শনিবার | ৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১:৩৩
Logo
এই মুহূর্তে ::
বাংলার নবজাগরণের কুশীলব (তৃতীয় পর্ব) : দিলীপ মজুমদার সর্বপাপবিনাশীনি জয়া একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত বাংলার নবজাগরণের কুশীলব (দ্বিতীয় পর্ব) : দিলীপ মজুমদার বাজেটে সাধারণের জীবনমানের উন্নয়নের একটি কথাও নেই : তপন মল্লিক চৌধুরী শঙ্খ ঘোষ-এর ‘এখন সব অলীক’ নস্টালজিক অনুভূতি দিয়ে ঘেরা মায়াময় এক জগৎ : অমৃতাভ দে বাংলার নবজাগরণের কুশীলব (প্রথম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার কালো গোঁসাইয়ের চিঠি — চিঠিকেন্দ্রীক স্মৃতির পুনর্জীবন : মোঃ তুষার উদ্দিন নব নব রূপে : নন্দিনী অধিকারী সরস্বতীর বীণা কচ্ছপী ও গজকচ্ছপ বাঙালি বুদ্ধিজীবী : অসিত দাস মহাকুম্ভ উপলক্ষে এবার যে জনপ্লাবন দেখা যাচ্ছে, তা এককথায় অভূতপূর্ব : অসিত দাস মৈত্রেয়ী ব্যানার্জি-র ছোটগল্প ‘আখের রস’ নন্দিনী অধিকারী-র ছোটগল্প ‘সরস্বতী দিদিমণি’ মহাকুম্ভ থেকে মহাদুর্ঘটনা দায় কার : তপন মল্লিক চৌধুরী কুমোরপাড়ার মৃৎশিল্পীরা খুঁজছে মাটির নিরাপত্তা : রিঙ্কি সামন্ত জিবিএস নিয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই, মত চিকিৎসকদের : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় বিন্যাসকে ভিন্নমাত্রায় নিয়ে গেছেন গল্পকার অনিশ্চয় চক্রবর্তী : পুরুষোত্তম সিংহ বিমল কর-এর ছোটগল্প ‘খিল’ মৌনী অমাবস্যায় তৃতীয় শাহি স্নান : রিঙ্কি সামন্ত ঢেঁকি নেই, নেই ঢেঁকিশাল, গ্রামের মানুষের কাছে আজ ইতিহাস : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় টাকা মাটি, মাটি টাকা : দিলীপ মজুমদার মির্জা নাথানের চোখে বাংলার ভুঁইয়াদের হাতি : মাহবুব আলম ভিয়েতনামের গল্প (অষ্টম পর্ব) : বিজয়া দেব ‘জাওয়ানি জানেমান হাসিনা দিলরুবা’র একাকিত্বের কাহিনী (শেষ পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত “কপোতাক্ষ নদ”-এর কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত : আসমা অন্বেষা কৃষ্ণনগরে সর্বধর্ম ভ্রাতৃত্ব সমাবেশ : ড. দীপাঞ্জন দে চোখের ক্যানসার থেকে সাবধান! দিন দিন বাড়ছে, আগাম সতর্কতা জরুরি : ডা. তনুশ্রী চক্রবর্তী রাখাইন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন বিদ্বজ্জনসমাজ ও জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির কবিয়ালের প্রেত : অসিত দাস ষষ্ঠীলা একাদশী বা ষটতিলা একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত একদা বিরুদ্ধরাই আজ নেতাজির স্তুতিগানে সরব : সন্দীপন বিশ্বাস
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ বসন্ত পঞ্চমী ও সরস্বতী পুজোর  আন্তরিক শুভেচ্ছা শুভনন্দন।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

হিং টিং ছট, প্রশ্ন এসব : রঞ্জন সেন

রঞ্জন সেন / ২৮০ জন পড়েছেন
আপডেট মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই, ২০২২

আইনকানুন, সংবিধান সবকিছুর উদ্দেশ্যই হল মানুষকে ভালোভাবে বাঁচার ব্যবস্থা করে দেওয়া। কিন্তু তা করতে গিয়ে সরকার বাহাদুর এমন সব কান্ড ঘটিয়ে বসেন তাতে ঠিক উল্টোটাই হয়। সংহত শিশু বিকাশ প্রকল্প চালু হয়েছিল ১৯৭৫ সালে। এটা ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শিশু বিকাশ কর্মসূচি। এতে স্থানীয় অঙ্গনওয়ারি থেকে রান্না করা খাবার পাওয়া যেত। ২০২১ কেন্দ্রীয় সরকার চালু করলেন ‘পোষণ ট্র্যাকার’, যার কাজ হল সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্প বা আই সি ডি এস এর সব সরকারি পুষ্টিদান প্রকল্পগুলির নজরদারি করা। কার্ডধারীদের আধার কার্ড আপডেট করা এর একটা অপরিহার্য অঙ্গ। এদিকে ০-৫ বছর বয়সী শিশুদের প্রায় তিন চতুর্থাংশের আধার কার্ড নেই। সুপ্রিম কোর্ট বলে দিয়েছে আধার কার্ড নেই বলে কারও খাদ্য বন্ধ করা যাবেনা। অন্যদিকে সরকার বলছে অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রে মায়েদের আধার কার্ড যাচাই করতেই হবে। সরকারের মতে, অনেকে ভুয়ো কার্ড করে এই প্রকল্পের সুবিধা নিচ্ছে।

বায়োমেট্রিক কার্ড (Biometric ID Card) যাচাই করাও এক সমস্যার ব্যাপার। কমন সার্ভিস সেন্টারের মতে প্রায় ৪২ শতাংশ কার্ড ব্যবহারকারীর বায়োমেট্রিক প্রথমবার মেলে না। আধার কার্ড যাচাই করা (Authentication) ব্যর্থ হওয়ায় সমস্যায় পড়ে যাচ্ছেন বহু ব্যবহারকারী। শিশুর খাবার আনতে গিয়ে বিপদে পড়ছেন মায়েরা। গোল বাঁধছে বৃদ্ধদের পেনশন আনার সময়। সংবাদপত্রে দেখলাম, পেনশন আনতে গিয়ে বায়োমেট্রিক বিভ্রাটে বিপর্যস্ত এক বৃদ্ধ আক্ষেপ করছেন — ‘আমার শরীরই আমার পরিচয় অস্বীকার করেছে। রেশন থেকে পেনশন এই বায়োমেট্রিক বিভ্রাটে মানুষের নাকাল হওয়ার ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে। বহু মানুষ আছেন যাদের ঠিক সময়ে পেনশন না পেলে ভালোভাবে বাঁচা কঠিন।

 

কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের নজরদারি করার জন্য মোবাইল মনিটারিং সিস্টেম চালু করেছেন। খুব ভালো ব্যাপার। এই কাজে নিযুক্ত শ্রমিকরা কাজ করে চলে যান। বাড়ি গিয়ে তারা বাড়ির কাজ করেন কিংবা সেই সময় তারা বাড়তি রোজগারের জন্য অন্যত্র কাজও করতে পারেন। কিন্তু এই অ্যাপ অতিষ্ঠ করে তুলেছে তাদের জীবন। কারণ কাজ শেষ হওয়ার পর ছবি তোলা এবং জিও-ট্যাগড হওয়ার জন্য তাদের কাজের জায়গায় বসে থাকতে হচ্ছে। ফলে তাদের কাজের সময় নষ্ট হচ্ছে। কর্মক্ষমতার এ এক বিরাট অপচয়। মজুরিও কম পাচ্ছেন তারা। দেশের লোকের কাজকর্ম ও প্রকল্পের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য সরকার প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ নিচ্ছেন এটা খুবই ভালো ব্যাপার। কিন্তু বহু ক্ষেত্রে যান্ত্রিক বিভ্রাটে মানুষ সমস্যায় পড়ছেন। তাতে প্রযুক্তির ওপর তাদের আস্থা কমছে। সরকার দেশের লোককে নজরে রাখছেন দেশের ‘মঙ্গল’ এর জন্যই। কিন্তু বহু ক্ষেত্রে এতে মানুষের সমস্যাও বাড়ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন