাকটোরা হ্রদ চত্বরে পাওয়া যায়। পাখিপ্রেমীরা প্রায়শই পরিযায়ী পাখিদের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত সাইবেরিয়ান ক্রেনের (Siberian Cranes) ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে যাওয়া এক ঝলক দেখতে এই জায়গায় আসেন। বিশ্বশান্তি স্তূপের কাছে একটি শান্ত জায়গায় সেট করা, এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটক আকর্ষণ কেন্দ্র যা পরিবারের জন্য একটি আদর্শ পিকনিক স্পট হয়ে উঠেছে। যেখানে বাচ্চারা বোটিং উপভোগ করতে পারে অথবা পরিবার ও বন্ধুদের সাথে কিছু শান্ত সময় কাটাতে ঘুড়ে আসুন ঘোড়াকটোরা। গৃধ্রকূট পর্বতের পূর্ব দিকে শোনগিরি এবং গৃধ্রকূটের সংযোগস্থলে অবস্থিত ঘোড়াকটোরা।

বিশ্বশান্তিস্তূপ থেকে প্রায় দু-আড়াই কিলোমিটার গাছ-গাছালি ছায়ায় ঢাকা মোরামের পথ বেয়ে আপনি পৌঁছে যেতে পারেন ঘোড়াকটোরায়।

পরিবেশ-সংবেদনশীল এলাকা হওয়ায়, এটি বিহার পর্যটন দ্বারা এক ধরনের ইকো-ট্যুরিজম স্পট হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যেমন এখানে পেট্রোল/ডিজেল যানবাহন চলাচল কঠোরভাবে নিষিদ্ধ এবং শুধুমাত্র ঘোড়ার গাড়ি বা টাঙ্গার অনুমতি দেওয়া হয়েছিলো। সম্প্রতি ই-রিকশা চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এটিকে পলিথিন-মুক্ত অঞ্চল হিসেবেও ঘোষণা করা হয়েছে।

ছোট নদীর ওপর একটি বাঁধ আছে পাথরের বোল্ডার দিয়ে নদীকুল বেঁধে রাখা আছে নদীর অপরদিকে পাহাড়ের গায়ে গভীর গুহা। কথিত আছে এই গুহায় নাকি রাজা জরাসন্ধ নৃপতি বিম্বিসারের সৈন্যরা লুকিয়ে থেকে। পাহারা দিত গুহার ভিতরে রয়েছে গভীর সুরঙ্গ পথ। তবে প্রবেশ করা বেশ কষ্টসাধ্য। অজানা এই পথে প্রবেশের ঝুঁকি নেওয়াটা উচিত নয়। কে বলতে পারে। কোথাও লুকিয়ে আছে বিপদের ফাঁদ।

শীতের শুরুতেই নেচার অ্যাডভেঞ্চার অনুভব করতে গেলে আপনাকে যেতে হবে রাজগীরের নব সংযোজন রাজগীর গ্লাস ব্রিজ। বিহারের পর্যটনকে চাঙ্গা করে তোলার জন্য এই ব্রিজের উদ্বোধন করা হয়েছে। চিনের ঝিয়ানঝাউ ( Hangzhou Glass Bridge) ব্রিজের অনুকরণে নির্মিত ব্রিজটি ৮৫ ফুট লম্বা, ৬ ফুট চওড়া এবং ২৫০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। ব্রিজের আশেপাশে সাফারি পার্ক, আয়ুর্বেদ পার্ক গড়ে তোলার কাজও শুরু হয়েছে।

ইতিহাসে সমৃদ্ধ নালন্দা জেলা ও নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষায় অবদানের জন্য প্রাচীন কাল থেকেই বিখ্যাত ছিল। এখন পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে। এই রাজ্য এই কাঁচের সেতুর সাথে একটি জঙ্গল সাফারিও তৈরি করছে যাতে পর্যটনের কারণে এই জায়গাটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা যায়।

রাজগীর গ্লাস ব্রিজ দেখতে আসা সমস্ত মানুষ এই কাঁচের সেতুতে প্রায় ১০ থেকে ২০ মিনিট সময় ব্যয় করতে পারেন। নিরাপত্তার কারণে মাত্র ১০ থেকে ১২ জনকে কাঁচের সেতুর শেষ প্রান্তে যেতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। চাইলে আপনি অনলাইনে টিকিট বুকিং করতে পারেন।

রাজগীর কাঁচের সেতু ক্যাম্পাসে আরও অনেক কিছু পাওয়া যায়। জিপলাইন ফ্লাইং ফক্স, জিপ স্কাই বুকিং, ওয়াল শুটিং, ওয়াল ক্লাইম্বিং, বাঁশের ঘর, কাঠের ঘর ইত্যাদির মতো আরও অনেক খেলা রয়েছে। কেউ যদি এই বাঁশ বা কাঠের ঘরের ভিতরে কিছু দিন কাটাতে চান তবে তারা অবশ্যই এখানে থাকতে পারেন। প্রকৃতি উদ্যানের ভিতরে একটি প্রজাপতি পার্কও রয়েছে। গ্লাস ব্রিজ-র সামনে থেকে রোপওয়ে চালু হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

5 responses to “রাজগীরের আকর্ষণ ঘোড়াকটোরা এবং গ্লাস ব্রিজ : রিঙ্কি সামন্ত”

  1. শুভাশিস ঘোষ says:

    খুব ভালো লাগল। তথ্য সমৃদ্ধ লেখা।

  2. p k biswas says:

    রাজগীরের আকর্ষণ* অত্যন্ত আকর্ষক,ইতিহাসের
    পাতার বাইরে এসে ভ্রমন প্রিয় মানুষদের আকৃষ্ট
    করবে।চমৎকার ইতিবৃত্তে মুগ্ধতা ভালোলাগা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন